খাটিঁ ঘি চেনার সহজ পাঁচটি উপায় সম্পর্কে জানুন
খাঁটি ঘি চেনার উপায় সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব। আমরা সাধারণত ঘি খেয়ে থাকি কিন্তু কোনটা খাঁটি ঘি আর কোনটা নকল ঘি এটা আমরা অনেকেই জানিনা। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ার পরে আপনিও খাঁটি ঘি চেনার উপায় সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পারবেন।
আপনি যদি গরম ভাতের সাথে প্রতিদিন ঘি খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে থাকেন তাহলে ঘি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন। খাটিঁ ঘি চেনার উপায় ছাড়াও আরো জানতে পারবেন বাচ্চাদের জন্য ঘি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে, খালি পেটে ঘি খাওয়ার উপকারিতা, ঘি খেলে কি মোটা হয়, গরম ভাতের সাথে ঘি খাওয়ার উপকারিতা ইত্যাদি।
খাঁটি ঘি চেনার উপায়
খাঁটি ঘি চেনার উপায় নিয়ে আপনি কি চিন্তিত। বাজার থেকে ঘি কিনে নিয়ে আসছেন কিন্তু খাঁটি কিনা বুঝতে পারছেন না। বাজারে যেসব ঘি পাওয়া যায় সেসব ঘিতে তেমন স্বাদ নেই অনেক ভালো কোম্পানির ঘি দেখে নিলেও মনের মত ঘি পাওয়া যায় না। এছাড়া কারিগররা বেশি লাভের জন্য ঘি এর মধ্যে ডালডা, ডিভাইন তেল, বাটার ওয়েল মিশিয়ে দিচ্ছে। আর তাছাড়া যেহেতু খাঁটি দুধই পাওয়া যায় না সেখানে ঘি পাওয়ার খুব কঠিন। তবে বাজার থেকেও আপনি একটু বুদ্ধি খাটিয়ে খাটি ঘি কিনে আনতে পারেন আসুন তাহলে জেনে নেই খাঁটি ঘি চেনা সহজ পাঁচটি উপায় সম্পর্কে।
- চুলাতে একটি প্যান দিয়ে সেই প্যানের ভেতরে একটা চামচ ঘি দিয়ে গরম করুন। যদি ঘি সাথে সাথে গলে যায় এবং কালার বাদামী রঙের হয়ে থাকে তাহলে বুঝবেন এটি খাঁটি ঘি আর যদি ঘি গলতে অনেক সময় নেয় এবং রং হলুদ বর্ণের হয়ে যায় তাহলে বুঝবেন ভেজাল দেওয়া আছে।
- ঘি খাঁটি কিনা এ পদ্ধতিতে টেস্ট করলে খুব সহজেই বোঝা যায়। আপনার হাতের তালুতে এক চামচ ঘি নিন। ঘি যদি আপনার শরীরের সংস্পর্শে একা একাই বসে গলে যায় তাহলে বুঝবেন এটি খাটিঁ ঘি আর যদি অনেক সময় লাগে গলতে তাহলে বুঝবেন এই ঘিতে কোন ভেজাল জিনিস দেওয়া আছে।
- ঘি আপনি আয়োডিন সলিউশন মিশিয়ে ও টেস্ট করতে পারেন। চুলায় অল্প পরিমাণ ঘি গলিয়ে নিয়ে তার ভেতরে দুই ফোঁটা আয়োডিন সলিউশন মিশিয়ে দিতে হবে। আয়োডিন সলিউশন যদি বেগুনি রুপ ধারণ করে তাহলে বুঝে নিতে হবে এই ঘিতে ভেজাল দেওয়া আছে।
- গরম পানিতে ঘি পরীক্ষা করার জন্য একটি কাঁচের বোয়মে সামান্য পরিমাণ ঘি নিয়ে নিতে হবে এবং একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে তবে সে গরম পাত্রের ভেতরে ঘি এর বোয়ামটি বসিয়ে দিতে হবে। ঘি যখন সম্পন্ন ভাবে গলে যাবে বৈয়মের ভেতরে তখন বোয়ামটি ফ্রিজে রেখে দিন। চার পাঁচ ঘন্টা অপেক্ষা করুন। তারপর যদি দেখেন ঘি এক লেয়ারে জমে গেছে তাহলে বুঝবেন এটি খাঁটি কি কিন্তু যদি দেখেন ঘি দুই লেয়ারে জমে গেছে তাহলে বুঝে নিন এর মধ্যে নারিকেল তেল মেশানো আছে। যদি এভাবে পরীক্ষা করেন তাহলে ঘি এবং নারিকেল তেল লেজার দুটি আলাদা দেখতে পাবেন।
- এছাড়া ঘি আপনি বোতলের মাধ্যমে টেস্ট করতে পারেন। একটি স্বচ্ছ বোতলে এক চামচ ঘি গলিয়ে রাখুন এবার সে বোতলের ভেতরে এক চিমটি চিনি দিন। তারপর বোতলের মুখ ভালো করে বন্ধ করে খুব জোরে জোরে ঝাকান। ঝাঁকানো হয়ে গেলে ৫ মিনিটের জন্য বোতলটি এক জায়গায় স্থির করে রাখুন। এরপর খেয়াল করুন লাল রংয়ের আস্তরণ বোতলের নিচে পড়েছে কিনা। যদি লাল রঙের আস্তরণ বোতলের ভেতরে দেখতে পান তাহলে বুঝে নিতে হবে ঘিতে ভেজাল দেওয়া আছে।
ঘি খাওয়ার উপকারিতা
ঘি এর উপকারিতা সম্পর্কে যত বলা হবে ততই কম হবে। ঘি খাওয়ার বেশ উপকারিতা রয়েছে। ঘি একটি প্রাচীন খাদ্য এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ব্যবহার করা হয়। নিচে ঘি এর উপকারিতা সম্পর্কে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া হলো।
হজম ক্ষমতা বাড়ায়
ঘি এর মধ্যে থাকা বেটিরিক এ্যাসিড হজম ক্ষমতা উন্নত করে এবং অন্তের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে
প্রতিদিন নিয়মিত ত্বকে ঘি দিলে ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে এবং ত্বক উজ্জল কোমল থাকে। তাছাড়া প্রতিদিন নিয়ম করে ঘি খেলে চুলের গোড়া মজবুত হয় ও চুল পড়া বন্ধ হয়।
ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদানে উৎস
ঘি এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে যেমন ভিটামিনের এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই ও ভিটামিন কে। আর এই উপাদান গুলো আমাদের হাড়ের গঠনে ও শারীরিক বিকাশে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্য বজায় রাখে
ঘি এর মধ্যে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটিক এ্যাসিড হৃৎপিণ্ড ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়।
শক্তির উৎস
ঘি খুব শক্তিশালী একটি খাদ্য। আপনি যদি শীতে খুব কষ্ট পান ঠান্ডা জনিত সমস্যা তবে নিয়মিত ঘি খেতে পারেন এতে আপনার ঠান্ডা কমে যাবে এবং শারীরিকভাবে শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
ঘি এর মধ্যে থাকা অ্যামাইনো এ্যাসিড আমাদের শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমিয়ে দেয় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
মানসিক প্রশান্তি প্রদান
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা মতে, ঘি খেলে মনে এক ধরনের মানসিক প্রশান্তি তৈরি হয় এবং মন সতেজ থাকে।
গরম ভাতের সাথে ঘি খাওয়ার উপকারিতা
গরম ভাতের সাথে ঘি খাবার হিসেবে আমাদের বাঙ্গালীদের কাছে পরিচিত। গরম ভাতের সাথে ঘি খেতে আমরা অনেকেই পছন্দ করি। অনেকেই জানিনা গরম ভাতের সাথে ঘি খেলে কি উপকার হয় কিন্তু খেতে পছন্দ করি বলেই খাই। ঘিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি সহ আরো নানান রকমের পুষ্টিগুণ উপাদান।
তাই আমরা ঘি কে ভিটামিনের একমাত্র উৎস হিসেবে ব্যবহার করতে পারি। ঘি এর মধ্যে থাকা মশ্চারাইজার আমাদের শরীরের আদ্রতা বাড়িয়ে দেয় এবং পানি শূন্যতা রোগ থেকে মুক্তি দেয়। তাছাড়া গরম ভাতের সাথে ঘি খেলে আমাদের শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হয় যা আমাদের চোখ ও ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
বাচ্চাদের জন্য ঘি এর উপকারিতা
বাচ্চাদের জন্য ঘি এর উপকারিতা অনেক। কারণ ঘি একটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এবং শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য গুরুত্ব পূর্ণ একটি খাবার। ঘি এর মধ্যে রয়েছে একটি ভাল ফ্যাট যা বাচ্চার দুর্বলতা কমিয়ে ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ঘি এর মধ্যে থাকা ওমেগা থ্রি এবং ওমেগা নাইন ফ্যাটি অ্যাসিড বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং বুদ্ধিমত্তা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এছাড়া ঘি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে পাচনতন্ত্রের উন্নতি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে।ঘি এর মধ্যে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন এ, ডি, ই থাকার কারণে এটি বাচ্চার ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া ঘি বাচ্চার ত্বক ও চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
খালি পেটে ঘি খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে ঘি খাওয়ার উপকারিতা জানলে আপনি নিশ্চয়ই অবাক হবেন। খালি পেটে ঘি খেলে আপনার শরীরে সত্যি উপকার হবে নাকি সমস্যা হবে তা আগে ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত আসুন তাহলে আগে জেনে নেই খালি পেটে ঘি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
খালি পেটে ঘি খেলে আপনার শরীর ম্যাজিক এর মত কাজ করে। ঘি এর মধ্যে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আর খালি পেটে ঘি খেলে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে থাকে যা আমাদের শরীরের রক্তের মধ্যে থাকা খারাপ কোলেস্টোরলের মাত্রা কমায়। আর কোলেস্টোরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে থাকলে আমাদের হার্ট ও হৃৎপিণ্ড আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। এছাড়া ঘিতে রয়েছে ভিটামিন এ। ভিটামিন এ আমাদের চোখের জন্য বিশেষ উপকারী। খালি পেটে ঘি খেলে চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকে।
ঘি খেলে কি মোটা হয়
ঘি খেলে কি মোটা হয় এ প্রশ্নটি ই আমাদের অনেকের মনে জাগে। যুগ যুগ ধরে ঘি রান্নার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। অনেক গুণাবলী থাকার পরও আমরা ওজন বাড়ার ভয়ে ঘি খেতে চাই না। ওজন বেড়ে যাবে বলে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ঘি বাদ দিয়ে দেই। কিন্তু ঘি খেলে কি মোটা হয়? এর সত্যি কতটা আসলেই কি আমাদের প্রতিদিনের ডায়েট থেকে এ স্বাস্থ্যকর খাবারটি বাদ দেওয়া দরকার।
আসুন তাহলে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। ঘি এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আর এই ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের পেটের মেদ কিংবা অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তাই খুব সহজে বলা যায় ঘি খেলে ওজন বাড়ে না বরং আমাদের শরীরের বাড়তি ওজন কমে।
সচার আচার জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
১. ঘি কখন খাওয়া ভালো ?
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে ঘি খাওয়া ভালো। এভাবে ঘি খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
২. প্রতিদিন কতটুকু ঘি খাওয়া উচিত ?
দিনে দুই থেকে তিন চামচ ঘি একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের জন্য যথেষ্ট। এ ছাড়া আপনার খাদ্যের সাথে মিশিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘি খেতে পারেন এতে কোন সমস্যা নেই।
৩. কাদের খাওয়া উচিত নয় ?
যারা ওজন কমাবেন ভাবছেন তাদের ঘি অল্প পরিমাণে খাওয়া উচিত এবং যাদের লিভারের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য কি খাওয়া ঠিক নয়।
৪. ঘিতে কি ভিটামিন আছে ?
ঘিতে রয়েছে প্রয়োজনীয় ফ্যাট, ভিটামিন ডি, কে, ই এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপাদান।
৫. প্রতিদিন এক চামচ ঘি খেলে কি হয় ?
প্রতিদিন এক চামচ ঘি আপনার পাচনতন্ত্রের উন্নতি করতে সাহায্য করে। এছাড়া পেট পেট ফুলে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটের সমস্যা, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ইত্যাদি কমাতে সাহায্য করে।
ঘি খাওয়ার নিয়ম
ঘি আমাদের প্রতিদিনের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ঘিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে ঘি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই অনুসরণ করা দরকার। সঠিক সময় এবং সঠিক নিয়মে ঘি খেলে সবচাইতে বেশি ভালো ফল পাওয়া যাবে। তবে অবশ্যই খাঁটি ঘি পরীক্ষা করে খেতে হবে। আসুন তাহলে জেনে নেই ঘি খাওয়ার নিয়ম।
- সকালবেলা খালি পেটে কাঁচা ঘি খাওয়া সবচাইতে ভালো। তাছাড়া সকালে এক চামচ ঘি ও এক চামচ গরম পানি একসাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। তাছাড়া সামান্য গোলমরিচের গুঁড়া দিয়েও ঘি খাওয়া যেতে পারে। এতে আপনার ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর হবে।
- দুপুর কিংবা বিকেল বেলা মোটেও কাঁচা ঘি খাওয়া উচিত না। এতে আপনার হজমের কিছুটা সমস্যা হতে পারে তবে গরম ভাতের সাথে বিরানী কিংবা পোলাও সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন এতে খাবারের স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ বেড়ে যায় দ্বিগুণ। আপনি বিকেল বেলা ঘি দিয়ে বুলেট কফি বানিয়ে খেতে পারেন। এই বুলেট কফি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
- রাতের বেলা হালকা খাবারের সাথে ঘি খেলে ভালো ঘুম হয়। রাতে ঘি খাওয়া বয়স্ক মানুষের জন্য খুব উপকারী।
প্রতিদিন ঘি খাওয়ার উপকারিতা
প্রতিদিন ঘি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে এক কথায় বলে শেষ করা যাবে না। ঘি কে সুপারফুট হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আমরা ঘি কাঁচা অবস্থাতে খেতে ভয় পাই তবে প্রতিদিন সকালে আপনি যদি গরম পানির সাথে ঘি খেতে পারেন তবে আপনার শরীর সুস্থ রাখার জন্য খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা সকালবেলা এক চামচ ঘি আমাদের শরীরে ম্যাজিকের মত কাজ করে
প্রতিদিন ঘি খেলে আমাদের শরীরে যেসব উপকার হয় সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
ঘি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
ঘি এর মধ্যে এমন একটি উপাদান রয়েছে যা আমাদের গ্যাস, অম্বল হওয়ার আশঙ্কা কমিয়ে দেয় এবং যেকোনো ভারি খাবার সহজেই হজম করাতে সাহায্য করে।
পুষ্টির ঘাটতি পূরণ
প্রতিদিন ঘি খেলে আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে ভিটামিন এ এবং ই এর ঘাটতি পূরণ হয়। এমনকি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন ঘি খেলে পুষ্টির খাতি পূরণ হওয়ার পাশাপাশি আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি
ঘি এর মধ্যে রয়েছে ওমেগা ৬ ও থ্রি ফ্যাটি এ্যাসিড। যা আমাদের শরীরকে চাঙ্গা করে , নার্ভের কার্যক্ষমতা বাড়ায় ও মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
ওজন হ্রাস পায়
অনেকেই ধারণা করে ঘি খেলে ওজন বাড়ে, আসলে ঘি খেলে কিন্তু ওজন কমে। ঘি এর মধ্যে রয়েছে অ্যামাইনো এ্যাসিড যা আমাদের শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ঝরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে ফলে অতি দ্রুত আমাদের ওজন কমে আসে।
জয়েন্ট গুলোতে পুষ্টি জোগায়
ঘি এমন সব ব্যক্তির জন্য বিশেষ উপকারী যাদের জয়েন্টের ব্যথা রয়েছে। ঘি এর মধ্যে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এ্যাসিড এবং অন্যান্য পুষ্টির উৎস আমাদের হাড়ের জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
এনার্জির ঘাটতি দূর করে
ঘি এর মধ্যে থাকা উপস্থিত ফ্যাটি অ্যাসিড বিশেষ করে লরিক অ্যাসিড আমাদের শরীরে এলার্জির এনার্জির ঘাটতি দূর করে এবং শরীরকে চাঙ্গা করে। এ ছাড়া শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতেও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সৌন্দর্য বৃদ্ধি
ঘি কে অনেকেই প্রাকৃতিক মশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করেন। আপনি যদি নিয়মিত গোসলের আগে অল্প পরিমাণ ঘি এর সাথে সামান্য জল মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করেন তবে ত্বকের উপরে পড়ে থাকা বয়সের ছাপ অনেকটাই কমে যাবে।
দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি
ঘি দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে শীতকালে আপনার যদি ঠান্ডা জনিত কোন সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই প্রতিদিন এক চামচ করে ঘি খেতে পারেন। ঘি ঠান্ডা জন্য ভালো সে কারণেই শীত থেকে বাঁচতে ঘি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।
আমাদের শেষ কথা - খাটিঁ ঘি চেনার উপায়
খাটিঁ ঘি চেনার উপায় এ বিষয়ে আলোচনা শুরু করে ঘি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি ঘি খেয়ে থাকেন এবং ঘি এর উপকারিতা সম্পর্কে ও ঘি খাওয়ার নিয়ম জেনে না থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি পড়ার পর অবশ্যই খাটিঁ ঘি চেনার উপায় ও ঘি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। আর যদি ঘি সম্পর্কে এমন কিছু মিস করে যান তাহলে শুরু থেকে আর্টিকেলটি আবার পড়া শুরু করুন। তাহলে অবশ্যই আপনার ঘি সম্পর্কে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আমরা আপনার কাছে আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞ। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যমূলক আর্টিকেল আপনি যদি আরো পড়তে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। কারণ নিয়মিত আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো প্রকাশ করে থাকি। প্রিয় পাঠক আমার মনে হয় আপনি কিছু ভুলে গেছেন, হ্যাঁ আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে এ তথ্যমূলক আর্টিকেলটি শেয়ার করতে ভুলে গেছেন। যদি ভুলে যেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই শেয়ার করে দিবেন ধন্যবাদ।
বিডি অনলাইন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url