পেয়ারা পাতার তেল বানানোর নিয়ম - পেয়ারা পাতা দিয়ে রূপচর্চা

প্রিয় পাঠক আপনি কি পেয়ারা পাতার তেল বানানোর নিয়ম সম্পর্কে জানেন, যদি জেনে না থাকেন পেয়ারা পাতার তেল বানানোর নিয়ম এবং পেয়ারা পাতা দিয়ে রূপচর্চা কিভাবে করে সে সম্পর্কে তাহলে অবশ্যই আমাদের এই পেয়ারা পাতার তেল বানানোর নিয়ম আর্টিকেলটি খুব ভালোভাবে পড়ে নিন।
এছাড়া আর্টিকেলের মধ্যে আমরা আরো অনেক বিষয় যেমন পেয়ারা পাতা দিয়ে রূপচর্চা, পেয়ারা পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, পেয়ারা পাতা খেলে কি সুগার কমে, খালি পেটে পেয়ারা পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও পেয়ারা পাতা খাওয়ার সতর্কতা ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আর আপনি যদি পেয়ারা পাতার তেল বানানোর নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তবে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পেজ সূচিপএ

পেয়ারা পাতার তেল বানানোর নিয়ম

পেয়ারা পাতার তেল বানানোর নিয়ম শুনে হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে পেয়ারা পাতা দিয়ে কি আবার তেল হয়, পেয়ারা পাতা দিয়ে কিভাবে তেল বানানো যায় ইত্যাদি আরো অনেক প্রশ্ন। তবে হ্যাঁ পেয়ারা পাতা দিয়ে তেল বানানোর সম্ভব। আর আজকে আপনাকে জানাবো পেয়ারা পাতার তেলের উপকারিতা ও পেয়ারা পাতার তেল বানানোর নিয়ম সম্পর্কে। 

আপনার চুলকে সহজে লম্বা করার জন্য ১০০% কার্যকরী তেল হতে পারে পেয়ারা পাতার তেল। তাছাড়া চুল ঘন হচ্ছে না, নতুন চুল গজাচ্ছে না, চুল পেকে সাদা হয়ে যাচ্ছে, চুল আস্তে আস্তে রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে এরকম আরো অনেক ধরনের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য একমাত্র কার্যকরী সমাধান হতে পারে এ পেয়ারা পাতার তেল। এ পেয়ারা পাতার তেল ব্যবহারে ফলে আপনার চুল পড়া রোধ করবে, মাথায় নতুন চুল গজাবে, চুলগোড়া থেকে কালো করবে, চুলকে দ্রুত লম্বা করবে এবং চুলকে করবে স্বাস্থ্য উজ্জ্বল ও ঝলমলে। আসুন তাহলে জেনে নেই পেয়ারা পাতার তেল বানানোর নিয়ম সম্পর্কে।

  • তেল বানানোর জন্য কচি পেয়ারা পাতা অবশ্যই নিতে হবে। প্রথমে ৮/১০ কচি পেয়ারা পাতা খুব ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর পেয়ারা পাতাগুলোকে কুচিকুচি করে কেটে নিতে হবে।
  • একটি বড় আকৃতির পেঁয়াজ নিতে হবে এবং পেয়াজটি ভালো করে ছুরির সাহায্যে কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে।
  • তারপর চুলার উপর একটি হাঁড়ি বসিয়ে দিতে হবে এবং হাঁড়ির ভেতরে ৫০ গ্রামের মতো নারিকেল তেল দিয়ে দিতে হবে।
  • এবার মৃদু আচেঁ নারিকেল তেল গুলো হালকা গরম করে নিতে হবে।
  • নারিকেল তেল গরম হয়ে আসলে তার ভেতরে পেঁয়াজ কুচি ও পেয়ারা পাতা কুচি গুলো দিয়ে দিতে হবে।
  • পেয়ারা পাতার কুচি ও পেঁয়াজ কুচি মৃদু আচেঁ খুব ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে দুই মিনিটের মত জ্বাল করে নিতে হবে।
  • তারপর পেয়ারা পাতা এবং পেয়াজ পাতা কুচির মধ্যে এক চামচ পরিমাণ মেথি দিতে হবে।
  • এই তিনটি উপাদান ১০ থেকে ১২ মিনিট মৃদু আচেঁ জ্বাল করে নিতে হবে।
  • এবং ১০ থেকে ১২ মিনিট পর চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে ছাকনির সাহায্যে তেল আলাদা করে নিতে হবে।
  • তেল ছেঁকে নেওয়ার পর তেলের সাথে এক চামচ পরিমাণ ক্যাস্টর অয়েল দিয়ে দিতে হবে এবং খুব ভালোভাবে তেলের সাথে মিশিয়ে নিতে হবে।

ব্যবহার

রাতের বেলা ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই তেলটি ব্যবহার করা ভালো। তেল হাতে নিয়ে আঙ্গুলের সাহায্যে চুলের ত্বক থেকে চুলের আগা পর্যন্ত খুব ভালোভাবে তেলটি লাগাতে হবে। পেয়ারা পাতার তেলটি যদি আপনি হালকা কুসুম গরম অবস্থায় লাগাতে পারেন তবে আরও বেশি উপকার পাবেন। রাতের বেলা চুলে তেলটি লাগাতে হবে এবং সকালবেলা শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে তিন দিন এই তেলটি আপনি আপনার চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ভালো উপকার পাবেন।

পেয়ারা পাতা দিয়ে রূপচর্চা

পেয়ারা পাতা দিয়ে রূপচর্চা করা যায় এই কথাটা আমরা হয়তো অনেকেই জানি না। পেয়ারার পাতা ত্বকে ব্যবহার করার ফলে ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ হয় এবং ত্বক ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করার জন্য এক টেবিল চামচ পেয়ারা পাতা ভালো করে মিশ্রিন করে নিতে হবে এবং তাতে এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। এটি আধা ঘন্টা মুখের ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে রাখুন শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এবং শুকিয়ে গেলে খুব ভালো করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।

ব্রণ ও ব্লাকহেড দূর করতেও আপনি পেয়ারা পাতা ব্যবহার করতে পারেন। এক টেবিল চামচ পেয়ারা পাতা বাটার সাথে এক টেবিল চামচ এলোভেরা জেল ও এবং আধা চা চামচ হলুদ বাটা ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রনটি ভালো করে মুখে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন ২০ থেকে ২৫ মিনিট। এরপর ভালোভাবে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মুখের ত্বকের জ্বালা ভাব দূর করতেও এই ফেসপ্যাকটি আপনি ব্যবহার করতে পারেন। ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে অন্তত দুইদিন পেয়ারা পাতা দিয়ে ফেসপ্যাক ত্বকের ব্যবহার করুন।

পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক। ফাইবার জাতীয় ফল হিসেবে পেয়ারা একটি পরিচিত ফল। পেয়ারা খেলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। যাদের পায়খানা সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন পেয়ারা খেতে পারেন। তাছাড়া পেয়ারার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন পেয়ারা খাওয়ার ফলে চোখের ছানি পড়া অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। 

পেয়ারার মধ্যে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল যোগ রয়েছে যা আপনার খাবার হজম করতে এবং অন্তের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। বিশেষ করে আপনি যদি ওজন কমাতে চান তবে অবশ্যই প্রতিদিন নিয়ম করে পেয়ারা খান। পেয়ারার মধ্যে থাকা ফাইবার আপনার পেট অনেকক্ষণ পর্যন্ত ভরা রাখে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়া পেয়ারার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি যা আপনার দাঁতের মাড়ি মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পেয়ারার মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক। পেয়ারার মধ্যে রয়েছে সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের হার্ট ভালো রাখে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। পেয়ারা শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হাটকে সুস্থ রাখে।

পেয়ারা পাতা খেলে কি সুগার কমে

পেয়ারা পাতা খেলে সুগার কমে আমরা অনেকেই বিষয়টা সম্পর্কে জানিনা। পেয়ারা ফল আমরা ছোট বড় সবাই পছন্দ করি কিন্তু পেয়ারা পাতাও যে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এ বিষয়ে আমাদের অনেকেরই অজানা। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীর জন্য পেয়ারা পাতা একটি দুর্দান্ত কার্যকরী উপাদান। পেয়ারা পাতার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। আর এই ফাইবার ডায়াবেটিসের রোগীর শরীরে বিপাকীয় হার বাড়াতে, শর্করার মাত্রা কমাতে, রক্তের মধ্যে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কচি পেয়ারা পাতা দুই তিনটা ভালো করে ধুয়ে খেতে পারেন। এতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। জাপানসহ অনেক দেশে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিদিন পেয়ারা পাতা চা খাওয়া হয়। একটি মানব গবেষণায় দেখা গিয়েছে আপনি যদি প্রতিদিন পেয়ারা পাতার চা খান তবে পেয়ারা পাতার চা খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে হাইপোডিপোনেকটেমিয়া এবং হাইপারগ্লাইসেমিয়া উন্নত করে। তাই আপনি যদি আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তবে অবশ্যই প্রতিদিন কচি পেয়ারা পাতা কিংবা পেয়ারা পাতা চা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

খালি পেটে পেয়ারা পাতা খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে পেয়ারা পাতা খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক। সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনি যদি খালি পেটে দু-একটা পেয়ারা পাতা খেতে পারেন তবে এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। হজম শক্তি ভালো রাখার জন্য সকালে খালি পেটে পেয়ারা পাতা চিবিয়ে খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। এছাড়া পেটের অন্যান্য সমস্যা যেমন বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, এসিডিটি। 

সকাল বেলা খালি পেটে পেয়ারা পাতা খেলে এসব রোগ থেকেও মুক্তি পাবেন। তাছাড়া পেয়ারা পাতা ওজন কমাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সকালে আপনি যদি কচি পেয়ারা পাতা খেতে পারেন তবে আপনার পেটের সমস্যার পাশাপাশি ওজন কমাতেও অনেকাংশেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই পেয়ারা পাতা।

পেয়ারা খেলে কি ওজন বাড়ে

পেয়ারা খেলে কি ওজন বাড়ে ? পেয়ারা যেহেতু ভারী খাবার সেজন্য আমাদের সকলের মনে প্রশ্ন আসে পেয়ারা খাবার পরে কি আমার ওজন বাড়ে। পেয়ারা সব মৌসুমেই পাওয়া যায়। পেয়ারা যেমন পুষ্টিগুণ তেমন সুস্বাদু। পেয়ারার মধ্যে রয়েছে প্রোটিন এবং প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। আর এই দুটি উপাদান আপনার পেট অনেকক্ষণ ভরা রাখে। ফলে সহজে ক্ষুধা পায় না। আবার পেয়ারার মধ্যে রয়েছে খুবই কম পরিমাণে ক্যালরি। তাই পেয়ারা খাওয়ার ফলে ওজন বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই। 

তবে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত পেয়ারা খাওয়া উচিত না। তাছাড়া পাকা পেয়ারা মধ্যেও কোন প্রাকৃতিক চিনি নেই। আর তা থাকলেও খুব অল্প পরিমাণে। তাই আমরা পাকা পেয়ারাও খেতে পারি ওজন কমানোর জন্য। কিন্তু পাকা পেয়ারা চেয়ে কাঁচা পেয়ারা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে বেশি। পেয়ারা আপনার ওজন বাড়াবে না বরং আপনি যদি নিয়মিত পেয়ারা খেতে পারেন তাহলে আপনার পেটের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলতে সাহায্য করবে।

প্রতিদিন পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা 

প্রতিদিন পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হবেন। পেয়ারার মধ্যে রয়েছে কম ক্যালোরি। তাই আপনি যদি প্রতিদিন পেয়ারা খান তবে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং ওজন কমে আসে। পেয়ারার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি যা আমাদের ত্বক ও চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ। পেয়ারায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে। 

যারা ডায়বেটিসের সমস্যায় ভুগছেন তারা পেয়ারা খেতে পারেন। এটা আপনার রক্তে চিনির পরিমাণ কমিয়ে আনবে। পেয়ারা পাতা দাঁতের ব্যথার জন্য ভালো আপনি যদি প্রতিদিন পেয়ারা এবং পেয়ারা পাতা খান তবে আপনার মাড়ি ও দাঁত সুস্থ থাকে। দাঁতের যদি কোন ব্যথা থাকে তবে পেয়ারা পাতা খাওয়ার ফলে তা কমে। এছাড়া পেয়ারা পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা কমাতে দারুণভাবে কার্যকর। তাই অবশ্যই নিয়ম করে প্রতিদিন পেয়ারা ও পেয়ারা পাতা খান।

১. পাকা পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ?
পেয়ারা একটি উপকারী ফল তাই পাকা পেয়ারাও আমাদের জন্য খুব উপকারী। পাকা পেয়ারা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। পাকা পেয়ারা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য একটি উপকারী খাবার। কারণ এতে কোন সুগার নেই। পাকা পেয়ারা খেলে হার্ট ভালো থাকে এবং পাকা পেয়ারা ওজন কমাতে দারুনভাবে কাজ করে।

২. পেয়ারা পাতা খাওয়ার নিয়ম ?
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আপনি পেয়ারা পাতা খেতে পারেন অথবা পেয়ারা পাতার চা করে খেতে পারেন এতে ভালো উপকার পাবেন।

৩. রাতে পেয়ারা খেলে কি হয় ?
পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আর তাই পেয়ারা খেলে আপনার পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। আপনি রাতে কাঁচা পেয়ারা ফল খেতেই পারেন তবে পুষ্টিবিদরা মনে করেন রাতে পেয়ারা না খাওয়াই ভালো। যেহেতু পেয়ারা খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে এতে আপনার ওজন বেড়ে যেতে পারে। তাছাড়া যাদের ঠান্ডা সমস্যা রয়েছে তাদের রাতের বেলা পেয়ারা খাওয়া থেকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। না হলে ঠান্ডা জনিত সমস্যায় পড়তে পারে।

৪. পেয়ারা খেলে কি গ্যাস হয় ?
আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে পেয়ারা খেয়ে থাকেন তবে অবশ্যই আপনার পেট ফোলা ভাব ও গ্যাস হতে পারে।

৫. পেয়ারা কাদের খাওয়া উচিত নয় ?
পেয়ার একটি উপকারী খাবার। গর্ভবতী এবং দুগ্ধদানকারী মা দের পেয়ারা বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত না। কারণ পেয়ারাই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই পেয়ারা বেশি পরিমাণে খেলে ফাইবার বাড়ে ও হজমের সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাছাড়া যাদের ঠান্ডা জনিত সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পেয়ারা ফল খাবেন।

৬. পেয়ারা খাওয়ার সঠিক সময় ?
পেয়ারা খাওয়ার সঠিক সময় জেনে যদি আপনি পেয়ারা খান তবে পেয়ারা থেকে সঠিক উপকার পাবেন। পুষ্টিবিদরা বলেন পেয়ারা খাওয়ার সঠিক সময় হল সকালের নাস্তা এবং দুপুরের খাবারের মধ্যবর্তী সময় কিংবা আপনি সকালের নাস্তার এক ঘন্টা পরে পেয়ারা খেতে পারেন। ব্যায়াম করার আগে পেয়ারা খেতে পারেন। এতে আপনার শরীলে দ্রুত শক্তি সরবরাহ হবে। তবে হ্যাঁ রাতের বেলা পেয়ারা না খাওয়াই ভালো। বিশেষ করে যাদের ঠান্ডার সমস্যা রয়েছে তারা রাতের বেলা পেয়ারা খাওয়া থেকে সতর্ক থাকুন।

পেয়ারা খাওয়ার সতর্কতা

পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক। তবে কিছু কিছু মানুষের জন্য পেয়ারা খাওয়ার সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। যেমন পেয়ারা একটি ঠান্ডা জাতীয় ফল। অধিক পরিমাণে খেলে যারা আগে থেকেই ঠান্ডা সমস্যায় ভুগছেন তাদের সর্দি সমস্যা হতে পারে। কিংবা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে ঠান্ডা সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া গর্ভবতী মায়ের অধিক পরিমাণে পেয়ারা খাওয়া মোটে উচিত নয়। 
পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। আর ফাইবার থাকার কারণে অতিরিক্ত পরিমাণে পেয়ারা খেলে গ্যাস হতে পারে কিংবা হজনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই গর্ভকালীন সময় অবশ্যই পেয়ারা খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। তবে এমনটা নয় যে আপনি খেতে পারবেন না অবশ্যই খেতে পারবেন কিন্তু তা পরিমান মতন। অতিরিক্ত পরিমাণে নয়।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আপনার যদি পেয়ারা পাতার তেল বানানোর নিয়ম সম্পর্কে জানা হয়ে থাকে তাহলে আর দেরি না করে এখনই চটজলটি কিছু পেয়ারা পাতা নিয়ে তেল বানিয়ে ফেলুন এবং চুলে লাগিয়ে চুলের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করুন। তাছাড়া পেয়ারা পাতা দিয়ে রূপচর্চা কিংবা পেয়ারা পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে থাকেন তবে অবশ্যই এ বিষয়গুলো সম্পর্কে অন্যকে জানানোর চেষ্টা করুন। 

আপনি যদি আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে যাবেন। কারণ আমরা প্রতিনিয়ত এরকম গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে থাকি আর পেয়ারা পাতা সম্পর্কে আপনার যদি কোন মন্তব্য থেকে থাকে তবে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে যাবেন। আমরা আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি অনলাইন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url