ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা ও ড্রাগন ফলের ফেসপ্যাক

ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা কিভাবে করবেন সে সম্পর্কে জানতে অনেক খোঁজাখুঁজি করে সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না। ভাবছেন ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা কিভাবে করা যায়, তাহলে আসুন জেনে নেই ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা ও ড্রাগন ফলের ফেসপ্যাক কিভাবে তৈরি করবেন।
তাছাড়া ড্রাগন ফল নিয়ে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। যেমন ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা, বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা, ড্রাগন ফল খাওয়ার সর্তকতা সম্পর্কে। আপনি যদি এ বিষয়গুলি সম্পর্কে জেনে না থাকেন এবং জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পেজ সূচিপএ

ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা

ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা একথা হয়তো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমরা শুধু ড্রাগনের উপকারিতা সম্পর্কে জানি। ড্রাগন খেলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকার হয় এ সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। কিন্তু ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা করা যায় এ সম্পর্কে হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। আজকে তাই ড্রাগন ফলের খোসা ফেলে না দিয়ে আমরা জানবো ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে কিভাবে রূপচর্চা করা যায়। 

ড্রাগন ফলের খোসার মধ্যে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বককে উজ্জ্বল ও সতেজ করতে সাহায্য করে। এছাড়া ত্বকের ভিতরে মৃত কোষগুলোকে সচল করে এবং ত্বকের দূষিত পদার্থ গুলো নিরাময় করে। ড্রাগন ফলের খোসায় রয়েছে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা আপনার মুখের ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। ড্রাগনের খোসার মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার জন্য ত্বকের বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে। আসুন তাহলে জেনে নেই কিভাবে ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে আপনি আপনার ত্বকের উপকার পেতে পারেন।

ড্রাগন ফলের খোসা ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে বিলিন্ডারে পেস্ট তৈরি করুন এবং এ পেস্টটির সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন এবং পেস্টটি ভালোভাবে মুখে শুকিয়ে গেলে নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ড্রাগন ফলের খোসা আপনি মশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। ড্রাগন ফলের খোসা থেকে বিলিন্ডারের সাহায্যে রস বের করে নিন এবং সে রস মুখে কিছুক্ষন মেসেজ করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন দেখবেন আপনার মুখ অনেকটা নরমও উজ্জ্বল হয়ে গেছে।

ড্রাগন ফলের খোসার পেস্ট বানিয়ে সে পেস্টের সাথে এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মুখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন এবং শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া ড্রাগন ফলের খোসা শুকিয়েও আপনি মুখে ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে ড্রাগন ফলের খোসা ভালোভাবে ধুয়ে নিন এবং রোদের শুকিয়ে নিন। 

খোসা গুলো ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে সেগুলো গুড়ো করে নিন। ড্রাগন ফলের খোসার গুড়োর সাথে ২ টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন এবং পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি এভাবে নিয়মিত ড্রাগনের খোসা মুখের রূপচর্চায় ব্যবহার করতে পারেন তবে ত্বক হয়ে উঠবে সতেজ, উজ্জ্বল ও সুস্থ।

ড্রাগন ফলের ফেসপ্যাক

ড্রাগন ফলের ফেসপ্যাক তৈরি করার জন্য ড্রাগন ফল খোসা থেকে ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিয়ে ড্রাগন ফলের একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে। পেস্টের সাথে কিছু বেসন, গোলাপজল ও কাঁচা দুধ মিশিয়ে নিতে হবে। ভালোভাবে মিশানোর পর ফেসপ্যাকটি ঘাড়ে এবং মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। ২০ মিনিট পর আঙ্গুল দিয়ে খুব ভালোভাবে ৫ থেকে ৭ মিনিট ত্বকে মেসেজ করতে হবে এবং সর্বশেষে নরমাল পানি দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হবে। ড্রাগন ফলের এই ফেসপ্যাকটি আপনি সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করতে পারেন আপনার ত্বকে। এতে ভাল ফলাফল পাবেন।

ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা

ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। ড্রাগন ফলের ভেতরের অংশ খেয়ে আমরা উপরের খোসা গুলো ফেলে দেই কিন্তু আমরা হয়তো জানি না যে ড্রাগন ফলের ভেতরের অংশ যেমন উপকারী তেমন খোসার সাথেও গুরুত্বপূর্ণ সব উপাদান রয়েছে।

ড্রাগন ফলের খোসায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এগুলো শরীর থেকে খারাপ টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। যা শরীরের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়। ড্রাগন ফলের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আশঁ যা আমাদের হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করে, পেট পরিষ্কার রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে।

ড্রাগনের খোসার মধ্যে রয়েছে কম ক্যালরি। তাই ওজন কমানোর জন্য ড্রাগনের খোসা আমরা খেতে পারি। ত্বকের যত্নে ড্রাগনের খোসার কোন জুড়ি নেই। ড্রাগনের খোসার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের মসৃণ ও উজ্জ্বল করে তোলে। এছাড়া ড্রাগনের খোসার রং প্রাকৃতিক এবং বিভিন্ন খাবারে প্রাকৃতিক রং হিসেবে আমরা ব্যবহার করতে পারি। 

ড্রাগনের খোসার মধ্যে এমন কিছু প্রিজারভেটিভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আমাদের নিত্যদিনের খাবার সংরক্ষণে সহায়তা করতে পারে। ড্রাগনের খোসার এত উপকারীতা সম্পর্কে জানার পরে আপনি কি ভাবছেন, এখন ড্রাগনের খোসা কিভাবে খাওয়া যায়। তাহলে আসুন জেনে নিন ড্রাগনের খোসা কিভাবে খেতে পারবেন। ড্রাগনের খোসা আপনি জুস বানিয়ে খেতে পারেন। 

ড্রাগনের খোসা জুস বানিয়ে খেলে তো আপনার বানাতেও কোন অসুবিধা নেই এবং খুব সহজে খেতে পারবেন। তাছাড়া ড্রাগনের খোসা দিয়ে আপনি চা বানিয়ে খেতে পারেন। ড্রাগনের খোসা পেস্ট তৈরি করে মুখে মিশ্রণটি লাগাতে পারেন। এছাড়া গরম পানিতে ড্রাগনের খোসা সিদ্ধ করে জেলি বানাতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলে উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অজানা। একজন গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে ড্রাগন একটি উপকারী ফল এবং শুধু উপকারী না বরং একজন গর্ভবতী নারীর জন্য ড্রাগন একটি পুষ্টিকর খাবার। ড্রাগনের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি, ফোলেট এবং আয়রন। যা একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য আদর্শ খাবার হিসেবে বিবেচিত। 

ভিটামিন বি, ফোলেট গর্ভের শিশুর জন্মগত এুটি রোধ করতে সাহায্য করে এবং গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের শক্তি বৃদ্ধি করে। তাছাড়া ড্রাগনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা গর্ভের বাচ্চার ভ্রুনের হাড়ের বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া ড্রাগনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম । তাই একজন গর্ভবতী মা যদি প্রতিদিন ড্রাগন খেতে পারে তাহলে গর্ভের সময় কিডনির সমস্যা, হার্টের সমস্যা ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাবে। 

এ ছাড়া ড্রাগন একটি আঁশযুক্ত খাবার তাই গর্ভকালীন সময় পেটের বিভিন্ন সমস্যা, হজমের সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য মত কঠিন সমস্যা থেকে রক্ষা করবে। গর্ভকালীন সময় যদি ড্রাগন সরাসরি খেতে না পারেন তাহলে ড্রাগনের জুস বানিয়ে কিংবা ড্রাগন দিয়ে বিভিন্ন রেসিপি বানিয়ে খেতে পারেন এতে ভালো উপকার পাবেন।

বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা

বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আগে ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত। তারপর তাদের নিয়ম করে প্রতিদিন ড্রাগন ফল খাওয়ানো উচিত। ড্রাগন ফল বড় এবং ছোট সকল বয়সের জন্য সমান উপকারী। ড্রাগন ফল বাচ্চাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পরিমান মতন রাখা উচিত। ড্রাগন ফলের মধ্যে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ আছে আর এই উপাদান গুলো বাচ্চাদের হাড় ভালো রাখে ও হাড় গঠনে সহায়তা করে। 

ড্রাগন ফল আশঁ যুক্ত হওয়ার কারণে বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো কঠিন সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। এছাড়া ভিটামিন এ থাকার জন্য বাচ্চাদের চোখের সমস্যা দূর হয়। ড্রাগনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা বাচ্চাদের রক্তস্বল্পতা দূর করে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি এখন আমরা জানবো ড্রাগন ফলের ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে। 

আমরা জানি ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা অনেক এবং ড্রাগন ফলের খোসা আমাদের জন্য অনেক উপকারী কিন্তু ড্রাগন যদি প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত পরিমাণে আপনি খেয়ে থাকেন তবে অবশ্যই ক্ষতি হতে পারে আপনি যদি প্রতিদিন পরিমাণের চাইতে বেশি ড্রাগন খেয়ে থাকেন তবে আপনার হজমের সমস্যা হতে পারে। 

বমি বমি ভাব হতে পারে, ডায়রিয়া হতে পারে, অতিরিক্ত ড্রাগন খাওয়ার ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যেতে পারে। ড্রাগন ফলে প্রাকৃতিক চিনির পরিমাণ বেশি তাই ডায়াবেটিসের রোগীরা ড্রাগন খুব সীমিত পরিমানে খাবেন না হলে সুগার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সচার আচার জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর

১. ড্রাগন ফল খেলে কি রক্ত বাড়ে ?
ড্রাগন ফলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি এবং ক্যারোটিন আর এই উপাদান গুলো আমাদের শরীরের রক্ত কণিকা গুলোকে সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে। অন্যদিকে শরীরে আয়রনের মাত্রা পূরণ করতে এই ড্রাগন ফল খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আয়রন দেহের অক্সিজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে এবং শরীরে রক্তশূন্যতা দূর করে।

২. ড্রাগন ফলের রস মুখে লাগানো যাবে কি ?
ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, খনিজ এবং অন্যান্য আরো বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন। যা আমাদের ত্বকের পুষ্টি জোগাতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনি যদি প্রতিদিন আপনার মুখে ড্রাগন ফল ব্যবহার করতে পারেন তবে ত্বকের কালো কালো ছোপ দাগ ও দূর হয়ে যাবে।

৩. ড্রাগন ফল চুলে লাগানো যাবে কি ?
ড্রাগন ফল খেলে যেমন উপকার হয় তেমন আমাদের ত্বকের জন্য খুব উপকারী। যদি ড্রাগন ফল সপ্তাহে ২/৩ দিন আপনার চুলে লাগান তবে আপনার চুলের গোড়া মজবুত হবে। চুল আগের চাইতে অনেক সিল্কি হবে এবং চুল উঠা বন্ধ হবে। তবে অবশ্যই নিয়ম মেনে ড্রাগন ফল চুলে লাগাতে হবে। প্রথমে বিলিন্ডারে ড্রাগন ফলের একটি পেস্ট তৈরি করে নিন। তারপর দই মধু এবং নারিকেল তেলের সাথে ড্রাগন ফলের পেস্ট মিশিয়ে চুলে লাগান এবং ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পর ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই তিন দিন এভাবে ব্যবহার করে দেখুন নিজের ফলাফল বুঝতে পারবেন।

৪. ড্রাগন ফলের উপকারিতা ?
ড্রাগন ফল রক্তের ক্ষতিকারক চর্বি কমাতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফলের মধ্যে রয়েছে খুব কম পরিমাণে ক্যালরি। ড্রাগন ফলের মধ্যে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও খনিজ লবণ যা আমাদের দাঁত, ত্বক, চুল, নখ মজবুত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সব উপকারী উপাদান। আর আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ানোর জন্য আয়রন খুব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

৫. ড্রাগন ফলে কি কি ভিটামিন পাওয়া যায় ?
ড্রাগন ফলের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান। ড্রাগনের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম। তাছাড়া ড্রাগনের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ।

৬. ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময় ?
ড্রাগন ফল খাওয়ার কোন নির্দিষ্ট সময় নেই আপনি যেকোনো সময় ড্রাগন ফল খেতে পারেন। তবে ফল খাওয়া সঠিক সময় হল সকাল বেলা নাস্তা করার পর।

৭. ড্রাগন ফল কি মিষ্টি ?
ড্রাগন ফলের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি তাই ড্রাগন ফল খাওয়ার পরে আপনার কোন ক্ষতি হবে না। ড্রাগন ফল কোন মিষ্টি ফল হিসেবে পরিচিত নয়। তাই এটা ভাবার কোন সম্ভাবনা নেই যে ড্রাগন খেলে আপনার সুগার বেড়ে যেতে পারে।

ড্রাগন ফল খাওয়ার সতর্কতা

ড্রাগন ফল খাওয়ার ব্যাপারে আপনাকে সতর্কতা অবশ্যই অবলম্বন করতে হবে। সব সময় মনে রাখতে হবে ফল আমাদের জন্য খুব উপকারী একটি খাদ্য। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফল আমাদের শরীরে ক্ষতি করতে পারে। বিশেষ করে কোন খাবারই বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত না। আর ড্রাগন ফল খাওয়ার সতর্কতা সম্পর্কে আপনি যদি আগে থেকেই জানতে পারেন তাহলে ফল খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারবেন। আসুন তাহলে জানা যাক ড্রাগন ফলের সর্তকতা সম্পর্কে। অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খেলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

আপনি যদি প্রতিদিন অতিরিক্ত পরিমাণে ড্রাগন ফল খান তবে আপনার বদহজম হতে পারে, এসিডিটি কিংবা গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি ডায়রিয়ার মত সমস্যাও মাঝে মাঝে দেখা দিতে পারে। অনেক সময় ড্রাগন ফল খেলে এলার্জির সমস্যা দেখা দেয়। তাই যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের ড্রাগন ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। আপনি যদি ডায়াবেটিসে রোগী হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই অতিরিক্ত পরিমাণে ড্রাগন ফল খাবেন না। 
এতে আপনার সুগার বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া অতিরিক্ত পরিমাণে ড্রাগন ফল খেলে আমাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তবে আপনি যদি ড্রাগন প্রেমিক হয়ে থাকেন এবং ড্রাগন ফল আপনার যদি খুব প্রিয় হয়ে থাকে তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খুব সীমিত পরিমাণে এবং দুই এক দিন পর পর ড্রাউনফল খেতে পারেন এতে আপনার স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হবে না। তাছাড়া ড্রাগনে তাড়াতাড়ি বড় করার জন্য টনিক কিংবা ফরমালিন ব্যবহার করা হয়। সেজন্য বাজার থেকে ড্রাগন কেনার সময় অবশ্যই ফরমালিনমুক্ত ড্রাগন দেখে শুনে নিতে হবে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, আমি মনে করি ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা এই আর্টিকেলটি আপনি খুব মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। এবং ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা কিভাবে করা যায় ও ড্রাগন ফলের ফেসপ্যাক, ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। 

যদি আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে আপনার ভালো লেগে থাকে কিংবা উপকৃত হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না এবং ড্রাগন ফল সম্পর্কে আপনার যদি আর কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন। আমাদের সাধ্যমত আপনাকে সঠিক উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি অনলাইন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url