সিঙ্গাপুরি কলা খাওয়ার উপকারিতা - কাঁঠালি কলা খাওয়ার উপকারিতা
সিঙ্গাপুরি কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না। তাহলে আমি বলবই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। কারণ এই আর্টিকেল এর মধ্যে আমরা সিঙ্গাপুরি কলা খাওয়ার উপকারিতা, কাঁঠালি কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
তাছাড়া চিনি চম্পা কলা খাওয়ার উপকারিতা, সবরি কলা খাওয়ার উপকারিতা, চিড়া কলা খাওয়ার উপকারিতা, কবরী কলা খাওয়ার উপকারিতা, সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা, দুধ কলা খাওয়ার উপকারিতা ইত্যাদি আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। সিঙ্গাপুরি কলা খাওয়ার উপকারিতা ও বিভিন্ন জাতের কলার উপকারিতা সম্পর্কে আপনি যদি জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পেজ সূচিপএ
সিঙ্গাপুরি কলা খাওয়ার উপকারিতা
সিঙ্গাপুরি কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। সিঙ্গাপুরি কলা সম্পর্কে অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে। অনেকেই হয়তো ভাবেন সিংগাপুরি কলা শুধু পাকিয়ে খাওয়া যায় এটি কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যায় না। আজকে আমার আলোচনা করব সিঙ্গাপুরি কলা সম্পর্কে। কলা একটি সুস্বাদু ও মজাদার খাদ্য। আমাদের দেশে বিভিন্ন জাতের কলা রয়েছে। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরি একটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ কলা।
সিঙ্গাপুরি কলার মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং অন্যান্য আরো অনেক পুষ্টি উপাদান। সিঙ্গাপুরি কলার মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম এবং সামান্য পরিমাণ লবণ যা আপনার হৃদপিণ্ড ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভালো কাজ করে থাকে। প্রতিদিন যদি আপনি একটি করে সিঙ্গাপুরি কলা খান তবে আপনার স্মৃতিশক্তি আগের চেয়ে অনেকাংশে বেড়ে যায়। তাছাড়া কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
তাছাড়া কলাতে রয়েছে ভিটামিন যা আপনার দেহের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। সিঙ্গাপুরি কলার মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম যা আমাদের শরীরের হাড় ও পেশিগুলো সচল রাখতে সহায়তা করে। আর সিঙ্গাপুরি কলার মধ্যে রয়েছে ফাইবার। ফাইবার যুক্ত খাবার খেলে আপনার পেট অনেকক্ষণ পর্যন্ত ভরা থাকে। যার ফলে অনেকক্ষণ আপনি খাবার না খেয়ে থাকতে পারেন। এতে আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে। সিঙ্গাপুরি কলা আপনি রান্না করেও খেতে পারেন।
আমরা জানি কলা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু রান্না তৈরি করা যায়। সুতরাংআপনি সিংগাপুরি কলা পাকা কিংবা রান্না যে কোন অবস্থাতেই খেতে পারেন। এতে আপনার শরীরের কোন ক্ষতি হবে না বরং উপকার হবে। সিঙ্গাপুরি কলার মধ্যে রয়েছে কার্বনহাইড্রেট। আর আপনি যদি বেশি পরিমাণে সিঙ্গাপুরি কলা খান তবে সুগার বেড়ে যেতে পারে। তাই অবশ্যই সিংগাপুরি কলা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ঠিক হবে না ডায়াবেটিস রোগীর জন্য। তবে হ্যাঁ প্রতিদিন একটা কলা ডায়াবেটিসের রোগীর জন্য যথেষ্ট এতে সুগার বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
কাঁঠালি কলা খাওয়ার উপকারিতা
কাঁঠালি কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে যতই বলা হবে ততই কম বলা হবে। কাঁঠালি কলা খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক। কাঁঠালি কলা খেলে মানসিক চাপ অনেকাংশেই কমে যায় কিডনি ভালো রাখার জন্য প্রতিদিন অবশ্যই আঠালি কলা খাওয়া উচিত। কাঁঠালি কলার মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আমাদের খাদ্য থলিতে হজমের পরিমাণ বাড়ায় ও গ্যাস্ট্রিকের সহ আলসারের মতো ভয়াবহ রোগ থেকে মুক্তি দেয়।
এছাড়া কাঁঠালি কলাতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন,শর্করাসহ আরো অনেক ধরনের উপাদান রয়েছে। কাঁঠালি কলার মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম যার ফলে নিদ্রাহীনতা দূর হয় ও রাতে ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে নিয়মিত কাঁঠালি কলা খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকার পাওয়া যায়। তাছাড়া কাঁঠালি কলাতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম যা আপনার শরীরের হাড় ও পেশি মজবুত করতে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
যাদের মাথা ব্যথা বা বাতের ব্যথার সমস্যা আছে তাদের জন্য খুব উপকারী কাঠালী কলা। কাঁঠালি কলা ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া আপনার শরীরের শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। এই কাঁঠালি কলা খাওয়ার ফলে অনেক ধরনের অসুখ-বিসুখ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। দাম একটু বেশি হলেও কাঁঠালি কলা খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী।
চিনি চম্পা কলা খাওয়ার উপকারিতা
চিনি চম্পা কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আজকে আমি আপনাদের জানাবো। চিনি চম্পা কলা একটি খুব পরিচিত ফল। চিনি চম্পা কলা চাপা কলা নামে পরিচিত। বেশিরভাগ মানুষের চাপা কলা খেতে পছন্দ করেন চাপা কলায় রয়েছে অনেক উপকারী পুষ্টিগুণ। চাপা কলার পুষ্টিগুণ অল্পতে বলে শেষ করা যাবে না। চাপা কলা আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। চাপা কলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা আমাদের পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
পরিপাকতন্ত্র ও লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো কঠিন সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এবং হজমের ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া ক্যান্সারের রোগ থেকেও চিনি চম্পা কলা আমাদের রক্ষা করে থাকে। চিনি চম্পা কলা আমাদের মস্তিষ্ক সতেজ রাখতে ও মানসিক কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কলা হলো শক্তির এক অনন্য উৎস। চাপা কলার মধ্যে ক্যালরি রয়েছে যা আমাদের শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। সারাদিন কর্মব্যস্ততার পরে যদি শরীর অনেক ক্লান্ত হয়ে যায় তখন শরীরকে আবার সতেজ করতে চিনি চম্পা কলার কোন জুড়ি নেই।
কিংবা সকাল বেলা কাজে যাওয়ার আগে আপনি যদি দুইটি চিনি চম্পা কলা খেয়ে নেন তাহলে সারাদিন আপনার শরীরে ক্যালরির কোন অভাব হবে না তাছাড়া হার্টের সমস্যা, আলসারের সমস্যা, কিডনির সমস্যা, এমনকি আপনার শরীরের জন্য কোন ভিটামিনের ঘাটতি থাকে তাহলে চাপা কলা খাওয়ার মাধ্যমে তা দূর হবে। চাপা কলায় রয়েছে আয়রন।
আর আয়রন রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। তাই যারা রক্তশূন্যতার মত কঠিন রোগে ভুগছেন তারা প্রতিদিন দুইটি করে চাপা কলা খান রক্তশূন্যতা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। তাছাড়া চাপা কলার মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম যা আপনার শরীরকে ইনফেকশনে হাত থেকে রক্ষা করবে। এবং হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে ও পেশীতে সজল ভাবে রক্ত চলাচল করতে সহায়তা করে এ ছাড়া হার্ট ও স্টোকের জন্য চিনি চম্পা কলা খাওয়া ভালো।
চিনি চম্পা কলা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। চুল পড়া অনেকাংশে কমিয়ে দেয় এবং চোখের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। কলা সাধারণভাবে সকাল বেলায় খাওয়া উচিত তবে খালি পেটে না খেয়ে সকালের নাস্তার পরে কিংবা নাস্তার সাথে খেতে পারেন এতে আপনার শরীরের যাবতীয় শক্তি যোগান দিবে।
সবরি কলা খাওয়ার উপকারিতা
সবরী কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের মাঝে অনেকেরই অজানা। সবরি কলার মধ্যে কি কি পুষ্টিগুণ উপাদান রয়েছে আমরা অনেকেই জানিনা। কলা ছোট বড় সকলেরই প্রিয় একটি খাবার। আমরা বিভিন্ন জাতের কলা খেয়ে থাকি কিন্তু কোন কলায় কি ভিটামিন আছে সে সম্পর্কে জানি না। কোন জাতের কলায় কি ভিটামিন আছে এবং আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কোন কলা বেশি উপকারী কলা খাওয়ার আগে অবশ্যই তা জেনে নেওয়া ভালো।
আসুন তাহলে জেনে সবরি কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। শবরী কলার মধ্যে রয়েছে আঁশ ও ফাইবার। আর ফাইবার আমাদের হজমের সমস্যা দূর করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে ও খাদ্য দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে। সবরি কলার মধ্যে রয়েছে ক্যালরি। আর আপনি যদি সারাদিনে একটি কলা খেতে পারেন তবে আপনার শরীরে ক্যালরির ঘাটতি পূরণ করবে।
তবে আপনার শরীরে যদি কোন ক্ষতি না করে কিংবা কলা খাওয়ার পরে যদি কোন সমস্যা না হয় তবে আপনি একটিও বেশি কলা খেতে পারেন। যাদের শরীরের রক্তস্বল্পতা রয়েছে তারা প্রতিনিয়ত কলা খেতে পারেন। কলার মধ্যে থাকা পটাশিয়াম শরীরে রক্তের স্বল্পতা দূর করে। তাছাড়া পটাশিয়াম হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় ও স্টোকের মত মারাত্মক অসুখ থেকে রক্ষা করে। কিডনির সমস্যা দূর করে। ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করে।
চুল পড়া কমায়। তাছাড়া সবজি কলার মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম যা হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে ও পেশিগুলোর মধ্যে রক্ত চলাচল সচল করে। তাছাড়া আপনার যদি মলদ্বারের কোন সমস্যা থাকে তবে সবরি কলার মধ্যে থাকা উপাদান গুলো এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি দেয়। শরীরের মধ্যে থাকা দূষিত পদার্থ গুলো বের করে আনে পাকা কলা। ফলে আপনার শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ সবল থাকে। আপনি যদি প্রতিদিন পাকা কলা খান তবে আপনার শরীরে পানি শূন্যতা অভাব দূর করবে। তাছাড়া পাকা কলা খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বেড়ে যায় এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
চিড়া কলা খাওয়ার উপকারিতা
জিরা কলা খাওয়ার উপকারিতা আমাদের জানা উচিত। কারন আমাদের যখন পেটের সমস্যা হয় কিংবা ডায়রিয়া হয় তখন আমরা সাধারণভাবে চিড়া খেয়ে থাকি। কলা একটি পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার। তাই চিড়ার সাথে আমরা কলা খেতে পারি। এতে আমাদের শরীরে কোন ক্ষতি হবে না বরং উপকার হবে।
চিড়া একটি সহজপাঠ্য খাবার এবংআমাদের শরীরের দ্রুত ক্যালরি সরবরাহ করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিভিন্ন সমস্যার জন্য চিকিৎসকরা চিড়া খাওয়ার পরামর্শ দেন। চিড়া আয়রন সমৃদ্ধ একটি খাবার যা শরীরের আয়রনের সমস্যা দূর করে থাকে। স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে চিড়া খুব পরিচিত। চিড়া এবং কলা যদি আপনি একসাথে খান তবে আপনার যদি ডায়রিয়ার কোন সমস্যা থাকে তবে তা অনেকাংশেই কমে যায়।
চিড়া ও কলা খেলে পেট অনেকক্ষণ ঠান্ডা থাকে ও হজমে সহায়তা করে। আপনার যদি বদহজম হয়ে থাকে কিংবা বমি বমি ভাব লাগে তবে চিড়ার সাথে অবশ্যই কলা খাবার হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন এতে অনেকটাই উপকার পাবেন।
কবরী কলা খাওয়ার উপকারিতা
কবরী কলা খাওয়ার বেশ উপকারিতা রয়েছে। কবরী কলা একটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এবং সহজলভ্য ফল। কবরী কলা খাওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান গুলো হল কবরী কলায় প্রাকৃতিক শর্করা রয়েছে, কবরী কলা খাওয়া মাত্রই আপনার শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পায়, কবরী কলার মধ্যে রয়েছে ফাইবার ফাইবার আপনার খাদ্য হজমের সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মত কঠিন রোগ থেকে মুক্তি দেয়।
কবরী কলার মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম আর পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে ও হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। কবরী কলা একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার যা আপনার ক্যান্সার এবং বয়সজনিত রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কবরী কলার মধ্যে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে আয়রন আর আমরা সবাই জানি আয়রন আমাদের রক্তশূন্যতার সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
এছাড়া কবরী কলার মধ্যে ট্রিপ্টোফ্যান নামক একটি অ্যামিনো এসিড আছে যা আপনার সারাদিনের কর্মব্যস্ততার মাঝে মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে। কবরী কলার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি যা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা, ত্বককে উজ্জ্বল করতে এবং বয়সজনিত ছোপ কমাতে সাহায্য করে। সবরি কলার উপকারিতা রয়েছে যেমন, তেমনি সবরি কলা সহজেই হাটে বাজারে পাওয়া যায় এবং খেতে মিষ্টি হয়।
সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা
সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের হয়তো অনেকেরই জানা আছে আবার অনেকেরই অজানা। আপনার যদি সাগর কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে কিছু জানা থাকে তাহলে আসুন আরো বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই কলার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে। আমাদের হয়তো অনেকেরই জানা আছে কলা আমাদের শরীরের জন্য খুব পুষ্টিকর খাবার। কলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ফাইবার, খনিজ, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও পানি।
সাগর কলার মধ্যে থাকা ভিটামিন আপনার শরীরে সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে এবং শক্তি বৃদ্ধি করে। কলার মধ্যে থাকা ভাইবার আপনার খাদ্য হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। আয়রন রক্তস্বল্পতা দূর করে এবং নতুন রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে। পটাশিয়াম হাড় মজবুত করে ও পেশীকে সচল করতে সাহায্য করে। ম্যাগনেসিয়াম হৃদরোগ, স্টোক ও আরো অনেক জটিল সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। তাছাড়া কিডনির যে কোন সমস্যা থেকে দ্রুত উন্নতি করতে সাহায্য করে।
তবে যাদের ঠান্ডার সমস্যা রয়েছে তারা সাগর কলা সকালে কিংবা রাতে খাবেন না দুপুরে খাবেন এতে ঠান্ডার কোন সমস্যা হবে না। আর যাদের ডায়াবেটিস হয়েছে তারা প্রতিদিন নিয়ম করে একটি করে সাগর কলা খাবেন। এতে আপনার সুগার বাড়বে না বরং শরীরে অনেক ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
দুধ কলা একসঙ্গে খেলে কি হয়
দুধ কলায় একসঙ্গে খেলে কি হয় তা হয়তো আমরা অনেকেই জানি না। দুধ যেমন পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণ তেমনি কলাও তেমন পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার। কিন্তু দুধ কলা একসঙ্গে খাওয়া মোটেও ঠিক না। দুধ ও কলা আপনি যদি একসাথে খান তবে শরীরের মধ্যে একটি বিষাক্ত উপাদান সৃষ্টি হয় কিংবা সৃষ্টি করতে পারে। আপনার শরীরে দুধ ও কল। একসাথে খাওয়ার ফলে ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া কলা ও দুধ যদি আপনি একসাথে খান তবে আপনার শরীরকে ভারী করে দিতে পারে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে কিংবা ধীর স্থির করে দিতে পারে।
আয়ুর্বেদ অনুসারে বলা হয় আপনি যদি একসাথে দুধ ও কলা খান তবে তা শরীর সহজে হজম করতে পারে না। তাছাড়া আপনি যদি প্রতিদিন অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খান তবে তা সর্দিও কাশির মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধু দুধের সাথে কলা না দুধের সাথে আপনি যদি অন্য কোন ফল ও মিশিয়ে খান তবে তা আপনার শরীরে কাশির সঙ্গে কফের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। দুধ ও কলা দুটোই আপনার শরীরকে ঠান্ডা করতে সাহায্য করে তাই দুধ ও কলা একসাথে না খাওয়াই ভালো।
যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তারা কখনোই একসাথে দুধ ও কলা খাবেন না। গর্ভবতী মহিলারা দুধ ও কলা একসঙ্গে কখনোই খাবেন না। তবে হ্যাঁ দুধ খাওয়ার কিছুক্ষণ পর আপনি কলা খেতে পারেন এতে কোন সমস্যা নেই। দুধ ও কলা গর্ভবতী মায়ের জন্য ও শিশুর জন্য খুব উপকারী। তাই গর্ভাবস্থায় অবশ্যই দুধ ও কলা খেতে হবে তবে একসাথে না। গর্ভবতী মায়েরা যদি দুধ ও কালো একসাথে খান তবে শরীরের কিছু টক্সিন সৃষ্টি হয় যা গর্ভবতী মায়ের শরীরের জন্য মোটেও ভালো না। তাই এ সময় দুধ ও কলা একসাথে খাওয়া বাদ দিতে হবে।
সচার-আচার প্রশ্ন ও উত্তর
১. কলা খেলে কি গ্যাস হয় ?
কলা একটি পুষ্টিকর খাদ্য। সব ধরনের স্বাস্থ্যকর উপাদান কলার মধ্যে রয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু সময় কলা খেলে গ্যাস হতে পারে। বিশেষ করে কলা যদি বেশি পেকে যায় তবে সেই কলা খেলে অনেকেরই গ্যাস ও অম্বল হতে পারে। তবে আপনি যদি পরিমাণ মতন কলা খান তবে গ্যাস হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
২. ফল খাওয়ার পর পানি খেলে কি হয় ?
ফল খাওয়ার পরে যদি আপনি যদি পানি পান করেন তবে ফলের পুষ্টিগুণ সবটুকু নষ্ট হয়ে যায়।
৩.কলা খেয়ে পানি খেলে কি হয় ?
অনেকেরই অভ্যাস রয়েছে ফল খাওয়ার সাথে সাথে পানি খাওয়ার অভ্যাস। কলা খাওয়ার পর অন্তত আধা ঘন্টা পানি পান করা উচিত না। কলায় থাকে অনেক পরিমাণে স্টার্চ যা পানি সাথে মিশে পেট ভারি করে এবং পেটে গ্যাসের সমস্যার সৃষ্টি করে।
৪. ভাত খাওয়ার পর কলা খেলে কি হয় ?
ভাত খাওয়ার পর কলা খাওয়া ভালো। খাবার খাওয়ার পর আপনি যদি একটি কলা খেতে পারেন তবে কলা আপনার খাবারকে হজম করতে সাহায্য করবে।
৫. মুরগির সাথে কলা খাওয়া যাবে কি ?
মুরগির মাংস খাওয়ার পর আপনি যদি একটি কলা খান তবে আপনার স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি হবে না। কারণ মুরগির মাংস এবং কলা মিশ্রনে কোন সমস্যা হয় না।
লেখকের শেষ কথা-সিঙ্গাপুরি কলা খাওয়ার উপকারিতা
আশা করি, বিভিন্ন জাতের কলা খাওয়ার উপকারিতা ও সিঙ্গাপুরি কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে পড়ে আপনার কিছুটা হলেও ধারণা হয়েছে কলা সম্পর্কে। তাই কলার উপকার যদি আপনি সঠিকভাবে পেতে চান তবে অবশ্যই প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় কলা রাখার চেষ্টা করুন। এই ধরনের আরও স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল আপনি যদি পড়তে চান তবে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আর কলা সম্পর্কে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। আমরা অবশ্যই নতুনভাবে সেই প্রশ্নের উত্তর আপনাকে জানানোর চেষ্টা করব।
বিডি অনলাইন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url