জয়তুন তেলের ২৬টি উপকারিতা ও অপকারিতা

জয়তুন তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয়। জয়তুল তেলের উপকারিতা অনেক। তাই আপনার যদি জয়তুন তেল সম্পর্কে জানা না থাকে তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।
জয়তুন তেলের ২৬টি উপকারিতা ও অপকারিতা
আসল জয়তুন তেল চেনার উপায় সম্পর্কেও আপনাদের বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব। তাই অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ দিয়ে পড়া শুরু করুন।
পেজ সূচিপএ

জয়তুন তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা

জয়তুন তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনার যদি জানা না থাকে তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলের এই অংশ থেকে জেনে নিতে পারেন। জয়তুন তেল আমাদের স্বাস্থ্যের বিভিন্ন ধরনের উপকার করে। জয়তুন তেলের মধ্যে এমন কিছু উপকারী গুণাগুণ রয়েছে যেগুলো আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য খুবই জরুরী। 

আপনি যদি সঠিক নিয়মে এবং আসল জয়তুন তেল খেতে পারেন তাহলে ক্ষতি সম্ভাবনা খুবই কম। আমরা আর্টিকেলের নিচের অংশে আসল জয়তুন তেল চেনার উপায় এবং জয়তুন তেল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই আপনাদের অনুরোধ রইল আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য। চলুন তাহলে জয়তুন তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে প্রথমে জেনে নেই।

জয়তুন তেলের উপকারিতা

  • ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ জয়তুন তেলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই। তাই আপনি যদি নিয়মিত তেল খান তাহলে ক্যান্সারের কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে বাধা দেয় এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। তাছাড়া জয়তুন তেলের মধ্যে থাকা স্কোয়ালেন এবং টেরপেনয়েড নামক দুটি জৈব পদার্থ ক্যান্সার প্রতিরোধে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ করেঃ জয়তুন তেল ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। আপনি যদি অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগেন তাহলে জয়তুন তেল ব্যবহার করতে পারেন।
  • পুষ্টির উৎসঃ জয়তুন তেল পুষ্টির একটি দুর্দান্ত উৎসব। জয়তুন তেলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ও মিনারেল। আর এই উপাদান গুলো আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
  • প্রদাহ কমাতে সহায়তা করেঃ জয়তুন তেলের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক এন্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। আর এই বৈশিষ্ট্য আমাদের শরীরের ভেতরের প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ জয়তুন তেল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। আপনি যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগেন তাহলে নিয়মিত জয়তুন তেল খেতে পারেন। নিয়মিত জয়তুন তেল খেলে জয়তুন তেলের মধ্যে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট এবং পলিফেনাল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভালো কাজ করে।
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলী সমৃদ্ধঃ জয়তুন তেলের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলী আমাদের শরীলকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর ফ্রি রেডিকেল থেকে খুব সহজে রক্ষা করে এবং ত্বক ভালো রাখতে সহায়তা করে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ও বয়স্কের ছাপ কমায়।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ জয়তুন তেল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে খুব কার্যকরী। একজন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য জয়তুন তেল জাদুর মত কাজ করে। নিয়মিত জয়তুন তেল ব্যবহার করলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে শরীলে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় এবং টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। জয়তুন তেল রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে খুবই কার্যকরী।
  • মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করেঃ বিভিন্ন ধরনের গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত জয়তুন তেল ব্যবহার করলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ে। অ্যালঝেইমার রোগের ঝুঁকি কমাতেও জয়তুন তেল সমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  • চুল ভালো রাখেঃ জয়তুন তেল চুল ভালো রাখতেও ভীষণ উপকারী। নিয়মিত জয়তুন তেল ব্যবহার করলে চুলের গোড়া মজবুত হয়, চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং চুল পড়া কমে। জয়তুন তেল চুলের ত্বকে মশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।
  • বিপাকক্রিয়া বাড়ায়ঃ নিয়মিত জয়তুন তেল খেলে শরীরের বিপাকক্রিয়ার কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। ফলে ওজন খুব তাড়াতাড়ি নিয়ন্ত্রণের ভেতরে চলে আসে।
  • জীবাণু ধ্বংস করতেঃ জয়তুন তেল শরীরের ভেতরে যে কোন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও ক্ষতিকর জীবাণু প্রতিরোধ করতে খুব ভালো কাজ করে।
  • লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায়ঃ আপনি যদি নিয়মিত জয়তুন তেল ব্যবহার করেন তাহলে লিভারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। তাই আপনার যদি লিভারের কোন সমস্যা থাকে তাহলে নিয়মিত জয়তুন তেল খেতে পারেন।
  • মানসিক চাপ কমেঃ চাপ কমানোর জন্য জয়তুন তেলের কোন তুলনা হয় না। আপনি যদি নিয়মিত জয়তুন তেল খান তাহলে আপনার মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ হবে এবং মানসিক চাপ কমবে।
  • হজম প্রক্রিয়া উন্নত করেঃ জয়তুন তেল হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সহায়তা করে। আপনি যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, এসিডিটি, পেট ফাঁপা, পেটব্যথা ইত্যাদির সমস্যা ভুগে থাকেন তাহলে নিয়মিত জয়তুন তেল খেতে পারেন। জয়তুন তেল নিয়মিত খেলে পিও রস উৎপাদনে সহায়তা করবে এবং হজম প্রক্রিয়া সহজ হবে।
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ জয়তুন তেল হৃদরোগে ঝুঁকি কমাতেও সহায়তা করে। জয়তুন তেলের মধ্যে থাকা অ্যানস্যাচুরেটেড ফ্যাট আমাদের শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টোরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টোরল বাড়াতে সহায়তা করে।
  • হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখেঃ জয়তুন তেল হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। আপনি যদি নিয়মিত জয়তুন তেল খান তাহলে আপনার হরমোনের সমস্যা খুব সহজে দূর হয়।
  • আলসার দূর করেঃ জয়তুন তেল আলসার দূর করতে সহায়তা করে। আপনার পেটে যদি বিভিন্ন ধরনের ঘা থাকে তা দ্রুত সারানোর জন্য আপনি নিয়মিত জয়তুন তেল খেতে পারেন। জয়তুন তেলের মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ আলসার প্রতিরোধ করে এবং ঘা শুকাতে সহায়তা করে।
  • চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করেঃ জয়তুন তেল চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতেও ভালো কাজ করে। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাবার আগেই চোখের চারিপাশে জয়তুন তেল মেখে রেখে দিলে রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পায়। ফলে চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ে এবং চোখের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ জয়তুন তেল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। দৈনন্দিন জীবনে আমাদের বিভিন্ন ধরনের খাবারের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দেখা দেয়। তাই আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভুগেন তাহলে নিয়মিত জয়তুন তেল খেতে পারেন। নিয়মিত জয়তুন তেল খেলে ধীরে ধীরে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয় এবং পাচনতন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
  • রক্তস্বল্পতা দূর করেঃ আপনি যদি রক্তস্বল্পতায় সমস্যায় ভুগেন তাহলে জয়তুন তেল খেতে পারেন। যাদের শরীরে রক্ত কম তারা যদি নিয়মিত জয়তুন তেল খায় তাহলে রক্ত পরিমান বৃদ্ধি পায় এবং রক্তশূন্যতা দূর হয়।
  • মাতৃকালীন দাগ দূর করেঃ গর্ভকালীন সময় আমাদের শরীরে মাতৃতজনিত দাগ তৈরি হয়। আপনি যদি নিয়মিত জয়তুন তেল দাগে মালিশ করেন তাহলে গর্ভকালীন দাগ খুব সহজে দূর হয়ে যায়।
  • পিত্তথলির পাথর দূর করেঃ জয়তুন তেল পিত্তথলির পাথর দূর করতে সহায়তা করে। তাছাড়া নিয়মিত জয়তুন তেল খেলে পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
  • চর্মরোগ দূর করেঃ জয়তুন তেল চর্মরোগ দূর করতে সহায়তা করে। আপনি যদি চর্ম রোগী হয়ে থাকেন তাহলে জয়তুন তেল ব্যবহার করতে পারেন।
  • হাড় মজবুত করেঃ জয়তুন তেল হাড় মজবুত করতে সহায়তা করে। জয়তুন তেলের মধ্যে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে যেগুলো হাড়ের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ কমিয়ে হাড়কে শক্তিশালী ও সুস্থ রাখে।
  • ব্যথা দূর করেঃ জয়তুন তেল ব্যথা দূর করতেও সহায়তা করে। দাঁতের ব্যথার সমস্যায় ভুগেন তাহলে থা কমানোর জন্য জয়তুন তেল ব্যবহার করতে পারেন।
  • যৌনশক্তি বৃদ্ধিঃ জয়তুন তেল যৌনশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। জয়তুন তেলের সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন রাতে খেলে যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং যৌন মিলনের আকাঙ্ক্ষা বাড়ে।

জয়তুন তেলের অপকারিতা

জয়তুন তেলের উপকারিতা অনেক তবে অপকারিতাও রয়েছে। জয়তুন তেলের উপকারিতা বেশি পরিমাণে থাকলেও অপকারিতা খুব কম পরিমাণে রয়েছে। জয়তুন তেল ব্যবহার করার ফলে অনেকের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে জয়তুন তেল ব্যবহার করেন তাহলে আপনার উপকারের চাইতে ক্ষতি হবে বেশি। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক অতিরিক্ত জয়তুন তেল ব্যবহার করার ফলে কি কি ক্ষতি হতে পারে।

  • আপনি যদি দীর্ঘদিন একটানা জয়তুন তেল খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব, গ্যাস এমনকি ডায়রিয়ার সমস্যাও হতে পারে।
  • জয়তুন তেলের মধ্যে রক্ত তরল করণীয় উপাদান রয়েছে। তাই যারা রক্ত তরলের ওষুধ খাচ্ছেন তারা অতিরিক্ত পরিমাণে জয়তুন তেল খেলে রক্তক্ষরণের ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
  • জয়তুন তেল উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করলে জয়তুন তেলের গুনাগুন নষ্ট হয়ে যায়। তাই জয়তুন তেল অন্যান্য তেলের মতো উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করা উচিত না।
  • যাদের তৈলাক্ত ও শুষ্ক ত্বক তারা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে জয়তুন তেল ব্যবহার করে তাহলে ত্বকে ব্রণ হতে পারে।
  • যারা ডায়াবেটিসের রোগী রয়েছেন তারা অতিরিক্ত পরিমাণে জয়তুন তেল খাবেন না। জয়তুন তেল রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। তাই আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে জয়তুন তেল খান তাহলে ডায়াবেটিস একেবারে কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • যারা গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মা রয়েছেন তারা জয়তুন তেল খাওয়ার আগে একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
  • জয়তুন তেলের মধ্যে রয়েছে উচ্চ ক্যালরি। আপনি যদি ওজন নিয়ন্ত্রণের কথা ভাবেন তাহলে অতিরিক্ত পরিমাণে জয়তুন তেল খাওয়া পরিহার করুন।
  • জয়তুন তেল উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করে। তাই যারা নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তারা জয়তুন তেল অতিরিক্ত পরিমাণে খাবেন না।
  • কারো কারো ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জয়তুন তেল ব্যবহার করার ফলে শরীরে এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে জয়তুন তেল ব্যবহার করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই অতিরিক্ত জয়তুন তেল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
  • আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা জয়তুন তেলের গন্ধ সহ্য করতে পারেন না। ফলে তারা যদি জয়তুন তেল ব্যবহার করে তাহলে অনেক সময় অস্বস্তি দেখা দিতে পারে।
  • জয়তুন তেল অতিরিক্ত ব্যবহার করার ফলে আপনার রক্তের কোয়াগুলেশন প্রক্রিয়ার প্রভাব ফেলতে পারে। তাই যারা এন্টি কোয়াগুলেশন ব্যবহার করছেন তাদের জন্য জয়তুন তেল ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
আশা করি উপরের আলোচনা থেকে আপনি এতক্ষণে জয়তুন তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আমরা আর্টিকেলের নিচের অংশে আসল জয়তুন তেল চেনার উপায় ও জয়তুন তেল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই আপনি যদি আসল জয়তুন তেল চিনে সঠিকভাবে উপকৃত হতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

আসল জয়তুন তেল চেনার উপায়

আসল জয়তুন তেল চেনার উপায় সম্পর্কে অনেকেই গুগলে সার্চ দিয়ে থাকেন। জয়তুন তেল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তবে অবশ্যই আপনাকে আসল জয়তুন তেল কিনতে হবে। বাজারে বিভিন্ন ধরনের জয়তুন তেল বিক্রি করা হয়। তাই কোন তেল আসল সে সম্পর্কে চেনা খুব কঠিন। 
আসল জয়তুন তেল চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আমরা আর্টিকেলের নিচের অংশে আসল জয়তুন তেল চেনার উপায় সম্পর্কে আপনাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস শেয়ার করব। যে উপায়গুলো অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই আসল জয়তুন তেল বাজার থেকে কিনে নিয়ে আনতে পারবেন। চলুন তাহলে কি কি উপায় আপনি খুব সহজেই নকল জয়তুন তেল এড়িয়ে আসল জয়তুন তেল কিনতে পারবেন।

  • আসল জয়তুন তেল চেনার সর্বপ্রথম উপায় হল বোতলের গায়ে "এক্সট্রা ভার্জিন" কথাটি লিখা আছে কিনা সেই দিকে নজর দিতে হবে। যদি খেয়াল করেন বোতলের গায়ে "এক্সট্রা ভার্জিন" কথাটি লেখা আছে তাহলে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে জয়তুন তেলটি প্রেসিং থেকে এসেছে এবং এতে কোন প্রকার অ্যালকোহল ও রাসায়নিক উপাদান মেশানো নেই।
  • জয়তুন তেল কেনার সময় অবশ্যই উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ দেখুন। কারণ দীর্ঘমেয়াদী এবং মেয়াদ না থাকা জয়তুন তেল থেকে আপনার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।
  • আসল জয়তুন তেলের মধ্যে জয়তুনের তাজা গন্ধ এবং বিভিন্ন ধরনের ফলমূলের গন্ধ অনুভব করা যায়। আর নকল তেলের ভেতরে জয়তুনের গন্ধ কিংবা ফলমূলের গন্ধ থাকবে না।
  • জয়তুন তেল কেনার সময় বোতলের দিকেও নজর দেওয়ার জরুরী। আসল জয়তুন তেল সাধারণত গাঢ় সবুজ কিংবা কালো বোতলে থাকে।
  • আসল জয়তুন তেল চেনার আরেকটি উপায় হল জয়তুন তেলের রং দেখে। আসল জয়তুন তেলের রং হালকা সবুজ কিংবা হালকা হলুদ রঙের হয়ে থাকে আর নকল জয়তুন তেলের রং কালচে হয়ে থাকে।
  • আসুন জয়তুন তেল মুখে দিলে ঝাঁঝ ও মরিচের মতো অনুভব হয়।
  • আসল জয়তুন তেল চেনার আরেকটি উপায় হল আসল জয়তুন তেল কখনই বেশি ঘন কিংবা ভারী হয় না অনেকটা পাতলা হয়ে থাকে। আপনি যদি বোতল নাড়াচাড়া করেন তাহলে খুব সহজেই বোতলের ভেতরে তেল গুলো নড়াচড়া করে। আর নকল জয়তুন তেল ঘন এবং ভারী হয়ে থাকে। আপনি বোতল নাড়াচাড়া করলে খুব সহজে আসল এবং নকলের ভেতরে তফাৎ বুঝতে পারবেন।
  • চুলের ত্বকে জয়তুন তেল ব্যবহার করেও আপনি আসল নকল যাচাই করতে পারেন। যদি জয়তুন তেল ব্যবহার করার পরে চুল বেশি আঠা আঠা না লাগে তাহলে বুঝতে হবে সেটি আসল জয়তুন তেল। কিন্তু চুলে ব্যবহার করার পরে যদি চুল আঠা আঠা অনুভব হয় তাহলে বুঝতে হবে সেই জয়তুন তেলের ভেতরে ভেজাল রয়েছে।
  • আসল জয়তুন তেল বোঝার জন্য জয়তুন তেলের বোতল কিছুক্ষণ ফ্রিজে রাখুন। যদি দেখেন যে তেলটি ঠান্ডা এবং কিছুটা ঘন হয়ে আসছে তাহলে বুঝবেন এটি আসল জয়তুন তেল। আর নকল জয়তুন তেল কখনই ঠান্ডায় জমাট বাঁধবে না।
  • জয়তুন তেলের দাম কিছুটা বেশি হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি বাজারে কেনার সময় জয়তুন তেল কম দামে পেয়ে যান তাহলে অবশ্যই বুঝে নিবেন তেলটি আসল নয়। কারণ নকল জয়তুন তেলের দাম আসল জয়তুন তেলের চাইতে তুলনামূলকভাবে কম হয়ে থাকে।
আশা করি আপনি আসল জয়তুন তেল চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আপনি যদি জয়তুন তেল কিনতে চান তাহলে অবশ্যই উপরের টিপস গুলো অবলম্বন করতে পারেন। উপরের টিপস গুলো অবলম্বন করে আপনি যদি জয়তুন তেল কিনেন তাহলে অবশ্যই নকল জয়তুন তেল এড়িয়ে আসল জয়তুন তেল কিনতে পারবেন। নকল জয়তুন তেল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তাই অবশ্যই জয়তুন তেল কেনার আগে উপরে টিপস গুলো অবলম্বন করুন।

জয়তুন তেল ব্যবহারের নিয়ম

জয়তুন তেল ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে অনেক। আপনি বিভিন্ন উপায়ে এবং বিভিন্ন খাবারের সাথে জয়তুন তেল ব্যবহার করতে পারেন। খাবারের স্বাদ বাড়ানো থেকে শুরু করে শরীরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেও জয়তুন তেলের ব্যবহার অপরিহার্য। 
আর্টিকেলের ওপরের অংশে আমরা জয়তুন তেলের উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানিয়েছি। জয়তুন তেলের উপকারিতা অপকারিতা জানার পরে নিশ্চয়ই আপনি জয়তুন তেল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানার জন্য অনেক বেশি আগ্রহী। চলুন তাহলে কি কি উপায়ে জয়তুন তেল ব্যবহার করা যায় তার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানায়।

  • ত্বকের যত্নেঃ ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য আপনি জয়তুন তেল ব্যবহার করতে পারেন। জয়তুন তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক থেকে ব্রণের দাগ দূর হয়, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়, ত্বকের বয়সের ছাপ কমে, ত্বক নরম হয়, ত্বক কোমল হয় এবং ত্বকের কালো দাগ দূর হয়।
  • সালাদ হিসেবেঃ আপনি যে কোন খেলা দেখ জয়তুন তেল ব্যবহার করতে পারেন। জয়তুন তেল সালাদে ব্যবহার করলে সালাদের স্বাদ বাড়ে এবং সালাদ খেয়ে উপকার পাওয়া যায়।
  • চর্মরোগ দূর হয়ঃ জয়তুন তেল চর্মরোগ দূর করতে সহায়তা করে। আপনার শরীরে যদি চর্ম রোগের সমস্যা থাকে তাহলে নিয়মিত জয়তুন তেল ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত জয়তুন তেল ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে চর্মরোগের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
  • গর্ভকালীন দাগ দূর করেঃ গর্ভকালীন দাগ দূর করতে জয়তুন তেল খুবই কার্যকরী। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে গর্ভকালীন ফাটা জায়গায় জয়তুন তেল ব্যবহার করলে আস্তে আস্তে গর্ভকালীন দাগ দূর হয়ে যায়।
  • খাদ্য তৈরিতেঃ জয়তুন তেল আপনি খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের তরকারি রান্না করার সময় জয়তুন তেল ব্যবহার করলে শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টোরল বৃদ্ধি পায় না। রান্নার সময় জয়তুন তেল ব্যবহার করলে রান্নার স্বাদ আরো দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
  • চুলের যত্নেঃ জয়তুন তেল চুলের যত্নে ব্যবহার করা যায়। চুল পড়া কমাতে, চুলের গোড়া মজবুত করতে, এবং চুলকে ঝলমলে রাখতে জয়তুন তেল সহায়তা করে। তাই আপনি যদি চুল পড়ার সমস্যায় ভুগেন তাহলে নিয়মিত জয়তুন তেল ব্যবহার করতে পারেন।
  • শিশুর যত্নেঃ জয়তুন তেল শিশুর ত্বক ভালো রাখার জন্য খুব কার্যকরী। শিশুদের ত্বকের যত্নের জন্য জয়তুন তেল ব্যবহার করা হয়। কারণ জয়তুন তেলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পুষ্টি উপাদান। আপনি যদি নিয়মিত শিশুর শরীরের জয়তুল তেল মালিশ করেন তাহলে শিশুর শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি মানসিক বিকাশও ঘটে। শিশুর ত্বকে নিয়মিত জয়তুন তেল ব্যবহার করলে ত্বক অনেক বেশি মোলায়েম এবং নরম হয়ে ওঠে।
জয়তুন তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা, আসল জয়তুন তেল চেনার উপায় এবং জয়তুন তেল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত জেনে গেছেন। এখন আমরা জয়তুন তেলের দাম, জয়তুন তেল কোথায় পাওয়া যায় এবং জয়তুন তেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো। চলুন তাহলে সময় নষ্ট না করে আর্টিকেলের নিচের অংশ পড়া শুরু করি।

জয়তুন তেলের দাম

জয়তুন তেলের দাম সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। জয়তুন তেল বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়ে থাকে। আমরা বাংলাদেশের জয়তুন তেলের দাম কেমন হতে পারে সে সম্পর্কে আপনাদের একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জয়তুন তেলের দাম সম্পর্কে জেনে নিন।

  • ১০০ মি.লি জয়তুন তেলের দাম ২৫০/২৭০ টাকার ভেতর পেয়ে যাবেন।
  • ৫০০ মি.লি জয়তুন তেলের দাম ৯০০/১০০০ টাকার ভেতর পেয়ে যাবেন।
  • ১০০০ মি.লি জয়তুন তেলের দাম ১৯৫০/২০০০ টাকার ভেতর পেয়ে যাবেন।
আমরা আপনাদের জয়তুন তেলের দাম সম্পর্কে একটি সাধারণ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। জয়তুন তেলের দাম ব্যান্ড, উৎপাদন পদ্ধতি এবং আমদানির উপর ভিত্তি করে কম বেশি হতে পারে। তাই জয়তুন তেলের সঠিক মূল্য জানার জন্য অবশ্যই একজন ভালো বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করুন।

জয়তুন তেল কোথায় পাওয়া যায়

জয়তুন তেল কোথায় পাওয়া যায় সে সম্পর্কে অনেকেরই ভালোমতো ধারণা নেই। অনেকেই রয়েছেন যারা জয়তুন তেল ব্যবহার করেন এবং জয়তুন তেলের উপকারিতা সম্পর্কে জানেন কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা জয়তুন তেল ব্যবহার করেন না এবং আজকের আর্টিকেল পড়ার পরে জয়তুন তেল ব্যবহার করার জন্য জয়তুন তেল কোথায় পাওয়া যায় সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। 
জয়তুন তেল কোথায় পাওয়া যায়
তাই যারা জয়তুন তেল কোথায় পাওয়া যায় সে সম্পর্কে জানেন না তারা আর্টিকেলের এই অংশ থেকে জেনে নিতে পারেন। জয়তুন তেল আপনি নিকটস্থ বাজার কিংবা যে কোনো কসমেটিকের দোকানে খুব সহজে পেয়ে যাবেন। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট থেকেও আপনি অর্ডার করে আসল জয়তুন তেল কিনে নিতে পারেন। 
যেমন দারাজ, আসল ফুড, অর্গানিজ অনলাইন ইত্যাদি ওয়েবসাইট থেকে আপনি জয়তুন তেল কিনতে পারেন। আসল জয়তুন তেল চেনার উপায় সম্পর্কে আমরা আর্টিকেলের উপরের অংশে আলোচনা করেছি তাই অবশ্যই কেনার আগে আসল নকল যাচাই করে জয়তুন তেল কিনুন।

জয়তুন তেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম

জয়তুন তেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। জয়তুন তেল খাওয়ার সাথে সাথে আপনি যদি মুখের ত্বকে ব্যবহার করেন তাহলে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। তাহলে চলুন এবার জেনে নেই জয়তুন তেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে।

  • জয়তুন তেল, দই এবং মধু একসাথে মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন এবং ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
  • রাতে ঘুমাতে যাবার আগে জয়তুন তেল হাতের তালুতে নিয়ে খুব ভালোভাবে মুখে মেসেজ করুন। এতে মুখ নরম ও কোমল হবে।
  • মেকআপ রিমুভার করার জন্য জয়তুন তেল ব্যবহার করতে পারেন। একটি তুলার সাহায্যে জয়তুন তেল নিয়ে মেকআপের ওপর মেসেজ করুন তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • জয়তুন তেলের সাথে চিনি মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। গোসল করার আগে এই মিশ্রনটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন তারপর মুখের ত্বক ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে বয়সের ছাপ দূর হবে এবং মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
  • জয়তুন তেলের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ব্রণের দাগে ওপর লাগিয়ে রাখুন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের দাগ খুব সহজে দূর হবে।
প্রিয় পাঠক উপরোক্ত নিয়মগুলি ফলো করে আপনি খুব সহজে আপনার ত্বকে উজ্জ্বল করতে পারেন। নিয়মিত জয়তুন তেল ব্যবহার করলে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে তবে ত্বকে জয়তুন তেল ব্যবহার করার আগে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তারা জয়তুন তেল ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন কিংবা প্রথমে অল্প পরিমাণে ব্যবহার করে এলার্জির সমস্যা টেস্ট করে নিন। তাছাড়া ত্বকে অতিরিক্ত পরিমাণে জয়তুন তেল ব্যবহার করলে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব বেড়ে যায়।

আমাদের শেষ কথা - জয়তুন তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা

জয়তুন তেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমি আশা করি আপনি আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং আসল জয়তুন তেল চেনার উপায় এবং জয়তুন তেল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। 
জয়তুন তেলের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে তাই জয়তুন তেল নিয়মিত খেলে আমাদের শরীর বিভিন্ন দিক থেকে উপকৃত হবে। তাছাড়া জয়তুন তেলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ভিটামিনের উৎস। তাই জয়তুন তেল নিয়মিত খেলে আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় ও শরীরের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ দূর হয়। 
আমি মনে করি আপনি যদি নিজের শরীরকে সুস্থ রাখতে চান তাহলে অবশ্যই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় জয়তুন তেল যোগ করুন। আর আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার প্রিয়জনদের সাথে আমাদের আর্টিকেলটি শেয়ার করুন। যাতে আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে তারাও উপকৃত হতে পারে। আর আমাদের পরবর্তী আর্টিকেল নিয়মিত পেতে bdonlineit.com ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি অনলাইন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url