গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। তাইতো আজকে আমি এই ব্লগে আপনাদের সুবিধার্থে এ বিষয়টি একদম সম্পূর্ণ আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। তাই আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।
যদি আপনারা এই আর্টিকেল একদম শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানার পাশাপাশি আপনারা আরো বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। যেগুলো বিষয় যারা আপনার জন্য অত্যন্ত জরুরী। তাই আর কথা না বাড়িয়ে চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
পেজ সূচিপএ
গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে যদি আপনাদের জানা না থাকে তাহলে আজকের এই ব্লক থেকে জেনে নিতে পারেন। অনেক গর্ভবতী মায়েরা রয়েছে যারা গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হন। কিন্তু গর্ভাবস্থায় সঠিক খাবার গ্রহণের ফলে একজন সুস্থ সবল মা ও শিশু ভালো থাকতে পারে।
তাই সেক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় কিছু শসা খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। যে উপকারিতা সম্পর্কে জানলে হয়তো আপনারা অনেকেই শসা খেতে চাইবেন। তাই আসুন আর দেরি না করে কি কি স্বাস্থ্যকর উপকারিতা রয়েছে জেনে নিন।
পানির ঘাটতি দূর করেঃ শসাতে প্রচুর পরিমাণে তাজা বিশুদ্ধ পানি রয়েছে আর এটি যদি গর্ভবতী মায়েরা খেতে পারে তাহলে তাদের শরীরে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা অর্থাৎ পানির ঘাটতি দূর হয়ে যাবে।
কম মাত্রায় ক্যালোরি থাকেঃ অনেক গর্ভবতী মায়েরা রয়েছে যাদের অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পায় আর এটি কমানোর জন্য অনেকেই বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করেন। কিন্তু যদি আপনি পরিমাণ মতো শসা খেতে পারেন তাহলে এটি আপনার স্থূলতা প্রতিরোধ করতে অনেক বেশি সাহায্য করবে। শুধু তাই নয় এটি আপনার দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণবোধ করে রাখতেও সহায়তা করবে। আধা কাপ শসাতে চার ক্যালরি রয়েছে আর এটি যদি আপনি খেতে পারেন তাহলে আশা করি আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ভ্রূণের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করেঃ শসার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি-২ এবং ভিটামিন বি-৩, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফলিক এসিড, জিংক এবং আয়রন রয়েছে যা ভ্রূণের বিকাশ ঘটাতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
মেজাজ উন্নত করতে সাহায্য করেঃ গর্ভাবস্থায় বিশেষ করে অনেক মহিলাদের বিভিন্ন কারণে মেজাজের পরিবর্তন হয়। কিন্তু গর্ভাবস্থায় মেজাজ ঠিক রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই যদি আপনার মেজাজ উন্নত করতে চান তাহলে শসা খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, পাওয়া যায় যার মস্তিষ্কের জন্য খুবই ভালো।
কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করেঃ গর্ভাবস্থায় অনেক গর্ভবতী মায়েদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভুগেন। এই কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যার কারণে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। যদি আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে শসা খেতে পারেন। শসাতে উচ্চ মাত্রায় ফাইবার রয়েছে। যার কারণে গর্ভাবস্থায় খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখেঃ যদি আপনার গর্ভাবস্থায় কোন ডায়াবেটিস ধরা পড়ে তখন আপনাকে শসা খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারে। কারণ সচা আপনার শরীরের রক্তচাপ এবং সরকারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। তাই যদি আপনি শসা খান তাহলে রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।
ফুলে যাওয়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করেঃ যদি আপনার গর্ভাবস্থায় শরীর ফোলা ফোলা ভাব দেখা দেয় তাহলে সেই সময় খাবারের তালিকায় শশা রাখার চেষ্টা করবেন। কারণ এটা আপনার ফুলে যাওয়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করেঃ যদি আপনি প্রথম ত্রৈমাসিকে অবস্থান করেন তাহলে আপনার অবশ্যই কোলাজেন গ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধি করার জন্য ইতিমধ্যে আপনাকে স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করতে হবে আর এই জন্যই আপনার কিছু শসা সংযুক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করি গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। পূর্বে আমরা আলোচনা করেছি গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। এখন আমরা আলোচনা করবো শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা শসা খাওয়ার উপকারিতা কি কি রয়েছে জানেন না। তাই আপনারা আজকের এই আর্টিকেলের অংশটুকু থেকে বিস্তারিতও জেনে নিতে পারেন।
- শসাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ও সি রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
- শুধু তাই নয় শসার মধ্যে প্রায় ৯৫ ভাগ পানি বিদ্যমান থাকার কারণে এটি দেহের পানির ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। যদি কখনো আপনার পানির পিপাসা প্রয়োজন হয় বা পানির ঘাটতি দেখা দেয় সেই সময় আপনারা শসা খেতে পারেন।
- এছাড়াও শসায় প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম এবং সিলিকন থাকার কারণে এটি আপনার ত্বকের পরিচর্যার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- শশায় প্রচুর পরিমাণে পানি এবং ফাইবার থাকার কারণে এটি নিম্ন মাত্রার ক্যালোরি অর্থাৎ আমাদের ওজন কমাতে অনেক বেশি সাহায্য। তাই যারা ওজন নিয়ে চিন্তিত তারা চাইলে শসা খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।
- এছাড়াও সশ্রদ্ধে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ফ্লুইডসমৃদ্ধ এলিমেন্টস রয়েছে যা আমাদের শরীরে পানির পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং এটি আপনার শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
- শশায় রয়েছে এরেপসিন নামক এনজাইম। যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি সাহায্য করে এবং আপনার যদি কোন কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হয় তাহলে এটি দূর করতেও সহায়তা করে।
- শশাই বিদ্যমান পানি আমাদের দেহের যে বিষাক্ত পদার্থগুলো রয়েছে সেগুলো দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। শুধু তাই নয় এটি আমাদের রক্ত পরিষ্কার করতেও বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে আর এটি বিশেষ করে গ্যাসের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
- চাঁদের চোখের নিচে কালো দাগ রয়েছে তারা ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছুক্ষণ শসা গোল করে কেটে ভালোভাবে চোখের উপরে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখলে এটি আপনার চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করবে এবং চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।
- শুধু তাই নয় স্বশাতে যে মিনারেল রয়েছে এটি আপনার নখ ভালো রাখতে এবং দাঁত ও মাড়ির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও এটি আপনার গেটেবাধ, লিভার, ইউরেনারি ব্লেন্ডার, কিডনির সমস্যা ইত্যাদি দূর করতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে।
- শসা খাওয়ার অপকারিতা
- যারা ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাদের জন্য শসা একদমই খাওয়া উচিত নয়। কারণ এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- এছাড়াও যদি আপনারা অন্যান্য খাবার খাওয়ার পর অতিরিক্ত পরিমাণে শসা খান তাহলে এতে করে আপনার পেট ফাঁপা গ্যাসের সমস্যা বমি বমি ভাব হজম ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
- এছাড়াও যদি আপনারা এক মাস ধরে নিয়মিত শসা খান তাহলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব দেখা দিতে পারে। আর এর ফলে আপনার শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
- এছাড়াও এটি পরিমাণের চেয়ে অধিক মাত্রায় খেলে আপনার রক্ত কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। শুধু তাই নয় রক্তে গ্লুকোজের অভাব দেখা দিতে পারে আর এর কারণে আপনার মাথা ঘোরা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- যাদের কিডনি সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য শসার উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম বিপজ্জনক হতে পারে। এটি কিডনির কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে, তাই কিডনি রোগীদের শসা খাওয়ার পরিমাণ সীমিত রাখা উচিত।
ত্বকে শসার উপকারিতা
ত্বকে শসার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেরই জানা নেই। শসা কেবলমাত্র আমাদের শরীর ঠান্ডা করতে নয় বিশেষ করে এটা আমাদের ত্বক সুন্দর রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে। যদি আপনারা ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে চান এবং ত্বক বিভিন্ন দাগমুক্ত রাখতে চান তাহলে শসার ব্যবহার করতে পারেন। এখন কথা হল ত্বকে শসার উপকারিতা কি কি রয়েছে। তাহলে আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।
ত্বক দাগ মুক্ত রাখতেঃ শসার রস হল প্রাকৃতিক ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য আর এটি আপনার ত্বকের যে কালচে দাগগুলো রয়েছে সেটি দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। আর এটি ব্যবহার করার নিয়ম হলো প্রথমে আপনাকে দই এবং এক চিমটি হলুদ ও শসার রস একসঙ্গে মিশ্রণ করে নিতে হবে। এরপর আপনার ত্বকের স্থানে অন্তত ১৫ মিনিট লাগিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। যদি আপনারা এটি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আশা করা যায় আপনার ত্বকের দাগ মুক্ত হয়ে যাবে।
ত্বকের ডার্ক সার্কেল দূর করতেঃ যে সকল ব্যক্তিদের ত্বক কালচে দাগ পড়া ফোলা ক্লান্ত ইত্যাদি দেখা দেয় তাদের ক্ষেত্রে শসার রস অত্যন্ত উপকারী। কারণ এটি যদি আপনারা চোখের উপরে গোল করে কিছুক্ষণ অর্থাৎ ১৫ মিনিট লাগিয়ে বিশ্রাম করতে পারেন তাহলে এটি আপনার ত্বকের ফলাফল এবং ডার্ক সার্কেল কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করবে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতেঃ অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন কাজ-কর্মের ক্ষেত্রে ত্বকের সঠিকভাবে যত্ন নিতে পারেন না। আর এর কারণে অনেকেরই ত্বকে রোদে পোড়া দাগ দেখা দেয়। তবে এটি যদি আপনারা দূর করে আপনার ত্বক আগের মত উজ্জ্বলতা নিয়ে আসতে চান তাহলে ব্যবহার করতে পারেন শসার রস।
এটি মূলত ব্যবহারের নিয়ম হলো প্রথমে আপনাকে লেবুর রস, শসার রস এবং মধু একসঙ্গে মিশ্রণ করে একটি প্যাক তৈরি করে নিতে হবে। তারপর আপনার ত্বকে অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত লাগিয়ে এরপর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। লেবুতে ভিটামিন সি এবং শসার প্রশান্তিদায়ক উপাদান গুলো আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি সাহায্য করবে।
ত্বক হাইড্রেট রাখতেঃ শশায় ৯৫% পানি রয়েছে। আর এটির কারণে চমৎকার ভাবে আপনার ত্বকের হাইড্রেট ধরে রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করবে। প্রথমত আপনাকে গোলাপজল এবং শসার রস একসঙ্গে মিশ্রণ করে নিতে হবে এরপর স্প্রে বোতলে তুলে প্রতিনিয়ত ত্বক হাইড্রেট রাখার জন্য বেশ কয়েকবার ত্বকে স্প্রে করতে হবে। এতে করে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যাবে।
খালি পেটে শসা খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে শসা খাওয়ার বিশেষ কিছু উপকারিতা রয়েছে। অনেকেই খালি পেটে শসা খেতে পছন্দ করেন। তার কারণ হলো খালি পেটে শসা খেলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। আজকে আমি এই আর্টিকেলে খালি পেটে শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কেই বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করি আপনারা সকলেই আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
- যদি আপনি খালি পেটে শসা খান তাহলে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। এটি আপনার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সকল সমস্যা দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করবে।
- এছাড়াও যদি আপনি প্রতিদিন খালি পেটে শসা খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
- আপনাদের মধ্যে যাদের দৃষ্টিশক্তি দুর্বল রয়েছে তারা চাইলে শসা খেতে পারেন। কারণ শসা তে ভিটামিন এ রয়েছে আর এটি আপনার চোখের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।
- শসার প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে তাই যদি আপনারা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে শসা খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে পানির পরিমাণের ঘাটতি পূরণ করবে।
রাতে শসা খাওয়ার উপকারিতা
রাতে শসা খাওয়ার উপকারিতা জানার পাশাপাশি অপকারিতা সম্পর্কেও জানা জরুরী। কারণ শসা একটি ঠান্ডা জাতীয় খাবার। তাই যাদের ঠান্ডা জনিত সমস্যা রয়েছে তারা শসার উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা সম্পর্কেও ভালোভাবে জেনে নিবেন।
শসা একটি পুষ্টিকর এবং হালকা খাবার, যা রাতে খাওয়ার জন্য আদর্শ। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে, যা শরীর হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে। রাতে শসা খেলে হজমপ্রক্রিয়া ভালো হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার ঘুমের মান উন্নত করতে সাহায্য করে।
শসার প্রাকৃতিক উপাদান ত্বক উজ্জ্বল রাখতে এবং শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে ভূমিকা রাখে। যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য রাতে শসা খাওয়া দারুণ উপকারী। তবে অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য প্রতিদিনের ডায়েটে শসা রাখতে পারেন।
শসা খাওয়ার নিয়ম
শসা আপনারা যে কোন ভাবেই খেতে পারবেন। শসা খাওয়ার নিয়ম বিভিন্ন রকমের রয়েছে। আপনি চাইলে সালাদ হিসেবে খেতে পারবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে খালি পেটে না খেয়ে ভারী ফেটেও শসা খেতে পারবেন। যদি আপনার মনে হয় সকালে না খেয়ে বিকেলে খাবো তাও খেতে পারবেন।
আরো পড়ুন: গর্ভাবস্থায় জাম্বুরা খাওয়ার ১২ টি উপকারিতা
অনেকেই রয়েছে যারা দই এবং শসা একসঙ্গে খান তবে এটি খেলে আপনার স্বাস্থ্য জন্য অনেক উপকার হবে। শুধু তাই নয় শসা দিয়ে আপনারা স্মুদিও তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও তেল মশলা কিংবা ভাজাভোজির সঙ্গেও আপনারা চাইলে শসা খেতে পারেন।
লেখকের শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়ার উপকারিতা
আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আপনারা হয়তো সকলে গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এছাড়াও জানতে পেরেছেন শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে অনেক উপকৃত হয়েছেন। তবে আপনাদের যাদের এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে তারা কমেন্ট করে জানিয়ে যাবেন। আর এই আর্টিকেলটি অন্যদের মাঝে শেয়ার করবেন। সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
বিডি অনলাইন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url