শালগমের ৫টি অপকারিতা জেনে নিন

শালগমের অপকারিতা সম্পর্কে আপনি কি জানতে চান? যদি আপনার এই বিষয়টি অজানা থাকে তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল একদম মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে অবশ্যই এ বিষয়টি সম্পূর্ণ সঠিকভাবে জেনে যাবেন। তাই আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।
শালগমের অপকারিতা
এছাড়াও এই আর্টিকেল থেকে শালগম ও ওলকপি পার্থক্য, শালগমের উপকারিতা ও অপকারিতা, বিটরুট আর শালগম কি এক, শালগম চাষ পদ্ধতি, লাল শালগম উপকারিতা এবং শালগম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে যাবে।
পেজ সূচিপএ

শালগমের অপকারিতা

শালগমের অপকারিতা খুবই কম। শালগমের যেমন উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি অপকারিতাও রয়েছে। শালগম সাধারণত অনেক নিরাপদ হোক পুষ্টিকর খাবার কিন্তু এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে যা হয়তো অনেকেই জানেন না। তাই আসুন শালগমের ৫টি অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
  • শালগমে কিছু রাসায়নিক যৌগ থাকার কারণে এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে অনেকেরই থাইরয়েডের সমস্যা হতে পারে বা ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যারা আগে থেকেই থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন তারা যদি এটি খান তাহলে আরো বেশি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • শালগমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে পেট ফাঁপা কিংবা পেটে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। তাই খাওয়ার আগে অবশ্যই বুঝে শুনে খাওয়া উচিত।
  • যদি কেউ অতিরিক্ত পরিমাণে শালগম খেয়ে থাকে তাহলে এটি হজমের সমস্যার কারণ হতে পারে। আর অন্যদিকে আপনার বিভিন্ন ধরনের খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে। আর এর ফলে আস্তে আস্তে ওজন কমে আসতে পারে।
  • শালগমের খাওয়ার কারণে কিছু কিছু মানুষের এলার্জির সমস্যা তৈরি হতে পারে যা ত্বকের চুলকানি সমস্যা বা আর অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • যেহেতু শালগমের পরিমাণমতো খেলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায় সেহেতু পরিমাণ মত খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। অযথা অধিক মাত্রায় খেয়ে শরীরের সমস্যা তৈরি করার কোনোরকম প্রয়োজন নেই। তাই পরিমাণ মত খান এবং নিজের শরীর সুস্থ রাখুন।

শালগম ও ওলকপি পার্থক্য

শালগম ও ওলকপি পার্থক্য সম্পর্কে জানতে হলে এই আর্টিকেলের অংশটুকু মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। কারণ এই আর্টিকেলে এদের কিছু পার্থক্য আলোচনা করব যা হয়তো আপনারা জেনে অনেক উপকৃত হবেন। তবে চলুন আর দেরি না করে জেনে নিন।

শালগমঃ এটি মূলত একপ্রকার জাতীয় সবজি যা সাধারণত সারা পৃথিবীতেই উষ্ণমণ্ডলীয় জলবায়ু অঞ্চলগুলোতে ভালো জন্মের আগে। এটির বৈজ্ঞানিক নাম হল ‎Brassica rapa. ছোট যে শালগম এটি মূলত মানুষ ব্যবহার করে এবং বড় আকারের যেগুলো রয়েছে সেগুলো পশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত করা হয়। 
কিন্তু আমাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও পরিচিতি জাতের শালগম মূলত সাধারণের হয়ে থাকে এবং এর মাটি ১ থেকে ৬ শ্রেণীর উপরে জন্মে থাকে। মাটি থেকে আস্তে আস্তে উপরের দিকে গোলাপের রং ধারণ করে এটি মূলত সূর্য। এই শালগম ফলটে মাঝে মাঝে টমেটোর মত দেখা যায়। 

কারণ এটি প্রায় ৫ থেকে ২০ সেমি পর্যন্ত লম্বা হয় এবং শিকড় থাকে না অনেকেই এই শালগম গাছের পাতা পানিতে ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিয়ে পানি ফেলে দিয়ে পুনরায় নতুন পানি দিয়ে সেই পানিগুলো খাওয়ার চেষ্টা করেন, এতে করে খুবই উপকার পাবেন।

ওলকপিঃ আর উল কপি হল ফুলকপি কিংবা বাঁকুবের মতোই একটি জনপ্রিয় সবজি না হলেও এটি মূলত শীতের মৌসুমে বিভিন্ন এলাকায় অনেক বেশি দেখা যায় বা চাষ করা হয়। তবে এই কবি দুই ধরনের দেখা যায় একটি হলো ওলট কপির রং হালকা এবং আরেকটি হল বেগুনি সবুজ। সবচেয়ে বেশি আমাদের বাংলাদেশ হালকা সবুজ রঙের ফুলকপি বেশি দেখা যায়। 

তবে অনেকেই ফুলকপি শালগমের মতো করে বাজার থেকে কিনে নিয়ে এসে খাওয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু আসলে এটি শালগম নয় এটি ফুলকপি। যার যে নাম সে নামে যদি না ডাকা হয় তাহলে অবশ্যই আপনারা বুঝতে পারবেন না। আশা করি শালগমের অপকারিতা সম্পর্কে জানার পাশাপাশি শালগম ও ওলকপি পার্থক্য সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।

শালগমের উপকারিতা ও অপকারিতা

শালগমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত আপনাদের জানাবো। শীতের সময় প্রায় কমবেশি সকল সবজি রয়েছে যেগুলো খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়। তবে এই সময়ের মধ্যে শালগম অনেক বেশি অন্যতম। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু ঠিক তেমনি অনেক পুষ্টিকর। সাধারণত শীতের মৌসুমে এই শালগমের তরকারি রান্না করে অনেকেই সুস্বাদু ভাবে বাড়িতে খেয়ে থাকেন। 

কখনো কখনো চিংড়ির সঙ্গে ঝোল করে আবার কখনো কখনো অন্যান্য মাছের সঙ্গে রান্না খাওয়া হয় এই শালগম সবজি। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের গ্যাসের জিনিস খেতে পছন্দ করেন কিন্তু যেটি খেলে উপকার পাওয়া পাওয়া যাবে সেটি কখনোই খাওয়ার চেষ্টা করবে না। তবে শাকসবজি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান। 
তবে এই শালগমের উপকারিতা ও অপকারিতা কি কি রয়েছে তা অনেকেই অজানা। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকের এই আর্টিকেল এর অংশটুকুতে শালগ্রামের কি কি স্বাস্থ্যকর উপকারিতা রয়েছে তা বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই আসুন আরো দেরি না করে জেনে নিন।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ অনেকেরই ঘরে ঘরে কারো না কারো চোখের সমস্যা রয়েছে। হয়তো ছোট ছেলে মেয়ের কিংবা প্রাপ্তবয়স্কদের। তবে এই চোখের সমস্যা এড়াতে আপনারা অন্যান্য সবজি খাওয়ার পাশাপাশি শালগম খেতে পারেন। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট লুটেইন রয়েছে তাই শালগম খাওয়ার ফলে আপনার ছানি পড়া, দূর হয়ে যাবে। ফলে দৃষ্টিশক্তি অনেক বৃদ্ধি পাবে।

ওজন ঠিক রাখতে শালগমঃ সাধারণত অনেকেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান। কিন্তু বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করার পরেও অনেকে ওজন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারেন না। ওজন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার জন্য আপনাকে শাকসবজি খাওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর ব্যায়াম এবং খাবার সঠিক রাখতে হবে। যদি আপনি সঠিক খাবারের মধ্যে শাল্গুন রাখেন তাহলে আরো বেশি উপকার পাবেন। শালগম আপনার ওজন ঠিক রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করবে।

ক্যান্সারের সমস্যা দূর করতেঃ শালগম সবজি ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। তার কারণ হলো এতে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোসিনোলেটস রয়েছে এটি মূলত এক ধরনের কেমিক্যাল যা ক্যান্সার রোধ করতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। তাই আপনারা চাইলে শালগম সবজিটি ক্যান্সার প্রতিরোধ করার জন্য খেতে পারেন, আশা করি অনেক উপকার পাবেন।

পেটের সমস্যা দূর করতেঃ সাধারণত অনেকেরই বিভিন্ন কারণে পেটের সমস্যা হয়ে থাকে। তবে শালগম খাওয়ার ফলে আপনার ব্রেডের সমস্যা খুব সহজেই দূর করা সম্ভব হবে। তার কারণ হলো ফাইবার রয়েছে যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও শালগম কোলন পরিষ্কার রাখতে এবং শরীরে পানির মাত্রা ঠিক রাখতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে ফলে আপনার পেটের সমস্যা খুব সহজেই দূর হয়।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতেঃ শালগমে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে যার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। তাই আপনাদের রক্তচাপের কোন ধরনের সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই শালগম খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।

উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো পড়ে আশা করি আপনারা শালগমের উপকারিতা এবং শালগমের অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আশা করি আপনারা যারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তারা সকলেই সঠিক তথ্য পেয়ে গেছেন।

বিটরুট আর শালগম কি এক

বিটরুট আর শালগম কি এক? অনেকেই মনে করেন বিটরুট আর শালগম একই কিন্তু এটা আসলে একই নয়। দুটোই আলাদা। বিশেষ করে এই দুটোতেই আলাদা আলাদা পুষ্টি উপাদান রয়েছে। তবে যদি আপনি বিটরুট আর শালগম বাইরে থেকে দেখেন তাহলে কিছুটা একই রকম দেখতে হলেও কিন্তু এগুলো আলাদা আলাদা প্রজাতির। বিট রুটের বৈজ্ঞানিক নাম হল Beta vulgaris. এটি মূলত সবজি হিসেবে অনেকেই খেতে পছন্দ করেন।

আবার অন্যদিকে শালগমের বৈজ্ঞানিক নাম হল Brassica Rapa। এটির যে ছোট ছোট জাতগুলো রয়েছে সেগুলো মানুষ সবজি হিসেবে খান এবং বড় আকারের যেগুলো শালগম রয়েছে সেগুলো পশু খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তাহলে আশা করি প্রিয় বন্ধুরা আপনারা সকলেই বিটরুট আর শালগম কি এক? তা সঠিকভাবে বুঝতে পেরেছেন।

শালগম চাষ পদ্ধতি

শালগম চাষ পদ্ধতি খুব সহজ। শালগম একটি জনপ্রিয় শীতকালীন সবজি যা পুষ্টি গুণে ভরপুর। এটি চাষে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। এই আর্টিকেলে শালগম চাষের আধুনিক পদ্ধতি, জলবায়ু ও মাটির উপযোগিতা, এবং পরিচর্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাই আসুন আপনারা সকলেই শালগম চাষ পদ্ধতি সঠিকভাবে জেনে নিন।

শালগম চাষের উপযোগী জলবায়ু ও মাটিঃ-

শালগম মূলত শীতকালীন ফসল। এই শালগম লাগানোর জন্য মাটি হতে হবে উর্বর, দোআঁশ বা হালকা দো-আঁশ মাটি এবং ভালো জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা। তারপরে শালগমের জাত নির্বাচন করতে হবে। কিছু কিছু জাত রয়েছে যেগুলো বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয় যেমন- বারি শালগম-১, পাঞ্জাবি শালগম ইত্যাদি।

শালগম বপনের সময়ঃ শালগম চাষের সঠিক সময় হলো অক্টোবর থেকে নভেম্বর। তবে, অঞ্চলভেদে সময় কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে। এরপরে মাটিকে ভালোভাবে চাষ দিয়ে ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। তারপর জৈব সার বা গোবর সার প্রয়োগ করতে হবে।

বীজ বপনঃ সারি পদ্ধতিতে বীজ বপন করুন। সারি থেকে সারির দূরত্ব ২০ থেকে ৩০ সেমি রাখুন এবং শালগম চাষ করতে সঠিক মাত্রায় সার প্রয়োগ করুন। যেমন- ১০ টন গোবর, ১২৫ কেজি টিএসপি, ১৫০ কেজি ইউরিয়া, ১৭৫ কেজি মিউরেট অব পটাশ।

সেচ ও আগাছা নিয়ন্ত্রণঃ শালগম চাষে আপনাকে প্রতিনিয়ত শেষ দিতে হবে এবং গাছের মাটিতে সবসময় রস ভাব ধরে রাখার জন্য সাত থেকে দশ দিন পর পর শেষ দিতে হবে এবং আগাছাগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে যাতে করে গাছের পুষ্টি গ্রহণে কোনরকম ব্যাঘাত না ঘটে। তারপর পোকামাকড় ও রোগ ব্যবস্থা করতে হবে। 
কাটুই পোকা শালগ্রামের চারা গাছ নষ্ট করে দেয় তাই এর গুলো দমনের জন্য ৫ লিটার পানিতে দেড় চামচ ডায়াজিন মিশিয়ে ছিটিয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের রোগ গলায় দূর করার জন্য জৈব কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।

ফলন ও ফসল সংগ্রহঃ সাধারণত এক শতক জমিতে প্রায়ই কমবেশি ১০০ থেকে ১২০ কেজি শালগম ফলন হয়ে থাকে। যদি আপনার শালগম অনেক বেশি পাকাপোক্ত হয়ে যায় তাহলে এটি বাজারে নিয়ে আসার কোন প্রয়োজন নেই। যেগুলো সাইজের ছোট ছোট সেগুলো মানুষেরা সবজি হিসেবে খায় এবং যেগুলো বড় আকারের সেগুলো গরুর জন্য ব্যবহার করা হয়। তাহলে আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

লাল শালগমের উপকারিতা

লাল শালগমের উপকারীতা যেমন তেমন পুষ্টিকর শীতকালীন সবজি, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। এর মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধেও অনেক বেশি সাহায্য করে। লাল শালগমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, এ, কে, এবং বি কমপ্লেক্স রয়েছে। 

এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামে ভরপুর। শুধু তাই নয় এই লাল শালগমের যে স্বাস্থ্যকর উপকারিতা রয়েছে তা হয়তো জানলে আপনারা অনেকেই চমকে যাবেন। তাই আসুন কি কি স্বাস্থ্যকর উপকারিতা রয়েছে জেনে নিন।

ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করেঃ লাল শালগামে রয়েছে ভিটামিন সি আর এটি মূলত শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ফলে ঠান্ডা সর্দি এগুলো থেকে রক্ষা করে।

হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য রক্ষা করেঃ এতে থাকা পটাশিয়াম আমার/আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়ঃ লাল শালগমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের বার্ধক্য রোধ করে এবং ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে।

হজম প্রক্রিয়া উন্নত করেঃ যাদের হজম শক্তি কম রয়েছে তারা চাইলে লাল শালগম খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন এতে করে হজম শক্তি বৃদ্ধি হবে পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হবে। আশা করি শালগমের অপকারিতা সম্পর্কে জানার পাশাপাশি লাল শালগম উপকারিতা সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

শালগম খাওয়ার নিয়ম

শালগম খাওয়ার নিয়ম হল সিদ্ধ বা ভাব দিয়ে রান্না ঘরে খাওয়া। তবে অতিরিক্ত তেল বা মসলা ব্যবহার করে এটি রান্না করবেন না তাহলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অনেকেই শালগম স্বাস্থ্যকর সবজি হিসেবে খেয়ে থাকেন কিন্তু এটি অতিরিক্ত পরিমাণে একদমই খাওয়া উচিত নয়। 

তার কারণ হলো শালগমের প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা কিছু কিছু মানুষের হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। আপনারা চাইলে এটি রান্না করে খেতে পারেন আবার চাইলে সালাদ, স্যুপ, এইগুলো তৈরি করেও খেতে পারেন।

শেষ কথাঃ শালগমের অপকারিতা

প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে শালগমের অপকারিতা এবং শালগম ও ওলকপি পার্থক্য কি তা সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। আশা করি আপনারা যারা এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন তারা অবশ্যই অন্যদের মাঝে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন। যদি আপনাদের কারো সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে প্রশ্ন বা মতামত জানানো থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে যাবে। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি অনলাইন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url