জাফরান সাবানের উপকারিতা ও অপকারিতা
জাফরান সাবানের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনার যদি জাফরান সাবান এবং জাফরান সম্পর্কে জানা না থাকে তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন।
জাফরান সাবান আমাদের জন্য উপকারী তবে জাফরান সাবানের আসল নকল চেনার উপায় সম্পর্কে আমাদের ভালোভাবে জানতে হবে। আমরা এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তাই অবশ্যই আর্টিকেলটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন।
পেজ সূচিপএ
জাফরান সাবানের উপকারিতা ও অপকারিতা
জাফরান সাবানের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনার যদি জানা না থাকে তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন। জাফরান সাবান আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী একটি সাবান। জাফরান সাবান ব্যবহার করলে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং ত্বকের ভেতরের শুষ্ক ভাব কমে।
আরো পড়ুন: গোলাপ ফুলের উপকারিতা ও অপকারিতা
জাফরান সাবান আপনার ত্বকের জন্য উপকারী তবে অবশ্যই জাফরান সাবানের আসল নকল যাচাই করে জাফরান সাবান ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি বাজার থেকে গুণগত মানের এবং আসল জাফরান সাবান কিনে এনে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনি জাফরান সাবান থেকে বেশ কয়েকটি উপকার পেতে পারেন। চলুন তাহলে নিচে আলোচনা করি জাফরান সাবান আমাদের ত্বকের জন্য কতটা উপকারী।
জাফরান সাবানের উপকারিতা
- জাফরান সাবান আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে এবং ত্বকের ভেতরে আদ্র ভাব কমাতে সহায়তা করে।
- জাফরান সাবান ত্বকের দাগ কমাতে এবং মুখের ব্রণ কমাতে সহায়তা করে।
- জাফরান সাবান ত্বকের মৃত কোষ গুলোকে দূর করতে এবং নতুন কোষ গঠন করতে সহায়তা করে।
- জাফরান সাবান আমাদের ত্বকের কালো দাগ, ছোপ ছোপ দাগ, মেছতা ইত্যাদি দূর করতে সহায়তা করে।
- জাফরান সাবান প্রতিদিন ব্যবহার করলে ত্বক মসৃণ হয়, ত্বকের বয়সের ছাপ কমে, ত্বক কুঁচকে যাওয়া রোধ হয় এবং ত্বকে বলিরেখা ছাপ দূর হয়।
- জাফরান সাবান ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে খুবই কার্যকরী।
- জাফরান সাবান ব্যবহার করলে আমাদের ত্বক সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পায়।
- জাফরান সাবান ত্বকে মেসেজ করলে আমাদের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পায় এবং ত্বক অনেক বেশি সতেজ থাকে।
- জাফরান সাবান ব্যবহার করার ফলে আমাদের ত্বকের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব। আমাদের ত্বকে লোম এর ভেতরে যে ময়লাগুলো থাকে সে ময়লাগুলো জাফরান সাবান ব্যবহার করলে খুব দ্রুত দূর হয়। এছাড়া জাফরান সাবান ত্বকের ভারসাম্য বজায় রাখতেও খুবই উপকারী।
জাফরান সাবানের অপকারিতা
জাফরান সাবানের অপকারিতা রয়েছে খুবই কম। জাফরান সাবান আমাদের ত্বকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপকার করে থাকে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে জাফরান সাবান ব্যবহার করলে আমাদের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে জাফরান সাবান আমাদের ত্বকের জন্য এত উপকারী তাহলে জাফরান সাবান ব্যবহারের ফলে আমাদের ত্বকে কেন ক্ষতি হতে পারে। চলুন তাহলে জেনে নেই জাফরান সাবানের অপকারিতা কি কি।
- জাফরান সাবান কেনার সময় অবশ্যই জাফরান সাবান আসল নকল যাচাই করে কেনা উচিত। কম দাম দেখে রাসায়নিক কেমিক্যালযুক্ত সাবান ব্যবহার করলে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়।
- বেশি উপকারের আশায় আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে জাফরান সাবান ব্যবহার করেন তাহলে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হবে বেশি।
- আপনার যদি এলার্জির সমস্যা থাকে তাহলে জাফরান সাবান ব্যবহারের আগে অবশ্যই সতর্ক থাকুন। তবে যদি অনেক বেশি সংবেদনশীল হয়ে থাকে তাহলে জাফরান সাবান ব্যবহারে আপনার ত্বকে চুলকানি, লালচে ভাব, ফুসকুড়ি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
জাফরান সাবান ব্যবহারের ফলে ত্বকে উপকার হয় বেশি ক্ষতির পরিমাণ খুবই কম কিন্তু তারপরও অপকারিতা সম্পর্কে সতর্ক থাকা জরুরী। আশা করি জাফরান সাবানের অপকারিতা সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। উপরের আলোচনা থেকে আপনি বুঝতে পেরেছেন জাফরান সাবানের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
জাফরান সাবান যদি আপনি সঠিক নিয়মে এবং আসল ব্যবহার করতে পারেন তাহলে অবশ্যই জাফরান সাবান থেকে উপকৃত হবেন। তবে আপনার যদি বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই জাফরান সাবান ব্যবহার করার আগে একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ অনেকের ক্ষেত্রে জাফরান সাবান ব্যবহার করার পরে ত্বকে এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
জাফরান সাবান আসল নকল চেনার উপায়
জাফরান সাবান আসল নকল চেনার উপায় সম্পর্কে অবশ্যই আমাদের জানা জরুরি। কারণ নকল জাফরান সাবান ব্যবহার করলে আমাদের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। নকল জাফরান সাবানের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক কেমিক্যাল মেশানো হয়। অনেক সময় জাফরান সাবান দীর্ঘদিন যাবত ত্বকে ব্যবহার করেও পর্যাপ্ত ফলাফল পাওয়া যায় না।
আরো পড়ুন: ড্রাগন ফলের খোসা দিয়ে রূপচর্চা
ফলে অনেকের জাফরান সাবানের উপরে ভুল ধারণা তৈরি হয়। যদি আপনি জাফরান যা সাবান আসল নকল ঠিকমতো যাচাই করে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। আসল জাফরান সাবান চেনার একটি না বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। চলুন তাহলে আসল জাফরান চেনার উপায়গুলো আপনাদের জানাই।
রং ও গন্ধ: আসল জাফরান সাবানের ভেতরে আপনি প্রাকৃতিক জাফরানের রং ও গন্ধ অনুভব করতে পারবেন। যেসব জাফরান সাবান আসল সেসব সাবানের গন্ধ হয়ে থাকে একদম মৃদু। নকল জাফরান সাবান গুলোতে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল মিশিয়ে কৃত্রিম উপায়ে গন্ধ তৈরি করা হয়। যেসব নকল জাফরান সাবান তৈরি করা হয় সেগুলোর গন্ধ তীব্র এবং রং হয় আসল জাফরান সাবানের চেয়ে অনেকটাই গাঢ়।
প্যাকেট দেখে ক্রয়: জাফরান সাবান কেনার আগে অবশ্যই সাবানের প্যাকেটের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরী। জাফরান সাবানের প্যাকেটে উৎপাদন তালিকা দেখে জাফরান সাবান কেনা উচিত। যদি জাফরান সাবানের প্যাকেটের ওপরে উৎপাদন তালিকা কিংবা মেয়াদ না দেওয়া থাকে তাহলে অবশ্যই বুঝতে হবে জাফরান সাবানটি নকল। অনেক সময় প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে জাফরান ফ্লেভার। অনেক ক্ষেত্রে এই সাবান গুলো নকল হয়ে থাকে। তাই অবশ্যই জাফরান সাবান কেনার আগে ভালো করে যাচাই করে দেখে শুনে কিনবেন।
পানিতে ভিজিয়ে পরীক্ষা: আসল জাফরান সাবান চেনার জন্য আপনি পানিতে ভিজিয়েও পরীক্ষা করতে পারেন। বাজার থেকে জাফরান কিনে আনার পরে অল্প পরিমাণ সাবানের টুকরো পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পাঁচ মিনিট পর লক্ষ্য করুন সাবান থেকে যদি হলুদ রং বের হয় তাহলে জাফরান সাবানটি আসল। সাবানটি যদি কম পরিমাণে গলে এবং পানির সাথে মিশতে অনেকক্ষণ সময় লাগে তাহলে বুঝতে হবে সাবানটি আসল। আজ যদি সাবানটি পানিতে দেওয়ার পরে খুব তাড়াতাড়ি গলাতে থাকে এবং সাবানটি হলুদ রঙের পরিবর্তে গাড়ো লাল বর্ণের হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে সাবানটি নকল।
নকল জাফরান সাবান ব্যবহার করলে আমাদের ত্বকের ওপরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয় তাই অবশ্যই কেনার আগে ভালোভাবে দেখে আসল জাফরান সাবান কেনা উচিত। আপনার যদি আসল জাফরান সাবান চিনতে সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই উপরের পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করতে পারেন।
আপনি যদি উপরের নির্দেশাবলী অনুযায়ী জাফরান সাবান কিনেন তাহলে অবশ্যই আসল জাফরান সাবান কিনতে পারবেন। তাছাড়া বাজার থেকে সাবান কিনে ব্যবহার না করে আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতেও জাফরান সাবান বাড়িতে তৈরি করে নিতে পারেন। আর্টিকেলের নিচের অংশ পরলে জানতে পারবেন জাফরান সাবান বাড়ানোর নিয়ম সম্পর্কে।
জাফরান সাবান বানানোর নিয়ম
জাফরান সাবান বানানোর নিয়ম সম্পর্কে আপনার যদি জানা না থাকে তাহলে আমাদের আর্টিকেলের এই অংশ থেকে জেনে নিতে পারেন। উপরে আমরা জাফরান সাবানের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি এবং জাফরান সাবান আসল নকল চেনার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি।
বাজার থেকে জাফরান সাবান কিনে এনে আপনি যদি ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে খুব ভালোভাবে জাফরান সাবানের আসল নকল যাচাই করে কিনতে হয়। অনেক সময় আমরা বাজার থেকে খুব ভালোভাবে যাচাই করার পরও জাফরান সাবান আসল নকল চিনতে পারিনা। কিন্তু আপনি যদি রাসায়নিক মুক্ত এবং প্রাকৃতিক জাফরান সাবান আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে জাফরান সাবান থেকে আরো বেশি উপকৃত হবেন।
তাই আমরা আপনাদের জাফরান সাবান বাড়ানোর নিয়ম সম্পর্কে এখন জানাবো। আপনি জাফরান সাবান বানানোর নিয়ম গুলো ফলো করে খুব সহজেই বাড়িতে বসেই আসল জাফরান সাবান ব্যবহার করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জাফরান সাবান বানানোর নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের জানাই।
- জাফরান সাবান বানানোর জন্য প্রথমে আপনাকে ভালো মানের জাফরান নিতে হবে। আপনি যেকোনো অনলাইন পেজ কিংবা বাজার থেকে জাফরান কিনে নিতে পারেন।
- তারপর পরিমাণ মতো জাফরান ও দুধ নিয়ে একসঙ্গে ২/৩ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। আপনি যদি চান তাহলে ৪/৫ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে পারেন। জাফরান বেশীক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে সাবান অনেক নরম হয় এবং জাফরানের সাবান থেকে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
- সাবান তৈরি করার জন্য একটি সোপ বেজ লাগবে। এই সোপ বেজ আপনি বাজার থেকে কিংবা অনলাইনে অর্ডার করে পেয়ে যাবেন। সোপ বেজটির প্যাকেটের ওপরে গট মিল্ক লেখা থাকবে। সেটি দেখেই আপনি বাজার থেকে আসল নকল যাচাই করে কিনবেন। তাছাড়া গট মিল্ক অনেক বেশি নরম ও মসৃন হয়ে থাকে এবং সাবান তৈরি করার জন্য সোপ বেজ অনেক বেশি ভালো।
- এরপর গট মিল্কগুলো ছোট ছোট টুকরা করে ভালোভাবে কেটে নিন।
- একটি পরিষ্কার পাত্রে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে রাখা গট মিল্ক গুলো নিয়ে খুব ভালোভাবে আস্তে আস্তে জ্বাল দিন।
- যতক্ষণ না গলে ততক্ষণ পর্যন্ত জ্বাল দিন এবং খুব ভালোভাবে আস্তে আস্তে নাড়াচাড়া করুন।
- এরপর গট মিল্কগুলোর ভেতরে আগে থেকে ভিজিয়ে রাখা দুধ আর জাফরান গুলো ঢেলে দিন। জাফরান সাবান থেকে বেশি উপকার পাওয়ার জন্য উপকরণ গুলোর ভেতরে গ্লিসারিন এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল যোগ করুন।
- সবটি উপকরণ দেওয়া হয়ে গেলে খুব ভালোভাবে হালকা আচেঁ নাড়াচাড়া করুন।
- উপকরণগুলো গাঢ় হয়ে গেলে একটি বাটিতে কিংবা আপনি যে আকারে সাবানটি তৈরি করতে চাচ্ছেন তেমন পাত্রে ঢেলে নিবেন।
- আপনি যদি সাবানটি আরো বেশি আকর্ষণীয় করতে চান তাহলে সাবানের উপরে কিছু পরিমাণে জাফরানের টুকরো ছিটিয়ে দিতে পারেন। এতে সাবানটি দেখতে আরো বেশি সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।
- সাবানটি তৈরি করার জন্য আপনাকে মিনিমাম ১ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে।
- এক ঘন্টা পর ঠান্ডা হয়ে গেলে সাবানটি পাত্র থেকে বের করে ব্যবহার করতে পারেন।
আপনি যদি জাফরান সাবান বানানোর নিয়ম গুলো মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আর দেরি কেন এখনই ঘরোয়া পদ্ধতিতে বানিয়ে ফেলুন জাফরান সাবান। আমি আশা করি আপনি জাফরান সাবান বানানোর নিয়মটি খুব ভালোভাবে পড়েছেন এবং খুব সহজেই বাড়িতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে সাবান বানাতে পারবেন।
আপনি যদি ঘরোয়া পদ্ধতিতে জাফরান সাবানটি বানিয়ে ব্যবহার করেন তাহলে জাফরান সাবান নকল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না এবং নিঃসন্দেহে ব্যবহার করতে পারবেন। তাছাড়া জাফরান সাবান বাড়িতে বানিয়ে ব্যবহার করলে জাফরান সাবান থেকে অনেক বেশি উপকৃত হওয়া যায়।
জাফরান সাবানের দাম - জাফরান সাবান price in bangladesh
জাফরান সাবানের দাম সম্পর্কে যাদের জানা নেই তারা অবশ্যই আমাদের সাথে থাকুন। এখন আমরা আপনাদের জানাবো জাফরান সাবানের সঠিক দাম কত। জাফরান সাবান এর দাম উৎপাদন, গুণগতমান এবং ব্যান্ডের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন রকম হতে পারে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে জাফরান সাবানের সঠিক দাম জেনে নিন।
- Cosprof Saffron Soap - 108gm (Handmade) এই সাবানটি আপনি বাজারে ২৪০/৩০০ টাকার ভেতরে পেয়ে যাবেন।
- Saffron Goat Milk Soap - এই সাবানটি আপনি বাজারে ৬২০/৬৫০ টাকার ভেতরে পেয়ে যাবেন।
- Saffron Soap - ৮০ গ্রাম সাবানটি আপনি বাজারের ৬৫০/৬৭০ টাকার ভেতরে পেয়ে যাবেন।
- Ikebana Saffron Handmade Soap - ৯০ গ্রাম সাবানটি আপনি বাজারে ৫৫০/৫৬০ এর ভেতর পেয়ে যাবেন।
- Irani Saffron Soap - এই সাবানটি আপনি বাজারে ১৩০০/১৫০০ টাকার ভেতরে পেয়ে যাবেন।
জাফরান সাবান ব্যবহারের নিয়ম
জাফরান সাবান ব্যবহারে নিয়ম সম্পর্কে আমাদের মধ্যে অনেকেই জানেন না। আমরা অনেকেই জানি যে জাফরান সাবান আমাদের ত্বকের জন্য খুব উপকারী কিন্তু কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সে সম্পর্কে আমাদের তেমন কোন ধারণা নেই।
আপনার যদি জাফরান সাবান ব্যবহার সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা না থাকে তাহলে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে সঠিকভাবে জাফরান সাবান ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।
- জাফরান সাবান ব্যবহার করার পূর্বে প্রথমে আপনাকে আপনার ত্বকের জন্য সঠিক এবং মানসম্মত জাফরান সাবান বাছাই করতে হবে। বাজার থেকে নকল জাফরান সাবান এড়িয়ে আসল জাফরান সাবান কিনে আনতে হবে।
- প্রথমে সমস্ত মুখমন্ডল খুব ভালোভাবে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। হালকা কুসুম গরম পানি মুখে ব্যবহার করলে ত্বকের লোমের গোড়াগুলো থেকে ময়লা খুব সহজে দূর হয়ে যায়।
- তারপর জাফরান সাবান সমস্ত মুখের ত্বকে লাগিয়ে হাতের আঙ্গুলের সাহায্যে ভালোভাবে ম্যাসেজ করতে হবে।
- পাঁচ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে সমস্ত মুখমণ্ডল খুব ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- জাফরান সাবান ব্যবহারের সময় অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে যেন চোখের আশেপাশে জাফরান সাবান না যায়।
- এছাড়া আপনি যদি সমস্ত শরীরে জাফরান সাবান ব্যবহার করতে চান তাহলে জাফরান সাবান হাতে নিয়ে খুব ভালোভাবে ফেনা করে সমস্ত শরীরে লাগাতে পারেন।
- জাফরান সাবান ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের মৃত কোষ গুলো দূর হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। জাফরান সাবান ব্যবহারের পরে আপনি ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে পারেন। এতে আপনার ত্বক নরম ও কোমল হয়।
জাফরান সাবানের ছবি
আমরা অনেকেই রয়েছি যারা জাফরান সাবান সম্পর্কে জানিনা কিংবা কখনো জাফরান সাবান দেখিনি। যারা জাফরান সাবান সম্পর্কে জানেন না তারা আমাদের আর্টিকেলটির উপরের অংশগুলো পড়ে নিতে পারেন আর যারা জাফরান সাবান চিনেন না তারা নিজের ছবিগুলো দেখে জাফরান সাবান চিনে নিতে পারেন। নিচে কিছু জাফরান সাবানের ছবি শেয়ার করা হলো।
উপরে আমরা কয়েকটি জাফরান সাবানের ছবি আপনাদের সুবিধার্থে শেয়ার করলাম। আশা করি এখন উপরের ছবিগুলো দেখে আপনি খুব সহজে জাফরান সাবান চিনে নিতে পারবেন।
লেখকের মন্তব্য - জাফরান সাবানের উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রিয় পাঠক, আমি আশা করি আপনি এতক্ষণে জাফরান সাবানের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং জাফরান সাবান আসল নকল চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এছাড়া জাফরান সাবান ব্যবহারের নিয়ম এবং জাফরান সাবান বানানোর নিয়ম সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। যদি আপনি আসল জাফরান সাবান ত্বকে ব্যবহার করেন তাহলে ত্বক হবে উজ্জ্বল ও লাবণ্যময়।
আরো পড়ুন: দুধের সর দিয়ে রূপচর্চা
তাই অবশ্যই বাজার থেকে জাফরান সাবান কেনার আগে আসল জাফরান সাবান চেনার উপায়গুলো জেনে নিবেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার প্রিয়জনদের সাথে আমাদের আর্টিকেলটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
বিডি অনলাইন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url