ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা

ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা সম্পর্কে আজকের আলোচ্য বিষয়। আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন কিংবা অভিভাবক তাহলে অবশ্যই ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের কি কি অপকারিতা রয়েছে সে সম্পর্কে আপনার ভালোভাবে জেনে নেওয়া জরুরী।
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা
তাছাড়া আমরা আজকে আর্টিকেলে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেমন মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা ও মোবাইল ফোনের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব। আর আপনি যদি মোবাইল ফোনের বিভিন্ন বিষয়গুলি সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পেজ সূচিপএ

ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা

ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা কথাটি শুনে হয়তো আপনি খুব বেশি আশ্চর্য হচ্ছেন না। কারণ আমরা কম বেশি সকলেই জানি যে ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা চাইতে অপকারিতা বেশি। ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার যেমন ক্ষতি হয় তেমন স্বাস্থ্যেরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। তাহলে চলুন ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

  • পড়াশোনার ক্ষতি: ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সবচাইতে বেশি ক্ষতি হলো পড়াশোনার। ছাত্র জীবনে আমাদের বয়স অনেক বেশি কম থাকে। আর কম বয়সে একজন শিক্ষার্থী যখন মোবাইল হাতে পায় তখন ফেসবুক, ইউটিউব এবং বিভিন্ন ধরনের গেম খেলে সময় নষ্ট করে। ফলে পড়াশোনার ওপরে মনোযোগ কমে যায় এবং পড়াশোনার ক্ষতি হয়।
  • কানের সমস্যা: ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে কানে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। ছাত্র-ছাত্রীরা যদি দীর্ঘক্ষণ সময় কানে এয়ারফোন ব্যবহার করে তাহলে তাদের শ্রবন শক্তি কমে যায়। কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে ১০০ ডেসিবেল বা তার চাইতে বেশি শব্দ ইয়ারফোনের মাধ্যমে আপনি যদি ২০ মিনিট ধরে কিছু শোনেন তাহলে কানের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। তাছাড়া অনেক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে যারা সব সময় কানে এয়ারফোন ব্যবহার করে এবং কানে এয়ারফোন ব্যবহার করে রাস্তা পারাপারের সময় বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
  • মস্তিষ্কের ক্ষতি: মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে ছাত্র-ছাত্রীদের মস্তিষ্কে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়। দীর্ঘক্ষন পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যায় এবং মস্তিষ্কে বিভিন্ন ধরনের রোগের আশঙ্কা বেড়ে যায়। যেমন ব্রেন টিউমার, মস্তিষ্কের ক্যান্সার এবং নার্ভের খুব মারাত্মক ক্ষতি হয়।
  • চোখের সমস্যা: বিভিন্ন গবেষণা করে এটা প্রমাণিত হয় যে মোবাইল ফোন সবচাইতে বেশি ক্ষতি করে চোখের। দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত মোবাইল ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকলে মোবাইল ফোনের আলোক রশ্মি চোখের উপরে পড়ে এবং মোবাইল ফোনের আলোক রশ্মি তেজস্ক্রিয়া চোখের দৃষ্টি শক্তিকে কমিয়ে দেয়। তাছাড়া আপনি যদি দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন তাহলে চোখের সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং সেই সমস্যা থেকে মাইগ্রেনের মত মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
  • ঘুমের সমস্যা: ছাত্রছাত্রীরা যদি দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তাহলে ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি হয়। মোবাইল ফোনের ভেতরে এমন কিছু আলোক রশ্মি রয়েছে যেগুলো আপনার ঘুম আস্তে ব্যাঘাত ঘটায়। তাছাড়া অনেক শিক্ষার্থী রয়েছেন যারা গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এবং অনেক রাত পর্যন্ত মোবাইলে গেম খেলে সময় নষ্ট করে এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে এবং স্বাস্থ্যের সমস্যা হয়।
  • খারাপ দিকে যায়: ছাত্ররা মোবাইল ব্যবহার করলে অনেক সময় খারাপ দিকে যাওয়া সম্ভাবনা বেশি থাকে। মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ধরনের পণ্য ভিডিও দেখে পণ্য ভিডিওর উপরে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপ ও খারাপ কাজের প্রতি প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
  • সময়ের অপচয়: অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে ছাত্রছাত্রীদের সময়ের অপচয় হয়। মোবাইল ফোনের ওপরে বেশি আসক্ত হয়ে পড়ে এবং পড়াশোনা থেকে অমনোযোগী হয়ে যায়। তাছাড়া অনেকক্ষণ পর্যন্ত গেম খেলার নেশায় আসক্ত হয়ে পড়াশোনার দিকে মনোযোগী হতে পারে না।
  • অর্থের অপচয়: ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে অর্থের অপচয় হয়। মোবাইল ফোনের ওপরে আসক্ত হয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা ডাটা প্যাক বা গেম কিনতে প্রচুর টাকা অপচয় করে। অনেক ছাত্রছাত্রী রয়েছে যারা ডাটা প্যাক বা গেম কেনার জন্য পরিবারের ওপরে চাপ সৃষ্টি করে থাকে।
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার উপকার রয়েছে তবে অবশ্যই সময় ও সঠিকভাবে ব্যবহার করার মাধ্যমে। তবে আমি মনে করি ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার অপকারিতাই বেশি। ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পরে এবং স্বাস্থ্যের যেহেতু বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়।
তাই ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোন এড়িয়ে চলাই ভালো। যদি খুব বেশি ছাত্র জীবনের মোবাইল ফোনের দরকার হয় তাহলে স্মার্টফোন ব্যতীত বাটন ফোন ব্যবহার করা উচিত। তাহলে উপরের অপকারীতাগুলো কিছুটা হলেও এড়িয়ে চলা সম্ভব। আশা করি ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন।

মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা 

মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে যত বলা হবে ততই কম হয়ে যাবে। মোবাইল ফোন আমাদের জীবনে খুব উপকারী একটি যন্ত্র। মোবাইল ফোন উদ্ভাবন হওয়ার পরে আমাদের জীবনযাত্রা অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছে এবং সামাজিক সম্পর্ক এবং কাজের ধরনের অনেকটাই সুবিধা হয়েছে। 

মোবাইল ফোন ব্যবহার করার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় কাজ এবং বিনোদন উপভোগ করতে পারছি। মোবাইল ফোন ব্যবহার করার মাধ্যমে আমরা প্রিয়জনদের সাথে খুব সহজে যোগাযোগ রাখতে পারছি এবং নতুন নতুন সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারছি। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে স্মার্টফোন ব্যবহার করার ফলে আমাদের জনজীবনে কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। চলুন তাহলে জেনে নেই মোবাইল ফোনের উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে।

মোবাইল ফোনের উপকারিতা

  • মোবাইল ফোন আমাদের জনজীবনকে অত্যন্ত সহজ ও দ্রুত করে তুলেছে। এখন আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুব সহজেই দূরের মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারি। যদি মন চায় তাহলে খুব সহজেই স্মার্টফোনের মাধ্যমে ভিডিও কল, ম্যাসেজ এবং সামাজিক প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ছবি শেয়ার করতে পারি।
  • মোবাইল ফোন ব্যবহার করার মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে পারি। মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এক জায়গা তথ্য অন্য জায়গায় খুব সহজেই নেওয়া যায়।
  • মোবাইল ফোন ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে। তাছাড়া ইউটিউব চ্যানেলে বিভিন্ন ধরনের পড়াশোনার বিষয়ে কিংবা শিক্ষামূলক বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারে।
  • মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আমরা বিভিন্ন ধরনের বিনোদন উপভোগ করতে পারি। স্মার্ট ফোনে বিভিন্ন ধরনের ফানি কনটেন্ট প্রতিনিয়ত পোস্ট করা হয়। আর এই ফানি কন্টেন্ট দেখে আমরা বিনোদন উপভোগ করতে পারি।
  • মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের ইনকাম করতে পারি। মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও, কনটেন্ট কিংবা ছবি শেয়ার করে আমরা ইনকাম করতে পারি।
  • যেকোনো জরুরী কোন সমস্যায় পড়লে আমরা খুব দ্রুত মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারি। আপনি যদি দূরে কোথাও যান কিংবা রাস্তায় কোন বিপদে পড়েন তাহলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খুব দ্রুত সবার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এবং সাহায্য পেতে পারেন।
  • মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা, ব্যাংকিং সেবা ইত্যাদি পরিচালনা করতে পারি।স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে আমরা বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকিং সেবা বাড়িতে বসেই পেতে পারি। যেমন আগে আমাদের টাকা টেনেস্পার করার জন্য ব্যাংকে যাওয়া লাগত আর এখন আপনি স্মার্টফোনের মাধ্যমেই বিকাশ/নগদে টাকা খুব সহজেই কাউকে দিতে পারবেন।
  • মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ছবি কিংবা গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিগুলো ধারণ করতে পারি। বর্তমান সময়ে ছবি তোলার জন্য খুব জনপ্রিয় একটি ডিভাইস হল মোবাইল ফোন। আগে আমাদের ছবি তোলার জন্য স্টুডিওতে যাওয়ার প্রয়োজন হতো কিংবা ক্যামেরা ব্যবহারের প্রয়োজন হতো। কিন্তু এখন আমরা খুব সহজেই হাতের মুঠোফোন দিয়ে ঘরে কিংবা বাইরের সুন্দর মুহূর্তগুলো ছবি কিংবা ভিডিওর মাধ্যমে ধারণ করে রাখতে পারি।

মোবাইল ফোনের অপকারিতা

মোবাইল ফোনের উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমন মোবাইল ফোনের অপকারিতা ও রয়েছে অনেক। মোবাইল ফোন আমাদের জনজীবনে যেমন অনেক সুবিধা নিয়ে এসেছে তেমন অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে আমাদের জনজীবন অনেক বেশি অসুবিধা হয়ে যায়।

  • অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে আমাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় চোখের। অতিরিক্ত পরিমাণে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে আমাদের চোখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। আর আপনি যদি দীর্ঘদিন যাবত এবং অতিরিক্ত সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন তাহলে আপনার কাছে দূরের জিনিস দেখতে অনেক বেশি সমস্যা হবে। তাই চিকিৎসকরা একটানা অনেকক্ষণ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে মানা করেছেন।
  • স্মার্ট ফোন ব্যবহার করার ফলে আমাদের কানে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। আমরা অনেক সময় উচ্চ শব্দে অনেকক্ষণ পর্যন্ত কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনি। আপনি যদি অনেকক্ষণ পর্যন্ত কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শোনেন তাহলে কানের ভেতরে পর্দায় অনেক বেশি আঘাত পাই এবং কানে কম শোনার সমস্যা সৃষ্টি হয়।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে আমাদের পরিবারের সাথে সম্পর্কের দূরত্ব বাড়ে। মোবাইল ফোনের ব্যস্ত থাকার কারণে প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটানো কমে যায়।
  • অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে শিশুদের এবং শিক্ষার্থীদের প্রচুর পরিমাণে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের গেম খেলে সময় নষ্ট করে এবং মোবাইলে ইন্টারনেট প্যাকেজ কিনে টাকার অপচয় করে। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের খারাপ ভিডিওর উপরে বেশি পরিমাণে আসক্তি হয়ে পড়ে এবং পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে পড়ে।
  • অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করার ফলে আপনার যৌন ক্ষমতা কমে যেতে পারে। আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে মোবাইল ব্যবহার করেন এবং মোবাইলে পর্ন ভিডিও বেশি দেখেন তাহলে আপনার যৌন জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে এবং আস্তে আস্তে যৌন ক্ষমতা কমে যায়। অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার করার ফলে শুক্রাণুর হার ও অতিরিক্ত পরিমাণে কমে যায়।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে মোবাইল ব্যবহার করলে আপনার মস্তিষ্কের সমস্যা সৃষ্টি হয়। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা অনেক কমে যায়। এ ছাড়া অতিরিক্ত পরিমাণে মোবাইল ব্যবহার করলে মস্তিষ্কে টিউমার, ক্যান্সার ইত্যাদি সমস্যা তৈরি হয়।
  • অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে আমাদের মাথা ব্যথা, ঘাড় ব্যথা এমন কি ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে মোবাইল ব্যবহার করলে আঙ্গুলের জয়েন্টের ব্যথা হতে পারে। আর এই জয়েন্টের ব্যথা থেকে আপনার আর্থাইটিসের মতো জটিল রোগ হতে পারে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে সময়ের অপচয় হয়, পড়াশোনার ক্ষতি হয় এবং বিভিন্ন কাজকর্মে মনোযোগ কমে যায়।
  • অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে মানসিক চাপ বেড়ে যায়। মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্তি বেড়ে যায় এবং অন্যান্য যে কোন কাজ করতে ভালো লাগে না।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে আপনার বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। রাস্তা পারাপারের সময়, গাড়ি চালানোর সময় কিংবা অন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজের সময় ফোন ব্যবহার করলে বিপদজনক হতে পারে।
সর্বশেষে বলা যায় যে মোবাইল ফোন আমাদের জীবনে অনেক সুবিধা প্রদান করে তবে অবশ্যই সঠিক নিয়মে এবং সঠিকভাবে ব্যবহার করা জানতে হবে। তাহলে আপনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সঠিক উপকারিতা পাবেন। মোবাইল ফোন আপনার জীবনে অতি প্রয়োজনীয় একটি যন্ত্র তবে অবশ্যই অতিরিক্ত পরিমাণে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

অতিরিক্ত পরিমাণে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে আপনার পরিবারের সাথে যেমন সম্পর্ক নষ্ট হয় তেমন স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতি। আশা করি উপরের আলোচনা থেকে আপনি মোবাইল ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে যথাযথভাবে জানতে পেরেছেন।

মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় 

মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে আপনার যদি জানা না থাকে তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন। মোবাইল ফোন আমাদের জন্য উপকারী তবে মোবাইল ফোনের কিছু কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে সেগুলোর বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকা প্রয়োজন। 
মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে আমাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরে আসা প্রয়োজন। নিচে আমরা মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার কিছু উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আপনি যদি মোবাইল ফোনে অনেক বেশি আসক্ত হয়ে থাকেন কিংবা আপনার বাচ্চারা যদি মোবাইল ফোনে অনেক বেশি আসক্ত হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই নিচের পদ্ধতি গুলো মেনে চলতে পারেন। 
মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় জানুন
নিচের পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করলে আপনি মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে কিছুটা হলেও নিজেকে বিরত রাখতে পারবেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
  • মোবাইল ফোন ব্যবহার করার আগে অবশ্যই সময় নির্ধারণ করে নেওয়া জরুরি। আপনি কতক্ষণ মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন মোবাইল ফোন ব্যবহারের আগে অবশ্যই সময় নির্ধারণ করে নিবেন।
  • মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সময় অবশ্যই নিজের স্বাস্থ্যের উপরে খেয়াল রাখা জরুরী। ঘুমের সময় কখনোই মোবাইল ফোন ব্যবহার করা উচিত না। ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
  • অনেকক্ষণ পর্যন্ত মোবাইল ফোনে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন এছাড়া মোবাইল ফোনে ভিডিও এবং অন্যান্য খবর খুব কম পরিমাণে শুনুন।
  • মোবাইল ফোন চার্জে দিয়ে কখনোই কথা বলবেন না। এতে আপনার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হবে।
  • প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
  • বিভিন্ন ধরনের বই পড়ুন এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান।
  • বাইরে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে ঘুরতে যান এবং সময় কাটান।
  • পড়াশোনা কিংবা প্রয়োজনীয় কাজের সময় মোবাইল ফোন বন্ধ রাখুন কিংবা মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকুন।
  • মোবাইল ফোনে গেম অ্যাপ বন্ধ করুন। যে গেমগুলো আপনাকে খুব বেশি আসক্ত করে সে গেমগুলো মোবাইল ফোন থেকে আনইন্সটল করে ফেলুন।
  • নিজেকে মোবাইল ফোন ব্যবহার থেকে বিরত রাখার অভ্যাস করুন। বিভিন্ন ধরনের কাজে নিজেকে সংযুক্ত করুন যেন মোবাইল ফোন ব্যবহার থেকে দূরে থাকার অভ্যাস হয়।
  • বাচ্চাদের মোবাইল ফোন থেকে দূরে রাখার জন্য তাদের সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণের সময় কাটান এবং তাদের হাতে মোবাইল ফোন দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
আশা করি মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে আপনি বুঝতে পেরেছেন। আপনি যদি অনেক বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকেন কিংবা শিক্ষার্থীরা যদি অনেক বেশি মোবাইল ফোনে সময় কাটায় তাহলে উপরের পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করতে পারেন।

শিশুদের মোবাইল আসক্তি কমানোর উপায়

শিশুদের মোবাইল আসক্তি কমানোর উপায় সম্পর্কে আমাদের জানা খুবই জরুরী। কারণ এখনকার যুগে বেশিরভাগ শিশুরাই মোবাইল ফোনের প্রতি খুব বেশি আসক্ত। ফলে পড়াশোনার ব্যাপারে যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমন স্বাস্থ্যের ব্যাপারেও অনেক বেশি ক্ষতি হচ্ছে। তাই অবশ্যই শিশুদের মোবাইল ব্যবহার করার আগে নিজে সতর্ক হওয়া উচিত। চলুন তাহলে জেনে নেই শিশুদের মোবাইল আসক্তি কমানোর উপায় সম্পর্কে।

  • শিশুরা সবসময় বড়দের দেখে সব কাজ অনুকরণ করে। বড়দের যে কাজগুলো শিশুদের ভালো লাগে শিশুরা সব সময় সে কাজগুলো করতে আগ্রহী হয়ে থাকে। বড়দের হাতে যদি শিশুরা স্মার্টফোন দেখে তাহলে সেই স্মার্টফোনের প্রতি শিশুদের আগ্রহ বেড়ে যায়। তাই কখনোই শিশুর সামনেই স্মার্টফোনে গান, গেম, ইউটিউব ভিডিও কিংবা চ্যাট করবেন না।
  • শিশুদের যথেষ্ট পরিমাণে সময় দিন এবং শিশুদের জন্য রংবেরঙের আকর্ষণীয় বই কিনুন। সেই বইগুলো শিশুদের পড়তে আগ্রহী করে তুলুন এবং আপনি নিজেও শুনে উৎসাহ প্রকাশ করুন। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের রং, পেন্সিল ও ছবি আঁকার বিষয়ে উৎসাহিত করতে পারেন।
  • শিশুদের সামনে সব সময়ই মোবাইল ফোন ব্যবহারের অপকারিতা সম্পর্কে গল্প করুন। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে শিশুদের কি কি সমস্যা হয় সে সম্পর্কে বুঝিয়ে বলুন।
  • শিশুদের প্রতিদিনের একটি রুটিন তৈরি করুন। কখন ঘুম থেকে উঠবে, কখন পড়াশোনা করবে, কখন খেলাধুলা করবে এবং কখন খাওয়া দাওয়া করবে সে বিষয়ে সময় উল্লেখ করে দিন।
  • দিনের যেকোনো একটি নির্দিষ্ট সময় কয়েক মিনিটের জন্য শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দিন। এবং আস্তে আস্তে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় কমিয়ে দিন।
  • সন্তানদের অন্যান্য কাজ ও ভালো গুণের বিষয়ে বেশি প্রশংসা করুন। ঝগড়া, মারামারি কিংবা রাগ-জেদ না করে ভালোভাবে বুঝিয়ে বলুন।
  • মোবাইল ফোনে গেম রাখা বন্ধ করুন। কারন শিশুরা গেমের প্রতি বেশি আসক্ত থাকে।
  • মোবাইল ফোনের বিশেষ বিশেষ জায়গায় পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখুন। যাতে বাচ্চারা ইচ্ছে করলেও মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্ত হতে না পারে।
  • বাচ্চাদের বাইরে খেলতে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন। বিকেল বেলা আপনি নিজে সঙ্গে করে বাচ্চাদের বাইরে ঘুরতে নিয়ে যান। এতে মোবাইলের প্রতি আসক্ত অনেকটাই কমে যাবে।
প্রিয় পাঠক আমি মনে করি শিশুদের মোবাইলে আসক্তি কমানোর উপায় সম্পর্কে আপনি যথাযথভাবে বুঝতে পেরেছেন। আপনার শিশু যদি অনেক বেশি মোবাইলে আসক্ত হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই উপরের পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করতে পারেন। অনেক সময় শিশুরা এত বেশি মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ে যে তারা মোবাইল ছাড়া কিছুই বুঝতে চায় না। 

এমন সময় আপনি যদি তাদের কাছ থেকে সরাসরি মোবাইল ফোন নিয়ে নেন তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই অবশ্যই আপনার বাচ্চা যদি অনেক বেশি মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে থাকে তাহলে উপরের পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করুন এবং আস্তে আস্তে বাচ্চাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনের ব্যবহার কমিয়ে দিন।

মোবাইল আসক্তি কেন হয়

মোবাইল আসক্তি কেন হয় এমন প্রশ্ন আপনার মনে যদি জেগে থাকে তাহলে আজকের আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন। আমরা সকলেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করি কিন্তু মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে আমরা মোবাইল ফোনের প্রতি অনেক বেশি আসক্তির হয়ে পড়ি। আর কি কারনে আমরা মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্তি হয়ে পড়ি সে সম্পর্কে আমাদের তেমন কোন ধারণা নেই। 

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন মোবাইল, গেম, ইন্টারনেট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইত্যাদি অন্যান্য সকল নেশাধার দ্রব্যের মতোই আমাদের আসক্তি করে। আমরা যখন মোবাইলে কিছু মজাদার জিনিস দেখি তখন আমাদের মস্তিষ্কের কোষ থেকে ডোপামিন নিউরোট্রান্সমিটার নিঃসরিত হয়। আর এই ডোপাপিন আমাদের মনের ভেতরে মোবাইলের প্রতি ভালো লাগার অনুভূতি সঞ্চার করে ফলে আমরা মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়। 

যারা অনেক বেশি মানসিক চাপে থাকে কিংবা একা একা অনুভব করে তারা একাকীত্ব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মোবাইলে বেশি আসক্ত হয়। সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাপস গুলো এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে আপনি বারবার দেখতে অনেক বেশি আগ্রহী হবেন। আর সেগুলো বারবার দেখার পরে মানুষ মোবাইলে অনেক বেশি আসক্তি হয়ে পড়ে। মানুষ মোবাইল আসক্তি কেন হয় সে সম্পর্কে আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।

বাংলাদেশে মোবাইল কত সালে আবিষ্কার হয়

বাংলাদেশে মোবাইল কত সালে আবিষ্কৃত হয় এ বিষয়টি সম্পর্কে হয়তো আপনি জানতে চাচ্ছেন? আসুন জেনে নেই বাংলাদেশের মোবাইল কত সালে আবিষ্কৃত হয়। মোবাইল ফোন একটি অতি প্রয়োজনীয় যন্ত্র। শুরুর দিকে বাংলাদেশের মোবাইল ফোন ছিল না। ১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাসের সর্বপ্রথম বাংলাদেশের মোবাইল ফোন চালু হয়। বাংলাদেশে সিটি সেল কোম্পানির মাধ্যমে সর্বপ্রথম মোবাইল ফোন চালু হয়। পরে আস্তে আস্তে বাংলাদেশ অন্যান্য ফোনের আগমন ঘটে।

মোবাইল কে আবিষ্কার করেন? কত সালে

মোবাইল কে আবিষ্কার করেন এবং কত সালে এ বিষয়ে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। মোবাইল আমাদের জীবনে অতি প্রয়োজনীয় একটি বস্তু। মোবাইল আবিষ্কার করা হয় ১৯৭৩ সাল ৩ এপ্রিল। মোবাইল আবিষ্কার করেন মার্টিন কুপার। মাটিন কুপার তখন মটোরোলা কোম্পানিতে একজন গবেষক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। 
মোবাইল কে আবিষ্কার করেন কত সালে
বিশ্বের প্রথম মোবাইল ফোনের ব্যাটারি কিছুটা ইটের মতো দেখতে ছিল। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম আবিষ্কৃত হওয়া মোবাইল ফোনের ওজন ছিল ১.১ কেজি। একবার ফুল চার্জ দিলে মাত্র ৩০ মিনিট ব্যবহার করা যেত। কিন্তু ফুল চার্জ হতেই সময় লাগতো ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা। আশা করি মোবাইল কে আবিষ্কার করেন এবং কত সালে আবিষ্কৃত হয় সে সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।

সর্বপ্রথম কোন দেশে মোবাইল ফোন চালু হয়

সর্বপ্রথম কোন দেশে মোবাইল ফোন চালু হয় সে সম্পর্কে আপনার যদি জানা না থাকে তাহলে আমাদের আর্টিকেলের এই অংশ থেকে জেনে নিতে পারেন। সর্বপ্রথম মোবাইল ফোন চালু হয় আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরে। প্রথম মোবাইল ফোন তৈরি করেছিলেন মাটিন কুপার ১৯৭৩ সালে। মার্টিন কুপারকে মোবাইল ফোনের জনক বলা হয়। মাটিন কুপার ছিলেন মটোরোলা কোম্পানির একজন ইঞ্জিনিয়ার। আর তিনি সর্বপ্রথম যুক্তরাষ্ট্রে মোবাইল ফোন চালু করেন।

আমাদের শেষ কথা - ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা

ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা সম্পর্কে আপনি হয়তো এতক্ষণে সঠিকভাবে জেনে গেছেন। মোবাইল ফোন আমাদের জনজীবনের সাথে অন্তরঙ্গভাবে জড়িত। আপনি চাইলেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে পারবেন না। কারণ মোবাইল ফোনের উপকারিতা রয়েছে অনেক। আমরা প্রতিদিন আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকি। 
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা যেমন আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজখবর নেই তেমন বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার কাজেও দেশ-বিদেশে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকি। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনকে খুব সুন্দর ও সহজ ভাবে পরিচালনা করতে পারি। । তবে অবশ্যই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে অতিরিক্ত পরিমাণে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা উচিত না। 

আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্ত হয়ে যান তাহলে মোবাইল ফোন থেকে উপকারের চাইতে ক্ষতি হবে বেশি। তাই আমাদের সকলের উচিত মোবাইলের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা। প্রিয় পাঠক আমাদের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার প্রিয়জনদের সাথে আমাদের আর্টিকেলটি শেয়ার করুন। নিজে উপকৃত হন এবং অন্যকে উপকৃত হওয়ার সুযোগ করে দিন। আর এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য শুভেচ্ছা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি অনলাইন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url