পঞ্চমুখী জবা ফুলের ৯টি উপকারিতা

পঞ্চমুখী জবা ফুলের উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের মধ্যে কারো যদি অজানা থাকে তাহলে অবশ্যই এই আর্টিকেল থেকে বিস্তারিত জেনে নিবেন। কারণ পঞ্চমুখী জবা ফুলের স্বাস্থ্যকর উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আশা করি আপনারাও এই পঞ্চমুখী জবা ফুল ব্যবহার করা শুরু করবেন। তাই আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।
পঞ্চমুখী জবা ফুলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
যেহেতু আপনাদের মধ্যে অনেকেই জবা ফুলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানেন না যেহেতু এই ব্লগ সম্পূর্ণ পড়ে তা বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তাই আর দেরি না করে এই আর্টিকেলের অংশটুকু মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন।
পেজ সূচিপএ

পঞ্চমুখী জবা ফুলের উপকারিতা

পঞ্চমুখী জবা ফুলের উপকারিতা সম্পর্কে খুব কম সংখ্যক মানুষের জানা আছে। কারণ পঞ্চমুখী জবা ফুল খুব কম সংখ্যক মানুষই চিনে। আমাদের বাড়ির আনাচে-কানাচে কিংবা বাড়ির ছাদে উজ্জ্বল লাল রঙের একটি ফুল দেখা যায়। 

এক নজর দেখা হলেও এই ফুলটির কদর অনেকেই বোঝে না। এটি মূলত জবা ফুলের একটি প্রজাতি। জবা ফুলের অনেক প্রজাতি রয়েছে যেমন পঞ্চমুখী জবা, মরিচা জবা, রক্ত জবা, জবা, জবা কুসুম ইত্যাদি। তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পঞ্চমুখী জবা ফুলের গাছ বাংলাদেশে প্রায় জায়গায় দেখা যায়। 

সাধারণ যে জবাগুলো রয়েছে সেগুলো থেকে অনেকটাই আলাদা এই পঞ্চমুখী জবা। দেখে মনে হয় অনেকগুলো জবা একসঙ্গে রয়েছে। তবে এটি উত্তরবর্তী পূর্ব এশিয়ায় ‘চীনা গোলাপ’ নামে পরিচিত। এই পঞ্চমুখী জবা ভেজস গুনে সমৃদ্ধ। বিশেষ করে এটি আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে সেই প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে।

  • অনেক সময় কিছু কিছু মানুষের দেখা যায় অতিরিক্ত প্রস্রাব হয়। এটি একটি ভয়াবহ সমস্যা। এই অতিরিক্ত প্রস্রাব দূর করতে এক চা চামচ পঞ্চমুখী জবা গাছের ছালের রস এবং পানি ৫ থেকে ৭ দিন খেলে অতিরিক্ত প্রস্রাব দূর হয়ে যায়।
  • এছাড়াও যাদের কোন কিছু খাবার ফলে কিংবা অতিরিক্ত কোন খাবার খাবার ফলে অস্বস্তিকর সমস্যা বা বমি বমি ভাব হয় তাহলে তারাও চাইলে পঞ্চমুখী জবা ফুল ৪ থেকে ৫টি বেটে অথবা পিষে শরবত করে খেলে এই বমি বমি সমস্যা বা অস্বস্তিকর সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যায়।
  • তবে যদি আপনার শারীরিক কোন সমস্যা হয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ একমাত্র ডাক্তার আপনার রোগের সমস্যা থেকে পরিমাণ মতো ওষুধ দিবেন।
  • এছাড়াও অনেক মানুষের চুলে, দাড়িতে, গোঁফ বা ভ্রুতে অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা (Alopecia areata) সমস্যা হয়ে থাকে, তবে এ ধরনের সমস্যা এড়াতে আপনারা চাইলে পঞ্চমুখী জবা ফুল বেটে ভালোভাবে সেই প্রলেপ লাগালে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়।
  • অনেকের চোখের কোণে ক্ষত হয়ে পুঁজ জমে থাকে যা খুবই অস্বস্তিকর সমস্যা। তবে এ ধরনের সমস্যা এড়াতেও আপনারা পঞ্চমুখী জবা ফুল বেটে চোখের উপরে ও নিচের পাতায় ভালোভাবে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখলে আশা করা যায় আপনার চোখের কোণে আর পুঁজ জমে থাকবে না।
  • এছাড়াও যারা চর্মরোগে ভুগছেন বা হাত শুকনো চামড়া উঠতে থাকে তারা চাইলে পঞ্চমুখী জবা ফুল হাতের তালুতে দিনে কয়েকবার ঘষলে এই সমস্যা থেকেও নিস্তার পাওয়া যায়।
  • অনেক সময় দেখা যায় চোখ ওঠা সমস্যা হয় তবে এ সমস্যা এড়াতে জবা ফুলের পাতা ভালোভাবে পিষে চোখে লাগিয়ে রাখলে অনেকটা উপশম পাওয়া যায়।
  • যারা চুল বৃদ্ধি করতে চান তারা জবাব পাতার রস এবং নারকেল বা সরিষার তেল একসঙ্গে মিশ্রণ করে চুলে লাগিয়ে রাখলে চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
  • এছাড়াও সর্দি ও কাশি সমস্যা এড়াতে জবা ফুল বেটে পানি মিশ্রণ করে খেলে সর্দি কাশি সমস্যাও দূর হয়ে যায়। আশা করি পঞ্চমুখী জবা ফুলের ১৫টি উপকারিতা সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে উপকৃত হয়েছেন। 

জবা ফুলের উপকারিতা ও অপকারিতা

জবা ফুলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হলো। পূর্বে আমরা পঞ্চমুখী জবা ফুলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এখন আমরা আলোচনা করব জবা ফুলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। তো বন্ধুরা জবা ফুলে অনেক বেশি উপকারিতা রয়েছে। যদি আপনারা সকলে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারেন।
তাহলে আশা করি আপনারা সকলেই জবা ফুলের স্বাস্থ্যকর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে যাবেন। এছাড়াও জেনে যাবেন জবা ফুলের কি কি ক্ষতিকর দিক রয়েছে। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

আমাদের প্রতি পরিচিত জবা ফুল। এর জবা ফুল কারো বাড়ির ছাদে রয়েছে আবার কারো বাড়ির আশেপাশে রয়েছে। এই জবা ফুলের যে স্বাস্থ্য উপকারিতা এত বেশি রয়েছে যা হয়তো আপনারা জানলে চমকে উঠবেন। সাধারণত এই জবা ফুল আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ দূর করতে সাহায্য করে। তবে কি কি সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

  • আপনারা যারা চুল বৃদ্ধি করতে চান এবং চুল অনেক যত্নে রাখতে চান তারা চাইলে জবা ফুলের তেল ব্যবহার করতে পারেন। এই জবা ফুলের সাহায্যে আপনার চুল অনেকটা পুষ্টি পাবে এবং আগের চেয়ে অনেক উন্নত হবে। বিশেষ করে যাদের রোদে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদের চুল ঠিক করতে জবা ফুলের তেল দুর্দান্ত কার্যকারী। পাশাপাশি চুল রোধ করতেও বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে।
  • এছাড়াও যদি আপনারা ত্বকের যত্ন নিতে চান বা ত্বক আগের চেয়ে ফর্সা করতে চান তাহলে চুলের পাশাপাশি জবা ফুল ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এই জবা ফুল আপনার ব্রণ ডার্ক সার্কেল ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে। বিশেষ করে ত্বকের কাছে ভাব দূর করে ফর্সা করতেও অনেক বেশি সাহায্য করবে। যাদের ত্বকে বলিরেখা সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত কার্যকরী করে জবা ফুল।
  • জবাফুল ত্বক ও চুলের যত্নে অনেক বেশি কার্যকরী কিন্তু এগুলোর পাশাপাশি জবা পাতার চা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কারণ এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেক বেশি সাহায্য করে পাশাপাশি টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সমস্যা দূর করতেও সহায়তা করে।
  • জবা ফুলে বিভিন্ন ধরনের গুনাগুন রয়েছে তাই এটি আয়রনের ঘাটতি দূর করতে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ও ওজন কমাতে এবং ত্বকের বার্ধক্য দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। শুধু তাই নয় জবাফুল কিডনির সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতেও মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে।
  • যে সকল মেয়েদের ঋতুচক্রজণিত সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে খুবই উপকারী এই জবা ফুল। যদি প্রতিদিন জবা ফুল দিয়ে এক কাপ চা খেতে পারে তাহলে অনিয়মিত ঋতুচক্রের সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
  • যদি আপনারা জবা ফুলের চা প্রতিদিন খেতে পারেন তাহলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ হওয়ার পাশাপাশি আপনার হৃদযন্ত্রের সমস্যা থাকে তাহলে এ সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব। যদি আপনারা প্রতিদিন জবা ফুলের চা খেতে পারেন তাহলে এই ধরনের সমস্যা দূর হওয়ার পাশাপাশি আপনার শরীরের রক্তের পরিমাণও বৃদ্ধি হবে এবং শরীর অনেক স্বস্তি পাবে।
  • এছাড়াও যদি আপনারা জবা ফুলের চা প্রতিদিন খেতে পারেন, তাহলে আপনার শরীরের কোলেস্টেরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখবে। শুধু তাই নয় এটি আপনার সর্দি-কাশি সমস্যা দূর করতে এবং মুখের ঘা দূর করতেও অনেক বেশি সাহায্য করবে।

জবা ফুলের অপকারিতা

  • যাদের রক্তচাপ কম রয়েছে তারা জবা ফুলের চা পান করবেন না। কারণ এতে করে শরীরের রক্তচাপ আরো অনেক কমে যাবে।
  • আবার যে সকল ব্যক্তিদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তারা জবা ফুল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কারণ এতে করে আপনার কিডনির সমস্যা হতে পারে।
  • এছাড়াও যারা গর্ভবতী রয়েছেন তারা জবা ফুল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন কারণ এটি গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের বিকাশে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
  • এছাড়াও কারো কারো জবা ফুলে এলার্জি সমস্যা রয়েছে। তাই যাদের জবা ফুলের চা পান করার পর এলার্জির সমস্যা হবে তাৎক্ষণিক এটি বন্ধ করা উচিত। আশা করি পঞ্চমুখী জবা ফুলের উপকারিতা সম্পর্কে জানার পাশাপাশি জবা ফুলের উপকারিতা ও অপকারিতা সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন।

জবা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা 

জবা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে যাদের ধারণা নেই তারা আশা করি এই আর্টিকেলের অংশটুকু থেকে সঠিকভাবে ধারণা নিতে পারেন। 
জবা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
কারণ এখানে জবা পাতার কিছু স্বাস্থ্যকর উপকারিতা এবং ক্ষতিকর দিক আলোচনা করা হয়েছে যা হয়তো আপনারা সঠিকভাবে জেনে নিলে তা নিজেরাই বিশেষভাবে অবলম্বন করতে পারবেন। তাই আসুন কি কি স্বাস্থ্যকর দিক রয়েছে এবং ক্ষতিকর দিক রয়েছে জেনে নিন।

  • যে সকল ব্যক্তিদের শরীরে অতিরিক্ত চর্বি রয়েছে তারা অতিরিক্ত চর্বি কমাতে চাইলে জবা পাতা পিষে খেতে পারেন। আশা করি আপনার অতিরিক্ত চর্বি খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে।
  • এছাড়াও যে সকল ব্যক্তিদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তারা যদি এটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে চাই তাহলে জবা পাতা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে পারে। আশা করি উচ্চ রক্তচাপ খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
  • এছাড়াও যারা ওজন কমানো নিয়ে চিন্তিত তারা চাইলে জবা পাতার রস সেবন করতে পারেন। কারণ জবা পাতার রস সেবন করার ফলে আপনার ওজন খুব সহজেই আস্তে আস্তে কমতে শুরু করবে।
  • যে সকল ব্যক্তিদের পিত্তথলিতে পাথর রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে জবা পাতা। এটি অপসারণের জন্য বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে জবা পাতা।
  • এছাড়াও যে সকল ব্যক্তিরা কিডনি সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য বিশেষ উপকারে জবা পাতা।

জবা পাতার অপকারিতা

জবা পাতার যেমন উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি অপকারিতা ও রয়েছে। যেহেতু উপরে জবা পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন সেহেতু ক্ষতিকর দিকগুলো কি কি রয়েছে সেগুলোও জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে আসুন জেনে নিন।

অপকারিতা গুলো হলোঃ-
  • যে সকল ব্যক্তিদের লো ব্লাড প্রেসার রয়েছে তারা জবা পাতার রস খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।
  • এছাড়াও যাদের আগে থেকে এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা জবা পাতার রস সেবন করা থেকে বিরত থাকবেন। কারণ এতে করে আরো এলার্জির সমস্যা বৃদ্ধি হতে পারে।
  • জবা পাতা রস অত্যন্ত ঠান্ডা হওয়ায় এটি ফুসফুসের সমস্যা বৃদ্ধি করতে পারে। তাই যাদের অল্প ফুসফুসের সমস্যা হয়েছে তারা এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। আর যাদের বেশি রয়েছে তারা ভুলেও খাওয়ার চেষ্টা করবেন না।
  • অতিরিক্ত মাত্রায়জবা পাতার রস সেবন করলে বমি, বমি বমি ভাব হতে পারে। তাই আগে থেকে এ বিষয়গুলো জেনে তারপর জবা পাতার রস সেবন করা ভালো।
  • যেহেতু যাওয়া পাতার রস খাওয়ার ফলে ব্লাড প্রেসার অনেকটা কমিয়ে দেয় সেহেতু অনেক সময় মাথা ঘোরার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই এটি না খাওয়াই ভালো।

জবা ফুলের তেল বানানোর উপায়

  • জবা ফুলের তেল বানানোর উপায় হল প্রথমে আপনাকে ৪টি জবাফুল এবং জবা পাতা ধুয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
  • এরপরে, জবা ফুলের পাপড়িগুলো এবং জবা পাতা একসঙ্গে পিষে তার সঙ্গে ১ কাপ নারিকেল তেল দিয়ে ভালোভাবে কিছুক্ষণ গরম করে নিতে হবে।
  • তারপর, কিছুক্ষণ গরম করা হয়ে গেলে এবার তেলটি ঠান্ডা করার জন্য কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে।
  • তারপরে, আপনার চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। (খেয়াল রাখবেন মাথার সবগুলো চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ যেন হয়)
  • ম্যাসাজ করা হয়ে গেলে অন্তত ৩০ মিনিট রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • ব্যাস এইভাবে জবা ফুলের তেল বানিয়ে আপনার চুলে প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে চুল অনেক মজবুত ও বৃদ্ধি করুন।

জবা পাতা ও মধু খেলে কি হয়

জবা পাতা ও মধু খেলে কি হয় এ বিষয়ে জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরী। কারণ জবা ফুল, পাতার মাধ্যমে আমাদের স্বাস্থ্যের বিভিন্ন ধরনের উপকার হয়। জবা পাতা এবং মধু এই দুটি প্রাকৃতিক উপাদান। অনেক প্রাচীনকাল থেকেই জবা পাতা এবং মধু দুটোই শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে আসছে। 

এখন বর্তমানে আধুনিক চিকিৎসার পাশাপাশি প্রাকৃতিক চিকিৎসায়ও এদের ব্যবহার বাড়ছে। জবা পাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রাকৃতিক গুণাবলী শরীরের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে।
অন্যদিকে, মধু প্রকৃতির উপহার, যা জীবাণুনাশক সমস্যা দূর করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করছে। জবা পাতা এবং মধু একত্রে খেলে এর স্বাস্থ্য উপকারিতা আরও বেড়ে যায়। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এবং রক্ত পরিষ্কার করে।
জবা পাতা ও মধু খেলে কি হয়
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, চুলের স্বাস্থ্য উন্নয়ন, হজম শক্তি বৃদ্ধি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করার জন্য এই মিশ্রণটি অত্যন্ত কার্যকর। বিশেষত, যাঁরা চুল পড়া বা স্ক্যাল্পের সমস্যা নিয়ে চিন্তিত, তাঁদের জন্য জবা পাতা ও মধুর মিশ্রণ একটি কার্যকর সমাধান হতে পারে। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

এছাড়া এটি পেটের গ্যাস এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এই প্রাকৃতিক মিশ্রণ ব্যবহারে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বলে এটি নিরাপদ। নিয়মিত খেলে শরীরের বিভিন্ন স্বাস্থ্য উন্নত হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। আশা করি জবা পাতা ও মধু খেলে কি হয় এবং পঞ্চমুখী জবা ফুলের উপকারিতা সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত তথ্য পেয়ে গেছেন।

শেষ কথাঃ পঞ্চমুখী জবা ফুলের উপকারিতা

সম্মানিত বন্ধুরা আশা করি আপনারা সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে পঞ্চমুখী জবা ফুলের উপকারিতা এবং জবা ফুলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। জবা ফুল এবং জবা পাতা আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। 
তবে অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে যা হয়তো উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো বিস্তারিত পড়ে জানতে পেরেছেন। যদি আপনাদের কারো সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে মতামত বা প্রশ্ন জানানো থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে যাবেন। পাশাপাশি এই ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করবেন। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি অনলাইন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url