ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে যাদের জানা নেই তারা আমাদের এই আর্টিকেল থেকে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়
আপনি কি নিজের ত্বক নিয়ে অনেক বেশি চিন্তিত? বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ব্যবহার করেও ভালো ফলাফল পাচ্ছেন না তাহলে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন। ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় এবং প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
পেজ সূচিপএ

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়

ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জানার অনেক বেশি আগ্রহী থাকে কারণ বাজারে বিভিন্ন ধরনের ফর্সা হওয়ার ক্রিম পাওয়া যায় আর এই ক্রিমগুলো বেশিরভাগই অতিরিক্ত পরিমাণে কেমিক্যাল দেওয়া থাকে। অতিরিক্ত পরিমাণে কেমিক্যাল যুক্ত ক্রিম আমাদের ত্বকের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই বাজারের কেমিক্যালযুক্ত ক্রিম ব্যবহার না করে ঘরোয়া উপায় বেছে নিয়ে ফর্সা হওয়ায় শ্রেষ্ঠ। 

আর তাছাড়া ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনি খুব সহজেই আপনার ত্বকের ধরন বুঝে উপাদান ব্যবহার করতে পারবেন ফলে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ও থাকে না।বিভিন্ন কারণে আমাদের ত্বকের কালচে ভাব হয়, ত্বকে দাগ হয়, ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায় এবং ত্বক অনেক বেশি রুক্ষ হয়ে যায়। আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে এবং প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে খুব সহজে ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। চলুন তাহলে জানি ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায়।

ত্বকে হলুদের ব্যবহার
হলুদের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান। আর এ উপাদান গুলি ত্বককে ভালো রাখতে এবং ত্বকের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু ধ্বংস করতে সহায়তা করে। হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং দ্রুত ত্বকে ফর্সা করতে সহায়তা করে। হলুদ ত্বকের ভেতর থেকে ত্বককে পরিষ্কার করে এবং বহু যুগ আগে থেকে ভেষজ উপাদান হিসেবে হলুদ পরিচিত। হলুদ আমাদের ত্বকের ভেতরে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না, রোদের পোড়া ভাব দূর করে, ত্বক টানটান ভাব রাখে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

ব্যবহার
  • ত্বকে হলুদ ব্যবহার করার জন্য এক চা চামচ হলুদ বাটা কিংবা হলুদ গুঁড়া নিন।
  • ২ চা চামচ লেবুর রস নিয়ে দুটি উপাদান খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
  • মেশানো হয়ে গেলে খুব ভালোভাবে মুখের ত্বকে মেখে নিন।
  • ১৫ মিনিট ত্বকে রাখার পরে হালকা গরম পানি দিয়ে সমস্ত মুখমণ্ডল খুব ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
এই উপকরণটি আপনি সপ্তাহে তিনদিন আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে তিন দিনে উপকরনটি ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু ধ্বংস হবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। তবে আপনি যদি চান তাহলে প্রতিদিনই এই উপকরণটি ব্যবহার করতে পারেন।এছাড়া আপনি হলুদ কাঁচা অবস্থাতে খালি পেটে চিবিয়েও খেতে পারেন। হলুদ কাঁচা অবস্থাতে খালি পেটে চিবিয়ে খেলে শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন গুলো বের হয়ে যায় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

ত্বকে টমেটো ব্যবহার
টমেটোর মধ্যে রয়েছে লাইকোপিন নামক উপাদান। আর এই উপাদানটি ত্বকের আদ্রতা বাড়াতে সহায়তা করে। ত্বকের উপরে জমে থাকা মৃত কোষগুলো দূর করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা খুব দ্রুত বাড়ায়। টমেটো ত্বকের দাগ কমিয়ে ব্রনের দাগ দূর করতেও সহায়তা করে। ত্বকে টমেটোর ব্যবহার করা খুবই সহজ। খুব সহজে আপনি ত্বকের টমেটো ব্যবহার করতে পারেন ঘরোয়া পদ্ধতিতে।

ব্যবহার
  • একটি টমেটো নিয়ে খুব ভালোভাবে পেস্ট তৈরি করে নিন।
  • ২ চামচ লেবুর রসের সঙ্গে টমেটো পেস্টটি খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
  • এবার উপকরণটি সমস্ত মুখ মন্ডলে খুব ভালোভাবে মেখে বিশ মিনিট অপেক্ষা করুন।
  • শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে সমস্ত মুখমন্ডল ধুয়ে নিন।
এই উপকরণটি আপনি সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করতে পারেন। তবে যদি সময় পান তাহলে সপ্তাহে সাত দিনই এই উপকরনটি ব্যবহার করতে পারেন। এই উপকরণটি আপনার ত্বকের পোড়া ভাব দূর করবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে। তাছাড়া টমেটো আপনি সরাসরি তো কেউ ব্যবহার করতে পারেন। সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করার জন্য টমেটো গোল করে কেটে ত্বকে খুব ভালোভাবে মালিশ করতে পারেন। এছাড়া আপনি যদি টমেটো কাঁচা অবস্থাতে খেতে পারেন এতেও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।

ত্বকে দুধের ব্যবহার
দুধের মধ্যে রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিড, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ সব উপাদান। ত্বকে দুধ ব্যবহার করলে ত্বকের ভেতরে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়, ত্বকের টিস্যু গুলো ভালো থাকে, ত্বকের শুষ্ক ভাব রোদ হয়, ত্বকের ভেতরে হাইড্রেশন বজায় থাকে, ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং ত্বকের ক্ষতগুলো খুব সহজে সারিয়ে তোলে, ত্বকের ময়লা দূর করে এবং ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল করে তোলে।

ব্যবহার
  • ১ টেবিল চামচ দুধের সাথে ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন।
  • এবার উপকরণটি খুব ভালোভাবে মুখের ত্বকের লাগিয়ে নিন।
  • ১৫ মিনিট অপেক্ষা করার পরে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে সমস্ত মুখমণ্ডল ধুয়ে নিন।
এই উপকরণটি আপনি সপ্তাহে চারদিন ব্যবহার করতে পারেন। তবে আপনার যদি ত্বকে অনেক সমস্যা থাকে তাহলে এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি আপনি সপ্তাহে প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া ত্বকের দুধ এবং মধু ব্যবহার করা খুবই সহজ তাই প্রতিদিন ব্যবহার করলেও তেমন কোন ঝামেলা মনে হবে না। সপ্তাহে সাত দিন যদি আপনি এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি ত্বকে ব্যবহার করেন তাহলে তক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল এবং মসৃন।

ত্বকে লেবুর ব্যবহার
লেবুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি। আর ভিটামিন সি আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ত্বকে লেবু ব্যবহার করলে ত্বকের ভেতরে সব ধরনের পরিষ্কার হয় এবং ত্বক স্বচ্ছ হয় ও ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়। ফলে ত্বক অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়। এছাড়া লেবুর ব্লিচিং উপাদান ত্বককে ভেতর থেকে মুক্ত করতে এবং রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সহায়তা করে।

ব্যবহার
  • এক টেবিল চামচ লেবুর রস এবং এক টেবিল চামচ মধু নিন।
  • এই দুটি উপকরণ খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
  • মেশানো হয়ে গেলে ত্বকে ব্যবহার করুন এবং ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।
  • শুকিয়ে গেলে মুখ খুব ভালোভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
এই উপকরণটি আপনি সপ্তাহে পাঁচ দিন ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া আপনার ত্বকে যদি অনেক বেশি দাগ থাকে তাহলে এই উপকরণটি সপ্তাহে প্রতিদিনই ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া লেবু আপনি গোল গোল করে কেটে ত্বকে সরাসরি ব্যবহার করতে পারেন। তবে অনেক সময় লেবু ব্যবহারের পরে আপনার ত্বকে জ্বালাপোড়া হতে পারে। 

তাই অবশ্যই আগে অল্প জায়গায় ব্যবহার করে লেবু থেকে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা সে সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। যদি দেখেন যে লেবু ব্যবহারের পরে ত্বকের ভেতরে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে না তাহলে অবশ্যই ব্যবহার করতে পারেন।

ত্বকে দইয়ের ব্যবহার
দইয়ের মধ্যে রয়েছে ত্বক পরিষ্কার করার সব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। দইয়ের ভেতরে রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিড। আর এই উপাদানটি আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। আমাদের ত্বকের ভেতরে ছোট ছোট লোমকূপ থাকে আর সেই লোমকূপের ভেতরে জমে থাকে ক্ষতিকর সব ব্যাকটেরিয়া। আপনি যদি ত্বকে দই ব্যবহার করেন তাহলে গভীর থেকে পরিষ্কার হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
ব্যবহার
  • ২ টেবিল চামচ দয়ের সাথে এক টেবিল চামচ মধু খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
  • এরপর মিশ্রনটি আপনার মুখে লাগিয়ে ১৫মিনিট অপেক্ষা করুন।
  • তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে সমস্ত মুখ মণ্ডল ধুয়ে নিন।
এই উপকরণটি সপ্তাহে দুইদিন আপনি ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এই উপকরণটি ব্যবহার করলে ত্বক খুব দ্রুত উজ্জ্বল হয়। তাছাড়া আপনি যদি সরাসরি দই খান তাতেও আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। মিষ্টি দইয়ের পাশাপাশি আপনি টক দই ও ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। 

টক দই ত্বক ভালো রাখার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দই সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করলেও ভালো উপকার পাওয়া যায়। হাতের সাহায্যে দই নিয়ে গোসলের ৫ মিনিট আগে খুব ভালোভাবে ত্বকে মালিশ করুন। এভাবে সপ্তাহে আপনি যদি দুইদিন ত্বকে মালিশ করেন তাহলে নিজেই পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন।

আশা করি ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনি জানতে পেরেছেন। এই পদ্ধতি গুলো ছাড়াও আপনার নিজের অভ্যাসের উপর ও কিছুটা নির্ভর করে ফর্সা হওয়া। আপনি যদি প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করেন তাহলে আপনার ত্বক ভালো থাকে। প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুম ত্বক ভালো রাখতেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

এছাড়া বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর শাকসবজি ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড আপনার ত্বক ভালো রাখতে সহায়তা করে। বাইরে যাওয়ার সময় সানস্ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বক ভালো থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যালকোহল ও ধূমপান এড়িয়ে চললে ত্বক ভালো থাকে।

প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় 

প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনার যদি জানা না থাকে তাহলে আমাদের আর্টিকেলের এই অংশ থেকে জেনে নিতে পারেন। প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আমাদের সকলের অবশ্যই জেনে নেওয়া জরুরী। কারণ বাজারের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর ক্রিম এর প্রভাবে আমাদের ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়। 
প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
তাই প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় যদি জানা থাকে তাহলে তো অনেক বেশি উজ্জ্বল হয় ও ক্ষতি থেকে রক্ষা পায়। যারা প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার কথা ভাবছেন তারা নিচের এই টিপসগুলো ব্যবহার করতে পারেন। 

আপনি যদি নিজের এই টিপস গুলো ব্যবহার করেন তাহলে ত্বক প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল হবে এবং ত্বক ভেতর থেকে দাগ মুক্ত হবে। চলুন তাহলে দেরি না করে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানি।

  • গুঁড়ো দুধ এক টেবিল চামচ, এক টেবিল চামচ লেবুর রস, এক টেবিল চামচ মধু এবং এক টেবিল চামচ বাদামের তেল মিশিয়ে খুব ভালোভাবে ত্বকে লাগিয়ে 15 মিনিট অপেক্ষা করুন। উপকরণটি শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এই প্যাকটি আপনার মুখে রোদের পোড়া ভাব দূর করবে এবং উজ্জ্বলতা বাড়াবে।
  • এক টেবিল চামচ বেসন, ১ টেবিল চামচ দুধ এবং এক টেবিল চামচ রস মিশিয়ে ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। বিশ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাকটি আপনার মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াবে।
  • কমলার খোসা খুব ভালোভাবে শুকিয়ে গুড়ো করে নিন এবং তার সাথে এক টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে মুখে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাকটি আপনার ত্বকের ভেতরের দাগ দূর করতে সহায়তা করবে।
  • এক টেবিল চামচ চন্দন গুড়া এবং দুই টেবিল চামচ দুধ মিশিয়ে হাতের আঙ্গুলের সাহায্যে মুখে হালকা ভাবে ম্যাসাজ করুন। এ ফেসপ্যাকটি আপনার ত্বকের ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা বাড়াবে।
  • ২ টেবিল চামচ টমেটো নিয়ে তার ভেতরে এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। ১৫ মিনিট পর ত্বক খুব ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাকটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে এবং ত্বকের ভেতরে মরা কোষ গুলো দূর করবে।
  • দুই চামচ চালের গুড়া এক চামচ চায়ের লিকার এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে মুখে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। পনেরো মিনিট পর খুব ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাকটি আপনার মুখের আদ্রতা বাড়াতে সহায়তা করবে।
  • এক টেবিল চামচ শসার রস ও এক টেবিল চামচ মধু নিয়ে সমস্ত মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। বিশ মিনিট পর খুব ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাকটি আপনার মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে সহায়তা করে।
  • পাকা কলা খুব ভালোভাবে হাত দিয়ে চটকে সমস্ত মুখ মন্ডলে পাঁচ মিনিট মেসেজ করুন। এই ফেসপ্যাকটি আপনার লোমের ভেতরের ময়লা দূর করতে সহায়তা করে।
  • এক টেবিল চামচ বেসন, এক টেবিল চামচ কাঁচা হলুদ, এক টেবিল চামচ লেবুর রস ও এক টেবিল চামচ দুধ দিয়ে একটি ফেসপ্যাক বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এ ফেসপ্যাকটি আপনার ত্বকের সমস্ত দাগ দূর করবে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে।
  • কাঁচা আলু খুব ভালোভাবে পেস্ট করে সমস্ত মুখ মন্ডলে লাগিয়ে রাখতে পারেন। পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করার পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার চোখের নিচের কালো ভাব দূর হবে ও মুখের ত্বকে বয়সের ছাপ কমবে।
আশা করি প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার টিপস গুলো আপনার অনেক বেশি কাজে লাগবে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে এই উপকারটি ব্যবহার করার ফলে আপনার ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তবে সব উপকরণ ব্যবহার করলেই আপনার ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হবে এমনটা কিন্তু না। 

যদি একটি ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে আপনার মুখে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয় তাহলে আপনি অন্য আরেকটি ফেসপ্যাক ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আমি মনে করি যে কোন একটি ফেসপ্যাক আপনার ত্বকের জন্য অবশ্যই ভালো হবে।

স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায়

স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আমরা সকলেই জানতে চাই কারণ আমরা আমাদের মুখের ত্বক নিয়ে অনেক বেশি দুশ্চিন্তায় থাকি। বিভিন্ন ধরনের ব্যস্ততার কারণে আমরা আমাদের মুখের ত্বকের যত্ন নিতে পারি না। 

ফলে ত্বকে অনেক বেশি কালচে ভাব, দাগ এবং বয়স্কের ছাপ দেখা দেয়। আর মুখের এই সমস্যাগুলো দূর করে স্থায়ীভাবে ফর্সা হতে চাইলে মুখে হলুদ ও দুধ ব্যবহার করতে পারেন। হলুদ ও দুধ স্থায়ীভাবে ফর্সা করতে সহায়তা করে। 

এছাড়া হলুদ ও দুধের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া ত্বক স্থায়ীভাবে ফর্সা করার জন্য আপনি প্রতিদিন কাঁচা হলুদ খেতে পারেন। কাঁচা হলুদ প্রতিদিন খেলে তো ভেতর থেকে স্থায়ীভাবে ফর্সা হয়। আপনি যদি কাঁচা দুধের সাথে হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে খান তাতেও টক স্থায়ীভাবে ভেতর থেকে ফর্সা হয়। আশা করি স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত বুঝতে পেরেছেন।

ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম

ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। উপরে আমরা ঘরোয়া পদ্ধতিতে এবং প্রাকৃতিকভাবে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা খুব বেশি ব্যস্ত থাকেন এবং প্রাকৃতিক উপাদান গুলো সংগ্রহ করে সহজে মুখে ব্যবহার করার মত সময় পান না। তারা মূলত ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম সম্পর্কে জানতে অনেক বেশি আগ্রহী হয়ে থাকেন। 
বাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম পাওয়া যায় ফর্সা হওয়ার জন্য। তবে কোন ক্রিম আপনার ত্বকের জন্য ভালো এবং কোন ক্রিম মাখলে খুব দ্রুত আপনি ফর্সা হতে পারবেন সে সম্পর্কে অবশ্যই জানা দরকার। ফর্সা হওয়ার জন্য ডাক্তারি ক্রিম বিভিন্ন রকম রয়েছে তবে কোন ক্রিমগুলো আপনার ত্বকের জন্য ভালো হবে সে সম্পর্কে আগে ভালোভাবে জানতে হবে। নিচে কিছু ফর্সা হওয়ার ক্রিম সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হলো।

  • ওলে ন্যাচারাল হোয়াইট নাইট ক্রিম আপনি ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এই ক্রিমটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে এবং ত্বক দাগ মুক্ত করবে। এই ক্রিমটি আপনি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন।
  • লরিয়াল মেন এক্সপার্ট হোয়াইট অ্যাক্টিভ। এই ক্রিমটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর সাথে সাথে ত্বকে ব্রণ কমাবে। এই ক্রিমটি আপনি বাজারে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন।
  • গার্নিয়ার মেন পাওয়ারলাইট সোয়েট। এই ক্রিমটি আপনার ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে। এই ক্রিমটি আপনি বাজারে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন।
এইসব ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম ব্যবহার করার আগে অবশ্যই মুখ খুব ভালোভাবে ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নেওয়া উচিত। মুখে ব্যবহার করার জন্য ভালো ফেসওয়াশ আপনি ১৫০ টাকা থেকে ১৭০ টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন। মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে ক্রিম ব্যবহার করলে আরও তাড়াতাড়ি ত্বকে কাজ করে। তবে ক্রিম গুলোর দাম নেট ওজন অনুযায়ী পরিবর্তন হতে পারে। 

এছাড়া আপনি যদি ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি কিরিম ব্যবহার করতে চান তবে আগে অবশ্যই একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিন। পরামর্শ ছাড়া কখনোই এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করবেন না এতে আপনার ত্বকে অনেক বেশি ক্ষতি হবে। কারন আপনার ত্বকের উপর ভিত্তি করে কোন ক্রিমটা আপনার জন্য ভালো হবে সে সম্পর্কে ডাক্তার ভালো পরামর্শ দিতে পারবে।

ফর্সা হওয়ার খাবার

ফর্সা হওয়ার খাবার খেয়েও আপনি ফর্সা হতে পারেন। প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়া ও ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে আমরা উপরে আলোচনা করেছি। আশা করি এতক্ষণে আপনি জানতে পেরেছেন। তবে এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে আপনি ভেতর থেকে ফর্সা হতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেই ফর্সা হওয়ার খাবার সম্পর্কে।

ফলমূল
ফর্সা হওয়ার জন্য আপনি বেশিভাগ ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে পারেন। ভিটামিন সি যুক্ত খাবার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়তা করে এবং ত্বক ভেতর থেকে ফর্সা করে। যেমন পেঁপে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার তাই ত্বক ফর্সা করার জন্য এবং ত্বকের দাগ দূর করার জন্য পেঁপে খেতে পারেন। ত্বক ফর্সা করার জন্য স্ট্রবেরি খেতে পারেন। 

স্ট্রবেরিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। আর এই উপাদান গুলো ত্বক ফর্সা করতে সহায়তা করে। ত্বক ফর্সা করার জন্য আপনি কাঁচা হলুদ খেতে পারেন। কাঁচা হলুদের মধ্যে ত্বক ফর্সা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের উপাদান রয়েছে। এছাড়া ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য আপনি লেবু খেতে পারেন। লেবুর মধ্যে ভালো পরিমানে ভিটামিন সি থাকে। ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

শাকসবজি
ভেতর থেকে ত্বক ফর্সা করার জন্য শাকসবজি ও খুব গুরুত্বপূর্ণ। শাকসবজি ভেতর থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়তা করে। যেমন গাজরের মধ্যে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন। তাই আপনি যদি গাজর রান্না করে কিংবা চিবিয়ে খান তাহলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং ত্বকের রং ফর্সা হয়। 

ত্বক ফর্সা করার জন্য আপনি বিট রুট খেতে পারেন। বিটরুট ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং রক্ত পরিষ্কার করে। ত্বক ফর্সা করার জন্য টমেটো একটি ভালো উৎস হতে পারে। । টমেটোর মধ্যে রয়েছে লাইকোপিন অ্যাসিড। আর এই উপাদানটি আপনার ত্বকের কালচে ভাব দূর করে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করার জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে। ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং বায়োটিন। তাই প্রতিদিন ডিম খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ার জন্য আপনি মাছ খেতে পারেন। 

মাছের মধ্যে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে। এছাড়া ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য আপনি বাদাম খেতে পারেন। বাদামের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই এবং বায়োটিন। যা আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। 

মিষ্টি আলুর মধ্যে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন। তাই ভেতর থেকে ত্বকে উজ্জ্বল করার জন্য মিষ্টি আলু খেতে পারেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য আপনি দুগ্ধ জাত পণ্য খেতে পারেন। কারণ দুধের মধ্যে রয়েছে ল্যাকটিক অ্যাসিড। আর এই ল্যাকটিক এসিড আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
উপরের এই খাবারগুলো ছাড়াও আপনি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে পারেন। পানি শরীরকে ভেতর থেকে আর্দ্রতা যোগায় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এছাড়া আপনি যদি উপরের এই উপকরণ গুলোর পেস্ট তৈরি করে মুখের ত্বকে ব্যবহার করেন এতেও আপনার উজ্জ্বলতা অনেক গুণ বৃদ্ধি পাবে। আশা করি কি কি খাবার খেলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে সে সম্পর্কে একটি ভালো ধারণা পেয়েছেন।

কম দামে ফর্সা হওয়ার ক্রিম

কম দামে ফর্সা হওয়ার ক্রিম সম্পর্কে আপনার যদি জানার আগ্রহ থাকে তাহলে অবশ্যই বাজার থেকে এমন কিছু পণ্য বেছে নিতে হবে যা কার্যকারিতা অনেক ভালো কিন্তু একইসঙ্গে দাম অনেক কম। বর্তমান বাজারে ফর্সা হওয়ার জন্য অনেক ধরনের ক্রিম পাওয়া যায় তবে দাম অনেক বেশি হয়ে থাকে।
কম দামে ফর্সা হওয়ার ক্রিম
তবে কিছু কিছু ক্রিম রয়েছে যেগুলো কম দাম কিন্তু কার্যকারিতা অনেক বেশি। আজকে আপনাদের কিছু কিছু ক্রিম সম্পর্কে জানাবো যেগুলোর মূল্য অনেক কম কিন্তু আপনার ত্বক ফর্সা করার জন্য খুবই ভালো কাজ করবে।

  • "Bella vita organic papiblem pigmentation blemish cream" এই ক্রিমটি আপনি বাজারে ৬৫০ টাকা কিংবা ৭০০ টাকার ভিতরে পেয়ে যাবেন। এই ক্রিমটি পেঁপে এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ ক্রিম। এই ক্রিমটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং হাইপারপিগমেন্টেশন কমাতে সহায়তা করে।
  • "Chandni whitening cream" এই ক্রিমটি আপনি বাজারে ২০০ থেকে ২২০ টাকার ভেতরে পেয়ে যাবেন। এই ক্রিমটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে এবং সাথে সাথে ত্বকের ভেতরের কালো দাগ ও চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে সহায়তা করে। এই ক্রিমটির মূল্য খুব কম দাম হলেও আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে খুবই কার্যকরী।
  • "Due beauty cream" এই ক্রিমটি আপনি বাজারে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকার ভেতরে পেয়ে যাবেন। এই ক্রিমটি আপনার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, ত্বকে মশ্চারাইজারের কাজ করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
  • "Golden pearl beauty cream" এই ক্রিমটি আপনি বাজারে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকার ভেতরে পেয়ে যাবেন। এই ক্রিমটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে এবং কালো দাগ দূর করবে।
  • "Garnier Skin Natural Light Complete Serum Cream" এই ক্রিমটি আপনি ২৫০ টাকা থেকে ২৭০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। এই ক্রিমটি আপনার ত্বকের উপরের দাগ দূর করবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে।
  • "Noor Herbal Beauty Cream" এই ক্রিমটি আপনি ১৮০ থেকে ২০০ টাকার ভেতরে পেয়ে যাবেন। আপনি যদি খুব কম দামে নিজের ত্বককে উজ্জ্বল করতে চান তাহলে অবশ্যই এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন।
  • "Newface Whitening Cream" এই ক্রিমটি আপনি ২৫০ থেকে ২৭০ টাকার ভেতরে পেয়ে যাবেন। এই ক্রিমটি আপনার ত্বককে ফর্সা করে ও মসৃণ করে।
আপনি যদি কমদামের ভিতরে ভালো ক্রিম ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করতে পারেন। উপরের এই ক্রিম গুলো কম দামের ভিতরে খুবই কার্যকরী ক্রিম। তবে আমি মনে করি বিভিন্ন ধরনের ক্রিম এর ভেতরে অনেক বেশি কেমিক্যাল থাকে। তাই ঘরোয়া কিংবা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত।

লেখক এর মন্তব্য - ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায়

আপনি যদি ত্বকের ক্ষতি না করে ত্বককে দ্বিগুণ ভাবে ফর্সা করতে চান তাহলে অবশ্যই উপরের পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করতে পারেন। ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়ার উপায় এবং প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে যদি আপনার জানা হয়ে থাকে তাহলে এই উপকরণগুলো দিয়ে আপনি সহজে আপনার ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। 

এছাড়া হাতে যদি খুব কম সময় থাকে তাহলে ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম সম্পর্কে জেনে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই আমি একটি কথা বলবো আপনি কখনোই বাজার থেকে সস্তা দামে কোন ফর্সা হওয়ার ক্রিম ব্যবহার করবেন না। এতে আপনার ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হবে এমনকি ত্বকের ভেতরে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যায়। তাই অবশ্যই বাজার থেকে কম দামে ক্রিম কিংবা কেমিক্যাল পণ্য ব্যবহার না করে ঘরোয়া পদ্ধতির টিপস গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
প্রিয় পাঠক আমাদের এই ত্বকের যত্ন আর্টিকেলটি যদি আপনি পড়ে অনেক বেশি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার প্রিয়জনদের সাথে আমাদের এই আর্টিকেলটি শেয়ার করুন। আর আমাদের আর্টিকেল সম্পর্কে আপনার যদি কোন মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আজকে তাহলে এ পর্যন্তই। আবার দেখা হবে অন্য কোন আর্টিকেলে। আর আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের আর্টিকেলে আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করার জন্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি অনলাইন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url