গর্ভাবস্থায় ডেউয়া ফল খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় ডেউয়া ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব। আপনাদের মধ্যে যারা এ বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না তারা আশা করি গুগলে সার্চ করে এই পর্যন্ত এসেছেন। যেহেতু এসেছেন সেহেতু এই আর্টিকেল একদম সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন। তাহলে আশা করি আপনারা সকলেই সঠিক তথ্য পেয়ে যাবেন।
গর্ভাবস্থায় ডেউয়া ফল খাওয়ার উপকারিতা
যদি আপনারা এই ব্লগটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারেন, তাহলে আশা করি ডেউয়া ফলের বিচির উপকারিতা, ডেউয়া ফল কখন হয়, ডেউয়া ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, ডেউয়া ফল খাওয়ার উপকারিতা, ডেউয়া ফল খাওয়ার অপকারিতা, ডেউয়া ফল কিভাবে খায়, সকল বিষয়ে সঠিকভাবে জেনে যাবেন।
পেজ সূচিপএ

গর্ভাবস্থায় ডেউয়া ফল খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় ডেউয়া ফল খাওয়ার উপকারিতা কি কি রয়েছে এ বিষয়টি জানার জন্য অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। প্রত্যেকটা গর্ভবতী মায়েদের খাবারের প্রতি সবসময় খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সময় স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় ডেউয়া ফল খাওয়া যাবে কি না এই নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। 

যেহেতু ডেউয়া ফল অনেক পরিচিত না বা কমন না সেহেতু এটি গর্ভাবস্থায় খাওয়া যাবে কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় না। কারণ এটি অধিক মাত্রায় খাওয়ার ফলে গর্ভবতী মায়েদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তৈরি হতে পারে। তবে এই ফলটি একটি দেশীয় ফল বলে অনেকেই স্বাস্থ্যসম্মত বলে খেয়ে থাকেন। হ্যাঁ এটি স্বাস্থ্যসম্মত। 
এতে পরিমাণ মতো ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ রয়েছে তাই এই ফল গর্ভাবস্থায় খেলে উপকার পাওয়া যাবে। তবে যারা গর্ভবতী রয়েছেন তারা একটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, সেটি হলো ডেউয়া ফলটি কখনো বিকেলে বা সন্ধ্যায় খাবেন না। এটি খাওয়ার নির্দিষ্ট সময় হল সকালে ১০ঃ ৩০ মিনিট থেকে ১১ঃ০০ টা। 

যদি আপনারা এই সময় খেতে পারেন তাহলে আশা করা যায় আপনি এই ফলটি থেকে পর্যাপ্ত পুষ্টিগুণ পাবেন। আর অন্যান্য সময় খেলে আপদের গ্যাসের সমস্যা কিংবা বমি বমি ভাব হতে পারে। আশা করি গর্ভাবস্থায় ডেউয়া ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে উপকৃত হয়েছেন।

ডেউয়া ফলের বিচির উপকারিতা

ঢেউয়া ফলের বিচির উপকারিতা অনেক কারণ ডেউয়া খুবই জনপ্রিয় একটি ফল। এই ফলের প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। শুধু যে ডেউয়া ফলের উপকারিতা রয়েছে তা নয়, এই ডেউয়া ফলের বিচিরও অনেক উপকারিতা রয়েছে যা হয়তো আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানেন না। 

ডেউয়া ফলের বিচির উপকারিতা জানতে হলে এই আর্টিকেলের অংশটুকু একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন। তাহলে আশা করি আপনারা সকলেই ডেউয়া ফলের বিচির কি কি স্বাস্থ্যকর উপকারিত রয়েছে তার সঠিকভাবে জেনে যাবেন। তবে চলুন আর দেরি না করে বিস্তারিত তথ্য সঠিকভাবে জেনে নিন।
  • যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে বা হজম শক্তি কম তারা চাইলে ডেউয়া ফলের বিচি খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। ডেউয়া ফলের বিচি খেলে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি সাহায্য করবে।
  • এছাড়াও যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তারাও চাইলে ডেউয়া ফলের বিচি খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে না খেয়ে পরিমাণমতো ফলটি খাওয়ার পাশাপাশি দেওয়া ফলের বিচি খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসা সম্ভব।
  • অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন কারণে ত্বকের সঠিক যত্ন নিতে পারেন না। ব্যস্ততার কারণে দিনের পর দিন ত্বকের যত্ন না নেওয়ার কারণে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। তবে আপনি যদি একটু সময় করে ডেউয়া ফল খাওয়ার পাশাপাশি সেই ফলটির বেশি খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন তাহলে আশা করা যায় আপনার ত্বকের যত্নে অনেক বেশি সাহায্য করবে।
  • ডেউয়া ফলের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, এবং প্রাকৃতিক তেল রয়েছে, যা দেহের টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। এটি রক্ত পরিষ্কার করতে কার্যকর এবং হজমপ্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সহায়তা করে।
  • ডেউয়া ফলের বিচি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
  • এছাড়া, ডেউয়া বিচির তেল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং ব্রণের সমস্যা দূর করতে সহায়ক।
  • ডেউয়া ফলের বিচি পিষে গুঁড়ো করে বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষুধে ব্যবহার করা হয়। এতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। পাশাপাশি, এই বিচি চুলের যত্নেও ব্যবহৃত হয়, কারণ এটি চুলের গোড়া মজবুত করে এবং খুশকি কমায়।
  • সুন্দর ত্বক, শক্তিশালী চুল এবং সুস্থ দেহের জন্য ডেউয়া ফলের বিচি একটি প্রাকৃতিক সমাধান। তাই প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে ডেউয়া বিচি নিয়ে নতুন করে ভাবা জরুরি। তাহলে আপনারা আশা করি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন গর্ভাবস্থায় ডেউয়া ফল খাওয়ার উপকারিতার পাশাপাশি ডেউয়া ফলের বিচির উপকারিতা সম্পর্কে।

ডেউয়া ফল কখন হয়

ডেউয়া ফল কখন হয়? এই প্রশ্নটি যারা করেছেন তারা এই ব্লগের অংশটুকু মনোযোগ দিয়ে পড়লে আশা করি সঠিকভাবে জেনে যাবেন। ডেউয়া ফল খেতে যেমন পুষ্টিকর ঠিক তেমনি এর গুনাগুনও অনেক বেশি। এই ডেউয়া ফল কাঁচা থাকতে সবুজ রঙের হয়ে থাকে এবং পাকলে হলুদ বর্ণের হয়। এর ভিতরের যে শাঁস গুলো রয়েছে সেগুলো লালচে হলুদ কালার হয়ে থাকে। 
এই ডেওয়া ফলের ভেতরে থাকে কাঁঠালের ছোট কুয়ার মত কোষ এবং তার প্রত্যেকটা কোষের ভেতরে থাকে ছোট ছোট বীজ। যেগুলোকে সাধারণত ডেউয়া ফলের বিচি বলা হয়। ডেউয়া গাছে সাধারণত মার্চ মাসে ফুল আসে এবং আগস্ট মাসের দিকে এই ডেউয়া ফল পাকতে শুরু করে। এই গাছটি রোপন করার উপযুক্ত সময় হল বর্ষাকালে। বর্ষাকালে আপনি আগস্ট মাসে ইনশাল্লাহ ফল পাবে। আসুন এবার জেনে নিন ডেউয়া ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

ডেউয়া ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা 

ডেউয়া ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে এই ব্লগটি একদম সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। কারণ এখানে যে বিষয়গুলো আলোচনা করা হবে তা অবশ্যই আপনার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 
ডেউয়া ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
তাই তাড়াহুড়ো না করে অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে পড়া চেষ্টা করবেন। তাহলে ডেউয়া ফল খাওয়ার কি কি উপকারিতা এবং অপকারিতা রয়েছে তার সঠিকভাবে জানতে পারবেন। তাই আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।

ডেউয়া ফল খাওয়ার উপকারিতাঃ

চুল ভালো রাখতেঃ ডেউয়া ফল চুল ভালো রক্তে অনেক বেশি সাহায্য করে। কারণ এই ফলটিতে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি রয়েছে তাই এই দুটি ভিটামিন চুলের জন্য বিশেষ উপকারে। যদি আপনারা চুল ভালো রাখতে চান তাহলে প্রতিনিয়ত দেওয়া ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন। আশা করি আপনার চুলের গোড়া অনেক মজবুত ও ঘন হবে।

পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখতে সাহায্য করেঃ অনেকেরই পরিপাকতন্ত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয় তবে এই সমস্যা এড়াতে ডেউয়া ফল অত্যন্ত উপকারী। যদি আপনারা ডেউয়া ফল খেতে পারেন, তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা এবং বদহজমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে। কারণ এতে থাকা ফাইবার এ ধরনের সমস্যা এড়াতে সাহায্য করে।

দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতেঃ যাদের দৃষ্টি শক্তি দুর্বল অর্থাৎ চোখের সমস্যা রয়েছে তারা চাইলে ডেউয়া ফল খেতে পারেন। কারণ এটি খাওয়ার ফলে দৃষ্টিশক্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে, তাই এই ফলটি খাওয়ার ফলে রাতকানা রোগের আশঙ্কা কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করবে।

লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করেঃ লিভার ভালো রাখার জন্য অনেকেই বিভিন্ন খাবার খাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে অন্যান্য খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আপনারা চাইলে লিভার ভালো রাখতে ডেউয়া ফল খেতে পারেন। কারণ এই ফলে এন্টি-ইনফ্লামেটরি এবং এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা লিভার সুস্থ রাখতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে। আপনারা চাইলে এই ডেউয়া ফল কাঁচা অথবা পাকা দুটো অবস্থায় খেতে পারেন। (ইচ্ছা)

মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করেঃ অনেক সময় বিভিন্ন কারণে মানসিক চাপ হয়ে থাকে যেমন পারিবারিক সমস্যা, টেনশন, বিষন্নতা ইত্যাদি। তবে এই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে ডেউয়া ফল। যদি আপনারা ডেউয়া ফল প্রতিদিন খেতে পারেন, তাহলে ডেউয়া ফলে থাকা পুষ্টি উপাদান আপনার রক্ত সঞ্চালন করতে সাহায্য করবে। আর এর ফলে আপনার মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে ইনশাআল্লাহ।

পেট পরিষ্কার রাখতেঃ এছাড়াও যদি আপনারা পেট পরিষ্কার রাখতে চান তাহলে কাঁচা ডেউয়া ফল ৮ থেকে ১০ গ্রাম বেটে নিয়ে হালকা কুসুম গরম পানিতে মিশ্রন করে যদি সকালে খালি পেটে খেতে পারেন, তাহলে আশা করা যায় আপনার পেট পরিষ্কার থাকবে।

দাঁত ও হাড় ক্ষয়রোগ প্রতিরোধ করতেঃ এই ডেউয়া ফলে যে পুষ্টি উপাদানগুলো রয়েছে এটি আপনার দাঁত ও হাড় ক্ষয়রোগ প্রতিরোধ করতে অনেক বেশি সাহায্য করবে। তাই যাদের দাঁতের বা হাড়ের সমস্যা রয়েছে তারা ডেউয়া ফল খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।

ডেউয়া ফল খাওয়ার অপকারিতা

ডেউয়া ফল, যা বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় মৌসুমি ফল হিসেবে পরিচিত, এর টক-মিষ্টি স্বাদের জন্য অনেকের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলটিতে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এবং খনিজ পদার্থ যা শরীরের জন্য উপকারী। তবে, অতিরিক্ত বা অনিয়ন্ত্রিতভাবে ডেউয়া ফল খাওয়ার ফলে কিছু অপকারিতাও হতে পারে, 

যা আমাদের দেহের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই এই ফল খাওয়ার আগে এর সম্ভাব্য ক্ষতিকর দিকগুলো জানা জরুরি। তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে ডেউয়া ফল খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
  • ডেউয়া ফলে উচ্চমাত্রায় ফাইবার থাকায় এটি হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তবে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পেটে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, এবং ডায়রিয়া হতে পারে।
  • ডেউয়া ফলে প্রাকৃতিক চিনি থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই ফলের মাত্রাতিরিক্ত সেবন রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
  • এই ফল খাওয়ার পর পানি পানের ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, কারণ এটি ঠাণ্ডা জনিত সমস্যার কারণ হতে পারে। বিশেষত শিশু এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে ডেউয়া ফল খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
  • যদি আপনারা সতর্কভাবে এবং পরিমাণমতো ডেউয়া ফল খেতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনারা উপকার পাবেন তবে অতিরিক্ত পরিমাণে না খেয়ে পরিমাণমতো খাওয়ার চেষ্টা করবেন এতে করে আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। আশা করি ডেউয়া ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে উপকৃত হয়েছেন। আসুন এবার জেনে নিন খালি পেটে ডেউয়া ফল খেলে কি হয়।

খালি পেটে ডেউয়া ফল খেলে কি হয়

খালি পেটে ঢেউয়া ফল খেলে কি হয় সে সম্পর্কে আপনার মনে যদি প্রশ্ন থাকে তাহলে আমি বলব ডেউয়া ফল খালি পেটে খেলে তেমন কোনো উপকার নেই। তবে, আপনি যদি ভরা পেটে খান তাহলে অনেক বেশি উপকার পাবেন। তবে যদি আপনারা ডেউয়া ফল ৮ থেকে ১০ গ্রাম এবং হালকা কুসুম গরম পানি একসঙ্গে মিশ্রণ করে সকালে খালি পেটে খেতে পারেন তাহলে আশা করা যায় আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর দূর হয়ে যাবে।

এছাড়াও যদি আপনারা খালি পেটে ডেউয়া ফল না খেয়ে ভরা পেটে খেতে পারেন, তাহলে এটি আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করবে এবং হৃদরোগের যোগী কমাতেও সাহায্য করবে। অনেক সময় দেখা যায় মুখের অরুচি ফেরাতে বিভিন্ন খাবার গ্রহণ করেন কিন্তু অন্যান্য খাবার খাওয়ার পাশাপাশি ডেউয়া ফলের রস এবং লবণ ও গোলমরিচের গুঁড়া একসঙ্গে মিশ্রণ করে যদি খাওয়ার আগে খেতে পারেন তাহলে আশা করা যায় আপনার মুখের রুচি অনেকটাই ফিরে আসবে।

এছাড়াও যদি আপনার পেটে বায়ু জমে তাহলে ডেউয়া ফলের রস খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। ডেউয়া রস দেড় চামচ এবং হাফ কাপ পানি ও সামান্য পরিমাণে চিনি মিশ্রণ করে প্রতিদিন যেকোনো সময় খেলে অনেক বেশি উপকার পাবেন। এইভাবে এক সপ্তাহ খেলে আপনার পুরোপুরি সমস্যা ইনশাল্লাহ দূর হয়ে যাবে।

ডেউয়া ফল কিভাবে খায়

ডেউয়া ফল কিভাবে খায় সে সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। ডেউয়া ফল আমাদের বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ফল। এই ফলটি টক-মিষ্টি স্বাদ এবং নরম টেক্সচারের কারণে এটি ছোট বড় সবাই পছন্দ করেন। এই ফলটিতে ভিটামিন সি ভিটামিন এ ফাইবার এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে মানুষের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। ডেউয়া ফল সাধারণত সরাসরি খাওয়া হয়। 
তবে এটি দিয়ে আচার, চাটনি বা জুসও তৈরি করা যায়। এই ফল খাওয়ার সঠিক উপায় এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানলে, এর স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ দুটোই আরও ভালোভাবে উপভোগ করা যাবে। এই ব্লগে জানুন ডেউয়া ফল কিভাবে খায় বা খাওয়া যায়।
  • প্রথমে আপনাকে ডেউয়া ফলগুলো ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
  • এরপর ডেউয়া ফলের ওপরে যে খোসাগুলো রয়েছে সেগুলো ভালোভাবে ছাড়িয়ে তারপর মরিচ এবং লবণ নিন।
  • তারপর মরিচ এবং লবণ ভালোভাবে কুচি করে কেটে নিয়ে তারপর বিট লবণ ও চিনি মিশ্রণ করুন।
  • সবকিছু দেওয়া হয়ে গেলে আবারও ভালোভাবে ডেউয়া ফল ভেঙে সবকিছু দিয়ে মিশ্রণ করে নিন।
  • তারপর কাসুন্দি দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল একটি ভর্তা রেসিপি। বিশেষ করে এটি খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। এটি খেলে আশা করি আপনারা অনেক মজা পাবেন।

ডেউয়া গাছের বৈশিষ্ট্য

ডেউয়া গাছের বৈশিষ্ট্য হল বহু শাখা ও প্রশাখা বৈশিষ্ট্য। এই ডেউয়া ফলের গাছের আকৃতি অনেক বড় আকারের হয়ে থাকে। প্রায় ২০ থেকে ২৫ ফুট উঁচু এই ডেউয়া ফলের গাছ। এর ছাল ধূসর বাদামী রঙের হয়ে থাকে এবং গাছের ভেতরে থাকে সাদাটে কষ কিংবা আঠা। 
ডেওয়া গাছের বৈশিষ্ট্য
ফলের গাছের পাতা ৬ থেকে ১২ ইঞ্চি লম্বা হয় এবং চার থেকে সাত ইঞ্চি চড়া হয়। এই গাছের স্ত্রী ও পুরুষ ফুল আলাদা হয় এবং স্ত্রী ফুলগুলো আকারে অনেকটা বড় হয় এবং বোঁটা ছোট ও মসৃণ হয়ে থাকে। এই ডেউয়া ফলের গাছের ফুলের পাপড়ি নেই ছোট গুটির মত। আর যেগুলো স্ত্রী ফুল রয়েছে সেখান থেকে দেওয়া ফল হয়। যা কাঁঠালের মত একগুচ্ছ ভাবে হয়ে থাকে। তথ্যসূত্রঃ https://bn.wikipedia.org/

শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় ডেউয়া ফল খাওয়ার উপকারিতা

প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে গর্ভাবস্থায় ডেউয়া ফল খাওয়ার উপকারিতা এবং ডেউয়া ফলের বিচির উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আশা করি আপনারা সকলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে অনেক উপকৃত হয়েছেন। যদি আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ে কোন মতামত বা প্রশ্ন জানানো থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানিয়ে দেবেন। আর নিয়মিত এই ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন। (ধন্যবাদ)

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি অনলাইন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url