দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধের ঔষধ

আপনি কি দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধের ঔষধ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? যদি আপনারা দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধ করতে চান তাহলে কি কি ওষুধ আপনাদের জন্য উপকারী তা নিয়েই আজকের এই আর্টিকেল। তাই আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।
দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধের ঔষধ কি জেনে নিন
যদি আপনারা সম্পূর্ণ আর্টিকেল একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে দাঁতের মাড়ির ক্ষয় রোধে করণীয় কি এ বিষয়টি জানার পাশাপাশি আরও বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে যাবেন। তাই আর কথা না বাড়িয়ে চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
পেজ সূচিপএ

দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধের ঔষধ

দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধের ঔষধ রয়েছে বিভিন্ন রকম। দাঁতের মাড়ি ক্ষয় একটি সাধারণ সমস্যা যা সময়মতো প্রতিরোধ না করলে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। মাড়ি ক্ষয়ের মূল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে সঠিকভাবে দাঁত পরিষ্কার না করা, মাড়ির ইনফেকশন, এবং অতিরিক্ত ময়লা জমা। 

তবে যদি আপনি সঠিক চিকিৎসা এবং দাঁতের সঠিক যত্ন করতে পারেন তাহলে আশা করা যায় দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হওয়া থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব হবে। আজকের এই আর্টিকেলে দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধের ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যে ওষুধগুলো আপনার দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধে বিশেষভাবে সাহায্য করবে।

ক্লোরহেক্সিডিন মাউথওয়াশঃ ক্লোরহেক্সিডিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিসেপটিক যা মুখের ব্যাকটেরিয়া কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে। এটি মাড়ির সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর। তবে ক্লোরহেক্সিডিন মাউথওয়াশ ব্যবহার করার আগে অবশ্যই দাঁতের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

ফ্লুরাইড টুথপেস্টঃ ফ্লুরাইডযুক্ত টুথপেস্ট দাঁতের এনামেলকে মজবুত করে এবং ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে। যদি আপনারা এটি প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন তাহলে দাঁত এবং মাড়ি সুরক্ষিত থাকবে।

অ্যান্টিবায়োটিক জেলঃ যদি আপনার বাড়িতে কোন রকম ইনফেকশন হয় তাহলে এটি দ্রুত কমাতে এন্টিবায়োটিক জেল ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এটি আপনার দাঁতের ইনফেকশন কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে। এটি সরাসরি আপনার মাটিতে প্রয়োগ করবেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন। আশা করি দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধের ঔষধ সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পেরেছেন। 

দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধে করণীয়

দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধে করণীয় কি? দাঁতের ক্ষয় নিয়ে দুশ্চিন্তার আর শেষ নেই। প্রতিদিন সকালে উঠে কিংবা রাতে ঘুমানোর আগে অনেকেই দাঁত ব্রাশ করেন না। তবে একটা কথা অবশ্যই মনে রাখবেন যদি আপনাদের এরকম বাজে অভ্যাস থাকে তাহলে অবশ্যই আজকে থেকেই চেঞ্জ করে নিন। কারণ সকালে উঠে কিংবা রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করা খুবই জরুরী। 
তবে এগুলো জানা সত্ত্বেও অনেকেরই দাঁতের ক্ষয় কিংবা মাড়িতে ব্যথা ইত্যাদি ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। কিছু গবেষকরা জানিয়েছেন হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ভিটামিন এ মিনারেল ভিটামিন ডি এগুলোর অভাবে দাঁতের ক্ষয়ের সমস্যা হয় তবে দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধে করণীয় কি জেনে নিন।

পুষ্টিকর খাবারঃ যদি আপনারা ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করেন তাহলে দাঁতের জন্য খুবই উপকারী হবে। এ সকল খাবারগুলোতে থাকা ফ্যাট সলিউবল প্রকৃতি দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে অনেক বেশি সাহায্য করে।

টুথপেস্টঃ বেজোস উপাদানে তৈরি এমন প্রচুর আয়ুর্বেদিক টুথপেস্ট রয়েছে যেগুলো দাঁত ক্ষয় রোধ করতে অনেক বেশি ব্যবহার করা হয়। আপনারা চাইলে এই সকল টুথপেস্টগুলো দাঁতের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে অনেক বেশি উপকার পাবেন।

মিষ্টিঃ মিষ্টি জাতীয় যে সকল খাবারগুলো রয়েছে সেগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কারণ এই খাবারগুলো দাঁতের ক্ষয়ের পরিমাণ অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই এই জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।

দাঁত পরিষ্কার রাখাঃ রাতে খাবার খাওয়ার পর এবং সকালে খাওয়া দাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করা খুবই জরুরী। এক্ষেত্রে আপনাদের দাঁতের জন্য নরম টুথব্রাশ ব্যবহার করাটাই অনেক ভালো। তবে একটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন দাঁত ব্রাশ করার সময় জিহ্বা পরিষ্কার করবেন। আশা করি দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধে করণীয় কি এই সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

দাঁতের গোড়ায় ইনফেকশন হলে করণীয়

দাঁতের গোড়ায় ইনফেকশন হলে করণীয় সম্পর্কে আমাদের সকলেরই ভালোভাবে জানা উচিত। দাঁতের বিষয়ে অনেক মানুষই সচেতন নন। দাঁতের কোন সমস্যা হলে অনেকেই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে দেরি করেন। 

কেউ কেউ রয়েছে যারা মাসে কিংবা বছরে দাঁতের রোগের নানা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানেন না। তবে চিকিৎসকের মতে যদি আপনার দাঁতের গোড়ায় কোন ইনফেকশন হয় বা কখনো ব্যথা হয় তাহলে এটি হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। 
দাঁতের গোড়ায় ইনফেকশন হলে করণীয় কি জেনে নিন
কিছু গবেষকরা বলেছেন যদি দাঁতের জীবনের সংক্রমণ দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে এখান থেকে বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই দাঁতের গোড়ায় ইনফেকশন হলে করণীয় কি তা অবশ্যই জানা জরুরী। তাই আসুন আর দেরি না করে জেনে নিন।

দাঁতের গোড়ায় ইনফেকশন হলে সবার প্রথমে আপনাকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এবং উনি আপনার দাঁত পর্যবেক্ষণ করে দেখবেন দাঁত ও নারীর কতটা অংশে ইনফেকশন হয়েছে। এরপর যদি কোন পরীক্ষা করা পরামর্শ দেন তাহলে সবার প্রথমে আপনাকে এক্স-রে করে নিতে হবে। তারপর ওপিজি এক্স-রে আপনার দাঁতে ও চোয়ালের বেড়ে যাওয়া সংক্রমণ পর্যায়ের জন্য করতে হবে। 

যদি দাঁতের গোড়ায় ইনফেকশন হয় যত দ্রুত সম্ভব দাঁতের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা করতে হবে। এরপর প্রতিদিন দুইবার দাঁত মাজতে হবে। যদি এই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করার পরেও সঠিক সমাধান না পাওয়া যায় তাহলে অ্যান্টিবায়োটিক এর সাথে চিকিৎসা পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করতে হবে যেগুলো হলঃ-

  • পুঁজ ভর্তি ফোঁড়া যদি আপনার দাঁতে গঠিত হয় তাহলে এটি ব্যথা কমাতে চিকিৎসক ফোঁড়াগুলি থেকে পুঁজ বের করে দেন। 
  • এরপর চিকিৎসক রুট ক্যানেল পদ্ধতির মাধ্যমে বাড়িতে ছড়িয়ে থাকা সংক্রমণ এবং জমা হওয়া পুঁজ-গুলো বের করেন। মূলত দাঁতের গোড়ায় ইনফেকশন হলে এ ধরনের করণীয় গুলোই ডাক্তারেরা করে থাকেন। যা আশা করি আপনারা সঠিকভাবে বুঝতে পেরেছেন।

দাঁতের ক্যাভিটি দূর করার উপায়

দাঁতের ক্যাভিটি দূর করার উপায় কি এই সম্পর্কে যদি আপনার না জানা থাকে তাহলে আজকের এই আলোচনা মাধ্যমে সঠিক তথ্য জেনে নিন। দাঁতের সমস্যায় কম বেশি অনেক মানুষ ভোগেন। দাঁতের মাড়ির সমস্যার পাশাপাশি আর একটি সমস্যা হলো ক্যাভিটি। শিশু থেকে শুরু করে বয়স্কদের দাঁতেও দেখা যায় কালো কালো গর্ত। আমারও তো এইগুলোকেই কেভিটি বলা হয়। এটি সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে। 
প্রতিবার খাওয়ার পর দাঁত পরিষ্কার না করলে কিংবা দাঁতের মধ্যে খাবার জমে থাকলে এই ক্যাভিটি হয়ে থাকে। তবে এটি দূর করার জন্য কি কি উপায় অবলম্বন করা উচিত তা অনেকেই জানেন না। তাইতো বন্ধুরা আপনাদের সুবিধার্থেই আজকে আমি আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। তাই চলুন আর কথা না বলে আপনাদের জানিয়ে দিই।

  • যদি আপনারা দাঁতের কাব্যটি থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে ভিটামিন ডি খেতে পারেন। বিশেষ করে যে সকল দুগ্ধজাত খাবারগুলো রয়েছে সেগুলো নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
  • এছাড়াও যদি আপনার দাঁতে কেভিটি হয় তাহলে লবঙ্গের তেল দিনে দুই থেকে তিনবার লাগিয়ে রাখুন। অন্তত দিনে দুই থেকে তিনবার লাগিয়ে রাখলে ব্যথা কমে যাবে। তার কারণ হলো লবঙ্গে এন্টি ইনফ্লামেটরি ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে ঠিক সে কারণেই এটি দাঁতের জন্য উপকারী।
  • যদি আপনারা দাঁতের সুস্থ বজায় রাখতে চান তাহলে প্রতিনিয়ত এক টুকরো করে রসুন খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ রসুন দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে অনেক বেশি সাহায্য করে। শুধু তাই নয় এটি ব্যাকটেরিয়া দূর করতেও সাহায্য করে।
  • এছাড়াও লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড আপনার দাঁতের ব্যথা দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করবে। যদি আপনারা কোন কিছু খাওয়ার কিছুক্ষণ পর লেবুর টুকরো চিবিয়ে খেতে পারেন তাহলে দাঁতের ক্ষয় রোধ হবে এবং হজমে সাহায্য করবে।
  • এছাড়াও যদি আপনার দাঁতে কোনরকম সমস্যা হয় তাহলে সেটি সমাধান করতে এক গ্লাস গরম পানি এবং সামান্য লবন মিশ্রণ করে গার্গল করুন। আশা করি আপনার দাঁতের আঠালো ভাব দূর করতে অনেক বেশি সাহায্য করবে।

কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁত ক্ষয় হয়

আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানতে চেয়েছেন কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁত ক্ষয় হয়? বন্ধুরা নানা কারণে দাঁতের ক্ষয় হতে পারে। তবে সাধারণত কিছু হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং খাদ্য তালিকায় খনিজ ও ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ডি এর অভাবে দাঁত ক্ষয় বেশি হয়। এছাড়াও আরো বিভিন্ন কারণে দাঁতের ক্ষয় হতে পারে। যেমন দীর্ঘদিন দাঁত ব্রাশ না করা। যদি আপনারা দীর্ঘদিন দাঁত ব্রাশ না করেন তাহলে দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

দাঁতের মাড়িতে ঘা হয় কেন

দাঁতের মাড়িতে ঘা হয় কেন? দাঁতের মাড়িতে ঘা বা আলসার একটি পরিচিত এবং সাধারণ সমস্যা, যা আমাদের মুখের স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলতে পারে। এটি মূলত মাড়ির কোষের ক্ষত থেকে সৃষ্টি হয় এবং কখনো কখনো ব্যথা, লালচে ভাব, এবং খাবার খেতে বা কথা বলতে অসুবিধার কারণ হতে পারে। দাঁতের মাড়িতে ঘা হওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, যা নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। 

তাই আপনাদের কথা চিন্তা করে আজকে আমি এই আর্টিকেলের অংশটুকুতে দাঁতের মাড়িতে ঘা হয় কেন এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই আপনাদের যাদের এ ধরনের সমস্যা রয়েছে তার অবশ্যই এই ব্লগের অংশটুকু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

দাঁতের মাড়িতে ঘা হওয়ার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ-

মাড়ির সংক্রমণঃ যদি আপনার দাঁতের মাড়িতে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয় তাহলে আপনার মাড়িতে ঘা হতে পারে।

ভিটামিন ও খনিজের অভাবঃ বিশেষ করে যদি আপনার ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-১২ এবং আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে মাড়ির ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে।

অতিরিক্ত চাপ বা আঘাতঃ শক্ত ব্রাশ ব্যবহার, দাঁতের মধ্যে শক্ত খাবার আটকে থাকা, বা দুর্ঘটনাজনিত আঘাত লাগার কারণে আপনার দাঁতের মাড়িতে ক্ষতের কারণ হতে পারে।

খাদ্যাভ্যাস ও অ্যালার্জিঃ অতিরিক্ত মশলাদার বা অ্যাসিডিক খাবার গ্রহণ, ধূমপান বা অ্যালকোহল সেবন করার ফলে আপনার দাঁতের মাড়িতে ঘা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

স্বাস্থ্যগত সমস্যাঃ ডায়াবেটিস, হরমোনের পরিবর্তন, অথবা কোনো দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণে মাড়িতে ঘা হতে পারে।

তবে যদি আপনি এই ধরনের সমস্যা থেকে প্রতিকার পেতে চান তাহলে প্রথমত আপনাকে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করতে হবে। অর্থাৎ সকালে এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করা অত্যন্ত জরুরী। এছাড়াও সুষম খাদ্য গ্রহণ করা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা জরুরী। যদি পারেন মাড়ির ঘা নিরাময়ে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া জরুরি, কারণ এটি দীর্ঘমেয়াদে আরও গুরুতর সমস্যার দিকে নিয়ে যেতে পারে।

দাঁতের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায়

দাঁতের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায়
  • দাঁতের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায় হলো প্রথমে আপনাকে কুসুম গরম পানি এবং সামান্য লবণ দিয়ে গার্গল করতে হবে এতে করে আপনার দাঁতের যে ক্ষতিকর ব্যাকটের এগুলো রয়েছে সেগুলো দূর হয় এবং দাঁত অনেক ভালো থাকে। 
  • এছাড়াও আপনারা চাইলে রাতের গর্ত দূর করতে মুখে এক টুকরো লেবু নিয়ে চিবাতে শুরু করতে পারেন। এরপর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে কুলিকুচি করবেন। এতে করে অনেকটা আরাম পাবেন। কারণ লেবুতে ভিটামিন সি রয়েছে যা দাঁতের জীবাণু ধ্বংস করতে অনেক বেশি সাহায্য।
  • এছাড়াও আপনারা চাইলে নিমকাঠি দিয়ে দাঁত মাজতে পারেন এতে করে আপনার দাঁত অনেকটা ভালো থাকবে। কারণ নিমে থাকা ফাইবার দাঁতের প্লাগ হতে দেয় না যদি আপনি কয়েকটা নিমপাতা চিবিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলেন তাহলে আপনার দাঁতের গর্ত অর্থাৎ ক্যাভিটি সারাতেও অনেক বেশি কাজে দেবে।
  • যদি পারেন তাহলে তিল কিংবা নারকেল তেল দশ মিনিট দাঁতে লাগিয়ে রাখুন। এরপর ভালোভাবে কুলি কুচি করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে যে, টিনের তেল দিয়ে যদি আপনারা মুখ খুলে খুশি করেন তাহলে মুখের ভেতরে যে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া গুলো রয়েছে সেগুলো দূর হয় এবং দাঁতের গর্ত দূর করতে সাহায্য করে।
  • কিংবা আপনারা চাইলে কেভিটি দূর করতে লবঙ্গ ব্যবহার করতে পারেন। কারণ লবঙ্গের মধ্যে রয়েছে এন্টি ইনফ্লামেটরি এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ক্যাভিটি (cavity) ছাড়াতে দেয় না ফলে দাঁত অনেক ভালো রাখে। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। 

শেষ কথাঃ দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধের ঔষধ

ইতিমধ্যে আপনারা যারা সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়েছেন আশা করি তারা সকলেই দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধের ঔষধ এবং দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধে করণীয় কি তা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আশা করি আপনারা সকলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে অনেক উপকৃত হয়েছেন। 
যেহেতু আপনারা উপকৃত হয়েছেন সেহেতু অবশ্যইএই আর্টিকেলে আপনাদের কেমন উপকার হয়েছে তা কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে যাবেন। শুধু তাই নয় আর্টিকেলটি অন্যদের মাঝে শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি অনলাইন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url