আমাশয়ে বেলের উপকার সম্পর্কে জানুন

আমাশয়ে বেলের উপকার সম্পর্কে আপনার যদি জানা না থাকে তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারেন। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়লে বেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আমাশয়ে বেলের উপকার
এই আর্টিকেলে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। বেল স্যুট খাওয়ার নিয়ম, সকালে খালি পেটে বেল খাওয়ার উপকারিতা, কাঁচা বেল খাওয়ার উপকারিতা, বেল খাওয়ার সঠিক সময়, বেলের পুষ্টিগুণ ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানতে অবশ্যই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পেজ সূচিপএ

আমাশয়ে বেলের উপকার

আমাশয়ে বেলের উপকার রয়েছে অনেক। আমাশয়ে বেল একটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। বেলের মধ্যে রয়েছে এন্টি ইনফ্লেমেটরি ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণাবলী। আর এই গুণাবলী গুলো আমাদের আমাশয় খুব সহজে ভালো করতে সহায়তা করে। বেল আমাদের পেটের ভিতর ক্ষতি করবে এগুলো খুব সহজে ধ্বংস করে, পেটের ব্যথা কমায় পাচনতন্ত্রের উন্নতি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়। 

আমাশয় সময় আমাদের পেটে বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ সৃষ্টি হয়। আর বেল এই প্রদাহ গুলো কমাতে সহায়তা করে। আমার সব সময় আমাদের শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয়ে যায়। আপনি যদি প্রতিদিন বেলের শরবত খান তাহলে শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ হয়।

সর্তকতা

তবে আপনার যদি আমার সাথে থাকে তাহলে অতিরিক্ত পরিমাণে বেলের শরবত খাবেন না এতে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা বেলের শরবত খাওয়ার সময় চিনি ব্যবহার করবেন না।

বেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

বেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। বেল একটি পুষ্টিকর খাবার। বছরের সব সময় বেল ফল পাওয়া যায়। তবে গ্রীষ্মকালে বেল ফলের চাহিদা অনেক বেশি থাকে। গরমের সময় পাকা বেলের শরবত আমাদের শরীরকে ঠান্ডা করতে সহায়তা করে। বেলের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ উপাদান রয়েছে। বেলের মধ্যে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, শর্করা, ভিটামিন সি, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, শক্তি। বেল খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জানুন।

  • হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়
  • ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
  • প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
  • দৃষ্টিশক্তি বাড়ে।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
  • ডায়রিয়া কমায়।
  • দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করে।
  • যক্ষা ভালো হয়।
  • লিভার ভালো রাখে।
  • আলসার ভালো হয়।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • কিডনি ভালো রাখতে সহায়তা করে।
  • শরীরের তাপ দূর করে
  • বীর্যের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে।
  • বিভিন্ন ধরনের সংক্রমন থেকে রক্ষা করে।
  • শরীরের দুর্বলতা দূর করে।

বেল খাওয়ার অপকারিতা

বেল খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক কিন্তু আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে বেল খান তাহলে আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। আমাদের যৌন শক্তি কমে যেতে পারে, ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে, কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা বেড়ে যায়, রক্তচাপ বেড়ে যায়, অনেক সময় এলার্জি হতে পারে। 
বেল আমাদের শরীরের জন্য উপকারী কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে বেল খেলে যে আমাদের শরীরে বেশি পরিমাণে উপকার হবে বিষয়টা কিন্তু তেমন না। প্রতিটি খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই পরিমাণ ঠিক করে রাখা উচিত। অতিরিক্ত পরিমাণে কোন খাবার শরীরের জন্য ভালো না। তাই অবশ্যই বেল খাওয়ার সময় পরিমাণ মতো বেল খান।

বেল শুট খাওয়ার নিয়ম

বেল শুট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানার আগে বেল শুট কিভাবে তৈরি করে সে সম্পর্কে জানা জরুরী। বেল শুট তৈরি করা খুব সহজ একটি ব্যাপার। বেল শুট তৈরি করার জন্য প্রথমে গাছ থেকে বেল পেড়ে বেলগুলোকে খুব ভালোভাবে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরা করে কেটে নিতে হবে তারপর রোদে খুব ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে বেল শুট। 

যাদের আলসার রয়েছে তাদের জন্য খুবই উপকারী। বেল শুটের সাথে যদি আপনি বার্লি মিশিয়ে রান্না করে নিয়মিত খান তাহলে আলসার খুব দ্রুত সেরে যায়। এছাড়া বেল শুট খেলে আমাদের পেট ঠান্ডা থাকে। গরমের সময় আপনি বেল শুট খেতে পারেন এতে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, ওর শরীরে প্রয়োজনীয় পানির ঘাটতি পূরণ হবে। চলুন তাহলে জেনে নেই বেল শুট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।

  • সকালে খালি পেটে বেল শুট খেতে পারেন এতে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
  • আপনার যদি আমাশয় সমস্যা থাকে কিংবা ডায়রিয়া হয় তাহলে দিনে দুইবার বেল শুট খেতে পারেন।
  • গরমের দিনে প্রতিদিন দুপুর বেলা এক গেলাস বেল শুট খেতে পারেন এতে আপনার শরীর অনেক বেশি ঠান্ডা থাকবে।
  • শরীরে পানির ঘাটতি পূরণের জন্য দিনের যেকোনো সময় এক গ্লাস বেল শুট খেতে পারেন।
  • বেল শুট আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তবে অবশ্যই অতিরিক্ত পরিমাণে না। অতিরিক্ত পরিমাণে বেল শুট খেলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনি যদি উপরের এই নিয়মগুলো মেনে বেল শুট খান তাহলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাবেন।

খালি পেটে বেল খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে বেল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই অজানা রয়েছে। উপরের আলোচনা থেকে হয়তো আপনি এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন আমাশয়ে বেলের উপকার এবং বেল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। এখন আমরা আলোচনা করব খালি পেটে বেল খেলে আমাদের শরীরে কি কি উপকার হয় সে সম্পর্কে। তাহলে চলুন দেরি না করে খালি পেটে বেল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই।

  • খালি পেটে বেল খেলে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং শরীরে খুব দ্রুত এনার্জি তৈরি হয়।
  • সকালে খালি পেটে বেল খেলে আমাদের পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • আপনার যদি ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকে তাহলে খালি পেটে বেল খেতে পারেন। খালি পেটে বেল খেলে ত্বকের ভেতরের দাগ দূর করে এবং ত্বকের ব্রণ দূর করতে সহায়তা করে।
  • খালি পেটে বেল খেলে রক্তের শর্করার মাত্রা কমে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • খালি পেটে বেল খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • খালি পেটে বেল খেলে ক্যান্সারের কোষগুলো খুব সহজে বিস্তার লাভ করতে পারে না এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
  • খালি পেটে বেল খেলে বেলের মধ্যে থাকা ফাইবার আলসারের সমস্যা দূর করে।
  • খালি পেটে বেল খেলে আমাদের মানসিক চাপ কমে।
  • এছাড়া খালি পেটে বিল খেলে আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় পানির ঘাটতি পূরণ হয়।

কাঁচা বেল খাওয়ার উপকারিতা

কাঁচা বেল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে শুনে হয়তো আপনি একটু অবাক হচ্ছেন। কিন্তু হ্যাঁ কাঁচা বেলও খাওয়া যায় এবং কাঁচা বেল খেলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকার হয়। আমরা সবাই জানি, পাকা বিল খুব বেশি স্বাদ ও পুষ্টিগুণে ভরপুর হয়ে থাকে কিন্তু কাঁচা বেলের মধ্যেও রয়েছে সঠিক পুষ্টিগুণ ও যথেষ্ট পরিমাণে স্বাদ। শুধু কাঁচা বেলের প্রস্তুত প্রণালী ঠিকভাবে জানতে হবে। কাঁচা বেল দিয়ে আপনি শরবত কিংবা চাটনি বানিয়ে খেতে পারেন। 

কাঁচা বেলের শরবত অনেক বেশি সুস্বাদু ও লোভনীয় হয়ে থাকে। কাঁচা বেলের শরবত বাড়ানোর জন্য প্রথমে বেলটিকে খুব ভালোভাবে ধুয়ে একটি পাত্রে যথেষ্ট পরিমাণে পানি নিয়ে খুব ভালোভাবে বেলটি সিদ্ধ করতে হবে। বেলটি ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে গেলে বেল থেকে আঁশগুলো বের করে এক গ্লাস পানিতে ২ চামচ আঁশ মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে আপনার পেটের ভেতরে গরম ভাব দূর হবে এবং পেটের ভেতরে জমে থাকা ক্ষতিকর টক্সিন গুলো খুব সহজে শরীর থেকে বের হয়ে যাবে। 
কাঁচা বেলের শরবতের স্বাদ বাড়ানোর জন্য আপনি লেবুর রস কিংবা মধু মেশাতে পারেন। কাঁচা বেলের চাটনি বাড়ানোর জন্য প্রথমে বেলটিকে খুব ভালোভাবে সেদ্ধ করে নিয়ে বেলের ভেতর থেকে আঁশগুলো বের করে পরিমাণ মতো পেঁয়াজ কুচি, লবণ, মরিচ কুচি, সরিষার তেল ও ১ কোয়া রসুন মিশিয়ে খুব ভালোভাবে হাতের সাহায্যে মাখিয়ে গরম ভাতের সাথে খেতে পারেন। চলুন তাহলে জেনে নেই কাঁচা বেলের উপকারিতা সম্পর্কে।

  • কাঁচা বেল আপনি যদি গুড়ো করে পানির সাথে মিশিয়ে খান তাহলে আপনার ডায়রিয়ার সমস্যা দূর হবে।
  • কাঁচা বেল ছোট ছোট টুকরো করে কেটে পানির সাথে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি যদি খাওয়া হয় তাহলে আমাশার সমস্যা দূর হয়।
  • এছাড়া ম্যালেরিয়া হলে চিকিৎসকরা কাঁচা বেলের শরবত কিংবা কাঁচা বেল ভিজিয়ে রেখে সেই পানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এছাড়া কাচা বেল খেলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, লিভার সুস্থ থাকে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তবে অবশ্যই অতিরিক্ত পরিমাণে কাঁচা বেল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত পরিমাণে কাঁচা বেল খেলে আপনার পেটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।

বেল খাওয়ার সঠিক সময়

বেল খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। বেল একটি উপকারী খাবার তবে অবশ্যই বেল খাওয়ার সঠিক সময় ও নিয়ম অনুযায়ী খাওয়া উচিত। আপনি যদি বেল নিয়ম অনুযায়ী এবং পরিমাণ মত খান তাহলে বেল থেকে সঠিক পুষ্টিগুণ পাবেন। বেল খেতে আমরা সবাই খুব বেশি পছন্দ করি কিন্তু আসলেই বেল কোন সময় খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে আমাদের খুবই কম ধারণা রয়েছে। বেল খাওয়ার সঠিক সময় নির্ভর করে আপনার শারীরিক সমস্যার উপর। 

আপনার যদি পেটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভুগেন তাহলে অবশ্যই সকালে খালি পেটে বেল খেতে পারেন। আপনার শরীরে যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে এবং শরীর অনেক বেশি দুর্বল অনুভব হয় তাহলে সকালে এক গ্লাস বেলের শরবত খেতে পারেন কিংবা বেলের শুট দিয়ে বার্লি রান্না করে খেতে পারেন। 

আপনার শরীরে যদি পানির ঘাটতি থাকে তাহলে দুপুরবেলা বেল খেতে পারেন এতে শরীরের প্রয়োজনীয় পানির ঘাটতি পূরণ হয় এবং শরীর ঠান্ডা থাকে। এছাড়া আপনি বিকালের নাস্তার সাথে ও বেল খেতে পারেন। বেল খাওয়ার কোন সঠিক সময় নেই আপনি দিনের যেকোনো সময় বেল খেতে পারেন তবে যদি আপনার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকে তাহলে নিয়ম করে এবং সঠিক নিয়মে বেল খেলে আরো বেশি উপকার পাওয়া যায়। আশা করি বেল খাওয়ার সঠিক সময়, আমাশয়ে বেলের উপকার সম্পর্কে আপনি জানতে পেরেছেন।

বেলের পুষ্টিগুণ

বেলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে এখন আমরা জানবো। উপরে আমরা বেল সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি কিন্তু আসলেই বেলের ভিতর কতটা পুষ্টি উপাদান রয়েছে সে সম্পর্কে আমাদের জানা জরুরী। কারণ বেল একটি প্রাকৃতিক সুপার ফুড। আর্টিকেলেরে অংশ থেকে আপনি বেলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে একটি ধারণা পেয়ে যাবেন। প্রতি ১০০ গ্রাম বেলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।

  • ক্যালসিয়াম - ২৪ মিলিগ্রাম।
  • ভিটামিন এ - ৫৪ মাইক্রোগ্রাম।
  • শর্করা - ১০.৬ গ্রাম।
  • ভিটামিন সি - ৫.৫ মিলিগ্রাম।
  • ফাইবার - ২.৯ গ্রাম।
  • কার্বনহাইড্রেট - ১১.১ গ্রাম।
  • ফ্যাট - ০.২ গ্রাম।
  • প্রোটিন - ১.৬গ্রাম।
  • ম্যাগনেসিয়াম - ৪০ মিলিগ্রাম
  • ফসফরাস - ৪০ মিলিগ্রাম।
  • সোডিয়াম - ১ মিলিগ্রাম।
  • আয়রন - ০.৫ মিলিগ্রাম।
  • পটাশিয়াম - ৫০০ মিলিগ্রাম।
  • শক্তি - ১৩৬ কিলো ক্যালরি।

লেখকের মন্তব্য । আমাশয়ে বেলের উপকার

প্রিয় পাঠক আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আমাশয়ে বেলের উপকারিতা সম্পর্কে এতক্ষনে আপনার জানা হয়ে গেছে। বেল আমাদের জন্য উপকারী। বেল কাঁচা কিংবা পাকা দুই অবস্থাতেই আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে। 

বেল আপনি বিভিন্নভাবে খেতে পারেন। এছাড়া বেল একটি সহজলভ্য খাবার। গ্রামের যে কোন জায়গায় বেল পাওয়া যায় কারণ গ্রামের যেকোনো বাড়িতে প্রায় বেলের গাছ রয়েছে। তাই আপনি খুব সহজে বেল সংগ্রহ করতে পারেন এবং বেল থেকে সঠিক উপকারিতা পেতে পারেন।
আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু বান্ধবদের সাথে আমাদের আর্টিকেলটি শেয়ার করুন। নিজে সুস্থ থাকুন এবং অন্যকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করুন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি অনলাইন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url