ওয়ার্ডপ্রেস কি কেন শিখব
ওয়ার্ডপ্রেস কি কেন শিখব? এ বিষয়টি সম্পর্কে আপনারা যারা জানার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তারা অবশ্যই এই আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
আপনাদের মধ্যে যারা ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগে এ বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না তারাও এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পেজ সূচিপএ
ওয়ার্ডপ্রেস কি কেন শিখব
ওয়ার্ডপ্রেস কি কেন শিখব এই বিষয়টি জানতে হলে অবশ্যই এই আর্টিকেলের সাথেই থাকতে হবে। ওয়ার্ডপ্রেস হলো বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েব-পাবলিশিং-অ্যাপলিকেশনস (Web Publishing Applications) এবং কন্টেন্ট-ম্যানেজমেন্ট-সিস্টেম (CMS). এটি মূলত PHP and MySQL দ্বারা তৈরিকৃত ওপেন সোর্স ব্লগিং সফটওয়ার।
ওয়ার্ডপ্রেস আগে একটি ফ্রি প্ল্যাটফর্ম ছিল যা সে সময় একটি ইঞ্জিন তৈরি করে এবং বিনামূল্যে সেটি ডাউনলোড করে যে কোন ব্লগার এ ব্যবহার করে সুবিধা দিতে শুরু করে। এই ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে আপনারা চাইলে কোন প্রকার PHP, MySQL or HTML এর জ্ঞান ছাড়াই একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।
এটি ম্যাট মুলেনওয়েগ ২০০৩ সালের ২৭শে মে প্রথম প্রকাশ করেন। মূলত পিএইচপি ও MySQL দ্বারা তৈরি উন্মুক্ত প্রযুক্তি ব্লগিং সফটওয়্যার বর্তমান সময়ে এত বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে তা ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রায় ৮১০ মিলিয়ন ওয়েব সাইট ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারী হয়েছেন। এই ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট মূলত বিশ্বের ৪৩% প্রতিনিধিত্ব করেন।
তাহলে বুঝতে পারছেন ওয়ার্ডপ্রেস কতটা জনপ্রিয়। এই ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আপনি অনেক কিছু করতে পারবেন। যদি আপনি ওয়ার্ডপ্রেস এ সি এম এস ব্যবহার করা শিখতে পারেন তাহলে আপনি খুব সহজেই একটা সাইট তৈরি করতে পারবেন খুব অল্প সময়ে। বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ে ওয়ার্ডপ্রেস শিখে অনেকেই নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করছেন। তবে ওয়ার্ডপ্রেস কেন শিখবেন আসুন জেনে নেই।
ওয়ার্ডপ্রেস হল বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েব-পাবলিশিং-অ্যাপলিকেশনস (Web Publishing Applications) এবং কন্টেন্ট-ম্যানেজমেন্ট-সিস্টেম (CMS), পৃথিবীতে বর্তমানে প্রায় ৬০ পার্সেন্ট ওয়েব ডেভেলপার ওয়ার্ডপ্রেস প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে। শুধু তাই নয় ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে খুব সহজেই আপনি যেকোনো ধরনের একটি সাইট তৈরি করে নিতে পারবেন।
আরো পড়ুন: কপিরাইটিং কি - কপিরাইটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ
বর্তমানে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে ওয়ার্ডপ্রেসের চাহিদা অনেক বেশি থাকার কারণে অনেক ফ্রিল্যান্সাররা ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে ক্যারিয়ার গড়ে তুলছেন। ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা যদি আপনার কোন ধরনের PHP, MySQL or HTML এর জ্ঞান থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই প্রফেশনাল মানের যেকোনো ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।
বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে এবং ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট এর চাহিদা অনেক বেশি থাকার কারণে সেখানে কাজের চাহিদাও অনেক বেশি রয়েছে। তাই এটি শিখে আপনি চাইলে প্রচুর পরিমাণে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়াও আপনারা বিভিন্ন ডেভেলপ ফার্ম এ ভাল বেতনের চাকরি করতে পারবেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন ওয়ার্ডপ্রেস কি কেন শিখব এবং শিখে কি কি উপকার পাবেন।
ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগে
ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগে এই সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে এই আর্টিকেলের অংশটুকু মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। অনেকে রয়েছে যারা ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে চাই তবে ওয়ার্ডপ্রেস শেখার আগে অবশ্যই জানতে হবে ওয়ার্ডপ্রেস কি? ওয়ার্ডপ্রেস হলো একটি জনপ্রিয় কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে একটি প্রফেশনাল মানের ওয়েবসাইট খুব সহজেই এবং অল্প সময়ে তৈরি করা সম্ভব।
যদি আপনি ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যদি আপনি নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ না করেন তাহলে আপনি এই ওয়ার্ডপ্রেস থেকে বেশিদূর পর্যন্ত যেতে পারবেন না। তাই সবার প্রথমে নিজের লক্ষণ নির্ধারণ করতে হবে এবং সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে হবে।
যদি আপনি শুধু ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান এবং কাস্টমাইজেশন করতে চান তাহলে আপনার এক থেকে দুই মাসের মধ্যে শিখে ফেলতে পারবেন। আর যদি আপনি থিম ডিজাইন প্লাগিন ডেভেলাপমেন্ট বা আরো যে জটিল কাস্টমাইজেশন রয়েছে সেগুলো যদি শিখতে চান তাহলে ৬ থেকে ৬ বছর সময় লাগতে পারে।
তবে এ সময়টা একদম যারা প্রথম থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে চান ঠিক তাদের জন্য। তবে এর মধ্যেও কিছু ভাগ রয়েছে। সবার জ্ঞান এক সমান নয় তাই কিছু কিছু মানুষের পাশ থেকে সাত মাসের মধ্যেই ওয়ার্ডপ্রেস সম্পূর্ণ নিজের আওতায় নিয়ে আসতে পারে।
তাই যে সময়টা উপরে দেয়া হয়েছে শিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি ওয়ার্ডপ্রেসের অনেক বেশি দক্ষতা হয়ে উঠবেন। আশা করি ওয়ার্ডপ্রেস কি কেন শিখব এ বিষয়টি সম্পর্কে উপরে জানার পাশাপাশি আপনারা ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগে এই বিষয়টি সম্পর্কেও জানতে পেরেছেন।
ওয়ার্ডপ্রেস কি ধরনের প্লাটফর্ম
ওয়ার্ডপ্রেস কি ধরনের প্লাটফর্ম? ওয়ার্ডপ্রেস হলো বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS), যা আপনার ওয়েবসাইট তৈরি এবং পরিচালনা করার জন্য অসাধারণ একটি প্ল্যাটফর্ম। ২০০৩ সালে এটি প্রথম চালু হয় এবং বর্তমানে এটি সারা বিশ্বের প্রায় ৪৩% ওয়েবসাইট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই ওয়ার্ড প্রেস অনেক সহজ ব্যবহার করা যায় এবং ফ্লেক্সিবিলিটি ও বহুমুখী ফিচার থাকার কারণে এটি ব্যক্তি থেকে শুরু করে বড় বড় প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত সবাই ব্যবহার করতে পছন্দ করেন।
আরো পড়ুন: একাউন্টিং ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব
ওয়ার্ডপ্রেস প্রধানত দুই ধরনের প্ল্যাটফর্ম নিয়ে কাজ করে ১) ওয়ার্ডপ্রেস ডট ও আরজি (WordPress.org) এবং ওয়ার্ডপ্রেস ডট কম (WordPress.com)। ওয়ার্ডপ্রেস ডট ওআরজি হলো একটি স্ব-হোস্টেড প্ল্যাটফর্ম, যা আপনার ওয়েবসাইটের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রদান করে। অন্যদিকে, ওয়ার্ডপ্রেস ডট কম হলো হোস্টেড পরিষেবা, যেখানে আপনার ওয়েবসাইট হোস্টিং এবং মেইনটেনেন্স সহজভাবে পরিচালনা করা যায়।
ওয়ার্ডপ্রেস এর কাজ কি
ওয়ার্ডপ্রেস এর কাজ কি? এ বিষয়টি সম্পর্কে যদি আপনাদের জানার আগ্রহ থাকে তাহলে অবশ্যই এই আর্টিকেলের অংশটুকু থেকে জেনে নিতে পারেন। ওয়ার্ডপ্রেসের মূলত অনেক কাজ রয়েছে তার মধ্যে ওয়েবসাইট তৈরি করা, কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট, ই-কমার্স সাপোর্ট, SEO বান্ধব, রেস্পন্সিভ ডিজাইন এই কাজগুলো অনেক বেশি করতে হয়।
ওয়েবসাইট তৈরিঃ ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের পোর্টফলিও কর্পোরেট ওয়েবসাইট ব্যক্তিগত ব্লগ ই-কমার্স সাইট এগুলো তৈরি করতে পারবেন খুব সহজে। আর এর জন্য আপনি ওয়ার্ডপ্রেস এ হাজারো ফ্রী এবং পেইড থিম ও প্লাগিন পেয়ে যাবেন
কনটেন্ট ম্যানেজমেন্টঃ আপনারা চাইলে ওয়ার্ড প্রেসের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে বিভিন্ন কনটেন্ট যোগ করতে পারবেন যেমন- লেখা, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি।
ই-কমার্স সাপোর্টঃ WooCommerce প্লাগইন ব্যবহার করে আপনি সহজেই একটি ই-কমার্স সাইট তৈরি করতে পারেন। আর এই প্লাগিন যোগ করে আপনি বিভিন্ন ধরনের পণ্য মূল নির্ধারণ পেমেন্ট গেটওয়ে এগুলো সেট করতে পারবেন।
SEO বান্ধবঃ যদি আপনি ওয়ার্ডপ্রেস এ দক্ষতা হন তাহলে ওয়ার্ডপ্রেসে বিভিন্ন ধরনের মেথড প্লাগিন রয়েছে যা ব্যবহার করে আপনার সাইটকে সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি করতে পারবেন। ফলে যে কোন আর্টিকেল ওয়েবসাইটে লিখলে দ্রুত গুগল সার্চে ভালো ব্যাংকে নিয়ে আসা সম্ভব হবে।
রেসপন্সিভ ডিজাইনঃ ওয়ার্ডপ্রেসের যে থিমগুলো রয়েছে সেগুলো ডেস্কটপ, মোবাইল, ট্যাব উভয়ের জন্য উপযোগী। যারা ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করেন তাদের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে এই প্রক্রিয়াটা অনেক বেশি কার্যকর।
ওয়ার্ডপ্রেস এর সুবিধা
ওয়ার্ডপ্রেস এর সুবিধা-এর সুবিধা হল সম্পূর্ণ ফ্রি একটি কন্টেন্ট-ম্যানেজমেন্ট-সিস্টেম। যা ব্যবহারের জন্য আপনাকে কোন রকম টাকা পেইড করতে হয় না। শুধু তাই নয় আপনি ওয়ার্ডপ্রেস এ ব্লক বা সাধারণ ওয়েবসাইট ছাড়াও আরো অন্যান্য সব ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন এই ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে। তাও আবার সম্পূর্ণ ফ্রিতে।
এছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেসের আরেকটি সুবিধা হল খুব সহজেই আপনি থিম পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটে বা ব্লগের ডিজাইন পরিবর্তন করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি আপনার নিজের মত কাস্টমাইজ করার মাধ্যমে নিজের ব্লগ অথবা ওয়েবসাইটের ডিজাইন খুব সুন্দর করে এডিট করতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেসে আপনি সকল ধরনের এডভান্স ফাংশন পেয়ে যাবেন। (যেমনঃ Responsive website Design, SEO friendly Structure, Easy Customization)।
ওয়ার্ডপ্রেসের আরো একটি সুবিধা রয়েছে সেটি হল আপনি বিভিন্ন ফ্রি বা পেইড থিম এবং প্লাগিন ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই নিজের ওয়েবসাইট বা অন্য কারো ওয়েবসাইট ভালোভাবে ডিজাইন করতে পারবেন এবং ফাংশন বাড়াতে করতে পারবেন। এছাড়াও সহজে আপনি যেকোনো ধরনের ছবি মিডিয়া ফাইল ভিডিও এগুলো আপলোড করতে পারবেন।
চমৎকার বিষয় হলো ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয় না খুব সহজভাবে শেখা যায়। এখানে কোনরকম কোডিং এর ঝামেলা নেই তাই নিশ্চিন্তে আপনি একটু সময় দিলে ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে পারবেন।
ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি
- ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাইলে প্রথমে আপনাকে আপনার হোস্টিং- এর cPanel-এ যেতে হবে। এরপর প্রথমে আপনাকে যা করতে হবে তা হল CPanel-এর Addon Domain অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর আপনার ডোমেইন যোগ করতে হবে।
- ডোমেইন যোগ করা হয়ে গেলে আপনাকে ডোমেইন এর name server পরিবর্তন করতে হবে এবং আপনার যে CPanel রয়েছে তার নাম সার্ভারের সাথে যোগ করতে হবে।
- অর্থাৎ আপনার ডোমেইন প্যানেলে ২টি name server প্রয়োজন এবং এই name server ডোমেইনের সাথে সংযুক্ত করার জন্য আপনাকে হোস্টিং এর একটি ডিফল্ট name server রয়েছে। সেখানে একবার যদি আপনার ডোমেইন হোস্টিং-এর সাথে কানেক্ট হয়ে যায়, তাহলে WordPress ইনস্টল করতে হবে।
- WordPress করতে ইন্সটল করা খুবই সহজ একটি কাজ। এটি করার জন্য প্রথমে আপনাকে CPanel-এর একেবারে নীচের দিকে WordPress লেবেলযুক্ত একটি আইকন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করলে আপনার WordPress ইনস্টল করার Option পেয়ে যাবেন।
- এরপর আপনাকে যেটা করতে হবে সেটা হলো ওয়েবসাইটের শিরোনাম এবং ব্যবহারকারীর নাম ও পাসওয়ার্ড এর এডমিনের বিবরণ দেয়া হয়ে গেলে আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট প্রস্তুত তখন আপনাকে ইন্সটল বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর যদি আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল হয়ে যায়, তাহলে আপনাকে ব্যবহারকারীর নাম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে ওয়ার্ডপ্রেসে লগইন করতে হবেএবং আপনার পছন্দের যে থিম রয়েছে সেটি ইন্সটল করতে হবে।
- এরপর আপনার কাজ হল বৈশিষ্ট্য যোগ করা। অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইট ভালোভাবে কাস্টমাইজ করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় প্লাগিন ইন্সটল করা যেমন- আকিসমেট। এটি মূলত স্প্যাম ফিল্ডারিং এর জন্য। এইগুলো করার পাশাপাশি আপনাকে এসইও প্লাগিন আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট অন পেজ অপটিমাইজেশন করার জন্য ইন্সটল করতে হবে। যেমন- (Yust, SEO ফ্রেমওয়ার্ক, All in One SEO, RankMeth, ইত্যাদি)
- এরপরে আপনাকে সোশ্যাল শেয়ার বাটন কাস্টমাইজ করতে হবে। তারপর ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য আপনাকে সিকিউরিটি যে সকল প্লাগিনগুলো রয়েছে সেগুলো ইন্সটল করতে হবে যাতে করে আপনার ওয়েবসাইট সুরক্ষিত থাকে।
সাধারণত ওপরে উল্লিখিত বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে একটি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। যদি আপনি ব্লগ করতে চান তাহলে অবশ্যই ওয়ার্ডপ্রেস ব্যাবহার করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে। তাই আপনার ইচ্ছামত ওয়েবসাইট তৈরি করে ঘরে বসেই অর্থ উপার্জন করুন।
কোন ভাষায় wordpress ডেভেলপ করা হয়
কোন ভাষায় wordpress ডেভেলপ করা হয়? ওয়ার্ডপ্রেস মূলত PHP ভাষায় লেখা হয়। এবং একটি MySQL ডাটাবেসের সাথে সংযুক্ত করা হয়। ওয়ার্ডপ্রেস এর বৈশিষ্ট্য গুলোর মধ্যে রয়েছে একটি প্লাগিন আর্কিটেকচার এবং একটি টেমপ্লেট সিস্টেম রয়েছে যাকে ওয়ার্ডপ্রেসের মধ্যে থিম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
যদি আপনারা ওয়ার্ডপ্রেস এ কাজ করতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেসকে একটি ওয়েব সার্ভারে ইন্সটল করতে হবে এবং একটি ইন্টারনেট hosting পরিষেবা অংশ হিসেবে তাকে ওয়ার্ডপ্রেস সফটওয়ার প্যাকেজ চালানোর কম্পিউটারে ব্যবহার করতে হবে।
ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে যে ধরনের ওয়েবসাইটগুলো তৈরি করা যায়
ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। হয়তো অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানেন না। তাই যারা জানেন না ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে কি ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় তারা অবশ্যই এই আর্টিকেলের অংশটুকু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আশা করি কি কি ওয়েবসাইটগুলো ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি করা যায় তা সঠিকভাবে জেনে যাবেন।
ব্লগ ওয়েবসাইটঃ ওয়ার্ডপ্রেস প্রথমে ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে যাত্রা শুরু করে। এখন পর্যন্ত এটি অনেক শক্তিশালী হিসেবে রয়েছে। আপনি চাইলে এই ব্লগ ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল পাবলিশ করে গুগলের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
ব্যবসায়িক ওয়েবসাইটঃ ছোট বা বড় যেকোনো ব্যবসার জন্য পেশাদার ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে। এখানে কাস্টম থিম এবং প্লাগইন ব্যবহার করে কোম্পানির পণ্য বা সেবার জন্য একটি আকর্ষণীয় এবং কার্যকরী ওয়েবসাইট নির্মাণ সম্ভব।
ই-কমার্স ওয়েবসাইটঃ ওয়ার্ডপ্রেসের WooCommerce প্লাগইন ব্যবহার করে ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। এটি পণ্য তালিকা, পেমেন্ট গেটওয়ে, এবং শিপিং অপশন ইত্যাদি সুবিধা প্রদান করে।
এডুকেশনাল ওয়েবসাইটঃ শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা খুবই সহজ একটি বিষয়। এখানে ই-লার্নিং সাইট, কোর্স পরিচালনা, এবং অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা সহজেই করা যায়।
পোর্টফোলিও ওয়েবসাইটঃ ডিজাইনার, ফটোগ্রাফার, বা শিল্পীদের জন্য পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট নির্মাণের জন্য ওয়ার্ডপ্রেস চমৎকার।
লেখকের মন্তব্যঃ ওয়ার্ডপ্রেস কি কেন শিখব
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা যারা এই আর্টিকেলটি পড়েছেন তারা অবশ্যই জানতে পেরেছেন ওয়ার্ডপ্রেস কি কেন শিখব এবং ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে কতদিন লাগে এই সম্পর্কে। আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আপনারা সকলেই অনেক উপকৃত হয়েছেন।
আরো পড়ুন: লং টেইল কিওয়ার্ড
তাই যারা উপকৃত হয়েছেন তারা অবশ্যই এই আর্টিকেল অন্যদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না। পাশাপাশি আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কোন মতামত জানানো থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানাতে ভুলবেন না। শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিডি অনলাইন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url