সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায়
সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায় সে সম্পর্কে আপনার যদি বিশেষ কোনো ধারণা না থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সিজারের পর বেল্ট করার নিয়ম এবং আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি একজন গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পেজ সূচিপএ
সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায়
সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায় সে সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই ধারণা নেই। এখন প্রায় বেশিরভাগ মায়েরই বাচ্চা জন্ম দেওয়ার সময় সিজার করার প্রয়োজন হয়। আর সিজার করার পর সেলাই কত দিনের শুকায় এবং সেলাই শুকালে কি কি সমস্যা হতে পারে সে সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই তেমন কোন ধারনা নেই।
আরো পড়ুন: গর্ভাবস্থায় চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
সিজারের সেলাই এক এক জনের একেক রকম সময় লাগে শুকাতে। সিজারের সেলাই সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিনের ভেতরে শুকিয়ে যায়। তবে কাটা জায়গা যদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকে কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিসেপটিক নিয়মিত ব্যবহার না করা হয় তবে সেলাই শুকাতে দেরি হতে পারে। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার যেমন , প্রোটিন আয়রন, ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেলে সিজারের সেলাই তাড়াতাড়ি শুকায়।
আজ যদি কাটা জায়গায় ইনফেকশন, ফোলা ভাব, পুজ কিংবা ব্যথা থাকে তাহলে সেলাই শুকাতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। তবে সেলাই সাধারণত ৭/১০ দিনের ভেতরেই শুকায় আর আপনার যদি সেলাই শুকাতে দেরি হয় কিংবা ইনফেকশন, ফোলা ভাব, ব্যথা ও পুজ দেখতে পান তাহলে অবশ্যই ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সিজারের পর বেল্ট পরার নিয়ম
সিজারের পর বেল্ট পরার নিয়ম সম্পর্কে অবশ্যই ভালোভাবে জানতে হবে কারণ সিজারের পরে বেল্ট ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি বিশেষ করে হাচিঁ-কাশি, হাটা চলাফেরা কিংবা টয়লেটে যাওয়ার সময় বেল্ট ব্যবহার করা ভালো। এতে আপনার যেমন হাঁটতে সুবিধা হবে তেমন কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না কাটা জায়গা থেকে। আপনি দিনে ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা বেল্ট ব্যবহার করতে পারেন।
তবে বেল্ট পরে যদি আরাম মনে হয় তাহলে আপনি যতক্ষণ ইচ্ছে পড়ে থাকতে পারেন। সিজারের পরে অন্তত ৪০ দিন বেল্ট ব্যবহার করা উচিত। এতে হাঁটাচলা ফেরা, বাচ্চা কোলে নেওয়া, বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো, পেটের টান পড়া থেকে রক্ষা করা এবং পেটের মাংসপেশির জোড়া লাগাতে বেল্ট পরা উচিত। তবে আপনি নরমাল ডেলিভারিতেও বেল্ট ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনার পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে বেল্ট যেন ঢিলঢালা না হয়।
আপনার পেটের সাথে যেন বেল্টের মাপ সঠিক হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। খাবার খাওয়ার সময় বেল্ট খুলে রাখুন এবং গোসলের সময় বেল্ট ব্যবহার করবেন না এতে বেল্ট ভিজে গেলে আপনার শরীরে র্যাশ হতে পারে। যদি সিজারের পরে ইনফেকশন দেখা দেয় তাহলে বেল্ট বাধা থেকে বিরত থাকুন। কারণ ইনফেকশনের সময় বেল্ট ব্যবহার করলে ইনফেকশনের প্রদাহ আরো বেড়ে যেতে পারে।
সিজারের পর শোয়ার নিয়ম
সিজারের পর শোয়ার নিয়ম ভালোভাবে জেনে নিলে আপনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে পারবেন এবং ঘুমে কোন ব্যাঘাত ঘটবে না। সিজারের পর সিজারের জায়গার ব্যথা শুকানোর জন্য সব মাদেরই কিছু না কিছু ব্যথা নাশক ওষুধ চিকিৎসকরা দিয়ে থাকেন। আর এই ওষুধগুলো খাওয়ার ফলে সিজারের পরে ভালো ঘুম হয়। তবে শুধু ব্যথা নাশক ওষুধ নয়, আপনি যদি সিজারের সময় সঠিক নিয়মে ঘুমান তাহলেও ভালো ঘুম হতে পারে।
সঠিক নিয়মে সিজানের সময় ঘুমালে আমাদের নিঃশ্বাস নিতে সহজ হয় এবং পেটের পেশিগুলোর ওপরে চাপ কম পড়ে। নরমাল ডেলিভারি হলে আমরা যেকোনো অবস্থায় ঘুমাতে পারি কিন্তু সিজারের সময় আমরা যে কোন অবস্থায় ঘুমাতে পারি না আসুন তাহলে জেনে নেই সিজারের পর সোয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
- সিজারের সময় সবচাইতে ঘুমানোর সঠিক নিয়ম হল সোজা হয়ে। সোজা হয়ে ঘুমালে আপনার কাটা জায়গায় কোন চাপ পড়ে না এবং নিঃশ্বাস নিতে অনেক সহজ হয়।
- সিজারের পরে আপনি পায়ের নিচে একটি নরম বালিশ দিয়ে ঘুমাতে পারেন এতে নড়াচড়া করতে সুবিধা হয় এবং ভালো ঘুম হয়।
- সিজারের পরে আপনি পিঠ উঁচু করে ঘুমাতে পারেন। পিঠের নিচে একটি নরম বালিশ দিয়ে পিঠকে সামান্য উঁচু করে ঘুমালে ঘুম ভালো হয় এবং ঘুমাতে সুবিধা হয়।
- সিজারের পরে যদি সম্ভব হয় তবে আপনি পিঠের একদিকে বালিশ দিয়ে কাত হয়ে শুয়ে থাকতে পারেন। এতে খাবার হজম হতে সহায়তা করে এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া এভাবে শোয়ার ফলে আপনি খুব সহজেই হাত বা কোন সাহায্যে একা একা বিছানা থেকে ভর দিয়ে উঠতে পারবেন।
- তাছাড়া বিছানায় শুয়ে থাকতে যদি আপনার অসুবিধা হয় তাহলে আরামদায়ক চেয়ার ব্যবহার করতে পারেন। আরামদায়ক চেয়ারে ঘুমালে আপনি বাচ্চাকে খুব সহজেই দুধ খাওয়াতে পারবেন।
সিজারের সেলাই কাটার পর যত্ন
সিজারের সেলাই কাটার পর যত্ন কিভাবে নিবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। সিজারের সেলাই কাটার পর একটি মায়ের পুরোপুরি যত্নের প্রয়োজন। বাচ্চা জন্ম হবার পর আমরা বাচ্চার আনন্দে অনেক সময় বাচ্চার মায়েরও যে বিশেষ কিছু যত্নের প্রয়োজন সে সম্পর্কে খেয়াল রাখে না। কিন্তু সিজারে সেলাই কাটার পর মায়ের শরীরের কিছু বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
সিজার করার পরে প্রতিটি মায়েরই সেলাই শুকাতে এবং শরীর পুরোপুরি সুস্থ হতে কিছুটা সময় লাগে। তাই অবশ্যই সিজারের পরের ৩ মাস মায়ের পতি খেয়াল রাখা অত্যন্ত দরকার না হলে একটু অসচেতনতার জন্য নানান রকম জটিল সমস্যায় ভুগতে পারে। যেমন
- সিজার করার পরে আমাদের ভেতরে অনেকেরই ধারণা রয়েছে পর্যন্ত পরিমাণে বিশ্রাম দরকার এবং হাঁটা চলাফেরা যত কম করবে তত ভালো। কিন্তু এই বিষয়টা একেবারেই সঠিক না। সিজার করার ওপরে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে হাঁটা চলাফেরা করতে হবে। যদি হাঁটা চলাফেরা করতে সমস্যা হয় তাহলে বেল্ট ব্যবহার করতে পারে। এতে সুবিধা হবে।
- সিজারের পরে অবশ্যই পুষ্টিকর ও ভিটামিনযুক্ত খাবার পরিমাণমতন গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের সুপ, নরম খাবার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। শক্তযুক্ত খাবার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে কারণ সিজারের পরে শক্ত যুক্ত খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন যুক্ত ফলমূল ও শাকসবজি রাখতে হবে।
- সেলাই কাটার পরে অবশ্যই কাটা জায়গার বিশেষ যত্ন নিতে হবে। গোসলের সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন কাটা জায়গা ভিজে না যায়। আর যদি কোনো কারণে ভিজে যায় তাহলে অবশ্যই শুকনো কাপড় দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। কাটা জায়গায় আঘাত লাগে এমন কোন পোশাক পরা যাবে না। পরিষ্কার ও ঢিলঢালা পোশাক নির্বাচন করতে হবে।
- কাটা জায়গায় যদি ফোলা ভাব, পুজ, লালভাব কিংবা ফুলে যাওয়া লক্ষ্য করেন তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- সেলাই কাটার পরে খেয়াল রাখতে হবে যেন কোনভাবেই শরীরে ঠান্ডা না লাগে কারণ ঠান্ডা লেগে গেলে হাঁচি-কাশি সমস্যা দেখা দিবে। আর পেট কাটা থাকা অবস্থায় হাচিঁ কাশির সমস্যা হলে কাটা জায়গায় ব্যথা হতে পারে।
- সেলাই কাটার পরে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে হবে। সিঁড়ি দিয়ে বেশি ওঠা নামা, অতিরিক্ত ভারী জিনিস উঠানামা না করা কিংবা অতিরিক্ত ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রম না করা।
সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ
সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ বিভিন্ন রকম হতে পারে। সিজারের পরে হসপিটালের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য ইনফেকশন ছড়াতে পারে। সিজারের পরে ইনফেকশন হওয়ার আরেকটি কারণ হলো হাত ভালোভাবে পরিষ্কার না করে কাটা জায়গায় দিলে। এছাড়া রোগী যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তাহলে ইনফেকশন হতে পারে।
তাই সিজারের পরে অবশ্যই এই বিষয়গুলো একটু সতর্কতার সাথে খেয়াল রাখতে হবে। তবে কি কি কারণে আপনার ইনফেকশন হতে পারে সে সম্পর্কে যদি বিস্তারিতভাবে ধারণা থাকে তাহলে খুব সহজেই ইনফেকশনের জটিলতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আসুন তাহলে জেনে নেই সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ সমূহ সম্পর্কে।
- ফোলা ভাব বা লালচে: সিজারের পরে অনেক সময় সেলাইয়ের চারিদিকে ফোলা ভাব বা লালচে দেখা দেয় এটি ইনফেকশনের লক্ষণ হতে পারে।
- পুজ বা পানি বের হওয়া: সিজারের পরে অনেক সময় সেলায়ের জায়গা থেকে পুজা বা তরল পানি বের হয়। কাটা জায়গায় ইনফেকশন হলে এমন সমস্যা দেখা দেয়।
- জ্বর: সিজারের পরে প্রচন্ড গা গরম কিংবা জল অনুভব হয়। এটি ইনফেকশনে আরেকটি লক্ষণ হতে পারে।
- ব্যথা: কাটা জায়গায় প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হয়। কিংবা তলপেটে প্রচন্ড ধরনের ব্যথা অনুভব করা।
- তাপমাত্রা বৃদ্ধি: সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ বোঝার জন্য সেলাইয়ের জায়গায় স্পর্শ করলে খুব গরম অনুভব হয়।
- ক্ষতস্থান তাড়াতাড়ি না শুকানো: সিজারের পর যদি দেখেন নির্দিষ্ট সময় পরও ক্ষতস্থান শুকাচ্ছে না তাহলে এটি ইনফেকশনের লক্ষণ হতে পারে।
সিজারের পরে উপরের এই লক্ষণগুলো যদি আপনার দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। সময় মত যদি ভালো চিকিৎসা না নেন কিংবা দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ না আনেন তাহলে ইনফেকশনের সমস্যা আরো জটিল আকার ধারণ করতে পারে। তাই অবশ্যই অল্পতেই ডাক্তার দেখিয়ে নেওয়া উচিত ইনফেকশনের লক্ষণ গুলি দেখা দিলে।
সিজারের পর সেলাই ব্যাথা হলে করণীয়
সিজারের পর সেলাই ব্যাথা হলে করণীয় কি সে সম্পর্কে এখন আমরা জানবো। সিজারের পর চিকিৎসকরা ব্যথা কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যথা নাশক ওষুধ দিয়ে থাকেন কিন্তু তারপরেও অনেক সময় প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা করে। সাধারণভাবে এই ব্যথা দুই এক সপ্তাহের ভেতরেই কমে যায় কারো কারো ক্ষেত্রে আবার এ ব্যথা একমাস পর্যন্ত থাকে। সিজারের পরে ব্যথা করলে আমাদের সাধারণ জীবন যাপন খুবই দুর্বিসহ হয়ে ওঠে।
হাঁটা চলাফেরা, বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো কিংবা টয়লেটে যাওয়ার সময়ও প্রচন্ড কষ্ট হয়। তাই সিজারের সময় সেলায় ব্যথা হলে চিকিৎসকরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়ে থাকেন। চলুন তাহলে জেনে নেই সিজারের পর সেলাই ব্যাথা হলে করণীয় কি। সিজারের পরে যদি আপনার সেলাই ব্যথা করে তাহলে ব্যথা-নাশক ওষুধ খেতে পারেন তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। সেলাইয়ের জায়গা সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করুন।
ভারী কোন জিনিস তোলা থেকে বিরত থাকুন এবং অতিরিক্ত ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকুন। ব্যথা বেশি হলে হালকা গরম পানি দিয়ে সেলাই এর জায়গায় সেকঁ দিতে পারেন এতে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পাবে এবং ব্যথা কমবে। ভিটামিন ও পুষ্টিকর খাবার খান এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিন।
আজ যদি ব্যথা অতিরিক্ত পরিমাণে হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন। আশা করি সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায় এবং সিজারের পর সেলাই ব্যাথা হলে কি করনীয় সে সম্পর্কে আমরা আপনাদের বিস্তারিত জানাতে পেরেছি।
সিজারের পর সেলাই ফুলে যায় কেন
সিজারের পর সেলাই ফুলে যায় কেন সে সম্পর্কে অনেকেরই জানা নেই। সিজারের পর সেলাই ফুলে যাওয়া একটি সাধারণ বিষয়। বিভিন্ন কারণে সিজারের পরে সেলাই ফুলে যেতে পারে। সেলাইয়ের স্থানে যদি বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া কিংবা জীবাণু প্রবেশ করে তাহলে সেলাইয়ের জায়গা ফুলে যায়, লাল হয়ে যায় এবং পুজ হতে পারে। সেলাইের ভেতরে যদি রক্ত বা তরল জাতীয় কিছু জমা হয় তাহলে সেলাই ফুলে যেতে পারে।
অতিরিক্ত হাঁটা চলাফেরা অতিরিক্ত ব্যায়াম কিংবা কোন ভারী জিনিস উঠানামা করলেও সেলাই ফুলে যেতে পারে। যদি সিজারের পরে সেলাই ফুলে যায় তাহলে কাটা জায়গা ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। অতিরিক্ত ব্যাথা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যথা নাশক ওষুধ সেবন করুন। বিভিন্ন ধরনের ভারী কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।
হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে সেলাইয়ের চারিপাশে সেঁক দিতে পারেন। এতে বেশি রক্ত সঞ্চালন বাড়বে এবং ফোলা ভাব অনেকটাই কমে আসবে। তাছাড়া সিজারের পর সেলাই এর স্থান ফুলে যাওয়া সাথে সাথে যদি রক্ত বের হয়, পুজ বের হয় কিংবা গায়ে জ্বর থাকলে অবশ্যই ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সিজারের পর ব্যথা কতদিন থাকে
সিজারের পর ব্যথা কতদিন থাকে এ বিষয়টা একেবারে নির্ভর করে শারীরিক অবস্থার ওপরে। একেকজনের শারীরিক অবস্থা এক এক রকম। কারো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি আবার কারোর প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম। তবে সিজারের ব্যথা সাধারণভাবে এক সপ্তাহ কিংবা ১০ দিনের ভেতরেই কমে যায়।
কারো কারো ক্ষেত্রে এ ব্যথা একমাস পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। তবে সিজারের ব্যথা কিছুটা নিজের অভ্যাসের উপরও কমাতে সাহায্য করে। আপনি যদি সেলাইয়ের জায়গা জীবাণুমুক্ত, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার, ডাক্তারের নিয়ম অনুযায়ী ওষুধ সেবন করেন তাহলে অতি দ্রুত সিজারের ব্যথা কমে আসবে।
আর খারাপ অভ্যাসের জন্য যদি অবহেলা করেন তাহলে সিজারের ব্যথা অনেকদিন পর্যন্ত থাকতে পারে এমনকি অপরিষ্কার ও ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে ইনফেকশনের মত মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই অবশ্যই সিজার করার পরে সতর্ক থাকুন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও পুষ্টিকর খাদ্যের ওপর।
আমাদের শেষ কথা- - সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায়
সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায় এ বিষয় সম্পর্কে হয়তো আপনি এতক্ষণে জেনে গেছেন। এছাড়া সিজারের বেল্ট পড়ার করার নিয়ম, সিজারের পর শোয়া নিয়ম, সিজারের সেলাই কাটার পর যত্ন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে একটি সঠিক ধারণা পেয়েছেন।
আরো পড়ুন: মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার সেরা ১০ টি উপায়
আশা করি আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায় সে সম্পর্কে সঠিক গাইডলাইন পেয়ে গেছেন। এছাড়া ইনফেকশনের লক্ষণ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনার যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন। আর এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিডি অনলাইন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url