লং টেইল কিওয়ার্ড কি
লং টেইল কিওয়ার্ড কি এই সম্পর্কে আমরা আজকের আর্টিকেলে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো। তাই অবশ্যই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়া শুরু করুন।
গেস্ট ব্লগিং কি সে সম্পর্কেও আমরা আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আর্টিকেলটি পড়া শুরু করি।
পেজ সূচিপএ
লং টেইল কিওয়ার্ড কি
লং টেইল কিওয়ার্ড কি এই বিষয় সম্পর্কে অনেকেরই অজানা রয়েছে। লং টেইল কিওয়ার্ড হল এমন একটি শব্দ যা খুব নির্দিষ্ট এবং লম্বা হয়ে থাকে। সাধারণত এ ধরনের কিওয়ার্ডে তিনটি বা আরও বেশি শব্দ থাকে।
আরো পড়ুনঃ ওয়ার্ডপ্রেস কি কেন শিখব
নির্দিষ্ট সার্ভিস, নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট, নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুর ওপরে লং টেইল কিওয়াড সাধারণভাবে ইঙ্গিত দিয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ “সেরা দামে ঢাকায় মোবাইল কেনা” বা “বাড়িতে বসে কেক তৈরির সহজ উপায়”।
লং টেইল কিওয়ার্ড কেন গুরুত্বপূর্ণ
কিছু কিছু বিষয় বস্তুর ক্ষেত্রে লং টেইল কিওয়ার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট কিছু প্রোডাক্ট, নির্দিষ্ট কিছু বিষয়বস্তু কিংবা সার্ভিসের জন্য আপনি লং টেইল কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে পারেন। লং টেইল কিওয়ার্ড দিয়ে লিখলে আপনি খুব সহজে গুগলে আর্টিকেল র্যাঙ্ক করাতে পারবেন। আসুন তাহলে জেনে নেই লং টেইল কিওয়ার্ড কেন গুরুত্বপূর্ণ।
- কম প্রতিযোগিতা: লং টেইল কিওয়ার্ড সাধারণত কম প্রতিযোগিতা থাকে। যার ফলে আপনার ওয়েবসাইট গুগল সার্চ রেজাল্টে উপরে আসার সম্ভাবনা বেশি।
- উচ্চ রূপান্তর হার: লং টেইল কিওয়ার্ড ব্যবহারকারীর আকর্ষণ আরো বৃদ্ধি করে। ফলে আপনার ওয়েবসাইটে আসা ব্যবহারকারীরা আপনার পণ্য বা সেবা কেনার জন্য বেশি আগ্রহ দেখায়।
- ট্রাফিক বৃদ্ধি: লং টইল কিওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন উৎস থেকে ট্রাফিক আনতে পারেন আপনার ওয়েবসাইটের ভেতরে।
- ব্যান্ড সচেতনতা বৃদ্ধি: নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনার ব্র্যান্ডকে আরো ভালোভাবে প্রচার করতে পারেন।
লং টেইল কিওয়ার্ডের সুবিধা
লং টেইল কিওয়ার্ড ব্যবহারে বিশেষ কিছু সুবিধা রয়েছে। নিচে তা নিম্নে আলোচনা করা হলো।
- নির্দিষ্ট টার্গেট: আপনি নির্দিষ্ট কিংবা আপনার পছন্দমত গ্রাহককে টার্গেট করতে পারবেন।
- সহজে র্যাঙ্ক: কম প্রতিযোগিতার কারণে সহজে সার্চ ইঞ্জিনে আপনি আগে র্যাঙ্ক করাতে পারবেন।
- উচ্চ ক্লিক: ব্যবহারকারীরা আপনার ওয়েবসাইটে ক্লিক করার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
লং টেইল কিওয়ার্ড কীভাবে খুজবেন
বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করে আপনি লং টইল কিওয়ার্ড খুঁজে পেতে পারেন। যেমন: Google Keyword Planner, SEMrush, Ahrefs ইত্যাদি।
- আপনার প্রতিযোগীদের ওয়েবসাইট: আপনার প্রতিযোগীরা কোন কোন কিওয়ার্ড ব্যবহার করছে তা দেখে আপনি নতুন কিছু আবিস্কার করতে পারবেন।
- সোশ্যাল মিডিয়া: ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লোকেরা কোন কোন শব্দ ব্যবহার করে তা দেখে আপনি নতুন নতুন কিওয়ার্ড আবিষ্কার করতে পারবেন।
- আপনার পণ্য বা সেবার বিষয়ে প্রশ্ন: আপনার পণ্য বা সেবার বিষয়ে লোকেরা কোন কোন প্রশ্ন করে তা খুঁজে বের করে আপনি নতুন কিওয়ার্ড আরও তৈরি করতে পারবেন।
লং টেইল কিওয়ার্ড ব্যবহারের কিছু উদাহরণ
“ঢাকায় সেরা ইতালীয় রেস্টুরেন্ট”
“বাচ্চাদের জন্য শিক্ষামূলক খেলনা অনলাইনে কিনুন”
“ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য তালিকা”
লং টেইল কিওয়ার্ড আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ট্রাফিক বৃদ্ধি এবং রুপান্তর হার বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। তাই আপনার ওয়েবসাইটের জন্য লং টেইল কিওয়ার্ড খুঁজে বের করে ব্যবহার করুন। আশা করি লং টেইল কিওয়ার্ড কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
গেস্ট ব্লগিং
গেস্ট ব্লগিং হল অন্যের ওয়েবসাইটের নিজের লেখা একটি আর্টিকেল প্রকাশ করা। এটি ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ব্যক্তিগত ব্যান্ডিংয়ের আপনার জন্য নিজের একটি জনপ্রিয় কৌশল হতে পারে।
গেস্ট ব্লগিং কেন গুরুত্বপূর্ণ
গেস্ট ব্লগিং কেন গুরুত্বপূর্ণ একটি ওয়েবসাইটের জন্য সে সম্পর্কে নীচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
- ব্র্যান্ড এক্সপোজার: আপনার লেখা অন্য একটি ওয়েবসাইটের পাঠকদের কাছে পৌঁছাবে ফলে আপনার ব্যান্ড বা ব্যবসার অনেক পরিচিতি বাড়বে।
- ট্রাফিক: গেস্ট ব্লগিনের মাধ্যমে আপনার লেখায় আপনার নিজের ওয়েবসাইটের লিংক দিয়ে আপনার ওয়েবসাইটের অনেক ট্রাফিক বাড়াতে পারেন।
- অথরিটি: অন্যের ওয়েবসাইটে লেখা আপনাকে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করে।
- নেটওয়ার্কিং: অন্যান্য ব্লগারদের সাথে যোগাযোগ করে আপনি নতুন নতুন সুযোগ খুঁজে পেতে পারেন।
- SEO: গুগল অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে আসা ব্যাংকলিংকে একটি ইতিবাচক সংকেত হিসেবে বিবেচনা করে, যা আপনার ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিন উন্নত করতে সাহায্য করে।
গেস্ট ব্লগিয়ের সুবিধা
আপনার ওয়েবসাইটে গেস্ট ব্লগিং করলে কি কি সুবিধা রয়েছে তা নিচে আলোচনা করা হলো।
- ব্যান্ড এক্সপোজার ও অথরিটি বৃদ্ধি।
- ট্রাফিক বৃদ্ধি।
- নেটওয়ার্কিং।
- SEO বেনিফিট।
- নতুন শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা।
গেস্ট ব্লগিয়ের অসুবিধা
গেস্ট ব্লগিং শুধু আমাদের সুবিধাই করে না কিছু কিছু অসুবিধা ও তৈরি করে। আসুন তাহলে জেনে নেই গেস্ট ব্লগিং করলে আমাদের কি কি অসুবিধা হতে পারে।
- একটি ভালো মানের আর্টিকেল লেখার জন্য সময় লাগে।
- আপনার আর্টিকেল সব সময়ই প্রকাশের জন্য গৃহীত নাও হতে পারে।
- অনেক ব্লগারই গেস্ট পোস্টিং করতে চাই। তাই এই ব্যাপারে প্রতিযোগিতা বেশি হতে পারে।
কিভাবে গেস্ট ব্লগিং করবেন
- আপনার নিশের সাথে সম্পর্কিত ব্লক খুজে বের করুন।
- প্রতিটি ব্লগে নিজস্ব নির্দেশিকা থাকে, সেগুলো মেনে চলুন।
- ব্লগের সম্পাদককে একটি পিস লিখুন, যেখানে আপনার আর্টিকেলের বিষয়বস্তু আপনার যোগ্যতা এবং কেন আপনার আর্টিকেল তাদের ব্লগের জন্য উপযুক্ত হবে তা উল্লেখ করবেন।
- যদি আপনার পিস গৃহীত হয় তাহলে তাকে নির্দেশিকা মত আটিকেলটি লিখুন।
- আপনার আর্টিকেলটি প্রকাশিত হলে সোশ্যাল মিডিয়ার শেয়ার করুন।
- গেস্ট ব্লগিং আপনার ব্যক্তিগত ব্যান্ড এবং ওয়েবসাইটের জন্য একটি দুর্দান্ত কৌশল। এটি সময় সাপেক্ষ হলেও এর ফলাফল অত্যন্ত সন্তুষ্ট জনক হতে পারে।
গুগল কন্টেন্ট পলিসি
গুগল কন্টেন্ট পলিসি হলো গুগলের সেট করা কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম। যা ওয়েবসাইটের কনটেন্ট এর গুণমান ও প্রকৃতি নির্ধারণ করে। এই পলিসিগুলির সার্চ ইঞ্জিনে ভালো র্যাঙ্ক পাওয়ার জন্য এবং ব্যবহারকারীদের জন্য একটি নিরাপদ ও সুন্দর অনলাইন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কেন গুগল কন্টেন্ট পলিসি গুরুত্বপূর্ণ
- গুগলের কনটেন্ট পলিসি মেনে চললে আপনার ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্টে উপরে আসার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- এই পলিসি আপনাকে নিশ্চিত করে যে ব্যবহারকারীরা একটি ভালো মানের ও নিরাপদ কন্টেন্ট পাবেন।
- এই পলিসি মেনে চললে আপনার ওয়েবসাইট স্বাস্থ্যকর থাকে এবং গুগলের অ্যালগোরিদম দ্বারা পেনালাইজ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
গুগল কনটেন্ট পলিসির মূল বিষয়গুলি
- কন্টেন্টটি ব্যবহারকারীর জন্য মূল্যবান হতে হবে এটি অস্বাভাবিক, কপি বা স্পামিং হওয়া উচিত নয়।
- কিওয়ার্ড ব্যবহার করা জরুরী তবে এটি অতিরিক্ত বা অপাকৃতিক হওয়া উচিত নয়।
- কন্টেন্টটি মোবাইল-ফ্রেন্ডলি হতে হবে। কন্টে মোবাইল ডিভাইসে ভালো দেখাতে হবে।
- সহজে পড়ার প্রতিযোগী হতে হবে
- কন্টেন্টটি অন্য কোথাও থেকে কপি করা হলে গুগল এটিকে পেনালাইজ করতে পারে।
- কন্টেন্ট মধ্য স্প্যাম, মিথ্যা বা বিভান্তিকর তথ্য প্রকাশ করা ঠিক না।
- গুগল কনটেন্ট পলিসি মেনে চলার উপায়
- গুগল সার্চ কেন্দ্রে গিয়ে আপনি গুগলের সর্বশেষ কন্টেন্ট পলিসি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
- গুগলের কন্টেন্ট কোয়ালিটি গাইডলাইন মেনে চলুন।
- পাঠকদের জন্য মূল্যবান এবং অনন্য কনটেন্ট তৈরি করতে চেষ্টা করুন।
- ভালো করে কিওয়ার্ড সার্চ করে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
- আপনার ওয়েবসাইটটি মোবাইল-ফ্রেন্ডলি হতে হবে।
গুগল কনটেন্ট পলিসি মেনে চললে আপনার ওয়েবসাইট সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এর পলিসিগুলি আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে ভালো র্যাঙ্ক পাওয়াতে এবং পাঠকদের জন্য একটি ভালো অভিজ্ঞতা প্রদান করতে সাহায্য করবে।
অ্যাডভান্স আর্টিকেল ফরমেটিং টেকনিকস
এডভান্স আর্টিকেল ফরমেটিং টেকনিকস সম্পর্কেও ভালো করে জানতে হবে একটি ভালো আর্টিকেল লেখার জন্য। একটি আর্টিকেল শুধুমাত্র ভালো লেখা দিয়ে যথেষ্ট নয়, পাঠকদের মনোযোগ ধরে রাখার জন্য আর্টিকেল আকর্ষণ এবং পড়ার সুবিধাজনক করতে হবে। এখানে কিছু এডভান্স আর্টিকেল ফরমেটিং টেকনিকস দেওয়া হল:
আরো পড়ুন: কপিরাইটিং কি - কপিরাইটিং কেন গুরুত্বপূর্ন
হেডিং এবং সাব হেড
H1,H2,H3 ইত্যাদি ট্যাগ ব্যবহার করে হেডিং এর একটি স্পষ্ট হায়ারার্কি তৈরি করুন। এটি পাঠকদের জন্য কন্টেন্টি সহজে বুঝতে এবং নেভিগেট করতে সাহায্য করবে। প্রতিটি হেডিংয়ে একটি কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন এটি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের (SEO) জন্য ভালো। হেডিং গুলি সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট হওয়া উচিত যাতে পাঠক এক নজরে বুঝতে পারে যে সেকশনে কি আছে।
বুলেট পয়েন্ট এবং নম্বর: জটিল তথ্যকে বুলেট পয়েন্ট বা নম্বরে ভাগ করে উপস্থাপন করুন। এর ফলে পাঠকদের জন্য তথ্যটি মনে রাখা অনেক সহজ হয়ে যায়।
বিভিন্ন ধরনের তালিকা ব্যবহার করুন
- স্টেপ-বাই-স্টেপ গাইড: একটি প্রক্রিয়াকে ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করতে।
- ফিচার তালিকা: একটি পণ্য বা সেবার বিভিন্ন ফিচার তুলে ধরতে।
- তুলনা তালিকা: দুই বা ততোধিক পণ্য বা সেবা তুলনা করতে
ইমেজ এবং গ্রাফিক:
- দৃষ্টি আকর্ষণ: ইমেজ এবং গ্রাফিক্স দিয়ে আপনার আর্টিকেল কে আরো আকর্ষণীয় করে তুলুন।
- তথ্য উপস্থাপন: ইনফোগ্রাফিক্স, চার্ট এবং গ্রাফ ব্যবহার করে জটিল তথ্য সহজে উপস্থাপন করুন।
- ব্র্যান্ডিং: আপনার ব্র্যান্ডের লোগো এবং রঙ ব্যবহার করে আপনার আর্টিকেলকে ব্যান্ডিং করুন।
হাইলাইট এবং বোল্ড টেক্সট:
- মূল বিষয়: মূল বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ব্যবহার করে তুলে ধরুন।
- কল টু অ্যাকশন: কল টু অ্যাকশন বাটন বা লিংকে হাইলাইট করে পাঠকদের কোন কাজ করতে উৎসাহিত করুন।
- পড়ার সুবিধা: লাইন স্পেসিং এবং মার্জিন ব্যবহার করে আপনার আর্টিকেলকে পড়ার সুবিধাজনক করে তুলুন।
- বিভিন্ন সেকশন: বিভিন্ন সেকশনকে পৃথক করার জন্য স্পেসিং ব্যবহার করুন।
ফন্ট এবং ফন্ট সাইজ
- পঠন যোগ্যতা: একটি পঠনযোগ্য ফন্ট এবং ফন্ট সাইজ ব্যবহার করুন।
- বিভিন্ন ফ্রন্ট: বিভিন্ন ফন্ট ব্যবহার করে আপনার আর্টিকেলকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলুন। তবে অতিরিক্ত ফ্রন্ট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
রং
- ব্র্যান্ডিং: আপনার ব্যান্ডের রং ব্যবহার করে আপনার আর্টিকেলকে ব্যান্ডিং করুন।
- মনোযোগ আকর্ষণ: বিভিন্ন রং ব্যবহার করে পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণ করুন। তবে অতিরিক্ত রং ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
উপরের উল্লেখিত টেকনিকগুলি ব্যবহার করে আপনি আপনার আর্টিকেলকে আর আকর্ষণ এবং পড়ার সুবিধা জনক করে তুলতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন,অতিরিক্ত ফরমেটিং আপনার আর্টিকেলকে বিভ্রান্তিকর করে তুলতে পারে। সুতরাং, একটি সুষম ব্যবহার করুন।
আর্টিকেল রাইটিং
আর্টিকেল রাইটিং শুধুমাত্র লেখায় নয় এটি একটি কৌশলগত প্রক্রিয়া। একটি সফল আর্টিকেল লেখার জন্য আপনাকে বিভিন্ন ধরনের বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিতে হবে, যেমন টপিক নির্বাচন, কিওয়ার্ড অ্যানালাইসিস এবং আর্টিকেলের কাঠামো।
টপিক খোঁজা
- আপনার দক্ষতা: আপনি কোন বিষয়ে সবচেয়ে ভালো জানেন? কোন বিষয়ে আপনার আগ্রহ বেশি?
- টার্গেট অডিয়েন্স: আপনি কাদের কাছে পৌঁছাতে চান? তাদের কি ধরনের তথ্যের প্রয়োজন?
- ট্রেন্ডিং টপিক: বর্তমানে কোন বিষয় জনপ্রিয়? এ বিষয়গুলো নিয়ে লেখলে আপনার আর্টিকেল বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে।
- কিওয়ার্ড রিসার্চ: কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল ব্যবহার করে আপনি কোন বিষয়ে মানুষ সবচেয়ে বেশি সার্চ করে তা জানতে পারবেন।
- কম্পিটিটর অ্যানালাইসস: আপনার প্রতিযোগীরা কোন বিষয়গুলো নিয়ে লিখছে তা দেখে আপনি নতুন আইডিয়া পেতে পারেন।
কিওয়ার্ড অ্যানালাইসিস
- কীওয়ার্ড সরন্জাম: Google keyword planner,SEMrush,AHrefs ইত্যাদি টুল ব্যবহার করে আপনি কিওয়ার্ড খুঁজে পেতে পারেন।
- লং টেইল কিওয়ার্ড: লং টেইল কিওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনি নির্দিষ্ট টার্গেট অডিয়েন্সকে টার্গেট করতে পারবেন।
- কিওয়ার্ড ডিফিকাল্টি: কোনো কিওয়ার্ড র্যাংক করা কতটা কঠিন তা জানা জরুরী
- সার্চ ভলিউম: কোন কিওয়ার্ডে কতবার সার্চ হয় তা জানাও জরুরী।
আর্টিকেল রাইটিং স্ট্র্যাটেজি
- আউটলাইন তৈরি: আর্টিকেল লেখার আগে একটি আউটলাইন তৈরি করুন। এটি আপনাদের সুসংগতভাবে লিখতে সাহায্য করবে।
- আকর্ষণীয় শিরোনাম: শিরোনাম এমন হতে হবে যাতে পাঠকদের আকৃষ্ট করে।
- মূল বিষয়: আপনার আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তু স্পষ্টভাবে তুলে ধরুন।
- উদাহরণ এবং তথ্য: আপনার আর্টিকেলের উদাহরণ এবং তথ্য দিয়ে আপনার পয়েন্ট গুলোকে আরও শক্তিশালী করুন।
- কল টু অ্যাকশন: পাঠকদেরকে কোন কাজ করতে উৎসাহিত করুন যেমন কমেন্ট করুন, শেয়ার করুন, ইত্যাদি।
- এসইও অপটিমাইজেশন: আপনার আর্টিকেলে কিওয়ার্ডগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করুন।
- পঠনযোগ্যতা: আপনার আর্টিকেলটি সহজে পড়ার উপযোগী হতে হবে ।
আর্টিকেল ফরমেটিং
- হেডিং এবং সাবহেডিং: হেডিং এবং সাবহডিং ব্যবহার করে আপনার আর্টিকেলকে আরো সুন্দর এবং পড়ার সুবিধাজনক করে তুলুন।
- বুলেট পয়েন্ট: বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করে আপনার তথ্যগুলোকে সহজে উপস্থাপন করুন।
- ইমেইজ এবং গ্রাফিক্স: ইমেজ এবং গ্রাফিক ব্যবহার করে আপনার আর্টিকেলকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলুন
একটি সফল আর্টিকেল লেখার জন্য আপনাকে বিভিন্ন বিষয়ের উপরে গুরুত্ব দিতে হবে। টপিক নির্বাচন, কিওয়ার্ড অ্যানালিসিস, আর্টিকেলের কাঠামো এবং ফরমেটিং সবকিছুই একটি ভালো আর্টিকেল লেখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
লেখকের শেষ কথা - লং টেইল কিওয়ার্ড কি
লং টেইল কিওয়ার্ড দিয়ে কিভাবে আপনি আপনার ওয়েবসাইট গুগলে র্যাঙ্ক করাবেন সে সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করেছি। যাতে করে আপনারা খুব সহজে লং টেইল কিওয়ার্ড কি, গেস্ট ব্লগিং, গুগল কনটেন্ট পলিসি, আর্টিকেল রাইটিং ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে একটি ভালো ধারণা পেতে পারেন।
আরো পড়ুন: এসইও শিখতে কতদিন লাগে জেনে নিন
প্রিয় পাঠক, একটি বিষয় সবসময় মাথায় রাখবেন একটি ভালো আর্টিকেল লেখার জন্য এবং গুগলে র্যাঙ্ক করানোর জন্য অবশ্যই আপনাকে ভালোভাবে লং টেইল কিওয়ার্ড সম্পর্কে জানতে হবে। আশা করি আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং লং টেইল কিওয়ার্ড কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আপনার যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন।
বিডি অনলাইন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url