প্রস্রাবের ইনফেকশনের ঘরোয়া উপায়

প্রস্রাবের ইনফেকশনের ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে আপনি হয়তো অনেক বেশি আগ্রহী। আপনি যদি প্রস্রাবের ইনফেকশনের প্রাথমিক পর্যায়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
প্রস্রাবের ইনফেকশনের ঘরোয়া উপায়
তাছাড়া আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেমন ছোট বাচ্চাদের প্রস্রাবের ইনফেকশনের লক্ষণ সম্পর্কে একটি সঠিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তাহলে চলুন দেরি না করে চটজলদি আর্টিকেলটি পড়া শুরু করি। 
পেজ সূচিপএ

প্রস্রাবের ইনফেকশনের ঘরোয়া উপায়

প্রস্রাবের ইনফেকশনের ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জেনে রাখা ভালো। কারণ এখন প্রায় সবারই প্রস্রাবের ইনফেশনের সমস্যা দেখা দেয় তাই বারবার ওষুধ না খেয়ে যদি ঘরোয়া উপায়ে প্রসাব ইনফেকশনের সমস্যার সমাধান করা যায় তাহলে বেশি ভালো হয়। প্রস্রাবের ইনফেকশনের সমস্যায় নারী পুরুষ কিংবা শিশুরা প্রায় সবাই ভুগেন। অনেক সময় প্রাথমিক অবস্থায় প্রস্রাবের ইনফেকশন বুঝতে না পারলে পরে তা মারাত্মক এবং দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা তৈরি করতে পারে। 
এমনকি লিভার ও কিডনির নানান রকম রোগের ও সমস্যা হতে পারে। গরমে এর সমস্যা বেশি দেখা দেয়। গরমের দিনে আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করি না এবং আমাদের শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যায় এর ফলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া তৈরি হয়। আর এভাবে আস্তে আস্তে প্রস্রাবের সমস্যা কিংবা ইনফেকশন দেখা দেয়। পুরুষদের চাইতে নারীদের প্রস্রাবের ইনফেকশনের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তাই আসুন জেনে নেই প্রস্রাবের ইনফেকশনের ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।

  • প্রস্রাবের ইনফেকশনের সমস্যা হলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। বেশি পরিমাণে পানি পান করলে বেশি বেশি প্রসব হবে এবং শরীর থেকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বের হয়ে যাবে।
  • প্রস্রাবের সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য প্রতিদিন এক গ্লাস পানিতে এক চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে সপ্তাহে দুইদিন খেতে পারেন এতে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমবে এবং প্রস্রাবের ইনফেকশন সারিয়ে তুলবে।
  • শসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি তাই প্রস্রাবের ইনফেকশন দূর করার জন্য প্রতিদিন আপনার খাদ্য তালিকায় কমপক্ষে একটি শসা রাখতে পারেন। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা পূরণ হবে এবং প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া ও ইনফেকশনের সমস্যা দূর হবে।
  • প্রস্রাবের ইনফেকশন হওয়ার ফলে যদি আপনার পেটে ব্যথা করে কিংবা প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া করে তাহলে হট ওয়াটার ব্যাগে গরম পানি দিয়ে তলপেটে সেক দিতে পারেন এতে অনেকটা উপকার পাওয়া যায়।
  • একটি পরিষ্কার কাপড় নিয়ে হালকা উষ্ণ গরম পানি দিয়ে কাপড়টি ভিজিয়ে কাপড়টি আক্রান্ত স্থানে চেপে ধরে রাখলে অনেকটা আরাম পাওয়া যায়।
  • তাছাড়া কিছু নিম পাতা পানিতে সিদ্ধ করে সেই পানি ইনফেকশনের আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করলেও উপকার পাওয়া যায়।
  • এছাড়া স্যালারি বীজ গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলেও প্রস্রাবের ইনফেকশনে উপকার পাওয়া যায়। এ ছাড়া তাছাড়া আপনি স্যালোরি বীজের রস খেতে পারেন কিংবা এমনি চিবিয়ে খেতে পারেন এতে উপকার পাবেন।

ছোট বাচ্চাদের প্রস্রাবের ইনফেকশনের লক্ষণ

ছোট বাচ্চাদের প্রস্রাবের ইনফেকশনের লক্ষণ দেখে আপনাকে বুঝে নিতে হবে ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়েছে কিনা। কারণ ছোট বাচ্চারা নিজের শরীরের কোন সমস্যায় বলতে পারে না সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার লক্ষণ দেখেই বুঝতে হয় তারা কি ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়েছে। 

ছোট বাচ্চা এবং বড়দের প্রস্রাবের ইনফেকশনের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে কারণ ছোট বাচ্চারা খুব ঘন ঘন প্রস্রাব করে এতে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। এছাড়া বড়রা কঠিন পরিশ্রম করে এবং কম পানি খাওয়ার ফলে তাদের ইনফেকশনের সমস্যা বেশি হয়। আসুন তাহলে জেনে নেই ছোট বাচ্চাদের প্রস্রাবের ইনফেকশনের লক্ষণ সম্পর্কে।

  • প্রস্রাবের স্থানের ছোট একটি ফোড়া বা ফোলা ভাব দেখা দেয় কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্থানে লালচে বা গোলাপী ভাব দেখা দিতে পারে।
  • কোন কোন ক্ষেত্রে পুজ ও দেখা দিতে পারে এবং ফোঁড়ার স্থানটি স্পর্শ করলে নরম অনুভব হয়।
  • ইনফেকশনে আক্রান্ত স্থানটি স্পর্শ করলে ব্যথা অনুভব করতে পারে।
  • ইনফেকশন যদি খুব বেশি হয় তাহলে জ্বর হতে পারে। এমনকি শরীল দুর্বল দেখায় এবং ইনফেকশনের কারণে বাচ্চার খাওয়ার প্রতি আগ্রহ কমে যায়।
  • এছাড়া ইনফেকশনের স্থানটি শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় গরম অনুভব হতে পারে।
  • প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে আক্রান্ত স্থানে বাচ্চা বারবার হাত দিতে দেয় না এবং আক্রান্ত স্থানটি নিয়ে খুব বেশি অস্বস্তিতে ভুগে তখনই আপনাকে বুঝে নিতে হবে প্রস্রাবের ইনফেকশনের সমস্যা হয়েছে।
  • যদি ইনফেকশনের সমস্যা খুব গুরুতর হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তাছাড়া শিশুদের প্রস্রাবের ইনফেকশন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে তাই খুব দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।

সচার আচার জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী ও উত্তর

১. প্রস্রাবের ইনফেকশন কতদিনে ভালো হয় ?
প্রস্রাবের ইনফেকশন কতদিনে ভালো হয় তা নির্ভর করে প্রস্রাবের ইনফেকশন কতটা গভীরে পৌঁছেছে এবং সে ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কেমন তার ওপর। তবে সঠিক যত্ন ও চিকিৎসা মাধ্যমে সাধারণত প্রসবের ইনফেকশন এক থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়।
প্রস্রাবের ইনফেকশনের ঘরোয়া উপায়
২. পানি খেলে কি প্রস্রাবের ইনফেকশন দূর হয় ?
পানি খেলে আমরা বারবার প্রসাব করি। আর বারবার প্রসাব করার ফলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীর থেকে বের হয়ে যায়। ফলে বেশি পরিমাণে পানি খেলে আপনি যেমন প্রস্রাবের ইনফেকশনের সমস্যায় পড়বেন না তেমন ইনফেকশন হওয়ার পরে বেশি পরিমাণে পানি খেলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বের হয়ে যায় এবং প্রস্রাবের ইনফেকশন দূর হয়।

৩. ইনফেকশনের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা কি ?
ইনফেকশনের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা কি এর সম্পর্কে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া উচিত। তবে নাইটোপুরান পয়েন্ট হলো একটি এন্টিবায়োটিক যা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া গুলোকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে।

৪. প্রস্রাবের ইনফেকশন কেন হয় ?
বেশি সময় ধরে প্রসাব মূত্রনালীর মধ্যে জমিয়ে রাখলে প্রস্রাবের ইনফেকশন সমস্যা দেখা দেয়। মূএনালীর মধ্যে প্রসাব বেশিক্ষণ জমে থাকলে তাতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার জন্ম নেয়। আর সে কারণে প্রস্রাবের ইনফেকশন হয়।

গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবের ইনফেকশন এর লক্ষণ ও প্রতিকার

গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবের ইনফেকশন এর লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব। গর্ভাবস্থায় বিশেষ করে নারীদের প্রস্রাবের ইনফেকশনের সমস্যা খুব পরিচিত একটি সমস্যা। সাধারণত গর্ভাবস্থায় দুই থেকে দশ শতাংশ নারী প্রস্রাবের ইনফেকশনের সমস্যায় ভুগে থাকেন। গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে খুব দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন কারণ এটি মা এবং শিশু উভয়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। আসুন তাহলে জেনে নেই গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবের ইনফেকশন এর লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে।

গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবের ইনফেকশনের লক্ষণ

  • প্রস্রাবের স্থানে ফোলা ভাব বা লালচে ভাব কিংবা স্পর্শ করলে ব্যথা অনুভব হয়।
  • প্রস্রাবের স্থানে ফোড়া হতে পারে এবং ফোঁড়ার মধ্যে হলুদ ধরনের পুজ জমতে পারে কিংবা পুজের সাথে ময়লা ও রক্ত থাকতে পারে।
  • প্রস্রাবের স্থানে শরীরের অন্যান্য স্থানের চাইতে বেশি গরম অনুভব হয়।
  • প্রস্রাবের ইনফেকশন বেশি হলে হালকা জ্বরও হতে পারে।
  • প্রস্রাবের ইনফেকশনের কারণে শরীর অনেকটা ক্লান্তি, দুর্বল ও ক্ষুধা কমে যেতে পারে কিংবা মাঝে মাঝে বমি ভাব হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবের ইনফেকশনের প্রতিকার

ডাক্তারের পরামর্শ
গর্ভাবস্থায় ইনফেকশন হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। গর্ভাবস্থায় ইনফেকশন হলে ইনফেকশন রোধ করার জন্য কিছু ভালো মানের এন্টিবায়োটিক রয়েছে তবে সেগুলো অবশ্যই ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী খাওয়া উচিত।

গরম পানির সেক
হালকা গরম পানি করে সংক্রমিত স্থানের দিলে অনেকটা উপকার হয় কিংবা হালকা গরম পানির ভেতরে একটি পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থানে কাপড়টি দিয়ে সেক দিলে অনেক আরাম পাওয়া যায়।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা
ইনফেকশন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য বারবার আক্রান্ত স্থানে হাত দিবেন না এবং স্থানটি সবসময় পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন।

ভিটামিন সি যুক্ত খাবার
ভিটামিন সি যুক্ত খাবার প্রস্রাবের ইনফেকশনে বিরুদ্ধে দারুণ কাজ করে। ভিটামিন সি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে। তাই অবশ্যই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সি যুক্ত খাবার রাখার চেষ্টা করুন।

প্রস্রাবের ইনফেকশনের লক্ষণ

প্রস্রাবের ইনফেকশনের লক্ষণ সম্পর্কে আগে থেকে জানা থাকলে খুব দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব। প্রস্রাবের ইনফেকশন সাধারণত কিডনিতে, মূত্রনালী, মূত্রাশয় হয়ে থাকে। প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে আমাদের শরীরে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তবে কিছু কিছু লক্ষণ খুব বেশি দেখা দেয়। আসুন তাহলে জেনে নেই প্রস্রাবের ইনফেকশন এর লক্ষণ গুলো কি কি হতে পারে।

  • প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে প্রস্রাব করার সময় আমাদের মূত্রনালীতে জ্বালাপোড়া ও ব্যথা হয়।
  • প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে বারবার প্রস্রাবের অনুভব হয় এবং খুব কম পরিমাণে প্রসাব হয়।
  • প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে প্রস্রাবের রং লালচে কিংবা গাঢ় হলুদ হয়।
  • প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে প্রস্রাব করার সময় প্রস্রাব থেকে প্রচুর দুর্গন্ধ আসে।
  • দিনের যেকোনো সময় কিংবা এমনি সময় তলপেট এবং কোমর ব্যথা অনুভব হয়।
  • প্রস্রাবের ইনফেকশনের সংক্রমণের পরিমাণ যদি বেশি হয় তাহলে মাঝারি আকারের জ্বর ও হতে পারে।
  • প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে শরীর অনেকটা ক্লান্তি ও দুর্বল অনুভব হয়।
  • আপনার শরীরে যদি এমন কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সঠিক চিকিৎসা নেওয়া উচিত। দীর্ঘস্থায়ী প্রসাব ইনফেকশন আপনার কিডনির ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই অবশ্যই প্রস্রাবের ইনফেকশন থেকে সাবধান থাকা উচিত এবং দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।

প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে কি ওষুধ খেতে হবে

প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে কি ওষুধ খেতে হবে সে সম্পর্কে অবশ্যই একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রস্রাবের ইনফেকশনের জন্য এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়া উচিত। কিছু কিছু এন্টিবায়োটিক রয়েছে যেগুলো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া যেতে পারে যেমন সিপ্রোফ্লক্সাসিন,অ্যাম্পিসিলিন,নাইট্রোফুরানটোইন এবংঅ্যামোক্সিসিলিন। তাছাড়া ব্যথা কমানোর জন্য পাইরিডিয়াম খাওয়া যেতে পারে। 

তবে এই এন্টিবায়োটিক গুলো খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া আবশ্যক। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনোই এই এন্টিবায়োটিক গুলো নিজে থেকে খাবেন না কারণ আগে আপনাকে অবশ্যই আপনার সংক্রমণ সম্পর্কে জানতে হবে। 

আপনার প্রস্রাবের কতটুক সংক্রমণ হয়েছে এবং সংক্রমণের হার ঠিক কতটা সে সম্পর্কে জেনে তারপরে ডাক্তারের কোন এন্টিবায়োটিক আপনার জন্য ভালো হবে সে সম্পর্কে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাই অবশ্যই আগে একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর এন্টিবায়োটিক খাওয়া শুরু করুন।

প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে কি সমস্যা হয়

প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে কি সমস্যা হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা কিংবা লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। প্রস্রাবের ইনফেকশন খুব সাধারণ সমস্যা হলেও অনেক দিন চিকিৎসা না করা হলে এটি দীর্ঘ মেয়াদী কোন সমস্যায় ফেলতে পারে।

 তাই অবশ্যই আপনার যদি নিজের এই সমস্যাগুলো উপলব্ধি করেন তাহলে অবশ্যই একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ গ্রহণ করুন। আসুন তাহলে জেনে নিই প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে কি কি সমস্যা হতে পারে।

  • প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে প্রস্রাব করার সময় আক্রান্ত স্থানে জ্বালাপোড়া হতে পারে।
  • প্রস্রাবের রাস্তায় চুলকানি হতে পারে এবং প্রসাব করতে অসুবিধা হয়।
  • তলপেট, কোমর ব্যথা করতে পারে।
  • বারবার প্রস্রাবের অনুভব হয় এবং অল্প পরিমাণে প্রসাব হতে পারে।
  • এবং প্রস্রাবের করার সময় দুর্গন্ধ অনুভব হয় ও প্রস্রাবের রং হলদে কিংবা লালচে হতে পারে।

প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে কি খেতে হয় না

প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে কি খেতে হয় না সে সম্পর্কে যদি আগে থেকে জেনে রাখা যায় তাহলে প্রস্রাবের সংক্রমণ অনেকটাই কমানো সম্ভব। তাছাড়া প্রসাবে ইনফেকশন হওয়ার সাথে সাথে আপনি সে খাবারগুলো খাওয়া বন্ধ করে দিতে পারেন। 

আমরা অনেকেই জানিনা প্রসাবে ইনফেকশন হলে কি খেতে হয় আর কি খেতে হয় না। তাই আজকে প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে কি খেতে হয় না সে সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করব। প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে চা, কফি, সফট ডিংক ইত্যাদি খাবার মূত্রাশয়ের জ্বালাপোড়া বাড়াতে পারে। তাই সে খাবার গুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। 
প্রসাবে ইনফেকশন হলে এলকোহল জাতীয় খাবার পরিহার করা উচিত। অতিরিক্ত ঝাল মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করা উচিত। লেবু, কমলা এবং আনারসের মতো টক ফল মৃএনালির সংক্রমনে আরো জ্বালা তৈরি করতে পারে। চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়তা করে তাই মিষ্টি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

কি খেলে প্রস্রাবের ইনফেকশন কমে

কি খেলে প্রস্রাবের ইনফেকশন কমে কিংবা কিছুটা হলেও আরাম পাওয়া যায় সে সম্পর্কে আজকের আলোচনার বিষয়। প্রস্রাবের ইনফেকশন সমস্যা আমরা প্রায় ছোট-বড় সকলেই পড়ি। 

তবে যারা মূত্রনালী নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখেনা এবং অতিরিক্ত পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকে তাদের জন্য প্রস্রাবের ইনফেকশন সমস্যা খুব গুরুতর হয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু ভিটামিন রয়েছে যেগুলো খেলে আপনাদের প্রসাবে ইনফেকশন সমস্যা অনেকটাই কমে আসে। যেমন-ভিটামিন সি। ভিটামিন সি প্রস্রাবের ইনফেকশনের সংক্রমণ রোধ করতে দারুন কাজ করে থাকে। 
কি খেলে প্রস্রাবের ইনফেকশন কমে
ভিটামিন সি এর আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং আমাদের শরীরের ভিতরে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া গুলো ধ্বংস করতে সাহায্য করে। নিয়মিত ভিটামিন সি খাবার খেলে প্রসাব বেশি পরিমাণে এসিডিক হয় এবং প্রসবের ভেতরে জমে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া গুলো মেরে ফেলতে সাহায্য করে। তাই প্রস্রাবের ইনফেকশন দূর করতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সি যুক্ত খাবার রাখার চেষ্টা করুন।

মন্তব্য - প্রস্রাবের ইনফেকশনের ঘরোয়া উপায়

আশা করি প্রস্রাবের ইনফেকশনের ঘরোয়া উপায় সম্পর্কিত আর্টিকেলটি থেকে আপনি প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে কিভাবে ঘরোয়াভাবে চিকিৎসা নিতে পারবেন সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তাছাড়া আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আলোচনা করেছি। 

আপনি যদি আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত করে থাকেন এবং প্রস্রাবের ইনফেকশনের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে অবশ্যই উপরের নিয়ম গুলো মেনে চলুন এতে আপনার প্রস্রাবের ইনফেকশন সমস্যা ভালো হবে এবং আগে থেকেই জানতে পারবেন প্রস্রাবের ইনফেকশন হলে কি কি সমস্যা হয় এবং কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে এগুলো সমাধান করা যায়।
আমি আশা করি, আপনি প্রস্রাবের ইনফেকশনের ঘরোয়া উপায় সম্পর্কিত আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। যদি আমার এই আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু বান্ধবের সাথে এ বিষয়টি শেয়ার করুন। আর আর্টিকেল সম্পর্কে আপনার যদি কোন মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। 

আজকে তাহলে এ পর্যন্তই আবার দেখা হবে অন্য কোন আর্টিকেলের মাধ্যমে। আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আর এতটুক জেনে ভালো লাগছে যে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি একটু হলেও আপনাকে সাহায্য করতে পেরেছি প্রস্রাবের ইনফেকশন সম্পর্কে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি অনলাইন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url