টমেটোতে কি এলার্জি আছে

টমেটোতে কি এলার্জি আছে সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের টমেটো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানোর চেষ্টা করব। তাই পুরো আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
টমেটোতে কি এলার্জি আছে
তাছাড়া টমেটো মুখে মাখার নিয়ম, খালি পেটে টমেটো খাওয়ার উপকারিতা ও সর্তকতা এবং কাদের টমেটো খাওয়া উচিত নয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পেজ সূচিপএ

টমেটোতে কি এলার্জি আছে

টমেটোতে কি এলার্জি আছে এ প্রশ্নটা আমরা খুব কম সংখ্যক মানুষই করে থাকি। কারণ টমেটো এমন একটি সুস্বাদু পুষ্টিকর খাবার যে টমেটোতে এলার্জি হতে পারে এমন ধারণা আমাদের খুব কম সংখ্যক মানুষের মধ্যেই রয়েছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে টমেটোতেও অ্যালার্জি হতে পারে। টমেটো সাধারণত আমরা বিভিন্ন ধরনের খাবারের সাথেই বেশি মিলিয়ে খেতে পছন্দ করি। তাই সহজে বুঝতেই পারি না যে টমেটোতে এলার্জি হচ্ছে না অন্য কোন খাবারে অ্যালার্জি সৃষ্টি হচ্ছে। 
আপনি হয়তো জানেন না যে টমেটোর মধ্যে হিস্টামিন নামক একটি যৌগ রয়েছে। যা আমাদের শরীরে এলার্জির প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে টমেটো খান তাহলে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের এলার্জির লক্ষণ দেখা দিতে পারে যেমন চুলকানি, হাঁচি, ত্বক ফুলে যাওয়া, ত্বকে ফুসকুড়ি, গলা চুলকাতে পারে, এমনকি পুরো শরীরে ছোপ ছোপ লাল দাগ দেখা দিতে পারে। আর আপনি যদি আগে থেকেই এলার্জির সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে অবশ্যই টমেটো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

টমেটো মুখে মাখার নিয়ম

টমেটো মুখে মাখার নিয়ম এবং কি কি উপাদান দিয়ে টমেটো ব্যবহার করলে আপনি ভালো ফলাফল পাবেন সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। টমেটোর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ উপাদান। এই উপাদান গুলো আমাদের ত্বকে উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে টমেটো মুখে মাখার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করি।

টমেটো ব্যবহার

টমেটো ভালো করে ধুয়ে গোলাকার ভাবে কেটে আপনার ত্বকে খুব ভালোভাবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মালিশ করুন এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে পুরো মুখ ধুয়ে নিন। এই ফেসপ্যাকটি আপনি সপ্তাহে প্রতিদিনই ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার ত্বক উজ্জ্বল ও ত্বকের ভিতরে মৃত কোষগুলো সতেজ করতে সাহায্য করবে।

টমেটোর সাথে মধুর ব্যবহার
একটি টমেটো খুব ভালোভাবে বিলিন্ডারের সাহায্যে পেস্ট করে তার সাথে মধু মিশিয়ে মুখে পাঁচ থেকে দশ মিনিট লাগিয়ে অপেক্ষা করুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে ও ত্বক নরম হতে সাহায্য করবে।

টমেটোর সাথে বেসনের ব্যবহার
টমেটো থেকে খুব ভালোভাবে রস বের করে তাতে এক চামচ বেসন মিশিয়ে খুব ভালোভাবে একটি পেস্ট তৈরি করে আপনার সমস্ত মুখমন্ডলে দশ থেকে পনেরো মিনিট লাগিয়ে রাখুন এবং শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে সমস্ত মুখমণ্ডল খুব ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাকটি আপনার ত্বকের মৃত কোষ গুলো জীবিত করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

টমেটোর সাথে লেবুর ব্যবহার
টমেটোর পেস্ট এর সাথে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মুখে দশ মিনিট লাগিয়ে রাখুন এবং দশ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাকটি আপনার ত্বকের কালকে ভাব দূর করতে সাহায্য করবে।

ছেলেদের ত্বকের যত্নে টমেটো

ছেলেদের ত্বকের যত্নের টমেটো একটি দারুন উপাদান হিসেবে কাজ করে থাকে। টমেটোর মধ্যে থাকা লাইকোপেন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ছেলেদের ত্বক উজ্জ্বল করতে, ত্বকের ব্রণ কমাতে এবং ক্ষতিকর সূর্যের রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সহায়তা করে। আসুন তাহলে জেনে নেই ছেলেদের ত্বকে ব্যবহারের জন্য টমেটো দিয়ে কিছু ফেসপ্যাক সম্পর্কে।

  • টমেটো সরাসরি গোল গোল করে কেটে ত্বকে মালিশ করতে পারে এতে ত্বক উজ্জ্বল হবে।
  • টমেটোর পেস্টের সাথে মধু মিশিয়ে দশ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখতে পারে এতে ত্বকের আদ্রতা বাড়বে।
  • টমেটোর পেস্ট এর সাথে এক চামচ শসার রস মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক ঠান্ডা থাকবে এবং ত্বকের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হবে ও ব্রণের সমস্যা দূর হবে।
  • টমেটো সাথে এক চামচ বেসন মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন এবং ১০ থেকে ১৫ মিনিট পেস্টটি মুখে লাগিয়ে রাখুন। পেস্টটি শুকিয়ে গেলে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার ত্বকের মৃত কোষ গুলো সতেজ করবে এবং ত্বক উজ্জ্বল করবে।

টমেটো খাওয়ার উপকারিতা

টমেটো খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানার আগে টমেটোর মধ্যে কি কি পুষ্টিগুণ উপাদান রয়েছে সে সম্পর্কে আমরা আগে জানবো। টমেটো একটি সুস্বাদু ও প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার। টমেটো কাঁচা অবস্থাতেও খাওয়া যায় এবং রান্না করেও খাওয়া যায়। টমেটোর মধ্যে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারী। টমেটোর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ভিটামিন কে এছাড়া রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, ফাইবার। আসুন তাহলে জেনে নেই এসব উপাদান গুলো আমাদের শরীরের কি কি উপকার করে থাকে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে: টমেটোর মধ্যে রয়েছে ফাইবার আর ফাইবার আমাদের বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে। যারা বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত তারা অবশ্যই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় টমেটো রাখার চেষ্টা করুন। টমেটোর মধ্যে থাকা অ্যামিনো এ্যাসিড পেটের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। এছাড়া টমেটোর মধ্যে ফাইবার থাকার কারণে পেট অনেকক্ষণ পর্যন্ত ভরা থাকে এবং ক্ষুধা কম লাগে।
টমেটো মুখে মাখার নিয়ম
হজম শক্তি বাড়ায়: আপনার যদি হজমের কোন সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই প্রতিদিন টমেটো খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। টমেটোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আমাদের হজমে সহায়তা করে। পেটের বিভিন্ন সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস টমেটো জুস খেতে পারেন। তাছাড়া টমেটো কাঁচা অবস্থায়, টমেটো রান্না করে কিংবা দুপুরের খাদ্য তালিকায় সালাদ হিসেবে রাখতে পারেন।

চোখের ও ত্বকের সমস্যা দূর করে: টমেটোর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ। ভিটামিন সি আমাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। আর ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং চোখের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: টমেটোর মধ্যে রয়েছে লাইকোপিন নামের একটি পিগমেন্ট। এ ছাড়া টমেটোর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের পেশীগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে এবং স্টোক কমাতে সাহায্য করে।

হার্ট সুস্থ রাখে: টমেটোর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং লাইকোপিন শিরাগুলোর ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না।

হাড় মজবুত করে: টমেটোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়াম আমাদের হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রতিনিয়ত টমেটো খেলে হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

গর্ভাবস্থায় টমেটো খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় টমেটো খাওয়ার রয়েছে বিশেষ কিছু উপকারিতা। গর্ভাবস্থায় টমেটো খাওয়া শুধু নিরাপদ নয় একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য এটি স্বাস্থ্যকর খাবারও বটে। তবে গর্ভাবস্থায় বেশি কোন খাবার খাওয়ায় স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। তাই অবশ্যই পরিমাণ মতো গর্ভাবস্থায় টমেটো খেলে উপকার পাবেন অনেক। টমেটোর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, খনিজ, কার্বন-হাইড্রেট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি পুষ্টিগুণে ভরপুর সব উপাদান টমেটোর মধ্যে রয়েছে।

কার্বনহাইড্রেট একজন গর্ভবতী মহিলার সকালের অলসতা কাটাতে এবং হজম ও পরিপাকতন্ত্রকে উন্নত করতে সাহায্য করে। এছাড়া কার্বনহাইড্রেট গর্ভের সন্তানের বিকাশে সহায়তা করে। টমেটোর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং ভিটামিন এ গর্ভকালীন সময় চোখের বিভিন্ন সমস্যা এবং গর্ভের সন্তানের দৃষ্টিশক্তি ঠিকমতন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। টমেটোর মধ্যে রয়েছে নিউকোটিনিক অ্যাসিড যা গর্ভকালীন সময় খারাপ কোলেস্টোরল কমিয়ে হৃদরোগের আক্রান্ত হওয়া থেকে বাধা দেয়। 

এছাড়া লাইকোপেন ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রেডিক্যাল গুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করে। গর্ভকালীন মহিলাদের বিভিন্ন জরায়ু সমস্যা থেকে রক্ষা করে। তবে গর্ভাবস্থায় টমেটো খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে বলে যত ইচ্ছা তত টমেটো খাওয়া কিন্তু উচিত না কারণ গর্ভকালীন সময় অতিরিক্ত পরিমাণ টমেটো খেলে আপনার এবং আপনার গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হতে পারে।

টমেটোতে কোন ভিটামিন থাকে

টমেটোতে কোন ভিটামিন থাকে এটা নির্দিষ্ট করে যে কোন একটা ভিটামিনের নাম বলা যায় না। কারণ টমেটো মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন। যেমন ভিটামিন কে, ভিটামিন এ, ভিটামিন৩, ভিটামিন৫, ভিটামিন৬, ভিটামিন৭ ও ভিটামিন সি। এছাড়াও এসব ভিটামিন ছাড়াও প্রাকৃতিকভাবে টমেটোতে রয়েছে অন্যান্য আরো অনেক ধরনের ভিটামিন। যেমন টমেটোর মধ্যে রয়েছে আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যাডমিয়াম, কপার, খনিজ, ফসফরাস ও কলিং। এছাড়া টমেটো ফাইবারের একটি ভালো উৎস। টমেটোর মধ্যে ফাইবার রয়েছে যা আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।

খালি পেটে টমেটো খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে টমেটো খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক। টমেটো একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর সবজি হিসেবে আমাদের সকলের খাদ্য তালিকা স্থান পেয়েছে। টমেটো শীতকালীন সবজি হলেও এটি পুরো বছর জুড়েই এখন পাওয়া যায়। কাঁচা কিংবা পাকা আমরা দুই অবস্থাতেই টমেটো খেতে পারি। আর খাবারের স্বাদ বাড়াতে টমেটোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

টমেটোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি আরো গুরুত্বপূর্ণ সব উপাদান। তাছাড়া টমেটোর মধ্যে রয়েছে পানি। টমেটো আমরা যেকোনো সময় খেতে পারি তবে খালি পেটে টমেটো খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস টমেটো জুস খেলে আপনার সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়। 

টমেটোর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অক্সিডেন্ট আমাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে হৃদরোগের আক্রান্ত থেকে রক্ষা করে। যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস টমেটো জুস খেতে পারেন এতে হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হবে। টমেটোর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি তাই প্রতিদিন সকালে খালি পেটে টমেটো খেলে সারা দিনের রোদের তাপ থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করবে। 
খালি পেটে এক গ্লাস টমেটো জুস সারাদিন লিভার এবং কিডনির কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে ও শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় টক্সিন গুলো বের করে দেয় এবং রক্তের পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। টমেটোর মধ্যে ক্যালরি কম থাকে এবং ফাইবার বেশি থাকে সে জন্য টমেটো খেলে ক্ষুধা কম পায় এবং ওজন কমে। এছাড়া টমেটোর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি। যাদের সর্দি ও কাশির সমস্যা রয়েছে কিংবা ঠান্ডায় সমস্যায় জর্জরিত তারা প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস টমেটো জুস খেতে পারেন এতে অনেকটা আরাম পাবেন।

সর্তকতা

টমেটো খালি পেটে খেলে যদিও আমাদের উপকার হয় বেশি তবে অতিরিক্ত পরিমাণে টমেটো খালি পেটে খাওয়া উচিত না এতে আপনার এ্যাসিডিটির সমস্যা তৈরি হতে পারে।

টমেটো খেলে কি গ্যাস হয়

টমেটো খেলে কি গ্যাস হয়? হ্যাঁ অবশ্যই আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে টমেটো খান তবে অবশ্যই আপনার গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। টমেটোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি আমাদের শরীরের জন্য এবং ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী কিন্তু যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে এবং বুক জ্বালাপোড়া করে তারা অতিরিক্ত পরিমাণে টমেটো খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। 

তবে যারা টমেটো খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে তারা টমেটো কাঁচা অবস্থায় না খেয়ে রান্না করে অল্প পরিমাণে খেতে পারেন। টমেটো রান্না করে খেলে এ্যাসিডিটি কিছুটা কম হয়। আর্টিকেলের উপরের অংশে আমরা আপনাদের টমেটোতে কি এলার্জি আছে সে সম্পর্কেও বিস্তারিত জানিয়েছি।

কাদের টমেটো খাওয়া উচিত না

কাদের টমেটো খাওয়া উচিত না এ কথাটা অবশ্যই যারা টমেটো খেতে পছন্দ করেন তাদের জেনে নেওয়া ভালো। কারণ টমেটোতে যেমন উপকার রয়েছে তেমন কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে টমেটো খাওয়া মোটে উচিত না। যদি কারো কিডনিতে পাথর হয়ে থাকে তবে অবশ্যই টমেটো খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। টমেটোর মধ্যে রয়েছে অক্সালেট নামক একটি পদার্থ যা আমাদের কিডনিতে পাথর গঠনে অবদান রাখে। 
কাদের টমেটো খাওয়া উচিত না
যাদের কিডনিতে অক্সালের পাথরের সমস্যা হয়েছিল তারা প্রচুর পরিমাণে টমেটো খেলে কিডনিতে আবার অক্সালেট পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এছাড়া যাদের প্রচুর পরিমাণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তারা টমেটো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কিছু মানুষের টমেটোতে এলার্জি রয়েছে তারা টমেটো খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিন। তবে উপরের এই কথাগুলো থেকেই আপনি টমেটো খাবার বন্ধ করবেন না আগে একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিবেন।

শেষ কথা - টমেটোতে কি এলার্জি আছে

টমেটোতে কি এলার্জি আছে নিয়ে লেখা আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপরে সমস্ত বিস্তারিত বিষয় সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন বলে আমি আশা করছি। টমেটো একটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার এছাড়া টমেটো আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাদ্য টমেটোর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিজেন যা আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। 
এছাড়া টমেটোর মধ্যে রয়েছে ফাইবার যা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে এবং হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে টমেটো খেলে আমাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে কিছু কিছু ক্ষেত্রে টমেটো খেলে এলার্জির মত সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই প্রতিদিন আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় পরিমাণ মতন টমেটো রাখতে পারেন এতে উপকারও পাবেন বেশ এবং ক্ষতি হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকবে না। আশা করি আপনি আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং টমেটোতে কি এলার্জি আছে সে সম্পর্কে একটি সঠিক ধারণা পেয়েছেন।

আর্টিকেলটি পরে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করুন। আর এরকম স্বাস্থ্য বিষয়ক আরো নতুন নতুন টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি অবশ্যই প্রতিদিন ভিজিট করুন। এই আর্টিকেলটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য এবং খুব মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি অনলাইন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url