পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায়
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায় সম্পর্কে অনেকেই হয়তো তেমনভাবে জানেন না। আজকে আমরা আপনাকে পিরিয়ডের ব্যথা কিভাবে কমানো যায় সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।
আপনি পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করেও কিভাবে উপকার পেতে পারেন সে সম্পর্কে জানাবো। তাছাড়া আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও স্বাস্থ্যগত বিষয় সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব। তাই পুরো আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন।
পেজ সূচিপএ
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায়
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায় সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই জানা নেই। পিরিয়ডের ব্যথা শুরু হলে আমরা প্রায় ওষুধের ওপরে নির্ভর করে থাকি। কিন্তু যদি আপনার পিরিয়ডের ব্যথা শুরু হয় আর হাতের কাছে যদি প্রয়োজনীয় ওষুধ না থাকে এবং চিকিৎসা নেওয়া অতি জরুরি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায় অবলম্বন করতে পারেন। আসুন তাহলে জেনে নেই পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায় কিংবা দোয়া সম্পর্কে।
আরো পড়ুন: গর্ভাবস্থায় মুড়ি খেলে কি হয়
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ ) একটি দোয়া শিখিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন যে জায়গায় ব্যথা অনুভব হয় সে জায়গায় ডান হাত রেখে সাতবার এ দোয়াটি পড়ো তাহলে ব্যথা থেকে অনেকটা আরাম পাবে। দোয়াটি হল-
উচ্চারণ
"আউজুবি ইজাত ইল্লাহি ওয়া কতরা তিহি মিনশাদী মা আজিদু ওয়া জিদু"
অর্থ - আল্লাহর নামে আমি আল্লাহর অসীম সন্মান ও তার বিশাল ক্ষমতার উসিলায় আমার অনুভূত এই ব্যাথার ক্ষতি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি।
মেয়েদের তলপেটে ব্যথা কমানোর ওষুধ
মেয়েদের তলপেটে ব্যথা কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেতে পারে। তবে আগে জানা উচিত যে তলপেটে ব্যথা করছে কি কারনে। যেমন মাসিকের ব্যথা, গ্যাস্টিকের ব্যথা কিংবা ইউটেরাস বা প্রসাবের ইনফেকশন সমস্যা ইত্যাদি। মেয়েদের তলপেটে ব্যথা কমানোর জন্য চিকিৎসকরা বিভিন্ন ধরনের ওষুধে খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। নিচে কিছু সাধারন ওষুধের নাম দেওয়া হল তবে ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন ভাল ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সাধারণ কিছু ওষুধ ও পরামর্শ
ব্যথা কমানো ওষুধ
- আইবুপ্রোফেন বা ন্যাপ্রোকেন জাতীয় ওষুধ মেয়েদের তলপেটে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
- ব্যথা কমানোর জন্য প্যারাসিটামল ও খাওয়া যেতে পারে তবে এটি অতিরিক্ত ব্যথা কমাতে পারেনা।
মাসিকের ব্যথা ওষুধ
- কলি মিক্স মাসিকের ব্যথা কমানোর জন্য খাওয়া যেতে পারে। তাছাড়া ডোটাভেরিন ও ম্যাফেনামিক এসিড তলপেটের খিচুনি কমাতে সাহায্য করে। মাসিকের ব্যথার সময় আপনি এই ওষুধগুলো খেতে পারেন।
- তাছাড়া গরম পানি কিংবা হট ওয়াটার ব্যাগ দিয়ে সেক দিলেও তলপেটে ব্যথা অনেকটা কমে আসে। এ ছাড়া আপনাকে পর্যান্ত পরিমাণে পানি, পুষ্টিকর খাবার ও ঘুম, বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন।
তবে যে কোন ব্যথার ওষুধ খাবার পূর্বে অবশ্যই ভালো একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ একেকজনের শারীরিক অবস্থা এক এক রকম হয়ে থাকে। ফলে ওষুধ খাওয়ারও মধ্যেও ভিন্নতা আসতে পারে।
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আমাদের জেনে নেওয়া উচিত। কারণ পিরিয়ডের ব্যথা খুব দীর্ঘস্থায়ী হয় না হয়তো দুই-তিন দিনের ভেতরে ব্যথা সেরে যায়। তাই প্রতি মাসে ওষুধের ওপরে নির্ভর না হয়ে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতেও পিরিয়ডের ব্যথা কমানো সম্ভব।
পিরিয়ড হলে আমাদের অনেকেরই খুব কম পরিমাণে ব্যথা হয় আবার কারো কারো এত তীব্র ব্যথা হয় যে সহ্য করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তখন অবশ্যই কি কারণে ব্যথা হচ্ছে সে সম্পর্কে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। কারণ পিরিয়ডের সময় আমাদের জরায়ুর বিভিন্ন সমস্যার জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যথা হতে পারে।
পিরিয়ডের সময় আমাদের জরায়ু সংকুচিত ও প্রসারিত হয়। জরায়ুতে রক্ত জমা হয় এবং জরায়ুর মুখ ছোট থাকার কারণে রক্ত বের হয়ে আসার সময় এক ধরনের ব্যথা অনুভব হয়। এটাকে ডিসমেনোরিয়া বলা হয়। পিরিয়ডের সময় যদি আপনার হালকা পরিমানে ব্যথা হয় তাহলে আপনি ঘরোয়া উপায়ে সে ব্যথা কমাতে পারেন। আসুন তাহলে জেনে নেই কি কি ঘরোয়া উপায়ে আপনি পিরিয়ডের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
- পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য আপনি গরম পানি কিংবা হট ওয়াটার ব্যাগে সাহায্যে পেটে সেক দিতে পারেন। এই পদ্ধতি ব্যথা কমাতে খুব কার্যকরী।
- একটু বেশি পরিমাণে আদা দিয়ে গরম চা করে খেতে পারেন এতে ব্যথা অনেকটা কমে আসবে।
- পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য হালকা ব্যায়াম করতে পারেন।
- সরিষার তেল হালকা গরম করে পেট ও কোমরে মালিশ করতে পারেন। এতে ব্যথা অনেকটা আরাম লাগবে।
- পিরিয়ডের সময় অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করুন।
- সর্বশেষে যে বিষয়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা হল পিরিয়ডের সময় কখনোই অতিরিক্ত ভারী জিনিস চারাচারি করবেন না এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম ও বিশ্রাম করুন। মানসিক চাপমুক্ত থাকুন।
প্রিয় পাঠক আশা করি আমরা আপনাদের পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায় এবং পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে পেরেছি।
অতিরিক্ত প্রশ্নাবলী ও উত্তর
১. পিরিয়ডের সময় মেয়েদের কেমন লাগে ?
পিরিয়ডের সময় মেয়েদের হরমোনের পরিবর্তনের জন্য মেজাজে খিটখিটে থাকে, খাওয়ার প্রতি রুচি কমে যায়, ক্লান্তি বোধ হয়, এছাড়া মুখে ব্রণ বের হয়।
২. কলা খেলে কি পিরিয়ড ভালো হয় ?
কলা একটি উপকারী খাদ্য পিরিয়ডের ব্যথার ক্ষেত্রে। কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ফাইবার আমাদের নিয়মিত মলত্যাগে সহায়তা করে, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়। তাই পিরিয়ডের সময় কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে আরাম পাবেন।
৩. পিরিয়ডের আগে সাদা স্রাব কেমন হয় ?
পিরিয়ডের আগে সাদা স্রাব হওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। পিরিয়ডের আগে যে সাদা স্রাব হয় সেটি সাধারণত পরিষ্কার, আঠালো, সাদা বা পিচ্ছিল হয়ে থাকে।
৪. মাসিক দেরিতে হলে কি করব ?
পিরিয়ডের ডেট পার হয়ে যাওয়ার পরও যদি মাসিক না হয় কিংবা আপনার মাসির যদি অনিয়মিত হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই একজন গাইনোকোলজিস্টের সাথে যোগাযোগ করুন।
৫. পিরিয়ডের ব্যথা কোথায় কোথায় হয় ?
পিরিয়ড হলে আমাদের সাধারণত তলপেটে অনেক খিচুনি হয় এবং ব্যথা অনুভূত হয়। তাছাড়া কোমর, পিঠ, উরু, পা এমনকি পুরো শরীর জুড়ে ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে।
৬. পিরিয়ডের সময় পা ব্যথা করে কেন ?
পিরিয়ডের সময় হরমোনের তারতম্যর দেখা দেয় এবং জরায়ুর পেশি সংকোচন প্রসারণের জন্য বেশিরভাগ মহিলাদের পিরিয়ডের সময় পা ব্যথা করে। এছাড়া পায়ের গোড়ালি, কোমর ও হাঁটুর ব্যথাও পিরিয়ডের সময় অনেক মহিলারই দেখা যায়।
পিরিয়ডের ব্যথা কতদিন থাকে
পিরিয়ডের ব্যথা কতদিন থাকে সে সম্পর্কে প্রত্যেকটি নারীর জানা উচিত। পিরিয়ড সাধারণত শুরু হওয়ার পর থেকে আমাদের ব্যথা শুরু হয় তলপেটে। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগের দিন থেকেই পিরিয়ডের ব্যথা শুরু হতে পারে। পিরিয়ডের ব্যথা সাধারণত মাসিকের প্রথম দিনে বা দ্বিতীয় দিনে সবচেয়ে বেশি হয়।
আরো পড়ুন: গর্ভাবস্থায় চানাচুর খেলে কি হয়
অনেকের ক্ষেত্রে মাসিকের ব্যথা দুই-তিন দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকতে পারে। অনেকেই আবার মাসিক শুরু হওয়ার শেষ পর্যন্ত হালকা ব্যথা অনুভব করতে পারে। মাসিকের ব্যথা সাধারণত শরীরের উপর নির্ভর করে একেক রকম হতে পারে। তবে ব্যথা যদি প্রচন্ড অনুভব হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার অন্য কোন স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ব্যায়াম
পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ব্যায়াম সম্পর্কে প্রতিটি নারীর জেনে রাখা প্রয়োজন। পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে ব্যথা কমানোর জন্য কিছু সহজ ব্যায়াম শরীরের জন্য খুব উপকারী। পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে এগুলো শরীরকে শিথিল করতে রক্ত প্রবাহ বানাতে এবং পেটের ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। নিচে কিছু ব্যায়ামের উল্লেখ করা হলো যেগুলো পিরিয়ডের সময় ব্যথা কমানোর কাজে সাহায্য করবে।
- পিরিয়ডের সময় ব্যথা হলে আমাদের হাঁটাচলা ফেরার ইচ্ছা কমে যায়। তবে যদি পারেন তবে অবশ্যই হাল্কা হাটাঁ চলাফেরা করার চেষ্টা করুন এবং হালকা ব্যায়াম করুন।
- পিরিয়ডের সময় অবশ্যই নিজেকে মানসিকভাবে চাপমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন।
- খাঁটি সরিষার তেল হালকা গরম করে তলপেটে চারিদিকে এবং কোমরে হালকা ভাবে মালিশ করতে পারেন এতে পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।
- পিরিয়ডের সময় হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন এতেও পিরিয়ডের ব্যথা অনেকটা কমানো সম্ভব।
- ঘরে মেঝের উপরে হাটু মোড়ে বসে হাত দুটো সামনে প্রসারিত করে আস্তে আস্তে মাথা মেঝের ওপরে রাখুন। এবং খুব গভীরভাবে শ্বাস নিন। এভাবে কয়েক মিনিট থাকুন। দেখবেন পিরিয়ডের ব্যথাতে অনেক আরাম পাচ্ছেন।
- এছাড়া বিছানায় শুয়ে কোমরের নিচে একটি বালিশ দিয়ে কোমর হালকা ভাবে উঁচু করে রাখুন এতেও পিরিয়ড ব্যথা কমাতে পারে।
- পিরিয়ডের সময় আপনি যদি এভাবে ব্যায়াম করেন তাহলে ব্যথা অনেকটাই কমে আসে এবং শরীলে অনেক স্বস্তি লাগে। তবে অতিরিক্ত পিরিয়ডের ব্যথা হলে কিংবা ব্যায়ামের সময় কোন অস্বস্তি মনে হলে ব্যায়াম বন্ধ করে দিয়ে বিশ্রাম নেওয়া উচিত।
পিরিয়ডের সময় কি কি খাওয়া যাবেনা
পিরিয়ডের সময় কি কি খাওয়া যাবেনা এ সম্পর্কে অবশ্যই আমাদের জানা উচিত। এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো পিরিয়ড চলাকালীন সময় খেলে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা কিংবা জরায়ুর সমস্যা হতে পারে।
- পিরিয়ডের সময় অবশ্যই অতিরিক্ত মিষ্টি কিংবা চিনি যুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- অতিরিক্ত লবণাক্ত কোন খাবার বা অতিরিক্ত লবণ পিরিয়ড চলাকালীন সময় খাওয়া উচিত না।
- বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাবার চা বা কফি কমল পানীয় অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত না।
- যেসব খাবারে অতিরিক্ত তেল মসলা ব্যবহার করা হয়েছে সে খাবারগুলো বর্জন করা উচিত।
- যাদের ধূমপান কিংবা নেশা জাতীয় কোন জিনিস খাওয়ার উপরে অভ্যাস রয়েছে তাদের অবশ্যই পিরিয়ডের সময় এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
কি খেলে পিরিয়ডের ব্যথা কমে
কি খেলে পিরিয়ডের ব্যথা কমে সে সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জেনে রাখা ভালো। কারণ পিরিয়ডের সময় আমাদের তলপেট প্রচন্ড ব্যথা করে আর এ ব্যথা কমানোর জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকি কিংবা বিভিন্ন ওষুধ খেয়ে থাকি। কিছু কিছু খাবার ও পানীয় রয়েছে যেগুলো নিয়মমাফিক খেলে আপনার পিরিয়ডের সময় ব্যথা কমবে। পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য নিচে কিছু খাবারের তালিকা উল্লেখ করা হলো।
- পিরিয়ডের সময় আপনি যদি আদা চা নিয়ম করে খেতে পারেন তাহলে পিরিয়ডের ব্যথা অনেকটাই কমে যায়।
- পিরিয়ডের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি এবং পানি জাতীয় খাবার পান করা উচিত। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে ফলে পিরিয়ডের ব্যথা অনেকটাই কমে আসে।
- পিরিয়ডের সময় পুষ্টিকর সবজি এবং ফাইবারযুক্ত ফল খাওয়া উচিত। পুষ্টিকর ও ফাইবারযুক্ত ফল পিরিয়ডের সময় পরিপাক প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। পুষ্টিকর ও ফাইবারযুক্ত ফল গুলোর মধ্যে হল গাজর, শসা, ব্রকলির, আপেল, কলা, পেয়ারা।
- পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য ডাক চকলেট একটি কার্যকরী খাদ্য। এটি মাংসপেশির টান কমাতে সাহায্য করে।
- দারচিনি ব্যথা কমানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন। দারচিনিতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান তাই পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর এটি একটি ভালো উৎস।
- পিরিয়ডের সময় আপনি ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। যেমন মাছ, আখরোট এবং চিয়া সিড ফলে আপনার পিরিয়ডের ব্যথা অনেকটাই কম হবে
- এলোভেরা রসের জুস বানিয়ে মধুর সাথে মিশিয়ে দিনে দুইবার পিরিয়ডের সময় পান করুন ব্যথা অনেকখানি কমে যাবে।
পিরিয়ডের ব্যথা হলে কি বাচ্চা হয় না
পিরিয়ডের ব্যথা হলে বাচ্চা হয় না এমন ভুল ধারণা অনেকের মধ্যেই আছে। আমাদের যে পিরিয়ডের সময় ব্যাথা হয় এটি খুবই সাধারণ শারীরিক অবস্থা। আর পিরিয়ডের সময় পেট ব্যথা এটা স্বাভাবিক অবস্থার মধ্যে পড়ে। এটা নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই। পিরিয়ডের সময় পেটব্যথা এবং এর সাথে গর্ভধারণের কোন সরাসরি সম্পর্ক নেই। অনেক এমন মেয়ে রয়েছে যাদের পিরিয়ডের সময় পেট ব্যথা হওয়ার পরও খুব সুস্থভাবে গর্ভধারণের সক্ষম হচ্ছে।
তবে আপনার যদি পিরিয়ডের সময় খুব বেশি ব্যথা হয় এবং ব্যথা অনেকদিন পর্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী হয় তবে অবশ্যই এটা চিন্তার কারণ হতে পারে। কারণ পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত ব্যথা জরায়ুতে এন্টোমেটিক সিস্ট বা পলিসটি সিস্ট ওভারি সিনড্রোম এর মত রোগের লক্ষণ হতে পারে। আর এমন কোন সমস্যা কিংবা রোগের যদি সমস্যা উঠে থাকে তাহলে আপনার গর্ভধারণের বাধা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
লেখকের মন্তব্য - পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ইসলামিক উপায়
পিরিয়ডের সময় পেটব্যথা করে না এমন খুব কম মেয়েদেরই হয় বেশিরভাগ মেয়েদেরই পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত পরিমাণে পেটে ব্যথা হয়। অনেকের ক্ষেত্রে ব্যথা ২/১ দিনের ভেতরেই চলে যায় কিন্তু অনেক জনের ক্ষেত্রে এ ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে কিংবা অতিরিক্ত পরিমাণে হতে পারে।
আপনার যদি পিরিয়ডের সময় দুই একদিনের ভেতরেই কমে যায় তাহলে অবশ্যই এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার কিন্তু যদি ব্যথা অতিরিক্ত পরিমাণে হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেয়া উচিত। কারণ অতিরিক্ত ব্যথা আপনার স্বাস্থ্যগত সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।
আরো পড়ুন: দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ
প্রিয় পাঠক, পিরিয়ডের সময় আপনার যদি পেট ব্যথা, পা ব্যথা কিংবা কোমর ব্যথা করে তাহলে উপরের পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করতে পারেন।
আপনার যদি এই আর্টিকেলটি ভালো করে পড়া হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে মন্তব্য করুন। এই আর্টিকেলটি আপনার কেমন লেগেছে। আর এমন আরো স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য জানতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন ভিজিট করুন কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এরকম স্বাস্থ্য বিষয়ক আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।
বিডি অনলাইন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url