গরুর চর্বির উপকারিতা ও অপকারিতা

গরুর চর্বির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানতে চাই। গরুর মাংসের মত চর্বি ও যে আমাদের শরীরের জন্য উপকারী তা আমরা আজকে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো
গরুর চর্বির উপকারিতা ও অপকারিতা
গরুর মাংস খেলে কি প্রেশার বাড়ে এবং গরুর মাংস খাওয়ার সতর্কতা সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করব। আর এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আপনি যদি জেনে না থাকেন তাহলে অবশ্যই পুরো আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।
পেজ সূচিপএ

গরুর চর্বির উপকারিতা ও অপকারিতা

গরুর চর্বির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা আর্টিকেলের প্রথমেই জানবো। কারণ গরুর চর্বির উপকারিতা আপনি যখন শুনেছেন তখন হয়তো বিষয়টা অনেক অবাক লেগেছে। ভাবছেন গরুর চর্বি অপকারিতা সম্পর্কে শুনেছি কিন্তু গরুর চর্বি উপকারিতা যে থাকতে পারে এটা আসলেই অনেক অবাক ব্যাপার। তাহলে আসুন গরুর চর্বির উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই। 

আপনি কি জানেন গরুর মাংসের চাইতে গরুর চর্বিতে উপকার বেশি। আমরা হয়তো অনেকেই এই গরুর চর্বি র উপকারিতা সম্পর্কে জানিনা তাই মাংস রান্না করার সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গরুর চর্বি ফেলে দেয়। গরু চর্বি সাধারনভাবে হায়স্যাচুয়েটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ একটি খাবার হিসেবে পরিচিত। প্রতিদিন আমরা যে ফ্যাট জাতীয় খাবার গুলো খাই সেগুলো মধ্যে রয়েছে দুই ধরনের ফ্যাটি এ্যাসিড।

  1. ছ্যাচুরেটেড ফ্যাটি এ্যাসিড।
  2. আনছ্যাচুরেটেড ফ্যাটি এ্যাসিড।
ছ্যাচুরেটেড ফ্যাট গুলো তাপমাত্রা সাধারণত কঠিন অবস্থায় থাকে। কারণ রাসায়নিক গঠনে স্যাচুরেটেড সাইটগুলোর হাইড্রোকার্বন চেইন কোন ডাবল বা ট্রিপল বন্ড থাকে না। হাই ছ্যাচুরেটেড ফ্যাট যুক্ত খাবার খাওয়ার সময় অনেকেই ঝামেলায় পড়ে যান কারণ স্যাচুরেটেড ফ্যাট হল একটি খারাপ ফ্যাট। এটি কোলেস্টোরলের লেভেল বাড়ায়, হার্ট অ্যাটাক এবং স্টোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সবার মধ্যে এমন একটি ধারণা রয়েছে।
 
এমন ধারণা থেকে এবার বের হয়ে আসুন। স্যাচুরেটেড ফ্যাট আপনার জন্য তখনই ক্ষতিকর হবে যখন আপনি এটা রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট ও রিভাইন্ড অয়েলের সাথে খাবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক গরুর চর্বি কিভাবে খাবেন এবং কেন খাবেন। আমরা মাংস রান্না করার সময় মাংসের সাথেই গরুর চর্বিটা দিয়ে দেই। কিন্তু এ চর্বিকেই প্রসেসের মাধ্যমে কুকিং ওয়েল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

কুকিং অয়েল তৈরি
চর্বি গুলো প্রথমে মাংসগুলো থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। এরপর একটা পাত্রে চর্বিগুলো দিয়ে পাত্রে চাপ দিতে থাকলে চর্বিগুলো আস্তে আস্তে গলতে থাকবে এবং তার তরল তেলে পরিণত হয়ে যাবে। এরপর তরল অংশটুকু আলাদা করে ঠান্ডা করে নিতে হবে। ঠান্ডা হলে চর্বিটা অনেকটা বাটার এর মত হবে। আপনি আপনার পছন্দ মত রান্না কিংবা ভাজাভুজি করার সময় এটা ব্যবহার করতে পারবেন। কুকিং অয়েল ভেজিটেবল অয়েলের থেকে বেশি স্বাস্থ্যকর হয়। এছাড়াও চর্বির যে বাকি অংশটুকু থাকবে সেটি আপনি বিভিন্ন খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।

গরুর চর্বির পুষ্টিগুণ

  • হেলদি ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের সেল মেমব্রেনের প্রায় ৫০% পামিটিক অ্যাসিড- দিয়ে গঠিত। এই পামিটিক অ্যাসিড ফসফোলিপিডের অংশ হিসেবে সেল মেমব্রেনের গঠন করে এছাড়াও কোষের সিগন্যালিং মলিকিউল হিসেবেও কাজ করে।
  • স্টিয়ারিং এসিড এটি খুবই কমন একটি স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি ভালো কোলেস্টেরল বলে খ্যাত। এলডিএল (খারাপ কোলেস্টেরল) এর পরিমাণ কিছুটা কমায় তবে না কমালেও বাড়াবে না। এছাড়া এটি হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও দেহে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা উন্নত করে।
  • ন্যাচারাল ট্রান্সপোর্ট কনজুগেটেড লিনোলেইক অ্যাসিড। আমরা জানি ট্রান্সপোর্ট ফ্যাটি অ্যাসিড ক্ষতিকর কিন্তু গরুর চর্বিতে যে উপস্থিত অ্যাসিড রয়েছে তা মোটেও ক্ষতিকর নয়। কারণ এটি ওজন কমাতে এবং চর্বিহীন পেশি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।
  • ফ্যাট সলিউবল ভিটামিন। গরুর চর্বি ফ্যাট সলিউবল ভিটামিনের উৎস হিসেবে খাওয়া যেতে পারেন। ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে এই চারটি ফ্যাট সলিউবল ভিটামিন।

গরুর মাংস খেলে কি প্রেসার বাড়ে

গরুর মাংস খেলে কি প্রেসার বেড়ে যাবে এই ভাবনায় আমরা গরুর মাংসের স্বাদই ভুলতে বসেছি আমাদের অনেকের মধ্যেই ধারণা রয়েছে গরুর মাংস খেলে প্রেসার বেড়ে যায় কিংবা গরুর মাংস খাওয়ার ফলে রক্তের শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং প্রেসারের ঝুঁকি বাড়ে। আসলে গরুর মাংসের সাথে প্রেসার বেড়ে যাওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। আপনি যদি প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত বেশি খাবার খান সেটা গরুর মাংস বা অন্য খাবার তাহলে আপনার শরীরে অবশ্যই সমস্যার সৃষ্টি হবে।
 
গরুর মাংস খেলে প্রেসার বেড়ে যায় এটা একেবারেই ভুল ধারণা। আসলে এটা আমাদের কিছুটা সাইকোলজিক্যাল প্রবলেম। আমরা গরুর মাংস খাওয়ার আগেই মনের ভেতরে বারবার অনুভব করি যে গরুর মাংস খেলেই প্রেসার বাড়বে তাহলে অবশ্যই গরুর মাংস খাওয়ার পরে উচ্চ রক্তচাপ শরীরে অনুভব করবেন। যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারা গরুর মাংস সপ্তাহে দুই দিন দুই তিন টুকরা অবশ্যই খেতে পারবেন। এতে প্রেসার বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই তবে হ্যাঁ প্রয়োজনের তুলনায় আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে গরুর মাংস খান তবে অবশ্যই উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি পাবে।

গর্ভাবস্থায় গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অনেক। তবে আপনার যদি কোন শারীরিক প্রবলেম না থাকে তাহলে আপনি গর্ভাবস্থায় গরুর মাংস খেতে পারেন। গরুর মাংস রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সেলিনিয়াম আর এই সেলেনিয়াম একজন প্রাপ্তবয়স্কদের প্রজনন স্বাস্থ্যের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়া ভিটামিন বি৬ গর্ভধারণ এবং প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

ভিটামিন বি৬ গর্ভাবস্থায় হরমোন কে স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে তাই গর্ভাবস্থায় অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকায় গরুর মাংস রাখার চেষ্টা করুন। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন। তবে গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত পরিমাণে গরুর মাংস খাওয়া যাবে না এতে কোষ্ঠকাঠিন্য বেড়ে যেতে পারে। 

অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে গরুর মাংসে যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তারা গর্ভাবস্থায় গরুর মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন কিংবা গর্ভকালীন সময় কোন শারীরিক সমস্যা কিংবা কোন রোগ যদি থেকে থাকে তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গরুর মাংস খেতে হবে। আশা করি গরুর চর্বির উপকারিতা ও অপকারিতা এবং গর্ভাবস্থায় গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

গরুর মাংস খেলে কি ওজন বাড়ে

গরুর মাংস খেলে কি ওজন বাড়বে এই ভয়ে কি গরুর মাংস খাচ্ছেন না। তাহলে আসুন জেনে নেই আপনি কি নিয়মে গরুর মাংস খেলে ওজন বাড়বে না। আপনি গরুর মাংস সপ্তাহে দুই দিন খেয়েও আপনি আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন তবে অবশ্যই গরুর মাংস খাওয়ার বিষয়ে কিংবা পরিমাপে আপনাকে নজর রাখতে হবে। অতিরিক্ত গরুর মাংস খাওয়া যাবে না কিংবা অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত গরুর মাংস খাওয়া যাবেনা। 

মাংসের মধ্যে আছে প্রোটিন আর এ প্রোটিন আমাদের শরীরের তেমন কোন ক্ষতি করে না বরং উপকার করে। কিন্তু মাংসের মধ্যে থাকা চর্বি এবং রান্না তেল আমাদের ওজন বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট। তাই অবশ্যই গরুর মাংস রান্না করার সময় কম তেল ব্যবহার করুন আর আপনি যদি এভাবে নিয়ম করে সপ্তাহে দুই দিন গরুর মাংস খান তবে গরুর মাংসের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন এবং আপনার ওজন ও ঠিকঠাক থাকবে।

গরুর মাংসের উপকারিতা

গরুর মাংসের উপকারিতা রয়েছে এই কথাটা শুনলে হয়তো আমরা এখন অনেকেই অবাক হই। গরুর মাংসের ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে শুনতে শুনতে আমাদের এখন মনে হতে পারে গরুর মাংস কিংবা খাসির মাংস মধ্যে বুঝি কোন ভালো গুণ নেই। সাধারণত গরুর মাংসের ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে সতর্ক করা হয় একমাত্র বয়স্ক মানুষদের জন্য কিংবা যাদের রক্তে কোলেস্টোরলের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ও যাদের হার্ট সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য। 

কিন্তু যাদের বয়স কম এবং শরীরে কোন সমস্যা নেই রক্ত কোলেস্টোরল ঠিকঠাক আছে, হাড়ের কোন ঝুঁকি নেই, পেটে কোন বাড়তি মেদ নেই, ওজনও বয়স হিসেবে স্বাভাবিক তাদের জন্য গরুর মাংসে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। যে সব গরু প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে বড় হয় যেমন ঘাস, খ ড় খেয়ে সেসব গরুর মাংস স্বাস্থ্যসম্মত হয়ে থাকে। এসব গরুর মাংসে কোলেস্টোরলের মাত্রা কম থাকে এরকম গরুর মাংস আপনি যদি দিনে ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম খেয়ে থাকেন তবে কোন অসুবিধা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া এসব গরুতে ফার্মের গরু তুলনায় চর্বি কম থাকে। 
গরুর মাংস খেলে কি প্রেসার বাড়ে
তবে আপনার যদি হৃদরোগ, রক্তে কোলেস্টোরল কিংবা ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে তবে গরুর মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। গরুর মাংসের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, আয়রন, জিঙ্ক, থায়ামিন, সেলেনিয়াম ও ভিটামিন বি১২। অনেকেই মনে করে গরুর মাংসের অতিরিক্ত চর্বি থাকার কারণে আমাদের শরীরের ক্ষতি হয় কিন্তু বিষয়টা তেমন না। চর্বি আমাদের শরীরের তেমন ক্ষতি করে না বরং গরু কিভাবে বড় হচ্ছে, গরু কি কি খাবার খাচ্ছে কিংবা গরুর প্রক্রিয়াজাতকরণ এর জন্য মূলত দায়ী। 

কোন খাবারই শরীরের জন্য বেশি খাওয়া ভালো না তেমন গরুর মাংস আমাদের শরীরের জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ভালো নয়। আপনি যদি নিয়ম করে এবং আপনার স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রেখে গরুর মাংস খেয়ে থাকেন তবে অবশ্যই গরুর মাংস থেকে উপকার পাবেন। সাধারণত কম চর্বিযুক্ত গরুর মাংস সকল বয়সের মানুষের জন্য একটি পুষ্টিকর খাবার হিসেবে বিবেচিত।

গরুর মাংসে কি এলার্জি আছে

গরুর মাংসে কি এলার্জি আছে? হ্যাঁ অবশ্যই গরুর মাংস, গরুর কলিজাতেও এলার্জি হতে পারে। এলার্জি এমন একটি রোগ যা যে কোন বয়সেই দেখা দিতে পারে। গরুর মধ্যে এমন কিছু প্রোটিন রয়েছে যা আপনাদের শরীরে এলার্জির প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। আর এই প্রোটিন গুলো গরুর কলিজার ভেতর ও বিদ্যমান। গরুর মাংস খাওয়ার পরে আপনার শরীর যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে তা হলো শরীরের চুলকানি হতে পারে। 

ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। যাদের ঠান্ডা সমস্যা রয়েছে তাদের শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এমনকি পেটের ব্যাথা হতে পারে। যাদের আগে থেকেই এলার্জি সমস্যা রয়েছে কিংবা গরুর মাংস খাওয়ার পরে ত্বকে রেস, চুলকানি, নাক দিয়ে পানি ঝরছে তাহলে বুঝবেন এলার্জির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তারা অবশ্যই গরুর মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

মুখে প্রচলিত প্রশ্ন ও উত্তর

১.গরুর মাংস খেলে কি ক্ষতি হয় ?
গরুর মাংস খেলে হতে পারে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি যেমন উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়, হৃদরোগ, স্টোক ও কিডনির জটিলতা বাড়ায় এ ছাড়া গরুর মাংসের মধ্যে যে কোলেস্টোরল থাকে তা হার্টের শিরার রক্তে জমাট বাঁধিয়ে দেয়।

২. গরুর মাংস খেলে কি গ্যাস হয় ?
অতিরিক্ত গরুর মাংস খেলে গ্যাস হতে পারে। বুক জ্বালাপোড়া হতে পারে। মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে কিংবা বদহজম হতে পারে।

৩. গরুর মাংস খেলে এলার্জি হলে করণীয় কি ?
গরুর মাংস খেলে এলার্জি হলে গরুর মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

গরুর মাংস খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে

গরুর মাংস খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে? এমন প্রশ্ন ডায়াবেটিস কিংবা যাদের ডায়াবেটিস নেই তার মনেও আসে। গরুর মাংস এমন একটি খাবার যা খাওয়ার আগে গরুর মাংসের উপকারিতা সম্পর্কে চিন্তা না করে আমরা গরুর মাংসের ক্ষতিকারক দিক নিয়ে বেশি চিন্তা করি। একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের প্রতিদিনের খাদ্যের ব্যাপারে অবশ্যই সচেতন হতে হবে।
গরুর মাংস খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে
যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত সব উপাদান রাখতে হবে। গরুর মাংস একটি উপকারী খাবার তবে ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে ওজন, বয়স অনুযায়ী গরুর মাংস খেতে পারবে। যদি সপ্তাহে ১/২ দিন দুই টুকরা গরুর মাংস ডায়াবেটিস রোগীরা খাদ্য তালিকায় রাখে তবে অবশ্যই কোন ক্ষতি হবে না তবে কম চর্বিযুক্ত। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে গরুর মাংস খেলে একজন ডায়াবেটিস রোগীর অবশ্যই ডায়বেটিস বাড়বে।

গরুর মাংস খাওয়ার সতর্কতা

গরুর মাংস খাওয়ার সতর্কতা রয়েছে। গরুর মাংস খেলে যেমন উপকার হয় তেমন কিছু কিছু মানুষের জন্য গরুর মাংস খাওয়ার ব্যাপারে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। গরুর মাংসের মধ্যে রয়েছে ফ্যাট বা চর্বি তাই বিশেষ করে যাদের ওজন বেশি, ফ্যাটি লিভার রয়েছে, রক্তের কোলেস্টোরল সহ আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে শারীরিকভাবে তারা অবশ্যই গরুর মাংস কম পরিমাণে এবং কম চর্বিযুক্ত মাংস খাওয়ার অভ্যাস করুন।
 
গরুর মাংসের মধ্যে রয়েছে আয়রন তাই গরুর মাংস খাওয়ার পরপরই চা কফি না খাওয়াই ভালো এতে আপনার শরীরে আয়রন ভালোভাবে কাজ করতে পারে না । এছাড়া যাদের শরীরের প্রচুর পরিমাণে এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা গরুর মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

লেখকের মন্তব্য - গরুর চর্বির উপকারিতা ও অপকারিতা

গরুর চর্বির উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আলোচনা শুরু করে বিস্তারিতভাবে গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা এবং মাংস খাওয়ার সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন এবং শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে চান তবে অবশ্যই আপনার আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়া উচিত।
আমি মনে করি আপনি গরুর চর্বির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কিত আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন এবং গরুর মাংসের উপকারিতা সম্পর্কে একটা সঠিক ধারণা পেয়েছেন। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় নিয়মিত আরো জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটটি অবশ্যই ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি অনলাইন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url