কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়
কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় এ বিষয় সম্পর্কে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আপনি সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না। তাহলে আমি বলবই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য কারণ এই আর্টিকেলের আমরা এই বিষয় সম্পর্কে একটি সঠিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
এক মিনিটে ঘুম আসার উপায় সম্পর্কেও আমরা আপনাদের বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। তাই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে যদি আপনি জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গেই থাকুন।
পেজ সূচিপএ
কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়
কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় এই সম্পর্কে যদি আপনি জানতে চান তাহলে আমি বলব আপনার ঘুম না হওয়ার একমাত্র কারণ হলো আপনার শরীরে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি। শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর ঘাটতি কম হয় তাহলে আমাদের ঘুম কম হয়।
সারাদিন সুস্থ থাকার জন্য আমাদের রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম দরকার। রাতে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হয় তাহলে আমাদের সারাদিন শরীর প্রচন্ডভাবে খারাপ করে এবং শরীরে বিভিন্ন ধরনের গুরুতর সমস্যা তৈরি হতে পারে।
তাই প্রতিটি মানুষের নির্দিষ্ট সময় ঘুমানো উচিত এবং নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘুমানো উচিত। সারাদিন কর্মব্যস্ততার পরে শরীর অনেক ক্লান্ত অনুভব করে। আমরা সারাদিন অনেক শারীরিক পরিশ্রম করি এবং শরীর থেকে অনেক শক্তি ক্ষয় হয়ে যায়।
আর আমাদের প্রয়োজনীয় শক্তি পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্য ঘুম শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয় একটি মাধ্যম। তাছাড়া ভিটামিন বি৬ কম থাকলেও আমাদের রাতে ঘুমের সমস্যা হয়। রাতে যদি পরিমান মতন ঘুম না হয় তাহলে আমাদের শরীরে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও রোগ যেমন ডায়াবেটিস, প্রেশার কিংবা অনেক ক্ষেত্রে ডিপ্রেশন হতে পারে।
তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করতে হবে। আপনি বিভিন্নভাবে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ করতে পারেন। ভিটামিন ডি এর একমাত্র উৎস হল সূর্যের আলো। প্রতিদিন দিনে ৩০ মিনিট আপনি সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির মাধ্যমে শরীরে ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ করতে পারেন।
তাছাড়া চর্বিযুক্ত মাছ, যকৃত, ডিমের কুসুম, মাশরুম, সুষম খাদ্য ইত্যাদির খাদ্যর মাধ্যমেও ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ করতে পারেন। কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় সে সম্পর্কে আশা করি আমরা আপনাদের বিস্তারিত জানাতে পেরেছি।
এক মিনিটে ঘুম আসার উপায়
এক মিনিটে ঘুম আসার উপায় সম্পর্কে তারাই জানতে চাই যাদের রাতে ঘুম আসতে অনেক বেশি দেরি হয় কিংবা অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকে। সারাদিন শারীরিক পরিশ্রম করার পরে যখন রাতে ঘুম আসে না পরের দিনের শরীরটা অনেক বেশি খারাপ করে এবং অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকার জন্য পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যায়।
রাতে বিছানা যাবার সাথে সাথেই যদি এক মিনিটের ভেতরেই ঘুম চলে আসে তাহলে সারা দিনের ক্লান্তি দূর হয় এবং পরের দিনের কাজে ভালো মন বসে। তাহলে চলুন এক মিনিটে ঘুম আসার উপায় সম্পর্কে অবাক করা কিছু তথ্য আপনাকে জানাই।
মোবাইল ফোন: ঘুম না আসার একমাত্র মাধ্যম হলো মোবাইল ফোন। আপনি যদি রাতের বেলা ঘুমাতে যাবার সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই রাতে ঘুমাতে দেরি হবে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার প্রায় এক ঘন্টা আগে আপনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
পুরো শরীর শান্ত করা: আপনার পুরো শরীর এবং হাত-পা শান্ত করুন। শরীরের প্রতিটি অঙ্গের কার্যক্রম বন্ধ করুন। বিছানার সাথে পুরো শরীরকে শিথিল করুন। এবং সকল ধরনের চিন্তা থেকে নিজের মস্তিষ্ককে বিরত রাখুন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের উপর ফোকাস করুন।
ফুসফুসের ব্যায়াম: তাড়াতাড়ি ঘুমানোর জন্য ফুসফুসের ব্যায়াম ও খুব কার্যকরী আর তার জন্য আপনাকে বিছানার পরে সোজা হয়ে শুয়ে খুব আরাম করে মুখ দিয়ে পাঁচ সেকেন্ড শ্বাস নিন এবং শ্বাস ধরে রাখুন ৬-৭ সেকেন্ড। এবং শেষে মুখ দিয়ে ৮ থেকে ৯ সেকেন্ডের মত নিঃশ্বাস ছাড়ুন এবং আস্তে আস্তে এক দুই তিন গুনতে থাকুন। ফুসফুসের এই ব্যায়ামটি আপনার মনকে শান্ত করে এবং খুব দ্রুত ঘুম আসতে সাহায্য করে।
চিন্তামুক্ত থাকা: ঘুমাতে যাবার আগে অবশ্যই আপনাকে চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে। অপ্রয়োজনীয় চিন্তা কিংবা কালকে কি করব এই চিন্তা যদি আপনি আপনার মনের ভেতরে রাখেন তাহলে কখনোই এক মিনিটের ভেতরে ঘুমাতে পারবেন না। মনকে শান্ত করুন এবং মস্তিষ্ককে বোঝান যে কালকের চিন্তা কালকে করলেই হবে।
পানি পান করা: ঘুমাতে যাবার আগে অবশ্যই পরিমাণমতন পানি পান করুন। এতে শরীর অনেক বেশি ঠান্ডা থাকবে এবং আপনি শরীরে আরাম অনুভব করবেন ও অতি দ্রুত ঘুম আসবে।
ঘুম না আসার কারণ ও প্রতিকার
রাতে ঘুম না আসার কারণ সম্পর্কে আগে জেনে নেব তারপরে রাতে ঘুম আসার প্রতিকার সম্পর্কে জানব। রাতে ঘুম না আসার বিভিন্ন ধরনের কারণ হতে পারে। এক একজনের শরীরের অবস্থা এক এক রকম। আর তার ওপর নির্ভর করে রাতে ঘুম না আসার কারণ।
আপনার যদি রাতে ঠিক মতন ঘুম না হয় তাহলে অবশ্যই নিচের প্রতিকারগুলো ভালো করে জেনে নিয়ে সে পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করতে পারেন। আমরা আপনাকে রাতে ঘুম না আসার কারণ ও বিভিন্ন ধরনের প্রতিকার সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করব। তাহলে চলুন জেনে নেই রাতে ঘুম না আসার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে।
- অতিরিক্ত মানসিক চাপের জন্য আপনার রাতে ঘুম কম হতে পারে।
- আপনি যদি প্রতিদিন রাতে অনিয়মিতভাবে ঘুমান তাহলে আপনার খারাপ ঘুমের অভ্যাস তৈরি হয় এবং প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম আসেনা।
- আপনার যদি শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা থাকে যেমন দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, হাঁপানি, এলার্জি, বাত এবং হরমোনের বিভিন্ন সমস্যার জন্য রাতে ঘুম না আসতে পারে।
- আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের ওষুধ শারীরিক কোন সমস্যার জন্য খেয়ে থাকেন তাহলে সে ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াতেও আপনার রাতে ঘুম কম হয়।
- আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ধূমপান কিংবা অ্যালকোহল জাতীয় কোন খাবার খেয়ে থাকেন তাহলে রাতে সহজে ঘুম আসবে না।
- আপনার যদি ঘুমানোর জায়গা অতিরিক্ত কোলাহল ও অতিরিক্ত আলো এবং তাপমাত্রা বিশিষ্ট হয় এক কথায় বলতে গেলে যদি রাতে ঘুমানোর জায়গা আরামদায়ক না হয় তাহলে অবশ্যই রাতে ঘুম আসবে না।
- আপনি যদি প্রতিদিন কম পরিমাণে শারীরিক ব্যায়াম করেন কিংবা কঠোর পরিশ্রম করা থেকে বিরত থাকেন তাহলে রাতে ঘুম কম হতে পারে।
- এছাড়া রাতে ঘুম কম হওয়ার আরেকটি কারণ হতে পারে মোবাইল ফোন। আপনি যদি রাতে অতিরিক্ত পরিমাণে মোবাইল ফোনে সময় নষ্ট করেন তাহলে রাতে ঘুম আসতে দেরি হবে।
- কিছু কিছু ব্যক্তি রয়েছে যাদের শারীরিক কোন প্রবলেম নেই কিংবা টেনশনমুক্ত তবুও রাতে ঘুম কম হতে পারে
- তাছাড়া বয়স জনিত কারণেও আপনার রাতে ঘুম কম হতে পারে।
ঘুম না আসার প্রতিকার
প্রতিদিন রাতে অন্তত সাত-আট ঘন্টা ঘুম একজন সুস্থ মানুষকে মানুষের শরীরের জন্য বিশেষ প্রয়োজন। আপনি যদি প্রতিদিন রাতে সাত আট ঘন্টার কম ঘুমিয়ে থাকেন তাহলে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে, হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন, স্টোক হতে পারে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে এবং হাইপার টেনশনের সমস্যায় ভুগতে পারেন।
তাই প্রতিটি রাতে আপনি যাই করুন না কেন অবশ্যই সাত-আট ঘন্টা ঘুম দরকার আপনার শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য। তাহলে চলুন জেনে আসি কি কি পদ্ধতি অবলম্বন করলে আপনি খুব সহজেই রাতে ঘুমাতে পারবেন।
- প্রতিটি মানুষেরই চিন্তা থাকে তবে অবশ্যই চিন্তাগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দিনের বেলা করার চেষ্টা করুন। রাতে ঘুমাতে যাবার আগে অবশ্যই মানসিক টেনশন থেকে মুক্ত থাকুন।
- আপনার ঘুমানোর জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, কোলাহলমুক্ত এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো কম রাখার চেষ্টা করুন।
- প্রতিদিন বিভিন্ন সময় না ঘুমিয়ে নির্দিষ্ট সময় ঘুমানোর চেষ্টা করুন। একই সময় বিছানায় শিথিল হন তাহলে আপনার ঘুম আসতে সাহায্য করবে। মোট কথা হয় প্রতিদিন একই নিয়মে একই সময় ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- বিভিন্ন ধরনের নেশা জাতীয় জিনিস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। বিশেষ করে রাতের বেলা অ্যালকোহল জাতীয় কোন খাবার খাবেন না।
- রাতে ঘুমাতে যাবার আগে অন্তত এক ঘন্টা আগে মোবাইল ফোন নিজের কাছে থেকে দূরে রাখুন। কারন মোবাইল ফোনের স্কিন আপনার ঘুমের সমস্যা করে।
- সারাদিন নিয়ম করে যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করুন, সঠিক খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন এবং শারীরিক ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- প্রতিদিন স্নান করার চেষ্টা করুন এতে শরীর ঠান্ডা থাকে এবং রাতে ভালো ঘুম হয়।
- প্রতিদিন নিয়ম করে ৩০ মিনিট সূর্যের আলোতে থাকার অভ্যাস করুন। কারণ সূর্যের আলোতে রয়েছে ভিটামিন ডি যা আপনার রাতে ঘুম ভালো হতে সাহায্য করে।
- দিনের বেলা কম ঘুমানোর অভ্যাস করুন। এতে রাতে ভালো ঘুম হবে।
রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম
রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম হল অনিদ্রা। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম অনিদ্রা দিয়েছেন। অনিদ্রা একটি ঘুম জনিত ব্যাধি। আপনি যদি পর্যাপ্ত সময় ঘুমানোর চেষ্টা করেও ঘুম না আসে কিংবা ঘুমের গভীরতা স্থায়ী হয় না তাহলে আপনি একটি ঘুমজনিত অনিদ্রা রোগে ভুগছেন।
আর আপনি যদি ঘুম জনিত অনিদ্রা রোগে ভুগেন তাহলে আপনার শরীরে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন আপনি যদি উচ্চ রক্তচাপের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে, হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
কিংবা যদি আগে থেকে হৃদরোগের সমস্যা থাকে তাহলে আরো বেশি সমস্যায় পড়তে পারেন, স্টোক হতে পারে অথবা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ব্যায়াম এবং খাদ্য অভ্যাসের পরিবর্তন করে আপনি অনিদ্রা রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তাছাড়া রাতে ঘুম না আসার আরেকটি কারণ হলো ভিটামিন ডি এর পরিমাণ শরীরে কম থাকা। তাই প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট সূর্যের আলোয় থাকুন।
কি খেলে রাতে ঘুম আসে না
কি খেলে রাতে ঘুম আসে না সে সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে জেনে রাখা উচিত। কারণ ঘুম প্রতিটি মানুষের শরীরের জন্য প্রয়োজন। বিভিন্ন ভিটামিন এবং শারীরিক সমস্যার জন্য আমাদের রাতে ঘুম কম হয় তবে কিছু কিছু খাদ্য অভ্যাসের জন্য আমাদের রাতে ঘুম কম হতে পারে কিংবা ঘুম আসে না।
এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো আমাদের শায়তান তোকে উত্তেজিত করে রাতে ঘুম আসা থেকে সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাহলে চলুন কি কি খেলে রাতে ঘুম আসে না সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
- বিভিন্ন ধরনের পানীয় জাতীয় খাবার যেমন চা, কফি, চকলেট, এনার্জি ড্রিংক ইত্যাদি খাবার আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং রাতে ঘুম আসতে ব্যাঘাত ঘটায়।
- রাতের বেলা বিভিন্ন মশলা জাতীয় খাবার খেলে পেট ফাঁপা, গ্যাসের সমস্যা কিংবা শরীরে বিভিন্ন ধরনের অস্বস্তি সৃষ্টি হতে পারে এর ফলেও আপনার রাতে ঘুম কম হতে পারে।
- রাতের বেলা আপনি যদি বেশি মিষ্টিযুক্ত এবং চিনে যুক্ত খাবার খান তাহলে আপনার শরীরের শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
- রাতের বেলা খুব কম পরিমাণে খাবার খাওয়া উচিত। রাতের বেলা যদি ভারী খাবার খাওয়া হয় তাহলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের অস্বস্তি হয় এবং তার ফলে ঘুম আসে না।
- তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের ধূমপান ও অ্যালকোহল জাতীয় খাবার আপনার রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
অতিরিক্ত প্রশ্নাবলী ও উত্তর
১. পরিপূর্ণ ঘুম না হলে কি কি সমস্যা হয় ?
ঘুম আমাদের শরীরের জন্য খুব প্রয়োজন। চিকিৎসকরা বলে যে ঠিক মত যদি না ঘুমানো হয় তাহলে আমাদের শরীরে লিভিং অরগানিজমগুলো ঠিকঠাক মতো কাজ করা বন্ধ করে দেয়। শরীরের বিভিন্ন হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাছাড়া উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের সমস্যা এবং হাইপারটেনশন এর মত সমস্যা আমাদের শরীরে বৃদ্ধি পায়।
২. তিন দিন না ঘুমালে কি হয় ?
আপনি যদি তিন দিন না ঘুমিয়ে থাকেন তাহলে আপনার মেজাজ এবং মস্তিষ্কের উপরে প্রচুর প্রভাব পড়ে। এছাড়া আপনি আপনার শরীরে প্রচুর পরিমাণে দুর্বল অনুভব করবেন কারণ ঘুম আমাদের প্রয়োজনীয় শক্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
৩. রাতে ঘুম না আসলে কি দোয়া পড়তে হয় ?
আপনার যদি রাতে ঘুম না আসার অভ্যাস থাকে তাহলে আপনি রাতে দোয়াটি পড়তে পারেন। এই দোয়াটি পড়লে খুব তাড়াতাড়ি রাতে ঘুম আসতে সাহায্য করে। দোয়াটি হল:" লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহিদুল কাহহার, রব্বুস-সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ওমা বায়নাহুমাল আজিজুল গাফফার"।
ঘুম বৃদ্ধির খাবার
ঘুম বৃদ্ধির খাবার খেয়েও আপনি রাতে সঠিক পরিমানে ঘুমাতে পারেন। রাতে যদি আমাদের সঠিক পরিমাণে ঘুম না হয় তাহলে সারাদিন শরীর প্রচন্ড ভাবে খারাপ করে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা অনেকটাই কমে যায় এবং আমরা কোন কাজে মন বসাতে পারি না। রাতে আমাদের বিভিন্ন কারণে ঘুম কম হয় কিংবা ঘুম আসে না।
শরীরের যদি ভিটামিন ডি এর অভাব হয় তাহলে আমাদের রাতে ঘুম কম হয়। আর আপনি সূর্যের আলো থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে পারেন তাছাড়া এমন কিছু খাদ্য রয়েছে যেগুলো খেলেও আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ হবে এবং রাতে ভালো ঘুম হবে। আসুন তাহলে জেনে নিন ঘুম বৃদ্ধির খাবার সম্পর্কে।
- ভালো ঘুমের জন্য আপনি রাতে একটি ডিম খেতে পারেন। কারণ ডিমে রয়েছে ভিটামিন ডি।
- রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরুর গরম দুধ খেতে পারেন।
- রাতে ভালো ঘুমের জন্য মিষ্টি আলু একটি ভালো উৎস হতে পারে।
- প্রতিদিন রাতে ভালো ঘুম হওয়ার জন্য আপনার খাদ্য তালিকায় কলা রাখতে পারেন। কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। আর এ উপাদান গুলো আপনার রাতের ঘুম আসতে সাহায্য করবে।
রাতে ঘুম না হলে কি কি সমস্যা হয়
রাতে ঘুম না হলে কি কি সমস্যা হয় সে সম্পর্কে এখন আমরা জানবো। আমাদের শরীরের জন্য ঘুম আবশ্যক। সারাদিন বিভিন্ন ধরনের শারীরিক কাজ করার পরে আমাদের শরীর প্রচুর পরিমাণে ক্লান্ত ও শরীর থেকে অনেক শক্তি খরচ হয়ে যায়। আর শরীরকে আবার পুনরায় শক্তি সঞ্চিত করার জন্য অবশ্যই রাতে ঘুম দরকার।
একজন মানুষ যদি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে চায় তাহলে অবশ্যই রাতে তাকে অন্তত আট ঘন্টা ঘুমানো নষ্ট হয়দরকার। আপনি যদি রাতে কম ঘুমান তবে আপনার শরীরে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন আপনি যদি উচ্চ রক্তচাপের রুগী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যাবে, হৃদরোগের সমস্যা দেখা দিবে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা অনেকটাই কমে যাবে, সারাদিন আপনি কাজে মন দিতে পারবেন না, মানসিক চাপ বেড়ে যাবে এমনকি স্টোকের ঝুঁকিও বেড়ে যেতে পারে।
রাতে না ঘুমিয়ে দিনে ঘুমালে কি ক্ষতি হয়
রাতে না ঘুমিয়ে দিনে ঘুমালে কি খেতে হয় সে সম্পর্কে জানলে আপনি অবশ্যই আপনার অভ্যাসের পরিবর্তন করবেন। রাতে না ঘুমিয়ে দিনে ঘুমানো অভ্যাস মোটেও ভালো না। এই খারাপ অভ্যাস আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
আমাদের শরীরের জন্য রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম দরকার। আর আপনি যদি মনে করেন রাতে না ঘুমিয়ে সেই ঘুম দিনে পূরণ করবেন সেটা কিন্তু কখনোই সম্ভব না। রাতে না ঘুমিয়ে দিনের বেলা ঘুমালে আপনার মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়, মস্তিষ্কের বিশ্রাম কম হয়।
দিনের বেলা ঘুমালে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে, সারাদিন শারীরিক পরিশ্রম না করলে ওজন বেড়ে যেতে পারে, এবং শরীরে ইনসুলিন এর মাত্রা কমে যায় টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। রাতে ঘুমের সময় আমাদের শরীরের মেলাটোনিন এবং গ্রোথ হরমোন নিঃসৃত হয়ে থাকে।
ফলের রাতে না ঘুমালে এই হরমোন নিঃসৃত হওয়ার পথে বাঁধা পড়ে। তাছাড়া দিনের বেলা ঘুম রাতের ঘুমের তুলনায় গভীর কম হয় এর ফলে আপনার মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যায় এবং স্মৃতিশক্তি কমে যায়।
আমাদের শেষ কথা -কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়
আমি আশা করি কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় সে সম্পর্কে আপনি একটি সঠিক ধারণা পেয়েছেন। আপনি যদি এমন কোন সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি অবশ্যই অনুসরণ করে চলুন। কোন ভিটামিনের অভাবে আপনার ঘুম কম হয় এবং কি কি খাবার খেলে আপনার রাতে সঠিক পরিমাণে ঘুম হবে এই পদ্ধতি মেনে চলুন।
আরো পড়ুন: ঠোট ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে
আপনার যদি আমাদের কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় সম্পর্কিত আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেন। এবং এ আর্টিকেল সম্পর্কে আপনার যদি কোন মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাবেন। এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিডি অনলাইন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url