দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানার জন্য নিশ্চয় আপনি অনেক বেশি আগ্রহী আর সেজন্যই এই আর্টিকেলে এসেছেন। দুধের সর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে আমাদের আর্টিকেলটি পড়া শুরু করুন।
দুধের সর দিয়ে নাইট ক্রিম বানানোর পদ্ধতি ছাড়াও আপনি আরো জানতে পারবেন দুধের সর দিয়ে ঘি বানানোর রেসিপি, দুধের সরে কত ক্যালরি আছে সে সম্পর্কে। তাহলে চলুন দেরি না করে দুধের সর নিয়ে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করি।
পেজ সূচিপএ
দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের হয়তো অনেকেরই অজানা রয়েছে অনেক কিছু তথ্য। দুধ যেমন আমাদের জন্য পুষ্টিকর তেমন দুধের উপরে পড়ে থাকা প্রলেপ যাকে আমরা সর হিসেবে চিনি সেই সর ও আমাদের জন্য প্রচুর পুষ্টিকর।
আরো পড়ুন: গোলাপ ফুলের উপকারিতা ও অপকারিতা
তবে আমাদের অনেকেরই দুধের সর মধ্যে কি ধরনের পুষ্টি রয়েছে কিংবা কি কি ভিটামিন উপাদান রয়েছে সে সম্পর্কে সঠিকভাবে জানা নেই। তাহলে আসুন আজকে আমরা দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কি কি পুষ্টিগুণ রয়েছে দুধের সরের ভিতরে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি।
দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা
উচ্চ পুষ্টিমান
দুধের সরের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিন এ, ডি, ই, কে এছাড়া অন্যান্য আরো অনেক স্বাস্থ্যগত উপাদান প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের হাড়ের গঠন মজবুত করে এবং হাড়ের ভেতরের ব্যথাগুলো নিরাময় করে এবং হাড়ের ভিতরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে।
এনার্জি প্রদান
দুধের সর এর মধ্যে রয়েছে উচ্চমাত্রার ভালো ফ্যাট যা আমাদের শরীরে তাৎক্ষণিক এনার্জি সৃষ্টি করে। যারা অনেকদিন থেকে ওজন বাড়াবেন ভাবছেন এবং শরীরে অতিরিক্ত এনার্জি তৈরি করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য দুধের সর একটি ভালো উৎস হতে পারে।
ত্বকের যত্ন
দুধের সরের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এবং ফ্যাটি এ্যাসিড। আর এ ভিটামিন ও ফ্যাটি এ্যাসিড আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া ত্বককে মশ্চারাইজার এবং ত্বকের ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা আনতে দুধের সরের কোন জুড়ি নেই।
হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
দুধের সরের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট আর আমাদের সবারই জেনে রাখা ভালো যে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট আমাদের হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। তবে অবশ্যই পরিমাণমতন দুধের সর খাওয়া উচিত। উপকার করে বলে যে যত ইচ্ছা তত খাবেন এমনটা কিন্তু না।
দুধের সর খাওয়ার অপকারিতা
উচ্চ কোলেস্টেরল
দুধের স্বরের মধ্যে রয়েছে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও কোলেস্টেরল। তাই আপনি যদি প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত পরিমাণে দুধের সর খান তবে আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
ওজন বৃদ্ধি
যারা অনেকদিন থেকে ওজন কমাবেন ভাবছেন কিংবা যাদের ওজন অতিরিক্ত তারা অবশ্যই দুধের সর খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন। কারণ দুধের সর এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি। আর দুধের সরের মধ্যে থাকা ক্যালরি আপনার ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।
হজমজনিত সমস্যা
আমাদের অনেকেরই হজমের সমস্যা থাকে যদি আপনার লিভারের কোন সমস্যা থাকে কিংবা পেটের কোন সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই দুধের সর খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য দুধের সর কিছুটা অসুবিধা হতে পারে। তাই বয়স্করা অবশ্যই দুধের সর পরিমাণ মতন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন।
দুধের সর দিয়ে নাইট ক্রিম
দুধের সর দিয়ে নাইট ক্রিম, কথাটা শুনে একটু অবাক হচ্ছেন। হ্যাঁ দুধের সর দিয়েও নাইট ক্রিম তৈরি করা যায় এবং ত্বকের জন্য খুব কার্যকরী হয়। বর্তমান সময়ে আমরা সবাই মুখে যত্ন নিয়ে অনেক বেশি চিন্তিত সব সময় ভাবতে থাকি কি উপাদান দিলে আমাদের মুখ নরম, কোমল, দাগ হীন এবং উজ্জ্বল হবে। তবে আপনি যদি এমন কোন চিন্তায় চিন্তিত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমি আপনাকে মুখের দুধের সর মাখার পরামর্শ দিব।
কারণ দুধের সরের মধ্যে রয়েছে মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিকভাবে মশ্চারাইজিং এবং পুষ্টিকর কিছু উপাদান যা আমাদের ত্বককে নরম এবং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে । তাছাড়া আপনি ঘরের কিছু বিশেষ উপাদান দিয়েই খুব সহজেই ঘরোয়াভাবে দুধের সর দিয়ে নাইট ক্রিম তৈরি করে নিতে পারেন। তাহলে চলুন দুধের সর দিয়ে নাইট ক্রিম বানানোর একটি পদ্ধতি জেনে নেই।
- প্রথমে এক চামচ দুধের সর নিয়ে নিতে হবে এবং তার ভিতরে এক চামচ মধু ও এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ভালোভাবে একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে।
- মুখ ভালো করে ফেসওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে এবং মুখ শুকিয়ে গেলে দুধের সর দিয়ে বানানো ফেসপ্যাকটি ভালো করে মুখে লাগিয়ে নিতে হবে।
- সারারাত এই ফেস প্যাকটি আপনার মুখে লাগিয়ে রাখুন এবং সকালে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এভাবে সপ্তাহে চার দিন আপনি নাইট ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন এতে বেশ ভালো উপকার পাবেন।
দুধের সর দিয়ে ঘি বানানোর রেসিপি
দুধের সর দিয়ে ঘি বানানোর রেসিপি একেবারেই সহজ। আপনি চাইলে খুব সহজেই আগে থেকে জমিয়ে থাকা দুধের সর দিয়ে ঘি বানিয়ে নিতে পারেন। দুধ এবং ঘি দুটোই স্বাস্থ্য জন্য বিশেষ উপকারী। দুধ এবং ঘি এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ সেজন্য আমরা প্রতিদিনই কমবেশি দুধ ও ঘি আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করব। আসুন তাহলে জেনে নিন দুধের সর দিয়ে ঘি বানানোর সহজ পদ্ধতি সম্পর্কে।
দুধ অনেকক্ষণ জ্বাল দেওয়ার পরে দুধের ওপরে যে মোটা সর পরে সে সরটাই ঘি বানানোর জন্য প্রধান উপকরণ। প্রতিদিন দুধ জ্বাল দেওয়ার পরে আপনি একটু একটু করে সর জমিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন এবং একদিন সবগুলো সব দিয়ে খুব সহজে ঘি বানিয়ে নিতে পারেন। যদি আগে থেকেই জমিয়ে রাখা সর দিয়ে ঘি বানাতে চান তাহলে অবশ্যই ফ্রিজের ডিপ থেকে এক ঘন্টা আগে সরটি বের করে রাখুন তারপর একটি ইলেকট্রিক বিটারের সাহায্যে সরগুলোকে খুব ভালোভাবে মিশ্রিন করুন।
এছাড়া আপনি পাটায় বেটে কিংবা কাটা চামচ দিয়েও সরগুলো মিশ্রিন করতে পারেন। এরপর দুই মিনিট মিশ্রিন করার পর পরিমাণ মতো ফ্রিজের একদম ঠান্ডা পানি সরগুলার ভেতরে ঢেলে দিন। তারপর আবার বিটার দিয়ে মিশ্রিন করুন। এবার দুই তিন মিনিট পর লক্ষ করুন বাটার গুলো একা একাই উপরের দিকে উঠে আসছে। এবার চামচের সাহায্যে কিংবা হাতের সাহায্যে পানি থেকে বাটার গুলো আলাদা করুন। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন নিচের পানি বাটার সাথে না আসে।
আরো পড়ুন: জাফরান সাবানের উপকারিতা ও অপকারিতা
পানি থেকে সবগুলো বাটার আলাদা হয়ে গেলে চুলায় একটি সসপ্যান বসিয়ে দিন এবং বাটার গুলোর সসপ্যানের ভেতরে দিয়ে চুলার তাপ আসতে দিয়ে বাটারগুলো ধীরে ধীরে নাড়াচাড়া করুন। ৫-৬ মিনিট নাড়াচাড়া করার পরে খেয়াল করুন বাটার থেকে ঘি বের হওয়া শুরু হয়ে গেছে। বাটার গুলো হালকা বাদামী রঙের হলে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। কারণ বাটার গুলো যদি বেশি কালচে রঙের হয়ে যায় তাহলে ঘি এর স্বাদ ও গন্ধ ভালো হয় না। ঘি যখন ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন ভালো করে একটি ছাকনি দিয়ে ছেকে নিন এবং উপরে অংশগুলো ফেলে দিয়ে ঘি গুলো একটি কাঁচের পাত্রে সংরক্ষণ করুন। কারণ কাঁচের পাত্রে ঘি অনেক দিন ভালো থাকে।
সচার আচার জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর
১. দুধের স্বরে কত ক্যালরি থাকে ?
পুষ্টিবিদরা বলেন সাধারণত এক কাপ দুধের স্বরে ১৫০ ক্যালোরি থাকে।
২. দুধ খেলে কি ত্বকসুন্দর হয় ?
দুধের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা আমাদের ত্বক সুন্দর করতে, ত্বকের মসৃণতা বজায় রাখতে এবং বয়সের ছাপ কিংবা নষ্ট হওয়া কোষ সতেজ করতে সহায়তা করে।
৩. সারারাত কাঁচা দুধ মুখে লাগানো যাবে কি ?
আপনি যদি ত্বকের সারারাত কাঁচা দুধ লাগিয়ে রাখতে চান তাহলে অবশ্যই লাগিয়ে রাখতে পারেন এতে কোন সমস্যা হবে না। তবে আপনার মুখে যদি ব্রন কিংবা মুখ জ্বালাপোড়া করে তবে সারারাত কাচাঁ দুধ মুখে না লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে পারেন।
মুখে দুধ মাখলে কি হয়
মুখে দুধ মাখলে কি হয় সে সম্পর্কে আপনার যদি সঠিকভাবে জানা না থাকে তাহলে আসুন মুখে দুধ মাখলে কি হয় সে বিষয়ে আলোচনা করি। আমাদের ত্বকের যত্নের জন্য সবচেয়ে সেরা যে উপাদানটি তা হল দুধ। আর অবশ্যই মুখে মাখার জন্য যে দুধ ব্যবহার করবেন তা হল কাঁচা দুধ। কাঁচা দুধের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন২ এবং প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন।
দুধ ত্বকের ভেতরের মরা কোষগুলোকে পুনরায় জীবিত করতে সাহায্য করে। তবে হ্যাঁ মনে রাখতে হবে দুধ খেয়ে নয় দুধ ত্বকে ব্যবহার করে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরানো সম্ভব। আপনি কাঁচা দুধ এমনি ব্যবহার করতে পারেন তবে কিছু উপাদান মিশিয়ে যদি কাঁচা দুধ ব্যবহার করেন তাহলে আরো বেশি ত্বকে উপকার পাবেন। তাহলে আসুন কাঁচা দুধ কিভাবে মুখের মাখবেন সে সম্পর্কে কিছু ধারনা।
বেসন, মুলতানি মাটি ও দুধ দিয়ে ফেসপ্যাক
এক চামচ বেসন ১ চামচ মুলতানি মাটি ও ২ টেবিল চামচ কাচা দুধ ভালো করে একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই উপকরণটি মুখে ভালো করে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ৩০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে হাতে পানি নিয়ে খুব আলতোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাকটি ত্বকের উজ্জ্বলতার সাথে সাথে ত্বককে মশ্চারাইজার করবে। আপনি এই ফেসপ্যাকটি সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করতে পারেন এতে উপকার পাবেন।
দুধ ও কলা দিয়ে ফেসপ্যাক
এই ফেসপ্যাকটি তাদের জন্য ভালো যাদের মুখ খুবই রুক্ষ। ২ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ ও একটি পাকা কলার অর্ধেক নিয়ে খুব ভালোভাবে দুটি উপকরণ একসাথে মিশিয়ে নিন এবং ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার মুখ নরম ও কোমল হবে। প্রতিদিনই ব্যবহার করতে পারেন।
কাঁচা দুধ, পেঁপে ও মধু দিয়ে ফেসপ্যাক
এই ফেস প্যাকটি তাদের জন্য যাদের চেহারায় বয়স্ক ছাপ পড়ে গেছে তারা ব্যবহার করতে পারেন। ২চামচ কাঁচা দুধ একটি ছোট পাকা পেঁপের টুকরো ও হাফ চামচ মধু মিশিয়ে মুখে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন এবং শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করলে আপনার মুখের ভেতরের কোষগুলো সতেজ হবে।
কাঁচা দুধ, মধু ও লেবুর রস
কাঁচা দুধ, মধু ও লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে কিংবা ভালো করে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন এ পেস্টটি মুখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন এবং ভালোভাবে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এই ফেসপ্যাকটি লাগানোর পর আপনার মুখ এতটা উজ্জ্বল হবে যে আপনি আপনার নিজের মুখ দেখেই অবাক হবেন।
এই ফেসপ্যাক গুলো তৈরি করতে আপনার যদি কষ্ট মনে হয় তবে শুধু মুখে কাঁচা দুধ ব্যবহার করতে পারেন। এতেও বেশ উপকার পাবেন।
দুধের সরে কি ভিটামিন আছে
দুধের সরে কি ভিটামিন আছে, দুধের সরের উপকারিতা এই নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেকেরই মনে বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন থাকে। দুধের সরের উপকারিতা নিয়ে আমরা উপরের আলোচনা করেছি এখন আমরা জানবো দুধের সরে কি কি ভিটামিন আছে সে সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে নেই দুধের সরে কি কি ভিটামিন আছে।
ভিটামিনে এ
দুধের সরের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। আর ভিটামিন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
ভিটামিন ডি
দুধের সরের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে। আর এই ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরর দাঁত মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ভিটামিন বি ২
ভিটামিন বি ২ আমাদের শরীরে বাড়তি শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে এবং চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে রাতকানা রোগের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
ভিটামিন বি১২
এই উপাদানটি আমাদের শরীরের রক্তের লোহিত কণিকা তৈরি করে এবং স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকলাপ বৃদ্ধি করে।
দুধে কি এলার্জি আছে
দুধে কি অ্যালার্জি আছে, এ সম্পর্কে আমাদের সকলের মনে নানান ধরনের প্রশ্ন জাগে। দুধের মধ্যে রয়েছে প্রায় ২০ ধরনের প্রোটিন। আর এই প্রোটিনের মধ্যে পাঁচটি প্রোটিন আমাদের শরীরে এলার্জি সৃষ্টি করে থাকে। যেমন বিটা, আলফা ল্যাকটোপ্রোটিন, কেসিন, এলবুমিন ও গামা গ্লোবুলিন। অনেক সময় দুধ খেলে আমাদের এ্যাসিডিটি, পেট ব্যথা এমন কি বদহজম হতে পারে। সাধারণত আমাদের শরীরে যদি ল্যাকটোজ এনজাইমের পরিমাণ কম থাকে তাহলে দুধে এলার্জি হয়। এছাড়া গরুর দুধে আলফা এস1-কেসিন প্রোটিন থাকে। যা মূলত এলার্জির প্রধান উৎস।
দুধে কোন এ্যাসিড থাকে
দুধে কোন অ্যাসিড থাকে এই নিয়ে বিজ্ঞানীরা অনেক গবেষণা করেছেন এবং বিজ্ঞানীরা বলেছেন দুধে ল্যাকটিক এ্যাসিড থাকে। এই এ্যাসিড প্রধানত দুধের মধ্যে থাকা ল্যাক্টজ থেকে ব্যাকটেরিয়া প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়ে থাকে। দুধ যখন ফেটে যায় বা টক হয়ে যায় তখন ল্যাকটিজ এ্যাসিডের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেড়ে যায়। আর ল্যাকটিজ এসিড বেড়ে যাওয়ার কারণে দুধের স্বাদের মধ্যে টকভাব আসে।
দুধের সর খেলে কি মোটা হয়
দুধের সর খেলে কি মোটা হয় এবং দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা আপনাদের বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি। দুধের সর একটি পুষ্টিকর খাবার। পুষ্টিবিদরা বলেন দুধ কিংবা দুধের সর খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই তবে অবশ্যই পরিমাণমতো খাওয়া উচিত। দুধের সর এর মধ্যে ক্যালরি ও ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে।
তাই এটি যদি আপনি প্রতিদিন নিয়মিত অতিরিক্ত পরিমাণে খান তাহলে অবশ্যই আপনার ওজন বাড়বে। তাছাড়া আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় যদি ক্যালরির পরিমাণ বেশি হয় এবং অতিরিক্ত পরিমাণে দুধের সর খান তাহলে অবশ্যই ওজন বাড়বে। দুধের সরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারী উপাদান তাই যদি আপনি স্বাস্থ্যবান হয়ে থাকেন তবে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সীমিত পরিসরে দুধের সর রাখা উচিত।
লেখকের মন্তব্য - দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আশা করি দুধের সর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কিভাবে দুধের সর দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করা যায় সে সম্পর্কে একটি সঠিক ধারণা পেয়েছেন। তাছাড়া দুধের সর সম্পর্কিত আপনার মনে যেসব প্রশ্ন ছিল সে সম্পর্কে অবশ্যই জানতে পেরেছেন। দুধের সর একটি পুষ্টিকর খাবার তাই অবশ্যই সীমিত পরিসরে আপনার খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। তাছাড়া দুধের সর ত্বকের জন্য খুব উপকারী তাই উপরের ফেসপ্যাক গুলো আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন এতে বেশ উপকার পাবেন এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করে নিতে পারবেন।
আরো পড়ুন: চুলের যত্নে তেলাকুচা পাতা
আপনার যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এরকম স্বাস্থ্য বিষয়ক কিংবা রূপচর্চা সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। আর আপনার যদি দুধের সর সম্পর্কিত কোন মূল্যবান মন্তব্য থেকে থাকে। তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন। আপনার মূল্যবান মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
বিডি অনলাইন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url